ঈদের আনন্দ এখনও আয়াতের চোখে মুখে টলমল করছে। ঘরে নতুন জামাকাপড়ের ঘ্রাণ, সাজানো গিফট বক্স, ইদের সেমাইয়ের মিষ্টি ঘ্রাণ – সব যেন তখনও তাকে জড়িয়ে রেখেছে। কিন্তু আজ আর সেই ইদের দিন না... আজ সেই আগের রুটিনে ফেরার দিন।
আয়াত জানালার পাশে দাঁড়িয়ে, কলেজ ব্যাগ গুছিয়ে রাখছিল। রেডিওতে বাজছিল – "সাত সাগর আর তেরো নদী পেরিয়ে, এসেছি তোমার দ্বারে..." সে হালকা করে হাসল, নিজেই জানে — এই গানটায় একটা নরম জায়গা আছে তার মনে।
আজ কলেজ খুলছে, ঈদের ছুটির পরে প্রথম দিন। আর তাতেই যেন একটা আলাদা উচ্ছ্বাস। রাস্তাঘাটে সবাই ব্যস্ত, তবে কলেজগেটের সামনে সেই চিরচেনা মুখগুলো আবার জড়ো হতে শুরু করেছে।
রায়হান দাঁড়িয়ে ছিল গেটের বাইরে, কালো পাঞ্জাবির নিচে হালকা জিন্স, চুলগুলো হালকা এলোমেলো, চোখে এক ধরনের নীরব উজ্জ্বলতা। সে যেই না আয়াতকে দেখল, চোখে এক টুকরো আনন্দ খেলল — ঠিক সেই পুরোনো সময়ের মত।
আয়াত একবার চোখ তুলে তাকাল, আবার নিচু করে ফেলল। এই সামান্য দৃষ্টি বিনিময়ে হাজার অনুভব।
– আয়াত... (একটু এগিয়ে এসে বলল রায়হান)
আয়াতের কাঁধে হাত রেখে একদম আস্তে, ঠাণ্ডা গলায় বলল – "শোন বেলিফুল, একজনকে অনুভব করা আমার নিত্যদিনের অভ্যাস, আর এই অভ্যাস চিরস্থায়ী!"
– কিছু না... একটা অভ্যাসের কথা বলছিলাম, যেটা বদলাবে না।
আয়াত চুপ করে রইল, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তার বুকের ভেতর ছোট্ট একটা ঝড় শুরু হয়ে গেছে। স্নেহা পেছন থেকে এসে বলল – – আহারে! কিছু কিছু অভ্যাস সত্যিই বদলানো উচিত না... না?
রায়হান একটু হেসে বলল – – বিশেষ করে যদি সেটা কারো অনুভব হয়...
বন্ধুরা সবাই এসে জড়ো হল। জুবায়ের মজা করে বলল – – হ্যাঁ ভাই, অনুভব তো প্রেমের আগের ক্লাস!
Fairy Of Novel
প্রণয়ের কথা– পর্ব ১৭!
লেখিকা: মারজিয়া আক্তার
ঈদের আনন্দ এখনও আয়াতের চোখে মুখে টলমল করছে। ঘরে নতুন জামাকাপড়ের ঘ্রাণ, সাজানো গিফট বক্স, ইদের সেমাইয়ের মিষ্টি ঘ্রাণ – সব যেন তখনও তাকে জড়িয়ে রেখেছে।
কিন্তু আজ আর সেই ইদের দিন না... আজ সেই আগের রুটিনে ফেরার দিন।
আয়াত জানালার পাশে দাঁড়িয়ে, কলেজ ব্যাগ গুছিয়ে রাখছিল।
রেডিওতে বাজছিল –
"সাত সাগর আর তেরো নদী পেরিয়ে, এসেছি তোমার দ্বারে..."
সে হালকা করে হাসল, নিজেই জানে — এই গানটায় একটা নরম জায়গা আছে তার মনে।
রুমে ঢুকল স্নেহা –
– আয়াত, চল দেরি হচ্ছে! সবাই নিচে দাঁড়িয়ে আছে!
– উফ্ আসছি আসছি! ব্যাগটা নিচ্ছি...
আজ কলেজ খুলছে, ঈদের ছুটির পরে প্রথম দিন।
আর তাতেই যেন একটা আলাদা উচ্ছ্বাস।
রাস্তাঘাটে সবাই ব্যস্ত, তবে কলেজগেটের সামনে সেই চিরচেনা মুখগুলো আবার জড়ো হতে শুরু করেছে।
রায়হান দাঁড়িয়ে ছিল গেটের বাইরে, কালো পাঞ্জাবির নিচে হালকা জিন্স, চুলগুলো হালকা এলোমেলো, চোখে এক ধরনের নীরব উজ্জ্বলতা।
সে যেই না আয়াতকে দেখল, চোখে এক টুকরো আনন্দ খেলল — ঠিক সেই পুরোনো সময়ের মত।
আয়াত একবার চোখ তুলে তাকাল, আবার নিচু করে ফেলল।
এই সামান্য দৃষ্টি বিনিময়ে হাজার অনুভব।
– আয়াত... (একটু এগিয়ে এসে বলল রায়হান)
আয়াতের কাঁধে হাত রেখে একদম আস্তে, ঠাণ্ডা গলায় বলল –
"শোন বেলিফুল, একজনকে অনুভব করা আমার নিত্যদিনের অভ্যাস, আর এই অভ্যাস চিরস্থায়ী!"
আয়াত থমকে গেল, চোখ বড় বড় করে তাকাল রায়হানের দিকে।
– কী বললে?
– কিছু না... একটা অভ্যাসের কথা বলছিলাম, যেটা বদলাবে না।
আয়াত চুপ করে রইল, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তার বুকের ভেতর ছোট্ট একটা ঝড় শুরু হয়ে গেছে।
স্নেহা পেছন থেকে এসে বলল –
– আহারে! কিছু কিছু অভ্যাস সত্যিই বদলানো উচিত না... না?
রায়হান একটু হেসে বলল –
– বিশেষ করে যদি সেটা কারো অনুভব হয়...
বন্ধুরা সবাই এসে জড়ো হল।
জুবায়ের মজা করে বলল –
– হ্যাঁ ভাই, অনুভব তো প্রেমের আগের ক্লাস!
সবার মধ্যে হাসির রোল উঠল।
আয়াত একটু লজ্জা পেয়েও হেসে ফেলল।
কলেজের ক্লাস শুরু হল। ছুটির পর প্রথম দিন তাই ক্লাসরুম যেন নতুন করে বাঁচছে।
টিচাররাও সবাই হাসিখুশি। নতুন লেকচার, নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন গল্প...
সন্ধ্যার দিকে, ক্লাস শেষে আয়াত, রায়হান, ইশা, স্নেহা, জুবায়ের সবাই মিলে ক্যান্টিনে চা খাচ্ছিল।
রায়হান আয়াতকে বলল –
– জানো, আমাদের স্কুলের সেসময়ের গল্পগুলো আমি এখনও ভুলিনি।
– আমিও না... ক্লাস সিক্সে যখন তুমি আমাকে প্রথম "পড়ায় হেল্প করবা?" বলেছিলে... তখন থেকেই কিছু যেন শুরু হয়েছিল।
রায়হান মৃদু হেসে বলল –
– হ্যাঁ, তখন থেকেই... অনুভব।
আয়াত চুপচাপ তাকিয়ে রইল... সেই চুপচাপ তাকানোতেই যেন কত কিছু লুকিয়ে ছিল।
হয়ত প্রেম এখনও বলা হয়নি।
"আর অনুভব? তা তো প্রতিদিনের অভ্যাস হয়ে গেছে – আয়াত ও রায়হানের জীবনে।
একটা চিরস্থায়ী অভ্যাস..."
চলবে......
4 weeks ago | [YT] | 4