আমি মারজিয়া আক্তার,স্বাগতম "Fairy Of Novel" Youtube Channel এ — যেখানে প্রতিটি গল্প বোনা হয় অনুভবের সূতা দিয়ে, আর প্রতিটি শব্দে লুকানো থাকে হাসি, আবেগ আর মায়ার গল্প! আমার নিজের গল্প আপলোড দিয়ে থাকি ||
ঢাকার ভোর। ডেমরার সরু গলি দিয়ে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছে ছেলেমেয়েরা। ডেমরা আইডিয়াল হাই স্কুলের সামনে তখন ভিড়— ইউনিফর্ম, ব্যাগ, হাসি, হৈচৈ। ক্লাস ৮ “বি” সেকশন। নতুন বছর, নতুন সিটিং প্ল্যান। লামিয়া ব্যাগ ঝুলিয়ে ক্লাসে ঢুকতেই হঠাৎ ধাক্কা খেল এক ছেলেতে। — “দেখে হাঁটতে পারো না?” ছেলেটা হেসে বলল, — “দেখেছিলাম, কিন্তু তুমি এত তাড়াতাড়ি আসবে ভাবিনি।” মেয়েটা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। স্যার ক্লাসে ঢুকে বললেন, “তানজিম, ও তোমার নতুন বেঞ্চমেট — লামিয়া।” সেদিন থেকেই শুরু হলো এক অচেনা বন্ধুত্বের শুরু।
তানজিম শান্ত স্বভাবের ছেলে। সবসময় বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকে। আর লামিয়া একদম উল্টো — হাসিখুশি, সবার প্রিয়। দু’জনের বন্ধুত্বের শুরুটা ছিল হালকা ঝগড়া, কিন্তু দিন যেতে যেতে সেই ঝগড়ার জায়গা দখল করে নেয় হাসি, গল্প, আর অজান্তে একটা টান। রিফাত, ক্লাসের সবচেয়ে ফানি বয়, সবসময় ওদের নিয়ে মজা করে। তানিশা — ক্লাসের সিরিয়াস কিন্তু মনখারাপ করা মেয়ে, ওর হাসি সবচেয়ে কম দেখা যায়। চারজন মিলে তৈরি করল একটা ছোট্ট দল — স্কুলের সেরা বন্ধুত্ব, যেখানে বইয়ের পাতার মতোই প্রতিদিনের গল্প বদলে যেত।
একদিন বিরতির সময় বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। সবাই ক্লাসে ঢুকে পড়েছে, শুধু লামিয়া জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে। তানজিম চুপচাপ এসে পাশে দাঁড়াল। — “তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো?” — “হ্যাঁ, বৃষ্টিতে মনে হয় পৃথিবীটা একটু নরম হয়ে যায়।” তানজিম হাসল, — “তোমার মতোই।” লামিয়া চুপ করে গেল, কিন্তু মুখে লজ্জার হাসি ফুটে উঠল। সেই একটুখানি কথার মধ্যেই জন্ম নিল একটা অচেনা অনুভূতি — যার নাম হয়তো তখন কেউই জানত না, কিন্তু দু’জনেই বুঝেছিল কিছু একটা বদলে গেছে।
একদিন রিফাত লামিয়াকে পরীক্ষা করতে বলল, “তানজিম নাকি অন্য একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে, স্কুলের বাইরেই!” লামিয়া কিছু না বলে চুপ করে গেল। পরদিন স্কুলে তানজিম এলে সে তার সাথে কথা বলল না। তানজিম বুঝতে পারছিল না, কী ভুল করেছে। রিফাত পরে বুঝল — সে শুধু মজা করেছিল, কিন্তু সেটা ভুলভাবে পৌঁছে গেছে। শেষমেশ তানিশা গিয়ে সব বোঝাল লামিয়াকে। সেদিন ক্লাস শেষে লামিয়া গিয়ে বলল, “তুমি যদি আবার এমন কথা শুনো, আগে আমায় জিজ্ঞেস করো।” তানজিম মুচকি হেসে বলল, “তুমি যদি রাগ না করো, আমি প্রতিদিন কথা বলব।” ওদের হাসির মধ্যে সেই ভুল বোঝাবুঝিটা গলে গেল — আর সম্পর্কটা আরও মজবুত হয়ে উঠল।
স্কুলে বার্ষিক অনুষ্ঠান আসছে। রিফাত ও তানিশা স্টেজ সাজানোর দায়িত্বে, তানজিম গিটার প্র্যাকটিস করছে, আর লামিয়া আবৃত্তি করবে কবিতা — “তোমার নাম আমি লিখেছি বাতাসে…” সেদিন স্টেজে আলো জ্বললে সবাই থমকে গেল। তানজিমের গিটারের সুরে মিশে গেল লামিয়ার কণ্ঠ। দুজনের চোখে চোখ, এক মুহূর্তের জন্য সময় থেমে গেল। তানিশা বলল, “ওদের দেখলে মনে হয় সিনেমা চলছে।” রিফাত হেসে বলল, “না, এ তো বাস্তব সিনেমা।” 😌
সবাই রিপোর্ট কার্ড নিচ্ছে, ছবি তুলছে। লামিয়া চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের গেটে। বছরের শেষ দিন। তানজিম এগিয়ে এসে বলল, “এই এক বছর তোমার পাশে বসতে ভালো লাগত।” লামিয়া বলল, “তুমি শুধু ভালো লাগা বললে? আমি তো মনে করি এটা একটু বেশি কিছু।” তানজিম লজ্জা পেয়ে বলল, “তাহলে আমি বলি — আমার ‘classmate’ কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।” দুজনেই হেসে ফেলল, আর গেটের বাইরে হালকা বাতাসে উড়ে গেল বেলুন, যেন সেই হাসির সাথে মিলিয়ে দিল এক নতুন শুরু।
বছর দুই পর, সবাই আলাদা ক্লাসে, আলাদা সেকশনে। কিন্তু বন্ধুত্বের বন্ধনটা টিকে গেছে। রিফাত ও তানিশা এখন সেরা জুটি — আর তানজিম আর লামিয়া? তারা এখনো একে অপরকে “classmate” বলেই ডাকে, কিন্তু জানে — এই নামটার ভেতর লুকিয়ে আছে এক মিষ্টি ভালোবাসা।
“স্কুলের বেঞ্চে শুরু হওয়া কিছু গল্প কখনো শেষ হয় না, সময় শুধু নাম বদলে দেয় — বন্ধুত্ব, মায়া, ভালোবাসা—সবই মিশে যায় এক জায়গায়, যেটার নাম... My ClassMate।”
রাজশাহীর হালকা কুয়াশা ভেসে আসে Sahriar Chowdhury Kunj-এর বারান্দায়। Zunayra, বা Zunu, কলেজ ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে। বাতাসে চুলগুলো নরমভাবে উড়ছে, আর চোখে এক অদ্ভুত খুঁজবেশি। সে যেন রোদ আর কুয়াশার মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
“Prottoy ভাই… আপনি কি মনে করেন, আমি অন্যদের মতো সুন্দর?” প্রশ্নটা হঠাৎ, ভীষণ নিরীহ, কিন্তু Prottoy-র হৃদয়ে এক অদ্ভুত ছাপ ফেলল।
Prottoy, তার চাচাতো ভাই, বিদেশ থেকে কয়েকদিন আগেই ফিরেছে। ধীরে ধীরে বারান্দায় এলো, হাতের ব্যাগ সামলাতে সামলাতে। “হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন, Zunu?” সে জিজ্ঞেস করল, চোখে নীরবতার ছাপ, যেন সে জানে এই প্রশ্নের আড়ালে অনেক কিছু লুকানো।
Zunu শুধু কাঁধ হালকা সঙ্কুচিত করল। Prottoy বোঝল, উত্তর ইতিমধ্যেই আছে—হ্যাঁ। তারা দু’জন চুপচাপ বসে রোদ-ছায়ার খেলা দেখল। বারান্দার লোহার রেলিং-এ হাত রাখা, বাতাসে ভেসে আসা ছোট পাতা—সবকিছু যেন মুহূর্তটা দীর্ঘায়িত করছে।
Prottoy ধীরে ধীরে বলল, “Zunu, তোর চোখ… শুধু আমার চোখে ভেসে ওঠে। যখনই আমি চোখ বন্ধ করি, সেই চোখই মনে আসে। তারা যেন আমার দিনের শেষ ছবি।”
Zunu লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিল। “তার মানে… আমি সুন্দর?” তার কণ্ঠে কাঁপন।
Prottoy হেসে বলল, “তুই বড্ড বো*কা, Zunu। আর একদিন আমি তোর এই লাজুক মুখ মনে রাখব।”
নিরবতার মধ্যে ছোট ছেলেটি চা নিয়ে এলো। সে যেন গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ডে হঠাৎ ঢুকে পড়ল। Zunu চুমুক দিল। Prottoy এক নজর দেখল, এবং তার মনে অদ্ভুত ব্যথা ও মমতা ঢেউ খেলল। “তুই জানিস… আমি একবার ভাবি, যদি তোর সঙ্গে আমি থাকি… সবকিছু ঠিক হবে।”
Zunu হঠাৎ বলল, “Prottoy ভাই… তাহলে কেন…?”
“কারণ আমার অস্তিত্ব তোর সুখে নেই, Zunu। আর আমি চাই না, তুই আমার জন্য কষ্ট পাও।”
হঠাৎ, তাদের বাবা-মা বিয়ের বিষয় নিয়ে প্রবেশ করলেন। “Zunu, আমরা তোর জন্য একজন পাত্র বেছে এনেছি,” মা বললেন, চোখে সতর্কতার ছাপ, যেন জানে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কিছু আছে যা সে বুঝতে পারছে না। তাদের নীরবতা দেখে তিনি বেড়িয়ে এলেন।"
Prottoy চোখ কুঁচকে বলল, “আমি তোর বিয়ে দেখতে পারব না,নিজের প্রিয়া কে অন্য কারো হতে দেখতে।”
Prottoy চোখ নামিয়ে হালকা হেসে বলল, “আমি জানি। কিন্তু পরিবার, কর্তব্য… আমি যোগ্য নই.... আমি তোর সুখে বাধা হতে চাই না।”
Zunu-র চোখে অশ্রু, Prottoy-র মুখে ব্যথা। “একদিন আমি তোর জন্য পথ খুঁজে বের করব। আজ নয়, কিন্তু একদিন…”
Prottoy বারান্দার রেলিং-তে হাত রাখল। বাতাসে তার চুল হালকা নড়ছে, কিন্তু চোখে অদ্ভুত ধূসর ছায়া। “আমি চাই না, তুই আজ আমার জন্য কষ্ট পাও। কিন্তু ভেতরে… ভেতরে আমি প্রতিদিন ভাবি, যদি সবকিছু ঠিক থাকতো… যদি আমরা একসাথে থাকতাম, কেমন হতো।”
Zunu চোখ বন্ধ করে বলল, “Prottoy ভাই, আমি চাই… আমি চাই আপনাকে আমার জীবনে রাখব।”
Prottoy মাথা নিচু করে কিছু বলল না। শুধু ধীরে ধীরে তার বুকের ধড়পড় অনুভব করতে লাগল। তার মন শান্ত নয়; ব্যথা, ভালোবাসা, দায়িত্ব—সব মিশে এক অদ্ভুত ভারী আবহ তৈরি করেছে।
Zunu টলমলে চোখে বলে– "আপনি পারবেন না প্রত্যয় ভাই, আপনার কথা রাখতে। ”
Prottoy মলিন হেসে বলল– " মাফ করিস না আমায়। "
Prottoy একটি চিঠি রেখে যায়। কালি দিয়ে লেখা শব্দগুলো যেন তার অন্তর থেকে বের হয়ে এসেছে—
“Zunu, আমি পারিনি। আমি ব্যর্থ, কিন্তু জানিস কি? তুই আমার জীবনের আলো। চোখ বন্ধ করলেই তোর মুখশ্রী ভেসে উঠে,তুই আসলেই আমার পরী।আমি চাই তোর সুখ, আমি চাই তুই কখনো কষ্ট পাওনা আমার জন্য। যদি একদিন তুই বুঝতে পার, আমি তোর জন্য সব কিছুতে লড়াই করেছি, তবে তুই জানিস… আমি সর্বদা তোর পাশে ছিলাম, যদিও দূরে।তোকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হলেও, আমি তোর সুখের জন্য আর ফিরব না।”
Zunu ২ বছর ধরে চিঠি ধরে রাখে, প্রতিদিন পড়ে। প্রতিদিন তার চোখে সেই অশ্রু আসে, মুখে লাজুক হাসি ফোটে। “Prottoy ভাই… আমি চাইতাম আপনাকে রাখতে… কিন্তু পারিনি। আপনি আমার প্রথম ভালোবাসা, শেষেও।”
তার এখন সংসার হয়েছে,সন্তান আছে একটা। তবুও,চিঠি পড়ে তার মনে হয় সে প্রত্যয় এর অষ্টাদশী.....
Prottoy-র সেই চিঠি, সেই শব্দগুলো যেন জীবনের এক অদ্ভুত গহ্বর তৈরি করেছে। তার ভালোবাসা, ব্যর্থতা, দায়িত্ব—সবই একসাথে ভাসছে Zunu-র মনে।
বাংলাদেশের ছোট্ট শহরের শান্ত পরিবেশ। চারপাশে আলোর ঝলক, হাসাহাসি আর আতিথেয়তা। ঘরোয়া আয়োজনে আজ Jessica-র বিয়ে। প্রথমবার সে লাল শাড়ি পরে বের হলো সবার সামনে। কপালে লাল টিপ, গলায় সোনালি হার, খোপায় ফুল।
তোফিন যখন তাকাল, বুকের ভেতর কেমন যেন অজানা শিহরণ বয়ে গেল। সে ফিসফিস করে বলল— “Jessica… তুমি শুধু সুন্দর নও, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম, ক্রাশ খেয়েছিলাম, আজ আবার সেই একই অনুভূতি।”
Jessica লাজুক হেসে উত্তর দিলো— “তোফিন, তুমি না থাকলে আমি অনেক আগেই হারিয়ে যেতাম। তুমি আছো বলেই আমি আজ এই জায়গায়।”
তোফিন ঝুঁকে তার কানে বলল— “তুমি শুধু আমার বউ নও, তুমি আমার স্বপ্ন… আমার রক্ত, আমার রোদ্দুর।”
Paris থেকে Dhaka যাওয়ার লম্বা ফ্লাইট। জানালার বাইরে মেঘের স্তূপ দেখে Jessica-র চোখ ভিজে গেল। সে আস্তে বলল— “এই মেঘের নিচেই তো আমার শহর, আমার বাবা-মায়ের কবর… তাদের ছাড়া আমি ফিরছি।”
চোখ বেয়ে টপটপ করে জল নামছে। তৌফিন হাত ধরে ফিসফিস করে বলল— “Jessica, please কান্না করো না… তোমার বাবা-মা আজ বেঁচে থাকলে গর্ব করত তোমাকে দেখে। তুমি weak নও, তুমি strongest।”
Jessica নরম গলায়— “তবুও তৌফিন, আমি আজ এত একা।” তৌফিন হাসতে চেষ্টা করল, “একা? তুমি কি আমাকে আর জেরিনকে কাগজের তৈরি ভাবছো নাকি? আমি তো তোদের জন্য পুরো plane block করে রাখব যদি লাগে।”
Jessica ছোট্ট হেসে ফেলল, তার কান্না মুছে গেল ধীরে ধীর..
ওদিকে Dhaka-তেই এক অন্য দৃশ্য। Dipa এবং Asif চুপচাপ বসে আছে drawing room-এ।
Asif-এর বাবা রাগে বললেন— “আমাদের ছেলের বিয়ে হবে হিন্দু মেয়ের সাথে? অসম্ভব! সমাজে আমাদের মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে?”
Asif শান্ত স্বরে বলল— “বাবা, ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু হৃদয় তো একই!”
তখন Dipa-র মা চোখ লাল করে বলে উঠলেন— “তুই কি আমাদের মান-সম্মান মাটিতে মেশাবি, দীপা? মুসলমান ছেলের সঙ্গে বিয়ে… কখনো না!”
ঘরে গুমোট নীরবতা। Dipa চোখ নামিয়ে কাঁপা গলায় বলল— “আমরা শুধু ভালোবাসি… কিন্তু ভালোবাসা কেন এত কঠিন?”
Asif অসহায়ভাবে তার হাত ধরল। কেউ কিছু বলার সাহস পেল না।
Dhaka পৌঁছে Jessica, জেরিন আর তৌফিন তাদের বাড়িতে ঢুকল। Jessica একটু nervous, কিন্তু ভদ্র হাসি দিয়ে বলল—
“আসসালামু আলাইকুম আংকেল, আন্টি। আমি জেসিকা।”
তৌফিনের মা সঙ্গে সঙ্গেই হেসে উঠলেন— “ওয়ালাইকুম আসসালাম মা! কেমন আছো?”
ফ্রান্সের শেষ দিন। Paris-এর আকাশে সূর্য অস্তাচলের আগে সোনালি আলো ছড়িয়ে পড়েছে। Jessica এবং তৌফিন Seine নদীর ধারে হাঁটছিল। নদীর ধারে হালকা বাতাস, পানি ধীরে ধীরে ঢেউ খেলছে।
Jessica হঠাৎ তৌফিনকে জড়িয়ে ধরল। “তুই জানিস? আমি ঠিক চাইছি এই মুহূর্তটা শেষ রাতের জন্য মনে রাখব,” সে বলল, চোখে playful ঝিলিক।
তৌফিন হেসে বলল, “এখনি কি secret জানাচ্ছিস? Paris-এর শেষ romantic moment?”
Jessica দুষ্টুভাবে হেসে বলল, “হুম… secret তো secret! যদি না জানি তুই হেসে ফেলবি।” তৌফিন জড়িয়ে ধরল এবং বলল, “হেসব না… promise!”
রাতের বাতাসে তাদের subtle romantic bonding। Jessica-এর হাত তৌফিনের হাতের সঙ্গে মিলল, চোখে অদ্ভুত আনন্দ। ছোট্ট playful teasing, কিন্তু আবেগের গভীরতা স্পষ্ট।
Seine নদীর ধারে তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রোমান্স উপভোগ করল। Jessica হালকা চুম্বন দিতে চাইল, তৌফিন চোখ বন্ধ করে তাকে গ্রহণ করল। “Paris-এর শেষ রাতটা আমাদের স্মৃতিতে থাকবে,” Jessica ফিসফিস করে বলল। তৌফিন হেসে বলল, “শুধু শেষ রাত নয়, সারাজীবন মনে থাকবে।”
রাত্রি শেষে, তারা hotel room-এ ফিরে এল। বাংলাদেশে যাওয়ার packing শুরু করল। Jessica suitcase খুলল, সমস্ত essential items, clothes, এবং personal belongings সাজাল। তৌফিন পাশে বসে তাকে subtle guidance দিচ্ছিল।
“এইটা তো নিলে ঠিক হবে না, Jessica,” তৌফিন বলল, suitcase ভরে দেখিয়ে। Jessica playfulভাবে চোখে ঝিলিক দিয়ে বলল, “তুই worry করছিস, কিন্তু আমি expert!” তৌফিন হেসে বলল, “Expert হবার আগে packing master হতে হবে।”
সারা night তারা packing করল, subtle romantic teasing এবং হাসি-মজা চলল। Paris-এর শেষ রাতটি তাদের জন্য একটি emotional closure, bonding, এবং subtle romantic moment হিসেবে মনে থাকবে।
শেষ পর্যন্ত suitcase ready, plane tickets ready, এবং তারা প্রস্তুত বাংলাদেশের নতুন জীবন শুরু করার জন্য।
Jessica হাসপাতালের ICU থেকে ৮ দিন পরে শেষমেশ ছাড়া পেল। শরীর এখনও কিছুটা দুর্বল, কিন্তু চোখে determination। তৌফিন পাশে বসে তার হাত ধরে রেখেছে, চোখে উদ্বেগ এবং আনন্দের মিশ্রণ।
Jessica হেসে বলল, “ধীরে ধীরে। আর তুই পাশে থাকলে, সব ঠিক আছে।”
তৌফিন তার হাত শক্ত করে ধরে বলল, “আমি সবসময় পাশে থাকব। তোমার কিছু হলে… আমি শেষ হয়ে যেতাম।”
Jessica মৃদু হাসি দিয়ে বলল, “Stop thinking so much। এখন আমরা সামনে কি করব, সেটাই ভাবতে হবে।”
কারখানার হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। পুলিশের অনুসন্ধান চলছে, কিছু প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে, তবে Jessica-এর অস্ত্র এবং তার দায়িত্ব এখনও গোপন রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে সব কিছু শান্ত মনে হলেও, Paris-এর পুলিশ এখনও সতর্ক।
Jessica subtle ভাবে নিজের NGO-র ফান্ড এবং কাজের দায়িত্ব তৌফিনকে বুঝিয়ে দিল। তৌফিন কিছুটা চিন্তিত, তবে Jessica-এর নির্দেশে সব ঠিক রাখছে।
দীপা এবং আসিফের cultural tension একটু subtleভাবে আঘাত দিয়েছে। দীপা হিন্দু, আসিফ মুসলিম। দুজনের মধ্যে attraction আছে, কিন্তু cultural এবং faith-based subtle বাধা রয়েছ।
Jessica এবং তৌফিন সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশে ফিরে বিয়ে করার জন্য। তারা জানে, এই যাত্রা তাদের past trauma থেকে মুক্তি দেবে এবং নতুন জীবন শুরু করবে।
তৌফিন মৃদু হাসি দিয়ে বলল, “আমি excited। আমাদের নতুন শুরু হবে। আর তুমি সবসময় safe থাকবে।”
Jessica তার হাতে হাত রাখল, চোখে subtle sparkle। “আমি জানি, তোমার পাশে থাকলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের বিয়ে শুধু শুরু, নতুন জীবন আমাদের অপেক্ষা করছে।”
Hospital-এর বাইরে রোড, হালকা বাতাস, subtle romantic bonding। বন্ধুরা—রেজওয়ানা, সাফিয়ান, দীপা, আসিফ—সবাই কিছু distance থেকে subtle smiles দিয়ে দেখছে, কিন্তু কারখানার ভয়ংকর ঘটনা এবং Jessica-এর সাহস তাদের মুগ্ধ করেছে।
Jessica ধীরে ধীরে হাসি দিয়ে বলল, “সব ঠিক হবে। আজ থেকে আমরা একসাথে। আর Paris-এর এই ভয়ংকর রাত আমাদের past। এখন নতুন জীবন শুরু।”
তৌফিন চোখে moisture নিয়ে বলল, “আমি তোমাকে কখনো ছাড়ব না। আমাদের জীবন শুধু একসাথে।”
Paris-এর হাসপাতালের একটি ICU। Jessica-এর বুক থেকে প্রচুর রক্ত বের হওয়ায় তাকে অবিলম্বে অ্যাডমিট করা হয়েছে। ডাক্তাররা ব্যস্ত, এবং প্যাশেন্ট মনিটরে beep করে চলেছে।
তৌফিন পাশে বসে কান্না ধরে রাখতে পারছিল না। তার চোখ ভিজে গেছে। “তুমি… তুমি বাঁচবে তো Jessica…” সে ফিসফিস করল, কণ্ঠ কাঁপছে।
Jessica-এর NGO-এর ফান্ড, তার সব কাজ—সবকিছু এখন তৌফিনের কাঁধে। সে চিন্তায়, কিন্তু দৃঢ়।
৩৪ ঘন্টা পর ডাক্তার তৌফিনকে জানালেন, “অপারেশন সফল হয়েছে। গুলি বের করা সম্ভব হয়েছে। এখন সে স্থিতিশীল।”
তৌফিন আনন্দে কান্না ধরে রাখতে পারল না। সঙ্গে সঙ্গে ICU-এর ICU-র দরজা খুলে Jessica-এর দিকে এগোল।
Jessica বেডে পড়ে, চোখ কিছুটা মলিন, হালকা হাসি মুখে। “Everything is ok, Dear,” সে বলল।
তৌফিন তার চোখ ভিজে ভিজে Jessica-এর হাত ধরে বলল, “তোমার কিছু হলে আমি শেষ হয়ে যেতাম।”
Jessica হালকা চোখে চোখ রেখে বলল, “I love you, Toufin.”
তৌফিন যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল। কান্নার কন্ঠে বলল, “আমিও খুব ভালোবাসি Jessica।”
Jessica হেসে বলল, “Stop crying, Dear. তুমি কান্না করলে আমার কী হবে?”
তৌফিন চোখ মুছতে মুছতে বলল, “তোমার কিছু হবে না, তুমি সারাজীবন আমার পাশে থাকবে।”
Taufin subtle ইশারায় জেসিকাকে আরো কাছে ডেকেছিল। তৌফিন এগোতেই Jessica-এর গালে হালকা চুম্বন বসালো।
চুম্বনের পরে Jessica reflexively বেডের কম্বলে মুখ ঢেকে দিল। তৌফিন গাল স্পর্শ করে বলল, “আ… তুমি এমন লাজুক হতে পারো?” Jessica কম্বল থেকে মুখ সরালে হেসে বলল, “Stop teasing!”
তৌফিন mischievousভাবে বলল, “তুই লাজুক হলে তো আমি আরও mischievous হতে চাই।” Jessica হাসতে হাসতে বলল, “আরও হাস্যকর হলে তো আমি কাঁপব।” তৌফিন হাসি ভেঙে বলল, “তুই কাঁপলে আমি আরও হাসব।”
হঠাৎ রেজওয়ানা, সাফিয়ান, দীপা, আসিফ হাসপাতালে এসে হাজির। তারা Jessica-এর পাশে দাঁড়িয়ে, চিন্তিত চোখে তাকাচ্ছিল। তারা কারখানার ঘটনায় কিছুই জানে না।
তৌফিন তাদের দিকে তাকাল, চুপ করে ইঙ্গিত দিল—“সব ঠিক আছে।”
তৌফিন হালকা হাসি দিয়ে বলল, “সব ঠিক হবে, আজ Jessica বিশ্রাম করছে। বিস্তারিত পরে জানাবে।”
Jessica তৌফিনের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, “তুমি সবই ঠিক করেছো।”
রেজওয়ানা, সাফিয়ান, দীপা, আসিফ—সবাই কিছুটা মজা করল, তৌফিন এবং Jessica-এর প্রোপস বা সম্পর্কের subtle hints দেখে হালকা ঠাট্টা করল। Jessica লাজুক হেসে বলল, “Stop teasing me!”
তৌফিন হালকা হেসে বলল, “তুই এত সাহসী হলে, আমি কি আরও mischievous হতে পারি?” Jessica হাসতে হাসতে বলল, “আরও বেশি হেসো, তোর কারণে আমি আর খারাপ মনে করব না।”
তৌফিন Jessica-এর পাশে বসে তার হাত ধরে রাখল, চোখে ভাবনা, মুখে subtle হাসি। Paris-এর হাসপাতালের রাত suspense, adventure, এবং প্রেমের মিশ্রণে ভরা।
Paris-এর ভোর। Jessica এখনও আগের রাতে যুদ্ধের ক্ষত নিয়ে কাঁপছিল। শরীর দুবল হয়ে গেছে, চোখে ক্লান্তি, কিন্তু determination হারায়নি। তৌফিন পাশে বসে তার আঘাত পরীক্ষা করছিল।
“তুই এমন আহত, আর কি ভাবছিস? আমরা কি লড়াই শুরু করব?” তৌফিন বলল, চোখে চিন্তা।
Jessica হালকা হাসি চেষ্টা করল, যদিও ব্যথা স্পষ্ট। “আমি… আমি চাই সব শেষ করি। আজ আমার প্ল্যান অনুযায়ী final step। কারখানায় তাদের মেইন লিডাররা আছে। আমি তাদের শেষ করতে চাই।”
তৌফিন চিন্তিত। “তুই এভাবে একা যাবে? আমি পাশে থাকব না?”
Jessica দৃঢ়। “তুমি… পাশে থাকবে না। এটা আমার fight।”
তৌফিন থেমে গেল। কিন্তু শেষে সে জানল—Jessica-কে একা ছাড়া সম্ভব নয়। “আমি থাকব। একে আমি ছাড়ব না। আমি তোমার safety নিয়ে ভয় পাই।”
কারখানার ভেতর। শত্রুদের মেইন লিডাররা উপস্থিত, অস্ত্র, তলোয়ার, এবং খুনের তৃষ্ণা নিয়ে। Jessica ধীরে ধীরে এগোলো। তার চোখে আগুন, পা দুবল হলেও determination অপরিবর্তিত।
Jessica stealthy move করে শত্রুদের neutralize করল—তলোয়ার, গুলি, প্রতিটি move calculated। তৌফিন পাশে, প্রতিটি বিপদ anticipate করে।
শেষে যখন Jessica সব শত্রুকে মারল, হঠাৎ তার বুকের উপরের দিকে গুলি লাগল। সে মাটিতে পড়ে আর্তনাদ করতে লাগল। তৌফিন আতঙ্কিত হয়ে গেল। কি করবে বুঝতে পারছিল না।
তৌফিন দ্রুত মাটিতে পড়ে থাকা Jessica-এর কাছে গিয়ে বড় পিস্তল তুলল। তার হাতে frozen moment, কিন্তু ভয় এবং rage নিয়ে action নিল। এক টানা গুলি চালাল, সব শত্রুদের শেষ করল। রক্তের বন্যা ছড়িয়ে গেল কারখানায়।
Jessica ধীরে ধীরে conscious হয়ে আসল, তৌফিন পাশে দাঁড়িয়ে তাকে ধরে রাখল। “আমি এখানে আছি, Jessica। তুমি বেঁচে আছো,” তৌফিন বলল, চোখে আশ্চর্য ও উদ্বেগের মিশ্রণ।
কারখানার ভেতর রক্তের দৃশ্য। Jessica অসুস্থ হলেও শান্তি অনুভব করল, জানল—সব শত্রু ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু Paris এখনও suspense এবং danger-এর কেন্দ্র।
Paris-এর অন্ধকার গলি। রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙছিল Jessica-এর দ্রুত নিশ্বাসের শব্দে। চোখে determination, হাতে পিস্তল, মন পুরোপুরি একটাই—শত্রুদের ধ্বংস করা।
তৌফিন পাশে দাঁড়িয়ে tense, কিন্তু Jessica জানত—এবার তার হাতে প্রতিশোধ নিতে হবে।
শত্রুরা আসে, যারা দীর্ঘদিন Jessica এবং তার family কে ভয় দেখিয়েছে। Jessica স্থিরভাবে লক্ষ্য ঠিক করল।
একটি ঝটিকা, প্রথম শত্রু মাটিতে পড়ল। আরেকজন এগোতে চেষ্টা করল—Jessica calculated aim নিয়ে গুলি চালাল। একের পর এক শত্রু floor-এ পড়ল।
কিন্তু সংঘর্ষে Jessica নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। তার হাতে এবং কাধে আঘাত লাগল। রক্ত ছিটে পড়ল, হেলমেট থেকে কিছু রক্ত তার গায়ে লেগে গেল।
তৌফিন অবাক, চোখ বড় হয়ে গেল। সে দ্রুত মাটিতে পড়ে থাকা Jessica-এর পিস্তল তুলল। Jessica চোটের কারণে momentarily স্থির।
তৌফিন একটি গভীর নিশ্বাস নিল। সে জানত, Jessica-এর জন্য এবার extreme action নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
তৌফিন এক টানা দশটি গুলি চালাল, শত্রুদের সরাসরি neutralize করে। প্রতিটি শত্রু মাটিতে পড়ল। রক্তের ভয়ের্ত দৃশ্য, suspense, এবং tension সর্বোচ্চ। Jessica তুচ্ছ ক্ষতেও স্থির থেকেছে, কিন্তু subtle shock এবং admiration তৌফিনের চোখে।
শেষে Jessica ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিল, চোখে subtle relief, কিন্তু ক্ষত এবং ব্যথা স্পষ্ট। “আমি বেঁচে গেলাম… কিন্তু ভয়, horror এখনও মনে আছে,” সে বলল। “আমি পাশে আছি, সবসময়,” তৌফিন বলল, উদ্বিগ্ন এবং তার protection নিশ্চিত করে।
Paris-এর অন্ধকার রাত suspense, adventure, এবং extreme danger-এর perfect backdrop। Jessica এবং তৌফিন বুঝল—সব শত্রু ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু তাদের next moves এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ।
Fairy Of Novel
অণুগল্প – My Classmate
লেখিকা – মারজিয়া আক্তার
ঢাকার ভোর। ডেমরার সরু গলি দিয়ে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছে ছেলেমেয়েরা।
ডেমরা আইডিয়াল হাই স্কুলের সামনে তখন ভিড়— ইউনিফর্ম, ব্যাগ, হাসি, হৈচৈ।
ক্লাস ৮ “বি” সেকশন। নতুন বছর, নতুন সিটিং প্ল্যান।
লামিয়া ব্যাগ ঝুলিয়ে ক্লাসে ঢুকতেই হঠাৎ ধাক্কা খেল এক ছেলেতে।
— “দেখে হাঁটতে পারো না?”
ছেলেটা হেসে বলল,
— “দেখেছিলাম, কিন্তু তুমি এত তাড়াতাড়ি আসবে ভাবিনি।”
মেয়েটা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।
স্যার ক্লাসে ঢুকে বললেন,
“তানজিম, ও তোমার নতুন বেঞ্চমেট — লামিয়া।”
সেদিন থেকেই শুরু হলো এক অচেনা বন্ধুত্বের শুরু।
তানজিম শান্ত স্বভাবের ছেলে। সবসময় বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকে।
আর লামিয়া একদম উল্টো — হাসিখুশি, সবার প্রিয়।
দু’জনের বন্ধুত্বের শুরুটা ছিল হালকা ঝগড়া,
কিন্তু দিন যেতে যেতে সেই ঝগড়ার জায়গা দখল করে নেয় হাসি, গল্প, আর অজান্তে একটা টান।
রিফাত, ক্লাসের সবচেয়ে ফানি বয়, সবসময় ওদের নিয়ে মজা করে।
তানিশা — ক্লাসের সিরিয়াস কিন্তু মনখারাপ করা মেয়ে, ওর হাসি সবচেয়ে কম দেখা যায়।
চারজন মিলে তৈরি করল একটা ছোট্ট দল —
স্কুলের সেরা বন্ধুত্ব, যেখানে বইয়ের পাতার মতোই প্রতিদিনের গল্প বদলে যেত।
একদিন বিরতির সময় বৃষ্টি পড়তে শুরু করল।
সবাই ক্লাসে ঢুকে পড়েছে, শুধু লামিয়া জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে।
তানজিম চুপচাপ এসে পাশে দাঁড়াল।
— “তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো?”
— “হ্যাঁ, বৃষ্টিতে মনে হয় পৃথিবীটা একটু নরম হয়ে যায়।”
তানজিম হাসল, — “তোমার মতোই।”
লামিয়া চুপ করে গেল, কিন্তু মুখে লজ্জার হাসি ফুটে উঠল।
সেই একটুখানি কথার মধ্যেই জন্ম নিল একটা অচেনা অনুভূতি —
যার নাম হয়তো তখন কেউই জানত না, কিন্তু দু’জনেই বুঝেছিল কিছু একটা বদলে গেছে।
একদিন রিফাত লামিয়াকে পরীক্ষা করতে বলল,
“তানজিম নাকি অন্য একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে, স্কুলের বাইরেই!”
লামিয়া কিছু না বলে চুপ করে গেল।
পরদিন স্কুলে তানজিম এলে সে তার সাথে কথা বলল না।
তানজিম বুঝতে পারছিল না, কী ভুল করেছে।
রিফাত পরে বুঝল — সে শুধু মজা করেছিল, কিন্তু সেটা ভুলভাবে পৌঁছে গেছে।
শেষমেশ তানিশা গিয়ে সব বোঝাল লামিয়াকে।
সেদিন ক্লাস শেষে লামিয়া গিয়ে বলল,
“তুমি যদি আবার এমন কথা শুনো, আগে আমায় জিজ্ঞেস করো।”
তানজিম মুচকি হেসে বলল,
“তুমি যদি রাগ না করো, আমি প্রতিদিন কথা বলব।”
ওদের হাসির মধ্যে সেই ভুল বোঝাবুঝিটা গলে গেল —
আর সম্পর্কটা আরও মজবুত হয়ে উঠল।
স্কুলে বার্ষিক অনুষ্ঠান আসছে।
রিফাত ও তানিশা স্টেজ সাজানোর দায়িত্বে,
তানজিম গিটার প্র্যাকটিস করছে,
আর লামিয়া আবৃত্তি করবে কবিতা — “তোমার নাম আমি লিখেছি বাতাসে…”
সেদিন স্টেজে আলো জ্বললে সবাই থমকে গেল।
তানজিমের গিটারের সুরে মিশে গেল লামিয়ার কণ্ঠ।
দুজনের চোখে চোখ, এক মুহূর্তের জন্য সময় থেমে গেল।
তানিশা বলল, “ওদের দেখলে মনে হয় সিনেমা চলছে।”
রিফাত হেসে বলল, “না, এ তো বাস্তব সিনেমা।” 😌
সবাই রিপোর্ট কার্ড নিচ্ছে, ছবি তুলছে।
লামিয়া চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের গেটে।
বছরের শেষ দিন।
তানজিম এগিয়ে এসে বলল,
“এই এক বছর তোমার পাশে বসতে ভালো লাগত।”
লামিয়া বলল,
“তুমি শুধু ভালো লাগা বললে? আমি তো মনে করি এটা একটু বেশি কিছু।”
তানজিম লজ্জা পেয়ে বলল,
“তাহলে আমি বলি — আমার ‘classmate’ কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।”
দুজনেই হেসে ফেলল,
আর গেটের বাইরে হালকা বাতাসে উড়ে গেল বেলুন,
যেন সেই হাসির সাথে মিলিয়ে দিল এক নতুন শুরু।
বছর দুই পর, সবাই আলাদা ক্লাসে, আলাদা সেকশনে।
কিন্তু বন্ধুত্বের বন্ধনটা টিকে গেছে।
রিফাত ও তানিশা এখন সেরা জুটি —
আর তানজিম আর লামিয়া?
তারা এখনো একে অপরকে “classmate” বলেই ডাকে,
কিন্তু জানে — এই নামটার ভেতর লুকিয়ে আছে এক মিষ্টি ভালোবাসা।
“স্কুলের বেঞ্চে শুরু হওয়া কিছু গল্প কখনো শেষ হয় না,
সময় শুধু নাম বদলে দেয় —
বন্ধুত্ব, মায়া, ভালোবাসা—সবই মিশে যায় এক জায়গায়,
যেটার নাম... My ClassMate।”
সমাপ্তি।
2 weeks ago | [YT] | 10
View 14 replies
Fairy Of Novel
অনুগল্প–আত্মার অন্তরালে
লেখিকা–মারজিয়া আক্তার
রাজশাহীর হালকা কুয়াশা ভেসে আসে Sahriar Chowdhury Kunj-এর বারান্দায়।
Zunayra, বা Zunu, কলেজ ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে। বাতাসে চুলগুলো নরমভাবে উড়ছে, আর চোখে এক অদ্ভুত খুঁজবেশি। সে যেন রোদ আর কুয়াশার মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
“Prottoy ভাই… আপনি কি মনে করেন, আমি অন্যদের মতো সুন্দর?”
প্রশ্নটা হঠাৎ, ভীষণ নিরীহ, কিন্তু Prottoy-র হৃদয়ে এক অদ্ভুত ছাপ ফেলল।
Prottoy, তার চাচাতো ভাই, বিদেশ থেকে কয়েকদিন আগেই ফিরেছে। ধীরে ধীরে বারান্দায় এলো, হাতের ব্যাগ সামলাতে সামলাতে।
“হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন, Zunu?” সে জিজ্ঞেস করল, চোখে নীরবতার ছাপ, যেন সে জানে এই প্রশ্নের আড়ালে অনেক কিছু লুকানো।
Zunu শুধু কাঁধ হালকা সঙ্কুচিত করল। Prottoy বোঝল, উত্তর ইতিমধ্যেই আছে—হ্যাঁ।
তারা দু’জন চুপচাপ বসে রোদ-ছায়ার খেলা দেখল। বারান্দার লোহার রেলিং-এ হাত রাখা, বাতাসে ভেসে আসা ছোট পাতা—সবকিছু যেন মুহূর্তটা দীর্ঘায়িত করছে।
Prottoy ধীরে ধীরে বলল,
“Zunu, তোর চোখ… শুধু আমার চোখে ভেসে ওঠে। যখনই আমি চোখ বন্ধ করি, সেই চোখই মনে আসে। তারা যেন আমার দিনের শেষ ছবি।”
Zunu লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিল।
“তার মানে… আমি সুন্দর?” তার কণ্ঠে কাঁপন।
Prottoy হেসে বলল,
“তুই বড্ড বো*কা, Zunu। আর একদিন আমি তোর এই লাজুক মুখ মনে রাখব।”
নিরবতার মধ্যে ছোট ছেলেটি চা নিয়ে এলো। সে যেন গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ডে হঠাৎ ঢুকে পড়ল। Zunu চুমুক দিল। Prottoy এক নজর দেখল, এবং তার মনে অদ্ভুত ব্যথা ও মমতা ঢেউ খেলল।
“তুই জানিস… আমি একবার ভাবি, যদি তোর সঙ্গে আমি থাকি… সবকিছু ঠিক হবে।”
Zunu হঠাৎ বলল,
“Prottoy ভাই… তাহলে কেন…?”
“কারণ আমার অস্তিত্ব তোর সুখে নেই, Zunu। আর আমি চাই না, তুই আমার জন্য কষ্ট পাও।”
হঠাৎ, তাদের বাবা-মা বিয়ের বিষয় নিয়ে প্রবেশ করলেন।
“Zunu, আমরা তোর জন্য একজন পাত্র বেছে এনেছি,” মা বললেন, চোখে সতর্কতার ছাপ, যেন জানে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কিছু আছে যা সে বুঝতে পারছে না। তাদের নীরবতা দেখে তিনি বেড়িয়ে এলেন।"
Prottoy চোখ কুঁচকে বলল,
“আমি তোর বিয়ে দেখতে পারব না,নিজের প্রিয়া কে অন্য কারো হতে দেখতে।”
নীরবতা ভেঙে Zunu কণ্ঠে কেঁদে বলল,
“Prottoy ভাই… আমি… আমি চাই আপনাকে।”
Prottoy চোখ নামিয়ে হালকা হেসে বলল,
“আমি জানি। কিন্তু পরিবার, কর্তব্য… আমি যোগ্য নই.... আমি তোর সুখে বাধা হতে চাই না।”
Zunu-র চোখে অশ্রু, Prottoy-র মুখে ব্যথা।
“একদিন আমি তোর জন্য পথ খুঁজে বের করব। আজ নয়, কিন্তু একদিন…”
Prottoy বারান্দার রেলিং-তে হাত রাখল। বাতাসে তার চুল হালকা নড়ছে, কিন্তু চোখে অদ্ভুত ধূসর ছায়া।
“আমি চাই না, তুই আজ আমার জন্য কষ্ট পাও। কিন্তু ভেতরে… ভেতরে আমি প্রতিদিন ভাবি, যদি সবকিছু ঠিক থাকতো… যদি আমরা একসাথে থাকতাম, কেমন হতো।”
Zunu চোখ বন্ধ করে বলল,
“Prottoy ভাই, আমি চাই… আমি চাই আপনাকে আমার জীবনে রাখব।”
Prottoy মাথা নিচু করে কিছু বলল না। শুধু ধীরে ধীরে তার বুকের ধড়পড় অনুভব করতে লাগল। তার মন শান্ত নয়; ব্যথা, ভালোবাসা, দায়িত্ব—সব মিশে এক অদ্ভুত ভারী আবহ তৈরি করেছে।
Zunu টলমলে চোখে বলে–
"আপনি পারবেন না প্রত্যয় ভাই, আপনার কথা রাখতে। ”
Prottoy মলিন হেসে বলল–
" মাফ করিস না আমায়। "
Prottoy একটি চিঠি রেখে যায়। কালি দিয়ে লেখা শব্দগুলো যেন তার অন্তর থেকে বের হয়ে এসেছে—
“Zunu, আমি পারিনি। আমি ব্যর্থ, কিন্তু জানিস কি? তুই আমার জীবনের আলো। চোখ বন্ধ করলেই তোর মুখশ্রী ভেসে উঠে,তুই আসলেই আমার পরী।আমি চাই তোর সুখ, আমি চাই তুই কখনো কষ্ট পাওনা আমার জন্য। যদি একদিন তুই বুঝতে পার, আমি তোর জন্য সব কিছুতে লড়াই করেছি, তবে তুই জানিস… আমি সর্বদা তোর পাশে ছিলাম, যদিও দূরে।তোকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হলেও, আমি তোর সুখের জন্য আর ফিরব না।”
Zunu ২ বছর ধরে চিঠি ধরে রাখে, প্রতিদিন পড়ে। প্রতিদিন তার চোখে সেই অশ্রু আসে, মুখে লাজুক হাসি ফোটে।
“Prottoy ভাই… আমি চাইতাম আপনাকে রাখতে… কিন্তু পারিনি। আপনি আমার প্রথম ভালোবাসা, শেষেও।”
তার এখন সংসার হয়েছে,সন্তান আছে একটা। তবুও,চিঠি পড়ে তার মনে হয় সে প্রত্যয় এর অষ্টাদশী.....
Prottoy-র সেই চিঠি, সেই শব্দগুলো যেন জীবনের এক অদ্ভুত গহ্বর তৈরি করেছে। তার ভালোবাসা, ব্যর্থতা, দায়িত্ব—সবই একসাথে ভাসছে Zunu-র মনে।
সমাপ্ত।
2 weeks ago | [YT] | 8
View 15 replies
Fairy Of Novel
রক্ত আর রোদ্দুর সকল পর্ব 👇
১.
youtube.com/post/Ugkx_YscEt5_HXKFPVAyHpJs85cSHLQPK…
২.
youtube.com/post/Ugkxy0e3wT-_IF11-5UF84zrf2b3Tojg9…
৩.
youtube.com/post/UgkxLrdNSdqDUqscKJve-VX4dhBj0L67v…
৪.
youtube.com/post/UgkxTDgi9Lz-hjHHoZyHp-hCFKeJahhzg…
৫.
youtube.com/post/Ugkx3yGnR5tCxxroPwXv6vRMnv60NHjfH…
৬.
youtube.com/post/Ugkx7JLq3irk-8-uBXQ9MOu7yT9kdLYI6…
৭.
youtube.com/post/Ugkxq_UvjwiVXyVfZtBz_f9RGmJIxb9n2…
৮.
youtube.com/post/UgkxuDQFSmbRxBhbpthYciVoCZBLtSFU7…
৯.
youtube.com/post/UgkxeE9SPs5d_P9clh0vbsNFqqxVoLf77…
১০.
youtube.com/post/UgkxK9i6TdJt0hunFbLkfAbwtk305rI9-…
১১.
youtube.com/post/UgkxP4ASmXuf7oEfJU24xSCkW6Wvur56L…
১২.
youtube.com/post/UgkxE7mGlMopc5eBJ_uYg1SG-huIRrFsK…
১৩.
youtube.com/post/UgkxzABbIhDBeoEelz0MnI0Q9Ajv2y9OA…
১৪.
youtube.com/post/Ugkxs_iOO7Rb98sC2P4BzlE4q6HyX9xxY…
১৫.
youtube.com/post/Ugkxk56cQqs0pdsBtXiC_YkTqXR3Oz3OX…
১৬.
youtube.com/post/UgkxUMBeZgxRAWUW_MzRM06ArzWNS7pNy…
১৭.
youtube.com/post/UgkxyyOKK0t_bmZqU2iuZioVYZZMLM0lu…
১৮.
youtube.com/post/Ugkxzoa_fQhjex6eythC2N6MYm4eHMOYf…
১৯.
youtube.com/post/Ugkx0_mwFOYl5z2-AzSUH_GZ4V_kQSaZX…
২০.শেষ
youtube.com/post/UgkxF8lSqZ5n4Cpbky1PZM_vJxukQqGP7…
সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো..... 💙
Share.....??❤️🩹
1 month ago | [YT] | 16
View 20 replies
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_শেষ
বাংলাদেশের ছোট্ট শহরের শান্ত পরিবেশ। চারপাশে আলোর ঝলক, হাসাহাসি আর আতিথেয়তা।
ঘরোয়া আয়োজনে আজ Jessica-র বিয়ে। প্রথমবার সে লাল শাড়ি পরে বের হলো সবার সামনে। কপালে লাল টিপ, গলায় সোনালি হার, খোপায় ফুল।
তোফিন যখন তাকাল, বুকের ভেতর কেমন যেন অজানা শিহরণ বয়ে গেল।
সে ফিসফিস করে বলল—
“Jessica… তুমি শুধু সুন্দর নও, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম, ক্রাশ খেয়েছিলাম, আজ আবার সেই একই অনুভূতি।”
Jessica লাজুক হেসে উত্তর দিলো—
“তোফিন, তুমি না থাকলে আমি অনেক আগেই হারিয়ে যেতাম। তুমি আছো বলেই আমি আজ এই জায়গায়।”
তোফিন ঝুঁকে তার কানে বলল—
“তুমি শুধু আমার বউ নও, তুমি আমার স্বপ্ন… আমার রক্ত, আমার রোদ্দুর।”
চারপাশ হাততালিতে মুখর হয়ে উঠল।
---
রাত গভীর হলো। চারদিকে নিস্তব্ধতা। ঘরে মোমবাতির নরম আলো, জানালা দিয়ে ঢুকছে পূর্ণিমার আলো।
Jessica লাল শাড়িতে বসে আছে, মুখে লাজুক লাল আভা।
তোফিন ধীরে ধীরে এগিয়ে তার হাত ধরল।
“আজ থেকে তুমি আমার। আমি আর কখনো তোমাকে ছাড়ব না।”
Jessica ফিসফিস করে বলল—
“তুমি কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছো?”
তোফিন দুষ্টু হাসি দিলো—
“না, তোমাকে আমার করে নিচ্ছি।”
সে হঠাৎ Jessica-কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে গভীর চুম্বনে ডুবিয়ে দিলো।
Jessica চোখ বন্ধ করে বুকের সাথে মিশে গেল।
তোফিন তাকে কোলে তুলে নিলো।
Jessica হেসে বলল—
“তুমি কি সত্যি সিরিয়াস?”
তোফিন—“আমি সিরিয়াসলি পাগল তোমার জন্য।”
সে তাকে কোলে নিয়ে ছাদ থেকে ঘরে এসে বিছানায় নামিয়ে রাখল।
এই রাত শুধু তাদের দুজনের…
গোপন, মধুর, চিরস্মরণীয়।
চুম্বনের মাঝে Jessica হঠাৎ কেঁদে ফেলল।
“তোফিন… যদি বাবা-মা বেঁচে থাকত, আজ তারা কতটা খুশি হতো।”
তোফিন তার চোখ মুছে দিলো—
“Jessica, তারা স্বর্গ থেকে দেখছে। তারা গর্ব করছে তুমি এত কিছু জিতেছো। তুমি আজ আমার জীবনসঙ্গী।”
Jessica ফিসফিস করে বলল—
“তুমি যদি না থাকতে, আমি আজ কিচ্ছু হতাম না।”
তোফিন তার ঠোঁটে আবার চুমু দিলো।
“না, তুমি সবসময় extraordinary ছিলে। আমি শুধু তোমাকে আঁকড়ে ধরেছি।”
Jessica হাসতে হাসতে বলল—
“তাহলে আমাকে সারাজীবন আঁকড়ে রেখো।”
তোফিন হেসে বলল—
“Challenge accepted, Mrs. Jessica Toufin।”
Jessica লজ্জায় বালিশে মুখ লুকিয়ে ফেলল, তোফিন তার হাত শক্ত করে ধরল।
🌸জেরিন–তুহিন ক্রাশ ফ্লেভার**
ওদিকে বসার ঘরে হাসাহাসি।
তোফিনের ছোট ভাই তুহিন (১৮ বছরের) জেরিনকে দেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
সে আস্তে বলল—
“আপু… কেমন আছো?”
জেরিন হেসে বলল—
“ভালো আছি, তুমিই বা কেমন?”
তুহিন কোনো কথা না বলে শুধু মৃদু হাসল।
বন্ধুরা খেপাতে লাগল—
“এই তুহিন, crush মারছিস নাকি?”
তুহিন লজ্জায় পালিয়ে গেল, সবাই হেসে উঠল।
---
সাফিয়ান হেসে বললো–
“তোফিন ভাই, honeymoon কোথায় যাবেন? আমরা tagging হবো নাকি?”
তোফিন হেসে বলল—
“তোমরা tagging হলে romantic mood উধাও হয়ে যাবে।”
সবাই মজা করল, গল্প হলো, খাওয়াদাওয়া হলো।
পুরো ঘর জুড়ে হাসি আর উষ্ণতা।
রাত শেষে Jessica আর তোফিন ছাদে দাঁড়িয়ে।
আকাশে পূর্ণিমার আলো, চারপাশে নীরবতা।
Jessica হাত বাড়িয়ে বলল—
“তোফিন, মনে হচ্ছে অবশেষে আমি safe… আর কোনো ভয় নেই।”
তোফিন তাকে কাছে টেনে নিলো।
“কারণ আমি আছি। যতদিন বেঁচে থাকব, তোমার কষ্ট আমার কষ্ট হবে না।”
Jessica চোখ ভিজে গেলো।
সে তোফিনের বুকে মুখ লুকিয়ে ফিসফিস করে বলল—
“তুমি ছাড়া আমার পৃথিবী নেই।”
তোফিন কপালে চুমু দিয়ে বলল—
“আজ থেকে, সারাজীবন… তুমি শুধু আমার, আর আমি শুধু তোমার।”
দুজন একে অপরের চোখে তাকিয়ে রইল।
পৃথিবীর সব যুদ্ধ, সব অন্ধকার পেরিয়ে অবশেষে তারা পেল শান্তির নতুন ভোর।
সমাপ্তি........
1 month ago | [YT] | 6
View 7 replies
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_১৯
Paris থেকে Dhaka যাওয়ার লম্বা ফ্লাইট। জানালার বাইরে মেঘের স্তূপ দেখে Jessica-র চোখ ভিজে গেল।
সে আস্তে বলল—
“এই মেঘের নিচেই তো আমার শহর, আমার বাবা-মায়ের কবর… তাদের ছাড়া আমি ফিরছি।”
চোখ বেয়ে টপটপ করে জল নামছে।
তৌফিন হাত ধরে ফিসফিস করে বলল—
“Jessica, please কান্না করো না… তোমার বাবা-মা আজ বেঁচে থাকলে গর্ব করত তোমাকে দেখে। তুমি weak নও, তুমি strongest।”
Jessica নরম গলায়—
“তবুও তৌফিন, আমি আজ এত একা।”
তৌফিন হাসতে চেষ্টা করল, “একা? তুমি কি আমাকে আর জেরিনকে কাগজের তৈরি ভাবছো নাকি? আমি তো তোদের জন্য পুরো plane block করে রাখব যদি লাগে।”
Jessica ছোট্ট হেসে ফেলল, তার কান্না মুছে গেল ধীরে ধীর..
ওদিকে Dhaka-তেই এক অন্য দৃশ্য।
Dipa এবং Asif চুপচাপ বসে আছে drawing room-এ।
Asif-এর বাবা রাগে বললেন—
“আমাদের ছেলের বিয়ে হবে হিন্দু মেয়ের সাথে? অসম্ভব! সমাজে আমাদের মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে?”
Asif শান্ত স্বরে বলল—
“বাবা, ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু হৃদয় তো একই!”
তখন Dipa-র মা চোখ লাল করে বলে উঠলেন—
“তুই কি আমাদের মান-সম্মান মাটিতে মেশাবি, দীপা? মুসলমান ছেলের সঙ্গে বিয়ে… কখনো না!”
ঘরে গুমোট নীরবতা।
Dipa চোখ নামিয়ে কাঁপা গলায় বলল—
“আমরা শুধু ভালোবাসি… কিন্তু ভালোবাসা কেন এত কঠিন?”
Asif অসহায়ভাবে তার হাত ধরল।
কেউ কিছু বলার সাহস পেল না।
Dhaka পৌঁছে Jessica, জেরিন আর তৌফিন তাদের বাড়িতে ঢুকল।
Jessica একটু nervous, কিন্তু ভদ্র হাসি দিয়ে বলল—
“আসসালামু আলাইকুম আংকেল, আন্টি। আমি জেসিকা।”
তৌফিনের মা সঙ্গে সঙ্গেই হেসে উঠলেন—
“ওয়ালাইকুম আসসালাম মা! কেমন আছো?”
Jessica হালকা মাথা নুইয়ে বলল—
“ভালো, আপনি?”
আন্টি উষ্ণ হেসে—“ভালো!”
তৌফিনের বাবা স্নিগ্ধ কণ্ঠে বললেন—
“ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমিও ভালো আছি। বসো, আরাম করে।”
Jessica আস্তে বসে পড়ল, গায়ে হালকা টপস আর জিন্স, কিন্তু আচরণে মার্জিত।
আন্টি একটু হেসে বললেন—
“কী রান্না জানো, মা?”
Jessica হেসে উত্তর দিল—
“জি আন্টি, আমি pasta, noodles, আর কিছু deshi রান্নাও শিখেছি। তৌফিনও taste করেছে।”
আন্টি হেসে বললেন—“তাহলে তো আমার ছেলের খাওয়ার চিন্তা নেই।”
Jessica blush করল।
আংকেল প্রশ্ন করলেন—
“তুমি পড়াশোনা কোথায় করেছো?”
Jessica উত্তর দিল—
“Paris-এ পড়াশোনা করেছি, তবে এখন কাজ করছি নিজের NGO-তে।”
আন্টি মুগ্ধ হয়ে তাকালেন।
“ভালো… মেয়েটা smart।”
তৌফিন পাশে দাঁড়িয়ে হেসে বলল—
“আমি তো বলেছিলাম, আমার choice খারাপ না।”
Jessica চোখ টিপে তাকাল, সবাই মৃদু হেসে ফেলল।
চলবে........
1 month ago (edited) | [YT] | 3
View 1 reply
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_১৮
ফ্রান্সের শেষ দিন। Paris-এর আকাশে সূর্য অস্তাচলের আগে সোনালি আলো ছড়িয়ে পড়েছে। Jessica এবং তৌফিন Seine নদীর ধারে হাঁটছিল। নদীর ধারে হালকা বাতাস, পানি ধীরে ধীরে ঢেউ খেলছে।
Jessica হঠাৎ তৌফিনকে জড়িয়ে ধরল।
“তুই জানিস? আমি ঠিক চাইছি এই মুহূর্তটা শেষ রাতের জন্য মনে রাখব,” সে বলল, চোখে playful ঝিলিক।
তৌফিন হেসে বলল, “এখনি কি secret জানাচ্ছিস? Paris-এর শেষ romantic moment?”
Jessica দুষ্টুভাবে হেসে বলল, “হুম… secret তো secret! যদি না জানি তুই হেসে ফেলবি।”
তৌফিন জড়িয়ে ধরল এবং বলল, “হেসব না… promise!”
রাতের বাতাসে তাদের subtle romantic bonding। Jessica-এর হাত তৌফিনের হাতের সঙ্গে মিলল, চোখে অদ্ভুত আনন্দ। ছোট্ট playful teasing, কিন্তু আবেগের গভীরতা স্পষ্ট।
Seine নদীর ধারে তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রোমান্স উপভোগ করল। Jessica হালকা চুম্বন দিতে চাইল, তৌফিন চোখ বন্ধ করে তাকে গ্রহণ করল।
“Paris-এর শেষ রাতটা আমাদের স্মৃতিতে থাকবে,” Jessica ফিসফিস করে বলল।
তৌফিন হেসে বলল, “শুধু শেষ রাত নয়, সারাজীবন মনে থাকবে।”
রাত্রি শেষে, তারা hotel room-এ ফিরে এল। বাংলাদেশে যাওয়ার packing শুরু করল। Jessica suitcase খুলল, সমস্ত essential items, clothes, এবং personal belongings সাজাল। তৌফিন পাশে বসে তাকে subtle guidance দিচ্ছিল।
“এইটা তো নিলে ঠিক হবে না, Jessica,” তৌফিন বলল, suitcase ভরে দেখিয়ে।
Jessica playfulভাবে চোখে ঝিলিক দিয়ে বলল, “তুই worry করছিস, কিন্তু আমি expert!”
তৌফিন হেসে বলল, “Expert হবার আগে packing master হতে হবে।”
সারা night তারা packing করল, subtle romantic teasing এবং হাসি-মজা চলল। Paris-এর শেষ রাতটি তাদের জন্য একটি emotional closure, bonding, এবং subtle romantic moment হিসেবে মনে থাকবে।
শেষ পর্যন্ত suitcase ready, plane tickets ready, এবং তারা প্রস্তুত বাংলাদেশের নতুন জীবন শুরু করার জন্য।
চলবে.........
1 month ago | [YT] | 3
View 1 reply
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_১৭
Jessica হাসপাতালের ICU থেকে ৮ দিন পরে শেষমেশ ছাড়া পেল। শরীর এখনও কিছুটা দুর্বল, কিন্তু চোখে determination। তৌফিন পাশে বসে তার হাত ধরে রেখেছে, চোখে উদ্বেগ এবং আনন্দের মিশ্রণ।
“এখন ঠিকমতো হাঁটতে পারছো?” তৌফিন প্রশ্ন করল, হালকা হাসি মুখে।
Jessica হেসে বলল, “ধীরে ধীরে। আর তুই পাশে থাকলে, সব ঠিক আছে।”
তৌফিন তার হাত শক্ত করে ধরে বলল, “আমি সবসময় পাশে থাকব। তোমার কিছু হলে… আমি শেষ হয়ে যেতাম।”
Jessica মৃদু হাসি দিয়ে বলল, “Stop thinking so much। এখন আমরা সামনে কি করব, সেটাই ভাবতে হবে।”
কারখানার হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। পুলিশের অনুসন্ধান চলছে, কিছু প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে, তবে Jessica-এর অস্ত্র এবং তার দায়িত্ব এখনও গোপন রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে সব কিছু শান্ত মনে হলেও, Paris-এর পুলিশ এখনও সতর্ক।
Jessica subtle ভাবে নিজের NGO-র ফান্ড এবং কাজের দায়িত্ব তৌফিনকে বুঝিয়ে দিল। তৌফিন কিছুটা চিন্তিত, তবে Jessica-এর নির্দেশে সব ঠিক রাখছে।
দীপা এবং আসিফের cultural tension একটু subtleভাবে আঘাত দিয়েছে। দীপা হিন্দু, আসিফ মুসলিম। দুজনের মধ্যে attraction আছে, কিন্তু cultural এবং faith-based subtle বাধা রয়েছ।
Jessica এবং তৌফিন সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশে ফিরে বিয়ে করার জন্য। তারা জানে, এই যাত্রা তাদের past trauma থেকে মুক্তি দেবে এবং নতুন জীবন শুরু করবে।
তৌফিন মৃদু হাসি দিয়ে বলল, “আমি excited। আমাদের নতুন শুরু হবে। আর তুমি সবসময় safe থাকবে।”
Jessica তার হাতে হাত রাখল, চোখে subtle sparkle। “আমি জানি, তোমার পাশে থাকলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের বিয়ে শুধু শুরু, নতুন জীবন আমাদের অপেক্ষা করছে।”
Hospital-এর বাইরে রোড, হালকা বাতাস, subtle romantic bonding। বন্ধুরা—রেজওয়ানা, সাফিয়ান, দীপা, আসিফ—সবাই কিছু distance থেকে subtle smiles দিয়ে দেখছে, কিন্তু কারখানার ভয়ংকর ঘটনা এবং Jessica-এর সাহস তাদের মুগ্ধ করেছে।
Jessica ধীরে ধীরে হাসি দিয়ে বলল, “সব ঠিক হবে। আজ থেকে আমরা একসাথে। আর Paris-এর এই ভয়ংকর রাত আমাদের past। এখন নতুন জীবন শুরু।”
তৌফিন চোখে moisture নিয়ে বলল, “আমি তোমাকে কখনো ছাড়ব না। আমাদের জীবন শুধু একসাথে।”
চলবে.....
1 month ago | [YT] | 4
View 1 reply
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_১৬
Paris-এর হাসপাতালের একটি ICU। Jessica-এর বুক থেকে প্রচুর রক্ত বের হওয়ায় তাকে অবিলম্বে অ্যাডমিট করা হয়েছে। ডাক্তাররা ব্যস্ত, এবং প্যাশেন্ট মনিটরে beep করে চলেছে।
তৌফিন পাশে বসে কান্না ধরে রাখতে পারছিল না। তার চোখ ভিজে গেছে।
“তুমি… তুমি বাঁচবে তো Jessica…” সে ফিসফিস করল, কণ্ঠ কাঁপছে।
Jessica-এর NGO-এর ফান্ড, তার সব কাজ—সবকিছু এখন তৌফিনের কাঁধে। সে চিন্তায়, কিন্তু দৃঢ়।
৩৪ ঘন্টা পর ডাক্তার তৌফিনকে জানালেন, “অপারেশন সফল হয়েছে। গুলি বের করা সম্ভব হয়েছে। এখন সে স্থিতিশীল।”
তৌফিন আনন্দে কান্না ধরে রাখতে পারল না। সঙ্গে সঙ্গে ICU-এর ICU-র দরজা খুলে Jessica-এর দিকে এগোল।
Jessica বেডে পড়ে, চোখ কিছুটা মলিন, হালকা হাসি মুখে।
“Everything is ok, Dear,” সে বলল।
তৌফিন তার চোখ ভিজে ভিজে Jessica-এর হাত ধরে বলল, “তোমার কিছু হলে আমি শেষ হয়ে যেতাম।”
Jessica হালকা চোখে চোখ রেখে বলল, “I love you, Toufin.”
তৌফিন যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল। কান্নার কন্ঠে বলল, “আমিও খুব ভালোবাসি Jessica।”
Jessica হেসে বলল, “Stop crying, Dear. তুমি কান্না করলে আমার কী হবে?”
তৌফিন চোখ মুছতে মুছতে বলল, “তোমার কিছু হবে না, তুমি সারাজীবন আমার পাশে থাকবে।”
Taufin subtle ইশারায় জেসিকাকে আরো কাছে ডেকেছিল। তৌফিন এগোতেই Jessica-এর গালে হালকা চুম্বন বসালো।
চুম্বনের পরে Jessica reflexively বেডের কম্বলে মুখ ঢেকে দিল। তৌফিন গাল স্পর্শ করে বলল, “আ… তুমি এমন লাজুক হতে পারো?”
Jessica কম্বল থেকে মুখ সরালে হেসে বলল, “Stop teasing!”
তৌফিন mischievousভাবে বলল, “তুই লাজুক হলে তো আমি আরও mischievous হতে চাই।”
Jessica হাসতে হাসতে বলল, “আরও হাস্যকর হলে তো আমি কাঁপব।”
তৌফিন হাসি ভেঙে বলল, “তুই কাঁপলে আমি আরও হাসব।”
হঠাৎ রেজওয়ানা, সাফিয়ান, দীপা, আসিফ হাসপাতালে এসে হাজির। তারা Jessica-এর পাশে দাঁড়িয়ে, চিন্তিত চোখে তাকাচ্ছিল। তারা কারখানার ঘটনায় কিছুই জানে না।
তৌফিন তাদের দিকে তাকাল, চুপ করে ইঙ্গিত দিল—“সব ঠিক আছে।”
Jessica বেডে হালকা বসে, তৌফিন পাশে থাকায় সান্ত্বনা পেল। বন্ধুদের আগমনেও subtle হাসি। তারা জিজ্ঞেস করল, “Jessica, তুমি কি ভালো আছো? কীভাবে হলো?”
তৌফিন হালকা হাসি দিয়ে বলল, “সব ঠিক হবে, আজ Jessica বিশ্রাম করছে। বিস্তারিত পরে জানাবে।”
Jessica তৌফিনের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, “তুমি সবই ঠিক করেছো।”
রেজওয়ানা, সাফিয়ান, দীপা, আসিফ—সবাই কিছুটা মজা করল, তৌফিন এবং Jessica-এর প্রোপস বা সম্পর্কের subtle hints দেখে হালকা ঠাট্টা করল। Jessica লাজুক হেসে বলল, “Stop teasing me!”
তৌফিন হালকা হেসে বলল, “তুই এত সাহসী হলে, আমি কি আরও mischievous হতে পারি?”
Jessica হাসতে হাসতে বলল, “আরও বেশি হেসো, তোর কারণে আমি আর খারাপ মনে করব না।”
তৌফিন Jessica-এর পাশে বসে তার হাত ধরে রাখল, চোখে ভাবনা, মুখে subtle হাসি। Paris-এর হাসপাতালের রাত suspense, adventure, এবং প্রেমের মিশ্রণে ভরা।
চলবে.....
1 month ago | [YT] | 4
View 1 reply
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_১৫
Paris-এর ভোর। Jessica এখনও আগের রাতে যুদ্ধের ক্ষত নিয়ে কাঁপছিল। শরীর দুবল হয়ে গেছে, চোখে ক্লান্তি, কিন্তু determination হারায়নি। তৌফিন পাশে বসে তার আঘাত পরীক্ষা করছিল।
“তুই এমন আহত, আর কি ভাবছিস? আমরা কি লড়াই শুরু করব?” তৌফিন বলল, চোখে চিন্তা।
Jessica হালকা হাসি চেষ্টা করল, যদিও ব্যথা স্পষ্ট।
“আমি… আমি চাই সব শেষ করি। আজ আমার প্ল্যান অনুযায়ী final step। কারখানায় তাদের মেইন লিডাররা আছে। আমি তাদের শেষ করতে চাই।”
তৌফিন চিন্তিত। “তুই এভাবে একা যাবে? আমি পাশে থাকব না?”
Jessica দৃঢ়। “তুমি… পাশে থাকবে না। এটা আমার fight।”
তৌফিন থেমে গেল। কিন্তু শেষে সে জানল—Jessica-কে একা ছাড়া সম্ভব নয়। “আমি থাকব। একে আমি ছাড়ব না। আমি তোমার safety নিয়ে ভয় পাই।”
কারখানার ভেতর। শত্রুদের মেইন লিডাররা উপস্থিত, অস্ত্র, তলোয়ার, এবং খুনের তৃষ্ণা নিয়ে। Jessica ধীরে ধীরে এগোলো। তার চোখে আগুন, পা দুবল হলেও determination অপরিবর্তিত।
Jessica stealthy move করে শত্রুদের neutralize করল—তলোয়ার, গুলি, প্রতিটি move calculated। তৌফিন পাশে, প্রতিটি বিপদ anticipate করে।
শেষে যখন Jessica সব শত্রুকে মারল, হঠাৎ তার বুকের উপরের দিকে গুলি লাগল। সে মাটিতে পড়ে আর্তনাদ করতে লাগল। তৌফিন আতঙ্কিত হয়ে গেল। কি করবে বুঝতে পারছিল না।
তৌফিন দ্রুত মাটিতে পড়ে থাকা Jessica-এর কাছে গিয়ে বড় পিস্তল তুলল। তার হাতে frozen moment, কিন্তু ভয় এবং rage নিয়ে action নিল। এক টানা গুলি চালাল, সব শত্রুদের শেষ করল। রক্তের বন্যা ছড়িয়ে গেল কারখানায়।
Jessica ধীরে ধীরে conscious হয়ে আসল, তৌফিন পাশে দাঁড়িয়ে তাকে ধরে রাখল।
“আমি এখানে আছি, Jessica। তুমি বেঁচে আছো,” তৌফিন বলল, চোখে আশ্চর্য ও উদ্বেগের মিশ্রণ।
কারখানার ভেতর রক্তের দৃশ্য। Jessica অসুস্থ হলেও শান্তি অনুভব করল, জানল—সব শত্রু ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু Paris এখনও suspense এবং danger-এর কেন্দ্র।
চলবে......
1 month ago | [YT] | 3
View 1 reply
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_১৪
Paris-এর অন্ধকার গলি। রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙছিল Jessica-এর দ্রুত নিশ্বাসের শব্দে। চোখে determination, হাতে পিস্তল, মন পুরোপুরি একটাই—শত্রুদের ধ্বংস করা।
তৌফিন পাশে দাঁড়িয়ে tense, কিন্তু Jessica জানত—এবার তার হাতে প্রতিশোধ নিতে হবে।
শত্রুরা আসে, যারা দীর্ঘদিন Jessica এবং তার family কে ভয় দেখিয়েছে। Jessica স্থিরভাবে লক্ষ্য ঠিক করল।
একটি ঝটিকা, প্রথম শত্রু মাটিতে পড়ল। আরেকজন এগোতে চেষ্টা করল—Jessica calculated aim নিয়ে গুলি চালাল। একের পর এক শত্রু floor-এ পড়ল।
কিন্তু সংঘর্ষে Jessica নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। তার হাতে এবং কাধে আঘাত লাগল। রক্ত ছিটে পড়ল, হেলমেট থেকে কিছু রক্ত তার গায়ে লেগে গেল।
তৌফিন অবাক, চোখ বড় হয়ে গেল। সে দ্রুত মাটিতে পড়ে থাকা Jessica-এর পিস্তল তুলল। Jessica চোটের কারণে momentarily স্থির।
তৌফিন একটি গভীর নিশ্বাস নিল। সে জানত, Jessica-এর জন্য এবার extreme action নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
তৌফিন এক টানা দশটি গুলি চালাল, শত্রুদের সরাসরি neutralize করে। প্রতিটি শত্রু মাটিতে পড়ল। রক্তের ভয়ের্ত দৃশ্য, suspense, এবং tension সর্বোচ্চ। Jessica তুচ্ছ ক্ষতেও স্থির থেকেছে, কিন্তু subtle shock এবং admiration তৌফিনের চোখে।
শেষে Jessica ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিল, চোখে subtle relief, কিন্তু ক্ষত এবং ব্যথা স্পষ্ট।
“আমি বেঁচে গেলাম… কিন্তু ভয়, horror এখনও মনে আছে,” সে বলল।
“আমি পাশে আছি, সবসময়,” তৌফিন বলল, উদ্বিগ্ন এবং তার protection নিশ্চিত করে।
Paris-এর অন্ধকার রাত suspense, adventure, এবং extreme danger-এর perfect backdrop। Jessica এবং তৌফিন বুঝল—সব শত্রু ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু তাদের next moves এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ।
চলবে......
1 month ago | [YT] | 3
View 1 reply
Load more