Fairy Of Novel

প্রণয়ের কথা– পর্ব ৩২!
লেখিকা: মারজিয়া আক্তার (Proposal & Birthday Special)


সময়: রাত ১২:০০ AM
হঠাৎ আয়াতের ফোনে একটা ম্যাসেজ টোন বাজলো। সে আলতোভাবে স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই চোখে পড়ে—
"শুভ জন্মদিন আমার প্রেয়সী!
তুই আমার জীবনে সেই আলো, যেটা অন্ধকারে আশার বার্তা হয়ে আসে।
তোর হাসি যেনো আমার জীবনের শান্তি,
তোর প্রতিটা দিন হোক ভালোবাসায় ভরা,
সব স্বপ্ন সত্যি হোক তোর…
যেনো আল্লাহ্‌ সব দুঃখ কাঁধ থেকে সরিয়ে নেয়।
আমার কামনা তুই যেনো সবসময় হাসিস,
আর ইন শা আল্লাহ্‌ আমি সারাজীবন তোর পাশে থাকতে পারি।
Happy Birthday again, Ayat – My Eternal Princess."

ম্যাসেজটা পড়ে আয়াতের ঠোঁটে নরম এক হাসি ফুটে উঠলো। সে নিজেই বলল,
— “হায় আল্লাহ, আমার তো মনেই ছিল না!”

সে রিপ্লাই দিলো,
"অনেক অনেক ধন্যবাদ ইন শা আল্লাহ্‌ রাজকুমার! ❤️"

সাথেসাথেই রিপ্লাই এল:
"রাত হয়েছে, ঘুমিয়ে যা! কালকে ঠিক সময়ে রেডি হইস!"

আয়াত হেসে বলল,
— "Good night!"
...আর শুয়ে পড়লো, হৃৎপিণ্ডে একরাশ কল্পনার ঢেউ নিয়ে।

পরদিন সকাল

ফোনে ইনবক্স ভর্তি উইশ! ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই উইশ করেছে। সে প্রত্যেকটায় ধৈর্য ধরে রিপ্লাই দেয়।

বিকেলবেলা আয়াত রেডি হয়ে রায়হানের কথা মনে করে তাদের বাড়ির গেটের সামনে অপেক্ষা করে।
কিন্তু আসে না রায়হান। আসে স্নেহা!

— “Happy Birthday Miss Ayat!”
আয়াত একটু গলা নিচু করে বলল,
— “Thanks…”

স্নেহা যেনো কিছু জানে, তাও চুপ করে থাকে।
— “চল, আমার সাথে।”
— “কোথায়?”
— “গেলেই জানবি!”

রিক্সায় উঠে ২০ মিনিট পর তারা নামল এক অচেনা জায়গায়।

স্নেহা হঠাৎ চোখ বেঁধে দেয় আয়াতের,
— “চল, আরেকটু…”

পায়ে পায়ে হেঁটে যখন থামে, তখন চোখ খুলে দেয় স্নেহা। ঠিক সামনে থেকে কেউ এক ঝটকায় জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে,
“Happy Birthday Ma'am…”

চেনা সেই কণ্ঠ!
আয়াত বুঝে যায় – সে রায়হান।
তার প্রণয়ের প্রথম এবং শেষ পুরুষ।

রায়হান হাত ধরে টেনে নেয় আয়াতকে সামনে।
হাতের মাঝে ধরে একটা ডায়মন্ড রিং,
— “আজ আমি আপনাকে আমার প্রণয়ের না বলা কথা বলবো…”
তার চোখে চোখ রেখে বলে—

“আয়াত…
তুই একটা নাম না, তুই আমার প্রাণ।
তুই আমার অষ্টাদশী, আমার প্রেয়সী, আমার অনুভব।
আমি যতবার নিশ্বাস নেই, তার চেয়েও বেশি তোকে অনুভব করি।
আমি তোকে অনেক ভালোবাসি।
তুই কি আমার প্রণয়ের নারী হবি?”

আয়াত কাঁপা কণ্ঠে বলে—

“আমিও চাই… অনেক চাই…
তোমাকে রাজকুমার…
রোজ কল্পনায় তোমায় বলি আমার প্রণয়ের কথা।
আজ আর লুকিয়ে রাখতে পারবো না…
আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”

রায়হান সাথে সাথে আয়াতের আঙুলে আংটি পরিয়ে দেয়। চারপাশ থেকে হাততালি ভেসে আসে।

আয়াত তার আঙুলের দিকে তাকিয়ে বলে—
“আমি আজ সারথক!”

রায়হান তখন তাকে কোলে তুলে নেয়।

তারপর কেক কাটে আয়াত। প্রথম টুকরো দেয় রায়হানকে, রায়হানও খাইয়ে দেয়।

সবাই খাওয়ার পরে চলে যায়। কিন্তু একজন রয়ে যায়— শুভ।
সে আয়াতের দিকে চেয়ে বলল,
— “তোকে পাবো এটা অসম্ভব…
কিন্তু তুই আমার না এটা মানাও অসম্ভব!”

আয়াত কিছু না বলে তাকিয়েই থাকে, কিন্তু মনটা তখন রায়হানে বন্দি।

এরপর রায়হান আয়াতকে বাইকে তুলে শহর ঘুরে,
আয়াতকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে বলে—

“আমি তোকে নিজের করে দেখাবো…
অপেক্ষায় থাক। ভয় পাইস না!
শোনেন ম্যাম, আপনাকে পেতে হলে যদি সারা দুনিয়ার বিরুদ্ধে যেতেও হয়, আমি যাবো।
I Love You, Beliful.”

আয়াত হালকা হেসে বলে—
“আমিও… সাবধানে যাবা, আল্লাহ হাফেজ…”

রায়হান একবার ফিরে তাকায়।
তার চোখে দ্বিধা, তবুও অদম্য সাহস।
বাইক স্টার্ট দেয়—

কাল কী হবে?
সে কি পাবে তার ভালোবাসা?
নাকি বেঁচে থেকেও ভেঙে যাবে ভেতর থেকে?


চলবে......

1 month ago | [YT] | 2