রোজার প্রথম দিন। ভোরের আলো এখনও উঠেনি, চারপাশ নিস্তব্ধ। ঘড়ির কাঁটায় ৩টা ৫৭ বাজে—সাহরির শেষ সময়টা সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ ঘরে। আর আয়াত বসে আছে জানালার পাশে, এক হাতে কফির কাপ, অন্য হাতে ফোন।
স্নেহা একটা মেসেজ করে দিয়েছে আগেই: — “রোজা রাখবি তো? তুই না রাখলে আমার তো রাখাই হবে না।” ইশা: — “প্লিজ আয়াত, রায়হানকে একটা ‘রোজা মোবারক’ মেসেজ দে... শুরু হোক কিছু কথা দিয়ে।” আয়াত হেসে তাদের ম্যাসেজ স্ক্রল করে।
ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবতে থাকে, পাঠাবে কি না। ঠিক তখনই ফোনটা ভাইব্রেট করে ওঠে। “রায়হান: সাহরির সময় তোকে মনে পড়ছে... খেয়েছিস তো?”
আয়াত অবাক হয়। — “হ্যাঁ, কফি আর একপিস রুটি। তুমি?” — “তুই খেয়েছিস, এতেই শান্তি। আমি ভাত আর ডিম ভাজি খেয়েছি।” — “তুমি তো অনেক খাই।” — “তোর দেখা পেলে কমে যেত।”
এই কথার পর এক মুহূর্ত চুপ। তারপর আবার রায়হান লিখল— — “আজ তোকে খুব মনে পড়ছে আয়াত। জানি তুই বন্ধু, কিন্তু এই ‘বন্ধুত্ব’ নামটা বড় অদ্ভুত। কখনও কখনও মনে হয়, এই নামটার আড়ালে অনেক অজানা অনুভব চাপা পড়ে থাকে।”
আয়াতের চোখে জল চলে আসে। সে শুধু ছোট্ট করে লিখে: — “তোমার জন্য আজ বিশেষ একটা দোয়া করেছি।”
দিনটা শুরু হয়—রোজার প্রথম দিনের ক্লাস নেই, কিন্তু গ্রুপে সবার আলাপ জমে উঠেছে। ইশা, স্নেহা, রায়হান, আয়াত, জুবায়ের—সবাই ভিডিও কলে একসাথে ইফতারের প্ল্যান করছে।
সিনথিয়া ম্যাম গ্রুপে একটা নোটিশ দেন: — “আগামীকাল আমাদের কলেজের ইফতার মাহফিল। যারা পারফর্ম করতে চাও, জানাও।”
স্নেহা: “আয়াত, এবার তুই একটা হামদ বল—তোর গলা কত্ত সুন্দর!” ইশা: “আর রায়হান দোয়া পাঠ করুক।” জুবায়ের: “এরা তো এখন শুধু ক্যাম্পাস কাপল না, পুরো ইফতার কাপল!”
আয়াত মুখ নিচু করে হেসে ফেলে। রায়হান লেখে: — “এই রোজা, এই দোয়া, আর তোর হাসি—আমার কাছে ঈদের থেকেও বেশি আনন্দের।”
সেদিন রাতে আয়াত তার ডায়েরিতে লেখে—
“এই রোজা আমাকে এক অন্যরকম শান্তি দিচ্ছে। যে ভালোবাসা বলা হয়নি, সে আজ সাহরির সময় চোখে জল হয়ে ফিরে আসে। রায়হান—তুমি আমার কাছে শুধু একজন বন্ধু নও, তুমি আমার অনুভবের নাম।”
Fairy Of Novel
প্রণয়ের কথা– পর্ব ৯!
লেখিকা: মারজিয়া আক্তার
রোজার প্রথম দিন।
ভোরের আলো এখনও উঠেনি, চারপাশ নিস্তব্ধ।
ঘড়ির কাঁটায় ৩টা ৫৭ বাজে—সাহরির শেষ সময়টা সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ ঘরে।
আর আয়াত বসে আছে জানালার পাশে, এক হাতে কফির কাপ, অন্য হাতে ফোন।
স্নেহা একটা মেসেজ করে দিয়েছে আগেই:
— “রোজা রাখবি তো? তুই না রাখলে আমার তো রাখাই হবে না।”
ইশা:
— “প্লিজ আয়াত, রায়হানকে একটা ‘রোজা মোবারক’ মেসেজ দে... শুরু হোক কিছু কথা দিয়ে।”
আয়াত হেসে তাদের ম্যাসেজ স্ক্রল করে।
ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবতে থাকে, পাঠাবে কি না।
ঠিক তখনই ফোনটা ভাইব্রেট করে ওঠে।
“রায়হান: সাহরির সময় তোকে মনে পড়ছে... খেয়েছিস তো?”
আয়াত অবাক হয়।
— “হ্যাঁ, কফি আর একপিস রুটি। তুমি?”
— “তুই খেয়েছিস, এতেই শান্তি। আমি ভাত আর ডিম ভাজি খেয়েছি।”
— “তুমি তো অনেক খাই।”
— “তোর দেখা পেলে কমে যেত।”
এই কথার পর এক মুহূর্ত চুপ।
তারপর আবার রায়হান লিখল—
— “আজ তোকে খুব মনে পড়ছে আয়াত। জানি তুই বন্ধু, কিন্তু এই ‘বন্ধুত্ব’ নামটা বড় অদ্ভুত।
কখনও কখনও মনে হয়, এই নামটার আড়ালে অনেক অজানা অনুভব চাপা পড়ে থাকে।”
আয়াতের চোখে জল চলে আসে।
সে শুধু ছোট্ট করে লিখে:
— “তোমার জন্য আজ বিশেষ একটা দোয়া করেছি।”
দিনটা শুরু হয়—রোজার প্রথম দিনের ক্লাস নেই, কিন্তু গ্রুপে সবার আলাপ জমে উঠেছে।
ইশা, স্নেহা, রায়হান, আয়াত, জুবায়ের—সবাই ভিডিও কলে একসাথে ইফতারের প্ল্যান করছে।
সিনথিয়া ম্যাম গ্রুপে একটা নোটিশ দেন:
— “আগামীকাল আমাদের কলেজের ইফতার মাহফিল। যারা পারফর্ম করতে চাও, জানাও।”
স্নেহা: “আয়াত, এবার তুই একটা হামদ বল—তোর গলা কত্ত সুন্দর!”
ইশা: “আর রায়হান দোয়া পাঠ করুক।”
জুবায়ের: “এরা তো এখন শুধু ক্যাম্পাস কাপল না, পুরো ইফতার কাপল!”
আয়াত মুখ নিচু করে হেসে ফেলে।
রায়হান লেখে:
— “এই রোজা, এই দোয়া, আর তোর হাসি—আমার কাছে ঈদের থেকেও বেশি আনন্দের।”
সেদিন রাতে আয়াত তার ডায়েরিতে লেখে—
“এই রোজা আমাকে এক অন্যরকম শান্তি দিচ্ছে।
যে ভালোবাসা বলা হয়নি, সে আজ সাহরির সময় চোখে জল হয়ে ফিরে আসে।
রায়হান—তুমি আমার কাছে শুধু একজন বন্ধু নও,
তুমি আমার অনুভবের নাম।”
চলবে…
1 month ago | [YT] | 2