উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন নবম পর্ব আহিয়া আর কিছুই ভাবতে পারিনি সে মেশকাত' কে জিজ্ঞাসা করে আমরা কোথায় যাচ্ছি, মেশকাত ভাইয়া, মেশকাত কিছু বলে না সে চুপচাপ নিজের রক্তে কন্ট্রোল করতে চাচ্ছে আহিয়া সামনে তার রাগ বের হোক, আর আহিয়া কে কিছু বলল না। চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছে, আর নিজের কে কন্ট্রোল করতেছে, এদিকে আহিয়া আবারো জিজ্ঞাসা করেন মেশকাত ভাইয়া আমরা কোথায় যাচ্ছি. এটা বলে আহিয়া থামতে না থামতে মেশকাত রাগী মাথায় বলে উঠলো তুই কি কলেজে এগুলো আরতে যাস চাহিয়া,? তখন আহিয়া ভয় পেয়ে গেল আর আটকে ওঠে বলল ভাইয়া তুমি এসব কি বলতেছো ওই সব সময়' আমার পিছু পিছু ঘোরে, আমার সাথে কথা বলতে চাই, আমি এই ছেলের সাথে কথা বলতে চাই না, তাও ও আমার পিছু পিছু ঘোরে, তুমি বলতেছ আমি কলেজে কি এসব করি॥ ভাইয়া তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না এটা বলে আহিয়া ফুটিয়ে ফুটিয়ে কান্না করতে লাগলো কারণ, তার মেশকাত ভাইয়া তাকে বিশ্বাস করে না। আহিয়া কান্না দেখে মেশকাত একটু ঠান্ডা হয়ে গেল এবং বলে তুই কি বাসায় কাউকে বলছিস এই ব্যাপারে যে তোকে ছেলেটা ডিস্টার্ব করে আচ্ছা আব্বু আম্মু ছাড়া তুই কি মাহিনকে বলেছিস আহিয়া কোন জবাব দেয় না সে শুধু ফুপিয়ে ফুটিয়ে কান্না করতে থাকে, এবার মেশকাতে খুব খারাপ লাগতেছে কারণ তাকে এভাবে দোষারোপ করা তা ঠিক হলো না তার ছোট্ট আহিয়া কষ্ট পেয়েছে আর কান্না করতেছে যেটা একদম মেশকাতে ভালো লাগতেছে না এগুলা ভেবে মেশকাত একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আর আহিয়া কে আদরের গলায় বলে প্লিজ আমার শ্বাস প্রশ্বাস আহিয়া কান্না করিস না তুই ছাড়া আমার শাস প্রশাস বন্ধ হয়ে যাবে তুই একমাত্র আমার শ্বাস প্রশ্বাস প্লিজ কান্না করিস না, এটা বলে মেশকাত থামলো, আহিয়া অবাক হয়ে থাকিয়ে থাকে তার মেশকাত ভাইয়া দিকে মেশকাত ভাইয়া এইসব কি বলল তাকে নিয়ে তখন আহিয়া কান্না থেমে গেল, আহিয়া অবাক চরমে আর সে মনে মনে বলে, এটা কি করে সম্ভব তার মেশকাত ভাইয়া, এটাই সত্যি তার মেশকাত ভাইয়া।
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন অষ্টম পর্ব________________________*" সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যায় আহিয়া কারণ আজকে সকাল টা তার জন্য স্পেশাল - কারণ আজকে মেশকাত ভাইয়া দেশের প্রথম সকাল তাই, কিন্তু তার মেশকাত ভাইয়া ঘুম থেকে উঠে নাই তিনি জানেন তার জন্য একজন ওয়াট করতেছে. তিনি কি তা কিয়েল করেন। এস ভেবে আহিয়া মুখ বেঞ্চি কাটে, ওনি কি আমার মনে কথা বোচবেন, হয়তো না এগুলো ভেবে মন খারাপ করে আর ওঠে দারায়. তখন তার মা রিতু বলেন কীরে কোথায় চাচ্ছে খাবার খেয়ে যা তখন আহিয়া পিছন না পেরে বলেন আমি খাবো না আম্মু, আহিয়া আম্মু আর কিছু বলতে পারলো না তার আগে মেশকাত শরিফ চৌধুরী বলে আহিয়া খেয়ে যা খেয়ে না গেলে তোর অবস্থা খারাপ হবে এটা মনে রাখিস এটা শুনা মাএ আহিয়া ভয়ে থমকে গেল আর সাথে অবাক হলো এই কি তার মেশকাত ভাই আহিয়া মনে মনে এগুলা নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো তখন মেশকাত বলল আম্মি খাবার আনো তোমার মেয়ে এত কী কাজ আছে আমি দেখবো আম্মি হলো, আহিয়া*, 'আম্মু যাকে, মেশকাত আম্মি বলে, ডাকে. এই বলে আহিয়া হাত ধরে টেবিলের সামনে আনে আর খাবার বেরে দে মেশকাত, আর মেশকাত বলে, চুপচাপ খাবার খা আহিয়া আহিয়া ও খাবার খাইতে বসে পড়েছে আর মনে মনে বলে মেশকাত ভাইয়া, তাকে, শাসন করেতেছে , আর, তাকে কিয়ার করেতেছে আর, এগুলো দেখে আহিয়া খুশি হয়। আবার ভয় লাগছে মেশকাত ভাইয়া কে দেখে বোঝা যায়, সে অনেক রাগী মানুষ তাই আর কি এগুলা আহিয়া ভাবে তখন তাকে মেশকাত বলে, তুই এত কী ভাবছিস তখন মেশকাত আবার বলে উল্টাপাল্টা কিছু ভাবিস না মেরে ফেলবে তুকে একদম চুপচাপ খাবার খা, আজকে আমি তোর সাথে কলেজে যাব দেখি তোর এত কি কাজ সকাল সকাল না খেয়ে কলেজে যাওয়া কি এমন কাজ, আহিয়া খাবার শেষ হলো সাথে মেশকাত ও তার পর মাশকাত বলে চল এবার তুর কলেজে তখন আহিয়া বলে ওঠে আমার ফ্রেন্ডের সাথে আমি যেতে পারবো তোমাকে যেতে হবে না মেশকাত ভাইয়া তোর থেকে আমি জিজ্ঞাসা করছি আমি বলেছি চলতে প্রশ্ন করতে না আহিয়া চুপ হয়ে গেল এবং তার মেশকাত ভাইয়া পিছু পিছু হাঁটতেছে আর তাকে নিয়ে মনে মনে অনেক কিছু ভাবতেছে অনেক স্বপ্ন দেখতেছে কলেজের গেটে ঢোকার সময় সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই অবাক হয়ে মেশকাত শরীফ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে আছে এত সুন্দর ছেলে কোনদিন তো দেখি নাই সব মেয়ের তাকিয়ে আছে মেশকাত ভাইয়াকে তা দেখে আহিয়া জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে মনে মনে সব মেয়েদেরকে বকা দিচ্ছে তাদের চৌদ্দগুষ্টি কে বকা দিচ্ছে মেশকাত শরিক চৌধুরীতে তাতেই কিছু যায় আসে না সে তো চুপচাপ হাঁটতে থাকে তার আহিয়া ও হাটছে তখন হঠাৎ করে আরিফ সামনে চলে আসে আর বলে কেমন আছ আহিয়া এটা বলা সাথে সাথে মেশকাত আরিফে গলা চেপে ধরে আর বলে তুর সাহস কম না আমার সামনে আহিয়া সাথে কথা বলতে এসেছিচ তুর কী জানের ভয় নেই শালা তুর কে মেরে ফেল বো আজকে আহিয়া তার মেশকাত ভাইয়া কে থামাতে পারছে না অবশেষে আহিয়া কান্না করে দিল প্লিজ মেশকাত ভাইয়া থামাও প্লিজ আহিয়া আর কান্না শুনে মেশকাত থেমে গেল আর.পিছন ফিরে তাকায় দেখলো আহিয়া কান্না করতে লাগলো . তার কান্না একদম মেশকাত সহ্য হয় না আহিয়ার হাত ধরে কলেজ গেট দিয়ে বের হয়ে তখন সবাই হা করে তাকিয়েছে তখন সেখানে পিয়া ও ছিল সে ও অবাক হয়ে সবগুলো দেখছিল কোথায় যাচ্ছে আহিয়া জানে না সে ভয়ে ও জিজ্ঞাসা করতে পারতেছে না
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন সপ্তম পর্ব আহিয়া ও প্রাইভেট থেকে পরীক্ষা দিয়ে তার বান্ধবীর সাথে বের হলো' এবং বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে ধরল তার বান্ধবী সাথে, এবং বাড়িতে সামনে চলে আসলো তার বান্ধবী ও তার বাড়িতে চলে যাচ্ছে সেও বাড়িতে ঢুকতে লাগলো, তখন হঠাৎ মনে হল তাদের বাড়ি তে পার্টে বা কোন একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে না হলে, ' এত আয়োজন কেন সে' কিছু বুঝতেছে না কারণ সে সকালে তাড়াহুড়া করে চলে এসে প্রাইভেটে পরীক্ষা ছিল বলে, আহিয়া আর কিছু ভাবলো না সে সোজা বাড়ি তে ঢুকে তার রুমে চলে গেল। সেও ফ্রেশ হয়ে শুয়ে থাকে কিছুক্ষণ পর তার মা রিতু' ইসলাম থাকে ডাকতে আসে খাবার খাইতে নিচে যেতে বলে। সেও আর কিছু বলে নাই তারও খিদা লাগছে, সকালের থেকে কিছু খাই নাই, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি করে চলে গেছিল পরীক্ষা শেষেও কিছু খাই নাই। সেও মার পিছু পিছু খাবার টেবিলে গেলো এবং একটি চিয়েরে বসলো এর পর একে একে সবাই আসতে লাগলো এবং! খাবার টেবিলে বসতে লাগলো সবার শেষে মেশকাত শরিফ চৌধুরী এই সিঁড়ি দিয়ে নামতে রাখলাম , কপাল সবাই তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে শুধু আহিয়া চারা তখন সেই মনোযোগ দিয়ে খাবার কাজ ছিল, সবাই খাবার না খেয়ে উপরে সিঁড়ি দিকে তাকিয়ে আছে, তখন আহিয়া ওদিকে তাকালো আর সেও অবাক হল সে নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারতেছে না। তার মেশকাত ভাইয়া দেশে আসছে সে নিজে নাই তাকে কেউ বলে নাই তাকে বলার প্রয়োজন মনে করে নাই, সবার উপর তার অনেক অভিমান হল, তাকে কেউ' বলার প্রয়োজন মনে করে নাই তাই, সে আর কিছু ভাবলো না সে এক পলক তার মেশকাত ভাইয়া দিকে তাকাই ছিল। আহিয়া মনে মনে বলে মাশাল্লাহ আমার মেশকাত ভাইয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আহিয়া এগুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার সামনে মেশকাত বিপরীতে বসলো। তখন আহিয়া চমকে উঠলো, তারা চোখে চোখ পড়ে গেল, আহিয়া লজ্জা, পড়ে গেল, আহিয়া আর চোখ তুলে ঠাকাতে পারছে না। লজ্জায়, আহা কি লজ্জা, তখন আহিয়াও কিছু বলল না সে চুপচাপ খেয়ে উঠে রুমে চলে গেল খুশিমনে কারণ আজকে তার মেশকাত ভাইয়া দেশে এসেছে তার থেকে বেশি খুশি আর কিছু হয় না। তার জন্য.,! এস কথা খুশি মনে ভাবছে সে। তখন তার বান্ধবী পিয়া তাকে কল দে আহিয়া, ও খুশি মনে কথা বলতে থাকে, তখন আহিয়া পিয়া কে বলল. পিয়া তুইকে, একটা কথা বলি না, বললে রাগ, করবি না তো এটা বলে আহিয়া থামলো, তখন পিয়া বলল রাগ করার কথা বললে তো রাগ করবো। আজ যদি রাগ করার কথা না বলিস তাহলে রাগ করবো না। তখন আহিয়া আস্তে আস্তে করে বলল আমার এক জন পছন্দ আছে। তখন পিয়া জোরে করে চিৎকার দিয়ে বলল উঠলো কি? তখন আহিয়া বলল আস্তে কথা বল কেউ শোনা যাবে তো তখন পিয়া বলল তুই আমাকে একবারও বললি না কখন কিভাবে হল কাকে পছন্দ হলো? তখন আহিয়া বলল আমার কাজিন চাচা ভাইকে চিনিস না, তখন পিয়া বলল কোন টা? আহিয়া বলল মেশকাত ভাইয়া আর কি. পিয়া বলল 6 বছর আগে যে বিদেশে চলে গেছে সে না? তখন আহিয়া মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারছে না কারণ 6 বছর আগে কথা শুনে তার পছন্দ কান্না পাচ্ছে, কিন্তু সে কিছু বুঝতে দেয় নাই তার বান্ধবী পিয়াকে ডোগ গিলে , ছোট করে বলল, হে তখন পিয়া বলল আচ্চা মনে পড়ে ছে আমার পিয়া বারে বললো মেশকা ভাইয়া তো.সবার ক্রাশ ছিল । তখন আসিয়া থেকে উঠলো বলল চুপ থাক বান্দর আমার মেশকাত ভাইয়া শুধু আমার, তখন পিয়া কিটকিরিয়ে বলল দূর, পাগলী তোর সাথে দুষ্টামি করতেছি। তখন পিয়া ও আরো কিছুক্ষণ কথা বলে বলল আহিয়া কালকে সকালে কথা বলবো কলেজে যাওয়ার সময়। তখন আহিয়ায়ও কিছু বলবে না কথা বলে কল কেটে ঘুমাতে গেল, আহিয়া কারণ কালকে সকাল কলেজে গিয়ে পিয়াকে সবগুলো খুলে বলতে হবে। আহিয়া এগুলো ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর ঘুমিয়ে পড়ে।
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন ষষ্ঠ পর্ব , আহিয়া কলেজের গেটে ঢুকে গেল তখনও আরিফ তার দিকে তাকিয়ে আছে তারপর আরিফ একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে , সেও কলেজে চলে গেল, সে মনে মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে, এটা ভেবে যে আহিয়া তাকে ইগনোর করতেছে, কিন্তু সে বুঝতেছে না যে তাকে কেন ইগনোর করতেছে তার দোষটা কি তার সাথে কেন কথা বলতেছে না, এইসব কথা ভেবে তার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে তখন তাকে তার বন্ধু বলে ওঠে তুই কি ঠিক আছিস আরিফ, আরিফ এত কষ্টে ও এত টেনশনের মধ্যেও মুচকি হেসে বলল হ্যাঁ আমি ঠিক আছি চিন্তা করিস না, তখন তার বন্ধু আসিফ ও কিছু বললো না, আরিফ ও হাঁটতে শুরু করে, কারণ তার পছন্দ মাথা ব্যাথা করতেছে সেই বাড়িতে এখন চলে যাবে, সেটা ভেবে হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ আবার ও তার প্রিয়সি মুখ দেখতে পেল মানে আহিয়া, তখন আরেক থমকে গেল আর তার দিকে তাকিয়ে আছে সে কি মিষ্টি করে হাসতেছে , সেদিকে এক পলক আরিফ তাকিয়ে আছে, আর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাঁটতে শুরু করে আবার আর,মনে মনে বলে আহিয়া আমার, জান তুমাকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি সেটা তুমি জানোই না তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করতেছি বাট তুমি আমাকে বোঝার চেষ্টাই করো না আরিফ হতাশ হয়ে হাঁটতে শুরু করে তার গন্তব্যে আহিয়া ও কলেজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে, আর রাতের খাবার দেওয়ার কে ঘুমিয়ে পড়ে, তারপর সকাল সকাল উঠে প্রাইভেটে চলে যাই, আজকে সকালের নাস্তা সহকরে নাই আজকে প্রাইভেট পরীক্ষা আছে তাই জন্য, আজকে তাড়াতাড়ি চলে গেছে, আসার সময় আহিয়ার আম্মু তাকে অনেক ডাকাডাকি করল কিন্তু আহিয়া বলে গেল আম্মু আমি আজ খাব না, তখন আহিয়া আর কিছু বলতে দে নাই তার আম্মুকে, সে তাড়াতাড়ি পিয়ার সাথে চলে গেল প্রাইভেটের উদ্দেশ্য, তার আম্মু পেছন থেকে অনেক ডাকাডাকি করল কিন্তু সে শোনে নাই, সে তাড়াতাড়ি প্রাইভেটের উদ্দেশ্য হাটা ধরলো পিয়ার সাথে, পিয়া ও একই রকম সে ও সকালের খাবার খায় নাই, সেও তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে গেছে মনে মনে ভাবছে পরীক্ষা দিয়ে , তারপর খাবে। তারা প্রাইভেটে আসলো তাদের পরীক্ষা শুরু হয়েছে , তখন শরিফ চৌধুরী বাড়িরীর বড় ছেলে মেশকাত শরীফ চৌধুরী বাড়িতে আসলো, কিন্তু আজকের মেশকাত শরীফ চৌধুরী আসবে যে সেটা আহিয়া জানে না কিভাবে বা জানবে সে সকালে তাড়াহুড়া করে ফেভেটে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চলে গেছে এমনকি কিছু খাইনি সহ, মেশকাত আসা সাথে সাথে সবাই তাড়াতাড়ি করে আসে আর এক একজন তাকে জরিয়ে, কথা বলতেই সবার শেষে তার মা হাবিবা শেখ, আসে, নিজের ছেলের কে জরিয়ে ধরে হো হো করে কান্না করতে লাগলো, মেশকাত মা কে এভাবে কান্না করতে দেখে বলে ওঠে, আরে মা কান্না কেন করতো, ছো, আমি চলে আসছি, আর কান্না করো না আম্মু প্লিজ তুমি কান্না করো না, ছেলে কথা শুনে হাবিবা শেখ থামলেন আর বলে, তুই ফ্রেশ হয়ে নে আমি তুর জন্য নাস্তা রেডি করতছি এ বলে তারা তারি রান্না করতে গেলেন, কারণ তার একটা মাত্র ছেলে বলে, কথা, মেশকাত ও ফ্রেশ হতে গেল।
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন পঞ্চম পর্ব ভাইয়া কথা শুনে আমি পিছন ফিরে তাকায় দেখতে পায় ভাই আমার জন্য কাচ্চি বিরিয়ানি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । তখন মাহিম বলে বনু হা কর আমি খাইয়ে দিচ্ছি, এই বলে মাহিম এক মাখা ভাত তুলে দল্ল আহিয়া মুখে,আহিয়া ও কিছু বললো না সে চুপচাপ খাচ্ছে ভদ্র মেয়ের মত , মাহিম ও কিছু বললো না সে চুপচাপ খায়ে দিচ্ছে, মাহিম তার বোন কে অনেক ভালোবাসে তার কিছু হলে,মাহিম সহ্য করতে পারবে না, কারণ তার একটা মাত্র বোন তাই তার একটু জর হলে বা মাথা ব্যাথা করলে, ও সে চুপচাপ বসে থাকতে পারে না,এসব কথা মনে মনে ভাবে মাহিম আর একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আহিয়া কে খেয়ে ওটে চলে গেল, আর বলে গেল যেন শুয়ে থাকে আহিয়া ও তার মাথা সইদে ওকে ভাইয়া, আর, সকালের উঠে ফ্রেশ হয়ে , বাইরে গিয়ে নাস্তা করে আবার রুমে ফিরে আসে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগলো, রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলো, তার মা রিতু ইসলাম কে বলে গেলেন মা আমি যাচ্ছি, সেটা বলে সে সামনের দিকে হাটা শুরু করে, কারণ তার বান্ধবী পিয়া আজকে যাবে না সে,নাকি অসুস্থ তাই আজকে তাকে একলা একলা কলেজ যেতে হবে, কোভয় বিরক্তকর জিনিস একটা একলা একলা কলেজ যেতে ইচ্ছা করছে না তবুও ভাইয়া ভয়ে যেতে হবে, সেটা ভেবে আহিয়া আর একটু বিরক্ত হলো, কত বিরক্ত একটা কথা একলা একলা কলেজে যেতে হবে সেটা ভেবে মন মরা হয়ে কলেজে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ তাকে পিছন থেকে ডাকে সিনিয়র ভাইটা, সে ছেলেটার কণ্ঠ শুনে পিছনে ফিরে তাকায় নাই,
চুপচাপ আরো তাড়াতাড়ি হাটে দ্রুত গতিতে তাকে যেন এরা চলতে পারে তাই জন্য তখন আরিফ দ্রুত পায়ে হেঁটে আসে এবং বলে তুমি আমাকে এড়িয়ে চলছো কেন আহিয়া আহিয়া তখনও কিছু বলছে না আরিফ কে এড়িয়ে চলছে আহিয়া আরে ভালোই বুঝতে পেরেছে তাকে আহিয়া পাত্তা দিচ্ছে না, তাও ও থামে নি সে আবার বলে উঠলো তুমি আমার সাথে কথা কেন বলতেছ না তখন সে শাশে বলে উঠলো তুমি আমাকে পাত্তা কেন দিচ্ছ না সমস্যাটা কি তোমার দোষ কি করেছি বল আমাকে কিছু করে থাকলে বলো প্লিজ এরকম আমার সাথে কথা না বলে এড়িয়ে চলিও না এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে আরিফ এবার আহিয়া তামলো আরিফ সেটা দেখে খুশি হয় আর মনে মনে ভাবি আহিয়া হয় তো তার সাথে সুন্দরভাবে কথা বলবে কিন্তু তার ভাবনা চ্যাট করে আহিয়া বলে উঠে প্লিজ আমার পিছন পিছন আসবেন না সেটা শুনে আরিফ তার দিকে এক পলক তাকিয়ে আছে যেন সে কিছু বুঝিই নাই আহিয়া আর কিছু বললে না সামনের দিকে কলেজে যাওয়ার জন্য হাঁটতে থাকে। আরিফ আবারো যে পথ আটকায় আর বলে আমি কি দোষ করেছি বলতো কেন আমাকে এড়িয়ে চলছো যখন আহিয়া বলে ওঠে আমি আপনাকে মোটেই পছন্দ করি না আপনি প্লিজ আমার পিছন পিছন আসবেন না আমি অন্য কাউকে পছন্দ করে প্লিজ কথাটা শুনেআরিফ আকাশ থেকে পড়ল এ বস্তা হলো সে আর কিছু বলার ভাষা পাই না এই সুযোগে আহিয়া আবারো কলেজের জন্য সামনে এগুলো । তা চলে যাওয়ার দিকে আরিফ এক পলক তাকিয়ে আছে, কিন্তু তাতে আহিয়া আর কিছুই হলো না সে এক পলকের জন্য ওপিছনে আরিফের দিকে তাকাই নাই।
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন চতুর্থ পর্ব পিয়া রাগে ফুলছে এবং সে ছেলেটাকে বকছে খারাপ লোক একটা শুধু শুধু আমার পিছন পিছন ঘুরছে আল্লাহ জানেন আর কতদিন পিছন পিছন এরকম করবে ,বদ লোক একটা ,লুচ্চা লোক একটা, এত বলার পরেও তো, আবার আমার পিছু ছাড়তেছে না ইডিয়েট একটা বলে বলে আসতেছিল রাস্তা দিয়ে এইসব কথা আহিয়া শুনে শুনে মুচকি হাসতেছে আহিয়া বলে উঠলো, এবার তো থাম ,আর কত বকবি ওই ছেলেটাকে, এবার পিয়ার আরো রাগ উঠলো আহিয়া কে বললো 103 বার ওকে বকবো ওকে ছাড়া ওর চৌদ্দগুষ্টি সবাইকে বকবো আহিয়া পিয়ার কথা শুনে ও আর হাসি আটকে রাখতে পারল না হো হো করে হাসি উঠে আহিয়া হাসি দেখে আরো রেগে গেল ও আহিয়া উপরে পিয়া আর কথা বলে না ও আহিয়া উপরে রেগে চলে যায় সে তার বাড়ি তে আহিয়া ও আর কিছু বলে না আহিয়া ও তার বাড়িতে চলে আসলো সে জানে তার বান্ধবী বেশি ক্ষণ রাগ করে, থাকতে পারে না সে তার বান্ধবী সম্পর্কে জানে তাই, দেখ বে তার বান্ধবী কিছু কখন পরে কল করবে এসব ভেবে আহিয়া এ গুলো মনে মনে ভাবে মুচকি হাসে আর বলে পাগলী একটা তার পর আহিয়া বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে , তখন হঠাৎ তার মা রিতু ইসলাম আসলে এবং খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেলেন ও আর কিছু বলে নাই মায়ের পিছু পিছু খাবার খেতে গেল খাবার টেবিলের সামনে এসে বসলো তারপর তার আম্মু তাকে খাবার পরিবেশন করে তারপর সবাই একসাথে খাবার খায়ে যার তার মতো কাতার রুমে চলে গেল আহিয়া ও রুমে চলে আসলো হঠাৎ রুমে আসে মেশকাত ভাইয়াকথা মনে পড়ে সে কিভাবে আজকের দিনটা মেশকাত ভাইকে ভুলে গেল সে তো ভোলার মানুষ না তার মশকরা কে সেইগুলো ভেবে সে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো মেশকাত ভাইয়া তুমি কোথায়, তোমাকে ছাড়া আমি শন্য তুমি প্লিজ তাড়াতাড়ি আসো দেশে তোমাকে আমি অনেক অনেক ভালোবাসি প্লিজ তাড়াতাড়ি আসো আমার জন্য হলেও আসো তুমি দেশে আই লাভ ইউ , এন্ড আই মিস ইউ মেশকাত ভাইয়া ।ও এগুলা বলে বলে আহিয়া কান্না করতে লাগল, কিছুক্ষণ কান্না করার পর আহিয়ার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেল, প্রচন্ড মাথা ব্যথা করতেছে সে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেছে না, সে চুপচাপ গেয়ে ঘুমিয়ে যায় কিন্তু তার পুরো রাতটা মাথায় ,ঘুম আসতেছে না, আহিয়া পছন্দ মাথাব্যথা করতেছে এন্ড মেশকাত ভাইয়া কথা মনে পড়তেছে, তার বরাবর তাই কোনো মতে রাতটা কাটায় সূর্যের আলো তার চোখে পড়তে সে আস্তে আস্তে উঠে যায় তারপর ফ্রেশ হয়ে বাহির আসে তার মা তাকে দেখে অবাক হয় আহিয়া আম্মু রিতু ইসলাম বলে উঠলেন আজকে মহারানী কেমনে উঠে গেলেন আহিয়া বলে ওঠে আম্মু আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করতেছে মেয়ের কথা শুনে রিতু ইসলাম তাড়াতাড়ি করে তাড়াতাড়ি খাবার রেডি করে, খাবার খাওয়ার পর আহিয়া কে ওষুধ খাইয়া দে তার আম্মু তারপর আহিয়া তার তার রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন কারণ কালকে রাতে সে ঘুমাতে পারে নাই কিছুক্ষণ পর সে ঘুমিয়ে পড়ে সে ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যার দিকে তখন তার ভাই মাহিম তাকে ডাকে মাহিম বনু তুই বলে অসুস্থ আম্মু থেকে শুন মাত্র তোর কাছে এসেছি,এখন উঠে যা তোর জন্য তোর ফেভারিট খাবার খাচ্ছি বিরিয়ানি এনেছি।
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন তৃতীয় পর্ব আহিয়া বান্ধবী আহিয়া কে কলেজে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছে তখন আহিয়া রেডি হয়ে নিচে আসে তখন আহিয়া বলে উঠে প্রিয়াকে চল আমি রেডি তখন তারা দুই বান্ধবী হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ করে আহিয়া কে তার ভাইয়া ডাকে আহিয়া দারা হঠাৎ আহিয়া কে তার ভাই ডাকাই তারা দুই বান্ধবী পিছন ফিরে তাকায় তখন হঠাৎ মাহিম বলে ওঠে তোদের দুজনকে আমি দিয়ে আসবো সেটাই বলায় আহিয়া অবাক হলো কেন ভাইয়া আমরা যেতে পারবো তখন মাহিম বলে উঠে আমি তুর থেকে জিজ্ঞাসা করছি, তখন আহিয়া বলে ওঠে , না ভাইয়া আমি শুধু বলতে চাচ্ছি যে তোমার সময় নষ্ট হবে সেটা তখন মাহিম বলে ওঠে তোকে এসব ভাবতে হবে না। তখন আহিয়া আর কিছু বললো না সে চুপচাপ কে গাড়িতে উঠে পড়লো , তখন হঠাৎ মাহিম বলে ওঠে, প্রিয়া তুমি কেন আবার উচ্চ না আমার, বকা শোনা জন্য ,সেটা বলতে প্রিয়া তারা হোরা করে গাড়িতে উঠে গেল কারণ প্রিয়া মাহিমকে অনেক ভয় পায় সেই আহিয়া মতন মাহিম ভাইয়াকে ভয় পাই , তখন মাহিম আর কিছু বলল না, একটা মুচকি হাসি দিয়ে , সেই ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি চালাচ্ছে আর লুকিং গ্লাসে প্রিয়া দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে আর প্রিয়া দেখার আগে সে চোখ ফেলে ফেলতেছে , কারণ সে চাই না ,প্রিয়া জানুক। কারণ সে প্রতিষ্ঠা হয়ে একেবারে তার বাবা মা কে প্রস্তাব দিবে তাই এসব পিয়াকে বুঝতে দেয় না , তাই সে দূর থেকে ভালোবাসে । এসব ভেবে মাহিম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে , কখন ভাবতে ভাবতে কলেজের সামনে চলে এসেছে সেটা টের পাই নাই , গাড়ি পার্ক করে ওদের দুজনকে নেমে দেয় কলেজের সামনে ওরা দুজন সামনে কলেজে গেটের ঢুকতে ছিল হঠাৎ প্রিয়া পিছন ফিরে একবার মাহিমকে দেখলো তখন প্রিয়া দেখল মাহিম তার দিকে তাকিয়ে আছে , তখন প্রিয়া লজ্জা পেয়ে সামনের দিকে গেট দিয়ে ঢুকে গেল, মাহিম কতক্ষণ প্রিয়া যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিল, তারপর মাহিম চুপচাপ গাড়ি নিয়ে আবার চলে গেল। তার গন্তব্যে , তখন প্রিয়া ও আহিয়া সে ছেলের কাছে গেল যার কাছে আহিয়া নোট আছে, কিন্তু আহিয়া কথা বলে না, চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়া ও ছেলেটাকে নোট দিতে গেলে, তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আহিয়া, তখন প্রিয়া বলে ওঠে কামরুল ভাইয়া আহিয়া নোট গুলো দাওতো , কামরুল বলে ওঠে আহিয়া কেমন আছো? তখন আহিয়া মেজাজ বিগড়ে যায়, এই ছেলেটা শুধু তার সাথে কথা বলতে চাই, তাকে তা দুচোখে সহ্য হয় না, শুধু নোটের জন্য এখানে এসেছে , না,হলে জীবনে আসতনা এগুলো আহিয়া মনে মনে ভাবতেছি তখন হঠাৎ বলে ওঠে কামরুল কিরে কিছু বলছো না যে ,আহিয়া তখন কিছু করার বা বলার ছিল না, সে চুপচাপ উত্তর দেন জি ভাইয়া ভালো, কামরুল আবার বলে, ওঠে তোমার পড়াশোনা কেমন হচ্ছে তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো সমস্যা হলে আমাকে বলিও আহিয়া কিছুই বলল না, তখন প্রিয়া বলে উঠলো ভাইয়া নোটগুলো দিলে ভালো হতো তখন কামরুল আর কিছু আগ বাড়িয়ে বলে না সেই চুপচাপ নোট গুলো দিয়ে দে নোট গুলো নিয়ে আহিয়া ও প্রিয়া হাটা ধরলো তারা আজ আর ক্লাস করবে না সেটা ভেবে তারা ক্যাম্পাসে চলে গেল।তার পর একটি চেয়ারে চেয়ে বসলো ওরা তারপর কিছু খাবার অর্ডার দে তারা সেখানে বসে বসে গল্প করছিল । হঠাৎ করে তাতে ক্লাসে একটি ছেলে প্রিয়া কে বলল হে প্রিয়া কেমন আছো? তাতে,পিয়া অবাক হলো না ,সে জানে এই ছেলে কে এই ছেলে তার পিছু পিছু করে সারাক্ষণ ঘুরে, পিয়ার অনেক বিরক্ত লাগে ছেলেটাকে দেখলে কিন্তু কিছু করার বা বলার নাই, কারণ ছেলেটা সবসময় তার সাথে কথা বলতে চাই , কিন্তু প্রিয়া তাকে পাত্তা দেয় না, ইগনোর করে চলে যায়, এখনো তাই করছে সে কোনো উওর দেয় নাই বসে আছে। সেটি দেখে ছেলেটা আবার জিজ্ঞাসা করে কিছু বলছো না যে তুমি কি অসুস্থ, পিয়া , রাগ উঠে গেছে, সে তাকে পাত্তা না দিয়ে আহিয়া হাত ধরে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। তার দিকে অবাক হয়ে সে ছেলে টা তাকিয়ে আছে, প্রিয়া একবারের জন্য পিছে ফিরে তাকায় নাই, সেই ছেলেটা আর কিছু বলে নি ,সেবা কি বলবে, তাকে তো প্রিয়া পাত্ত দেয় না,শুধু প্রিয়া চলে যাওয়ার থেকে থাকায় ছিল আরেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ।
শেষ কান্না উপন্যাস লেখকের নাম নুসরাত আফরিন দ্বিতীয় পর্ব আহিয়া জানালার দিকে তাকিয়ে মনে মনে এগুলো ভাবতে লাগলো তখন তার মা তাকে ডাকে খাবার খাওয়ার জন্য আহিয়া আম্মুর নাম হলো রিতু ইসলাম, তখন আহিয়া বলে উঠলো আমার কিদা নেই আম্মু তখন রিতু ইসলাম বলে উঠলেন তাড়াতাড়ি নিচে আয় না হলে তোর ভাইকে ডাকবো এটা বলে আম্মু চলে গেল, আহিয়া ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিচে নামতে লাগল আর মনে মনে ভাবে সে যদি নিচে না যায় তাহলে তারপর তাকে তার ভাই য়া সে বাকবে তার থেকে ভালো নিচের কে খাবার খেয়ে নি কারণ তার ভাই তাকে অনেক শাসন করে, এ আর কী খাবার কে আবারো রুমে আসে সে তার মেশকাত ভাইয়ের কথা ভাবতে থাকে সে যে তার মেশকাত ভাইকে অনেক ভালো বাসে কিন্তু তার মেশকাত ভাইয়ের কি তাকে ভালো বাসে যদি ভালো না বাসে তাহলে তার কী হবে সেটাই ভাবতে আহিয়া ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো এগুলো ভাবতে ভাবতে আহিয়া কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল সে নিজেও জানে না, যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে, হঠাৎ তার রুমের দরজায় কেউ একজন নক করে তখন আহিয়া বলে উঠে ভিতরে আসুন তখন দরজা খুলে তার বড় ভাই য়া আসে তার দিকে কিছুক্ষণ তাকাই ছিল তারপর প্রশ্ন করে তুই কি কান্না করতে ছিলি? তখন আহিয়া তাড়াতাড়ি করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে আর হান তো গোস্ত করে উত্তর দে নাতো ভাই আমি কান্না করতে ছিলাম না তার ভাই মাহিম বলে ওঠে তাহলে তোর চোখে মুখে এই অবস্থা কেন ? তখন আহিয়া বলে উঠে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো তাই এ অবস্থা , মাহিম আর কিছু বলল না আহিয়া আর মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন আর বলে গেলেন পড়াশোনার ভালো করে করতে, মাহিম ভাইয়া চলে যাওয়ার পর আহিয়া তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে, এসে পড়তে বসে কারণ সে তার ভাই আর কথা না শুনে তারপরে তাকে বকা দিবে এমনিতে তার পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করে না শুধু তার মেশকাত ভাইয়ার কথা মনে পড়ে তার কোনো মতে পড়াতে মন বসে না এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে গেল তা টের পেলনা আহিয়া হঠাৎ করে তার আম্মু রিতু ইসলাম তাকে খাবার খেতে ডাকে সেও ভদ্র মেয়ের মত তার আম্মু পিছু পিছু খাবার টেবিলে গেল আর একটি চেয়ার টেনে বসল তারপর আম্মু রিতু ইসলাম তাকে খাবার পরিবেশন করে তারপর পরপর তার আব্বু চাচারা ওতার চাচাতো ভাই বোনরা ও তার ভাইয়া খাবার টেবিলে এসে চেয়ার টেনে বসে সবাই একসাথে সবাইকে খাবার পরিবেশন করতেছে তার আম্মু ও চাচা রা তখন হঠাৎ তার আব্বু বলে ওঠে আহিয়া আম্মু তোমার পড়াশোনা কেমন যাচ্ছে তখন আহিয়া ছোট করে বলে ওঠে ভালো আব্বু ,তখন আহিয়া আব্বুবলে ওঠে তোমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো ,তখন আহিয়া বলে ওঠে না আব্বু শুধু সামনে পরীক্ষা এ আর কি আব্বু ,তখন আহিয়া আর আব্বু বলে ওঠে টেনশন করিও না আম্মু তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে তুমি ভালো ফলাফল পাবা আম্মু, এটা বলে আহিয়া আব্বু আর কিছু বলল না খাবার শেষ করে উঠে গেলেন তারপর পরপর সবাই খাবার খেয়ে উঠতে লাগলো যার মতো সে রুমে চলে যাচ্ছে আহিয়ার ও খাবার শেষ হলো সে ও তার রুমে আসলো তারপর তার বান্ধবীর সাথে কথা বলতে লাগল সে তেমন একটা কারো সাথে কথা বলে না তার একটা মাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড সেটি হল প্রিয়া আর কারো সাথে কথা বলে না প্রিয়ার সাথে কথা বলার পর সে ঘুমায় পড়ে সকাল সকাল সূর্যের আলো তার চোখে-মুখে পড়ে আর তার ঘুম ভেঙে যায় মনে মনে ভাবে আশ্চর্য হয়ে বলে উঠলো সূর্য আলো সময়টা চোখের মধ্যে পড়তে হলো সেগুলোও ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে তার মনে পড়ে আজকে তাকে কলেজে যেতে হবে তার নোটগুলো নিতে হবে কিন্তু তার যেতে ইচ্ছা করতেছে না কিছু করার নেই তাকে কলেজে যেতে হবে কিন্তু যার কাছে নোট আছে সে হলো তাদের কলেজের সিনিয়র ভাইয়া তাকে সে মোটেও পছন্দ করে না কারণ এই ছেলেটা তার সাথে কথা বলতে চাই আর তার সাথে লেপটে থাকতে চাই তা সেটা মোটেই পছন্দ নয় সব সময় এই ছেলেটাকে সে দূরে থাকে তার থেকে বড় কথা হলো যে কোন ছেলের সাথে কথাই বলে না আর কোন ছেলে তার ডাকেপাশে আসলে তার ভালো লাগলো অসহ্যকর লাগে ,আর ,এ ছিল সব সময় তাকে বিরক্তকর করে তার একটি মোটেই পছন্দ নয় তাই সব সময় সে এ ছেলে থেকে দূরে থাকে আজকে এই ছেলেটিকে তাকে নোট নিতে হবে তাই তার ভালো লাগছে না তাই তার কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না কিন্তু তাকে আজকে কলেজে যেতে হবে নোট এর জন্য এইসব কথা ভেবে আহিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে তখন হঠাৎ তার আম্মু তাকে দরজা থেকে খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে যায় আহিয়াকে ,আহিয়া কিছু ভাবলো না বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে খাবার খেয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়।
উপন্যাস নায়িকা
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন
নবম পর্ব
আহিয়া আর কিছুই ভাবতে পারিনি সে মেশকাত'
কে জিজ্ঞাসা করে আমরা কোথায় যাচ্ছি,
মেশকাত ভাইয়া,
মেশকাত কিছু বলে না সে চুপচাপ নিজের রক্তে কন্ট্রোল করতে চাচ্ছে আহিয়া সামনে তার রাগ বের হোক,
আর আহিয়া কে কিছু বলল না।
চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছে, আর নিজের কে কন্ট্রোল করতেছে,
এদিকে আহিয়া আবারো জিজ্ঞাসা করেন মেশকাত ভাইয়া আমরা কোথায় যাচ্ছি.
এটা বলে আহিয়া থামতে না থামতে মেশকাত রাগী মাথায় বলে উঠলো
তুই কি কলেজে এগুলো আরতে যাস চাহিয়া,?
তখন আহিয়া ভয় পেয়ে গেল আর আটকে ওঠে বলল
ভাইয়া তুমি এসব কি বলতেছো ওই সব সময়'
আমার পিছু পিছু ঘোরে,
আমার সাথে কথা বলতে চাই,
আমি এই ছেলের সাথে কথা বলতে চাই না,
তাও ও আমার পিছু পিছু ঘোরে,
তুমি বলতেছ আমি কলেজে কি এসব করি॥
ভাইয়া তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না এটা বলে আহিয়া ফুটিয়ে ফুটিয়ে কান্না করতে লাগলো কারণ, তার মেশকাত ভাইয়া তাকে বিশ্বাস করে না।
আহিয়া কান্না দেখে মেশকাত একটু ঠান্ডা হয়ে গেল এবং বলে তুই কি বাসায় কাউকে বলছিস
এই ব্যাপারে যে তোকে ছেলেটা ডিস্টার্ব করে
আচ্ছা আব্বু আম্মু ছাড়া তুই কি মাহিনকে বলেছিস
আহিয়া কোন জবাব দেয় না সে শুধু ফুপিয়ে ফুটিয়ে কান্না করতে থাকে,
এবার মেশকাতে খুব খারাপ লাগতেছে কারণ
তাকে এভাবে দোষারোপ করা তা ঠিক হলো না
তার ছোট্ট আহিয়া কষ্ট পেয়েছে আর কান্না করতেছে যেটা একদম মেশকাতে ভালো লাগতেছে না
এগুলা ভেবে মেশকাত একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আর আহিয়া কে আদরের গলায় বলে
প্লিজ আমার শ্বাস প্রশ্বাস আহিয়া কান্না করিস না
তুই ছাড়া আমার শাস প্রশাস বন্ধ হয়ে যাবে
তুই একমাত্র আমার শ্বাস প্রশ্বাস প্লিজ
কান্না করিস না, এটা বলে মেশকাত থামলো,
আহিয়া অবাক হয়ে থাকিয়ে থাকে তার মেশকাত ভাইয়া দিকে
মেশকাত ভাইয়া এইসব কি বলল তাকে নিয়ে
তখন আহিয়া কান্না থেমে গেল,
আহিয়া অবাক চরমে আর সে মনে মনে বলে,
এটা কি করে সম্ভব তার মেশকাত ভাইয়া,
এটাই সত্যি তার মেশকাত ভাইয়া।
3 weeks ago | [YT] | 8
View 8 replies
উপন্যাস নায়িকা
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন অষ্টম পর্ব________________________*"
সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যায় আহিয়া
কারণ আজকে সকাল টা তার জন্য স্পেশাল -
কারণ আজকে মেশকাত ভাইয়া দেশের প্রথম সকাল তাই,
কিন্তু তার মেশকাত ভাইয়া ঘুম থেকে উঠে নাই
তিনি জানেন
তার জন্য একজন ওয়াট করতেছে.
তিনি কি তা কিয়েল করেন।
এস ভেবে আহিয়া মুখ বেঞ্চি কাটে,
ওনি কি আমার মনে কথা বোচবেন, হয়তো না
এগুলো ভেবে মন খারাপ করে
আর ওঠে দারায়.
তখন তার মা রিতু বলেন
কীরে কোথায় চাচ্ছে খাবার খেয়ে যা
তখন আহিয়া পিছন না পেরে বলেন আমি খাবো না আম্মু,
আহিয়া আম্মু আর কিছু বলতে পারলো না
তার আগে
মেশকাত শরিফ চৌধুরী বলে
আহিয়া খেয়ে যা খেয়ে না গেলে তোর অবস্থা খারাপ হবে
এটা মনে রাখিস
এটা শুনা মাএ আহিয়া ভয়ে থমকে গেল
আর সাথে অবাক হলো
এই কি তার মেশকাত ভাই আহিয়া মনে মনে এগুলা নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো
তখন মেশকাত বলল
আম্মি খাবার আনো তোমার মেয়ে এত কী
কাজ আছে আমি দেখবো
আম্মি হলো,
আহিয়া*, 'আম্মু যাকে,
মেশকাত আম্মি বলে,
ডাকে.
এই বলে আহিয়া হাত ধরে টেবিলের সামনে আনে আর খাবার বেরে দে
মেশকাত,
আর মেশকাত বলে, চুপচাপ খাবার খা আহিয়া
আহিয়া ও খাবার খাইতে বসে পড়েছে আর মনে মনে বলে
মেশকাত ভাইয়া,
তাকে, শাসন করেতেছে , আর, তাকে কিয়ার করেতেছে
আর,
এগুলো দেখে আহিয়া খুশি হয়।
আবার ভয় লাগছে মেশকাত ভাইয়া কে
দেখে বোঝা যায়,
সে অনেক রাগী মানুষ তাই আর কি
এগুলা আহিয়া ভাবে
তখন তাকে মেশকাত বলে,
তুই এত কী ভাবছিস তখন মেশকাত আবার বলে উল্টাপাল্টা কিছু ভাবিস না মেরে ফেলবে
তুকে একদম
চুপচাপ খাবার খা,
আজকে আমি তোর সাথে কলেজে যাব
দেখি তোর এত কি কাজ সকাল সকাল না
খেয়ে কলেজে যাওয়া
কি এমন কাজ,
আহিয়া খাবার শেষ হলো
সাথে মেশকাত ও তার পর মাশকাত বলে চল এবার তুর কলেজে
তখন আহিয়া বলে ওঠে আমার ফ্রেন্ডের সাথে আমি যেতে পারবো তোমাকে যেতে হবে না মেশকাত ভাইয়া
তোর থেকে আমি জিজ্ঞাসা করছি
আমি বলেছি চলতে প্রশ্ন করতে না
আহিয়া চুপ হয়ে গেল এবং তার মেশকাত ভাইয়া পিছু পিছু হাঁটতেছে
আর তাকে নিয়ে মনে মনে অনেক কিছু ভাবতেছে অনেক স্বপ্ন দেখতেছে
কলেজের গেটে ঢোকার সময় সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে ছিল
সবাই অবাক হয়ে মেশকাত শরীফ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে আছে এত সুন্দর ছেলে কোনদিন তো দেখি নাই
সব মেয়ের তাকিয়ে আছে মেশকাত ভাইয়াকে তা দেখে আহিয়া জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে
মনে মনে সব মেয়েদেরকে বকা দিচ্ছে তাদের চৌদ্দগুষ্টি কে বকা দিচ্ছে
মেশকাত শরিক চৌধুরীতে তাতেই
কিছু যায় আসে না
সে তো চুপচাপ হাঁটতে থাকে তার আহিয়া ও হাটছে
তখন হঠাৎ করে
আরিফ সামনে চলে আসে আর বলে
কেমন আছ আহিয়া
এটা বলা সাথে সাথে মেশকাত আরিফে গলা চেপে ধরে
আর বলে তুর সাহস কম না আমার সামনে
আহিয়া সাথে কথা বলতে এসেছিচ
তুর কী জানের ভয় নেই শালা
তুর কে মেরে ফেল বো আজকে আহিয়া তার মেশকাত ভাইয়া কে থামাতে পারছে না
অবশেষে আহিয়া কান্না করে দিল প্লিজ মেশকাত ভাইয়া থামাও প্লিজ
আহিয়া আর কান্না শুনে মেশকাত থেমে গেল
আর.পিছন ফিরে তাকায় দেখলো আহিয়া
কান্না করতে লাগলো .
তার কান্না একদম মেশকাত সহ্য হয় না
আহিয়ার হাত ধরে কলেজ গেট দিয়ে বের হয়ে
তখন সবাই হা করে তাকিয়েছে তখন সেখানে পিয়া ও ছিল সে ও অবাক হয়ে সবগুলো দেখছিল
কোথায় যাচ্ছে আহিয়া জানে না
সে ভয়ে ও জিজ্ঞাসা করতে পারতেছে না
3 weeks ago | [YT] | 7
View 11 replies
উপন্যাস নায়িকা
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন
সপ্তম পর্ব
আহিয়া ও প্রাইভেট থেকে পরীক্ষা দিয়ে তার বান্ধবীর সাথে বের হলো'
এবং বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে ধরল তার বান্ধবী
সাথে,
এবং বাড়িতে সামনে চলে আসলো তার বান্ধবী ও তার বাড়িতে চলে যাচ্ছে সেও বাড়িতে ঢুকতে লাগলো,
তখন হঠাৎ মনে হল তাদের বাড়ি তে পার্টে বা কোন একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে না হলে,
' এত আয়োজন কেন সে' কিছু বুঝতেছে না কারণ সে সকালে তাড়াহুড়া করে চলে এসে প্রাইভেটে পরীক্ষা ছিল বলে,
আহিয়া আর কিছু ভাবলো না সে সোজা বাড়ি তে ঢুকে তার রুমে চলে গেল।
সেও ফ্রেশ হয়ে শুয়ে থাকে কিছুক্ষণ পর তার মা রিতু' ইসলাম থাকে ডাকতে আসে
খাবার খাইতে নিচে যেতে বলে।
সেও আর কিছু বলে নাই তারও খিদা লাগছে, সকালের থেকে কিছু খাই নাই, পরীক্ষা
দেওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি করে চলে গেছিল
পরীক্ষা শেষেও কিছু খাই নাই।
সেও মার পিছু পিছু খাবার টেবিলে গেলো এবং একটি চিয়েরে বসলো এর পর একে একে সবাই আসতে লাগলো এবং!
খাবার টেবিলে বসতে লাগলো সবার শেষে মেশকাত শরিফ চৌধুরী এই সিঁড়ি দিয়ে নামতে রাখলাম ,
কপাল সবাই তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে শুধু আহিয়া চারা তখন সেই মনোযোগ দিয়ে খাবার কাজ ছিল,
সবাই খাবার না খেয়ে উপরে সিঁড়ি দিকে তাকিয়ে আছে,
তখন আহিয়া ওদিকে তাকালো আর সেও অবাক হল
সে নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারতেছে না।
তার মেশকাত ভাইয়া দেশে আসছে সে নিজে নাই তাকে কেউ বলে নাই তাকে বলার প্রয়োজন মনে করে নাই,
সবার উপর তার অনেক অভিমান হল, তাকে কেউ' বলার প্রয়োজন মনে করে নাই তাই,
সে আর কিছু ভাবলো না সে এক পলক তার মেশকাত ভাইয়া দিকে তাকাই ছিল।
আহিয়া মনে মনে বলে মাশাল্লাহ আমার মেশকাত
ভাইয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে।
আহিয়া এগুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার সামনে মেশকাত বিপরীতে বসলো।
তখন আহিয়া চমকে উঠলো, তারা চোখে চোখ পড়ে গেল,
আহিয়া লজ্জা, পড়ে গেল,
আহিয়া আর চোখ তুলে ঠাকাতে পারছে না।
লজ্জায়,
আহা কি লজ্জা,
তখন আহিয়াও কিছু বলল না সে চুপচাপ খেয়ে উঠে রুমে চলে গেল খুশিমনে কারণ আজকে তার মেশকাত ভাইয়া দেশে এসেছে তার থেকে বেশি খুশি আর কিছু হয় না।
তার জন্য.,!
এস কথা খুশি মনে ভাবছে সে।
তখন তার বান্ধবী পিয়া তাকে কল দে আহিয়া,
ও খুশি মনে কথা বলতে থাকে,
তখন আহিয়া পিয়া কে বলল.
পিয়া তুইকে, একটা কথা বলি না,
বললে রাগ, করবি না তো এটা বলে আহিয়া থামলো,
তখন পিয়া বলল রাগ করার কথা বললে তো রাগ করবো।
আজ যদি রাগ করার কথা না বলিস তাহলে রাগ করবো না।
তখন আহিয়া আস্তে আস্তে করে বলল আমার এক জন পছন্দ আছে।
তখন পিয়া জোরে করে চিৎকার দিয়ে বলল উঠলো
কি?
তখন আহিয়া বলল আস্তে কথা বল কেউ শোনা যাবে তো
তখন পিয়া বলল তুই আমাকে একবারও বললি না কখন কিভাবে হল কাকে পছন্দ হলো?
তখন আহিয়া বলল
আমার কাজিন চাচা ভাইকে চিনিস না,
তখন পিয়া বলল কোন টা?
আহিয়া বলল মেশকাত ভাইয়া আর কি.
পিয়া বলল 6 বছর আগে যে বিদেশে চলে গেছে সে না?
তখন আহিয়া মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারছে না
কারণ 6 বছর আগে কথা শুনে তার পছন্দ কান্না পাচ্ছে, কিন্তু সে কিছু বুঝতে দেয় নাই তার বান্ধবী পিয়াকে ডোগ গিলে ,
ছোট করে বলল,
হে
তখন পিয়া বলল আচ্চা মনে পড়ে ছে আমার
পিয়া বারে বললো মেশকা ভাইয়া তো.সবার ক্রাশ ছিল ।
তখন আসিয়া থেকে উঠলো বলল চুপ থাক বান্দর
আমার মেশকাত ভাইয়া শুধু আমার,
তখন পিয়া কিটকিরিয়ে বলল দূর,
পাগলী তোর সাথে দুষ্টামি
করতেছি।
তখন পিয়া ও আরো কিছুক্ষণ কথা বলে বলল আহিয়া কালকে সকালে কথা বলবো কলেজে যাওয়ার সময়।
তখন আহিয়ায়ও কিছু বলবে না কথা বলে কল কেটে ঘুমাতে গেল,
আহিয়া কারণ কালকে সকাল কলেজে গিয়ে পিয়াকে সবগুলো খুলে বলতে হবে।
আহিয়া এগুলো ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর ঘুমিয়ে পড়ে।
3 weeks ago | [YT] | 7
View 8 replies
উপন্যাস নায়িকা
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন
ষষ্ঠ পর্ব ,
আহিয়া কলেজের গেটে ঢুকে গেল তখনও আরিফ তার দিকে তাকিয়ে আছে তারপর আরিফ একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ,
সেও কলেজে চলে গেল, সে মনে মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে, এটা ভেবে যে আহিয়া তাকে ইগনোর করতেছে,
কিন্তু সে বুঝতেছে না যে তাকে কেন ইগনোর করতেছে তার দোষটা কি তার সাথে কেন কথা বলতেছে না,
এইসব কথা ভেবে তার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে
গেছে তখন তাকে তার বন্ধু বলে ওঠে তুই কি ঠিক আছিস আরিফ,
আরিফ এত কষ্টে ও এত টেনশনের মধ্যেও
মুচকি হেসে বলল হ্যাঁ আমি ঠিক আছি চিন্তা
করিস না,
তখন তার বন্ধু আসিফ ও কিছু বললো না,
আরিফ ও হাঁটতে শুরু করে, কারণ তার পছন্দ মাথা ব্যাথা করতেছে সেই বাড়িতে এখন চলে যাবে,
সেটা ভেবে হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ আবার ও তার প্রিয়সি মুখ দেখতে পেল মানে আহিয়া, তখন আরেক থমকে গেল আর তার দিকে তাকিয়ে আছে
সে কি মিষ্টি করে হাসতেছে ,
সেদিকে এক পলক আরিফ তাকিয়ে আছে, আর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাঁটতে শুরু করে আবার
আর,মনে মনে বলে আহিয়া আমার,
জান তুমাকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি
সেটা তুমি জানোই না তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করতেছি বাট তুমি আমাকে বোঝার চেষ্টাই করো না
আরিফ হতাশ হয়ে হাঁটতে শুরু করে তার গন্তব্যে
আহিয়া ও কলেজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে,
আর রাতের খাবার দেওয়ার কে ঘুমিয়ে পড়ে,
তারপর সকাল সকাল উঠে প্রাইভেটে চলে যাই, আজকে সকালের নাস্তা সহকরে নাই আজকে প্রাইভেট পরীক্ষা আছে তাই জন্য, আজকে তাড়াতাড়ি চলে গেছে, আসার সময় আহিয়ার আম্মু তাকে অনেক ডাকাডাকি করল কিন্তু আহিয়া বলে গেল আম্মু আমি আজ খাব না, তখন আহিয়া আর কিছু বলতে দে নাই তার আম্মুকে,
সে তাড়াতাড়ি পিয়ার সাথে চলে গেল প্রাইভেটের উদ্দেশ্য,
তার আম্মু পেছন থেকে অনেক ডাকাডাকি করল কিন্তু সে শোনে নাই,
সে তাড়াতাড়ি প্রাইভেটের উদ্দেশ্য হাটা ধরলো পিয়ার সাথে, পিয়া ও একই রকম সে ও সকালের খাবার খায় নাই,
সেও তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে গেছে মনে মনে ভাবছে পরীক্ষা দিয়ে ,
তারপর খাবে।
তারা প্রাইভেটে আসলো তাদের পরীক্ষা শুরু
হয়েছে ,
তখন শরিফ চৌধুরী বাড়িরীর বড় ছেলে মেশকাত শরীফ চৌধুরী বাড়িতে আসলো,
কিন্তু আজকের মেশকাত শরীফ চৌধুরী আসবে যে সেটা আহিয়া জানে না কিভাবে বা জানবে সে সকালে তাড়াহুড়া করে ফেভেটে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চলে গেছে এমনকি কিছু খাইনি সহ,
মেশকাত আসা সাথে সাথে সবাই তাড়াতাড়ি করে আসে আর এক একজন তাকে জরিয়ে,
কথা বলতেই সবার শেষে তার মা হাবিবা শেখ,
আসে,
নিজের ছেলের কে জরিয়ে ধরে হো হো করে কান্না করতে লাগলো, মেশকাত মা কে এভাবে কান্না করতে দেখে বলে ওঠে,
আরে মা কান্না কেন করতো, ছো,
আমি চলে আসছি,
আর কান্না করো না আম্মু প্লিজ তুমি কান্না করো
না,
ছেলে কথা শুনে হাবিবা শেখ থামলেন
আর বলে, তুই ফ্রেশ হয়ে নে আমি তুর জন্য নাস্তা
রেডি করতছি
এ বলে তারা তারি রান্না করতে গেলেন,
কারণ তার একটা মাত্র ছেলে বলে,
কথা,
মেশকাত ও ফ্রেশ হতে গেল।
3 weeks ago | [YT] | 7
View 7 replies
উপন্যাস নায়িকা
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন পঞ্চম পর্ব
ভাইয়া কথা শুনে আমি পিছন ফিরে তাকায় দেখতে পায় ভাই আমার জন্য কাচ্চি বিরিয়ানি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । তখন মাহিম বলে বনু হা কর আমি খাইয়ে দিচ্ছি, এই বলে মাহিম এক মাখা ভাত তুলে দল্ল আহিয়া মুখে,আহিয়া ও কিছু বললো না সে চুপচাপ খাচ্ছে ভদ্র মেয়ের মত , মাহিম ও কিছু বললো না সে চুপচাপ খায়ে দিচ্ছে, মাহিম তার বোন কে অনেক ভালোবাসে তার কিছু হলে,মাহিম সহ্য করতে পারবে না, কারণ তার একটা মাত্র বোন তাই তার একটু জর হলে বা মাথা ব্যাথা করলে,
ও সে চুপচাপ বসে থাকতে পারে না,এসব কথা
মনে মনে ভাবে মাহিম আর একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আহিয়া কে খেয়ে ওটে চলে গেল, আর
বলে গেল যেন শুয়ে থাকে আহিয়া ও তার মাথা
সইদে ওকে ভাইয়া,
আর,
সকালের উঠে ফ্রেশ হয়ে , বাইরে গিয়ে নাস্তা করে আবার রুমে ফিরে আসে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগলো, রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলো, তার মা রিতু ইসলাম কে বলে গেলেন মা
আমি যাচ্ছি, সেটা বলে সে সামনের দিকে হাটা শুরু করে, কারণ তার বান্ধবী পিয়া আজকে যাবে না সে,নাকি অসুস্থ তাই আজকে তাকে একলা একলা কলেজ যেতে হবে,
কোভয় বিরক্তকর জিনিস একটা একলা একলা কলেজ যেতে ইচ্ছা করছে না তবুও ভাইয়া ভয়ে যেতে হবে,
সেটা ভেবে আহিয়া আর একটু বিরক্ত হলো, কত বিরক্ত একটা কথা একলা একলা কলেজে যেতে হবে সেটা ভেবে মন মরা হয়ে কলেজে যাচ্ছিল তখন
হঠাৎ তাকে পিছন থেকে ডাকে সিনিয়র
ভাইটা, সে ছেলেটার কণ্ঠ শুনে পিছনে ফিরে তাকায় নাই,
চুপচাপ আরো তাড়াতাড়ি হাটে দ্রুত গতিতে তাকে যেন এরা চলতে পারে তাই জন্য তখন আরিফ দ্রুত পায়ে হেঁটে আসে এবং বলে তুমি আমাকে এড়িয়ে চলছো কেন আহিয়া
আহিয়া তখনও কিছু বলছে না আরিফ কে এড়িয়ে চলছে আহিয়া আরে ভালোই বুঝতে পেরেছে তাকে আহিয়া পাত্তা দিচ্ছে না, তাও ও থামে নি সে আবার বলে উঠলো তুমি আমার সাথে কথা কেন বলতেছ না
তখন সে শাশে বলে উঠলো তুমি আমাকে পাত্তা কেন দিচ্ছ না সমস্যাটা কি তোমার
দোষ কি করেছি বল আমাকে কিছু করে থাকলে বলো প্লিজ এরকম আমার সাথে কথা না বলে এড়িয়ে চলিও না
এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে আরিফ
এবার আহিয়া তামলো আরিফ সেটা দেখে খুশি হয়
আর মনে মনে ভাবি আহিয়া হয় তো তার সাথে
সুন্দরভাবে কথা বলবে
কিন্তু তার ভাবনা চ্যাট করে আহিয়া বলে উঠে প্লিজ আমার পিছন পিছন আসবেন না
সেটা শুনে আরিফ তার দিকে এক পলক তাকিয়ে আছে যেন সে কিছু বুঝিই নাই
আহিয়া আর কিছু বললে না সামনের দিকে কলেজে যাওয়ার জন্য হাঁটতে থাকে। আরিফ আবারো যে পথ আটকায় আর বলে আমি কি দোষ করেছি বলতো
কেন আমাকে এড়িয়ে চলছো
যখন আহিয়া বলে ওঠে আমি আপনাকে মোটেই পছন্দ করি না আপনি প্লিজ আমার পিছন পিছন আসবেন না আমি অন্য কাউকে পছন্দ করে প্লিজ
কথাটা শুনেআরিফ আকাশ থেকে পড়ল এ বস্তা হলো
সে আর কিছু বলার ভাষা পাই না
এই সুযোগে আহিয়া আবারো কলেজের জন্য সামনে এগুলো ।
তা চলে যাওয়ার দিকে আরিফ এক পলক তাকিয়ে আছে,
কিন্তু তাতে আহিয়া আর কিছুই হলো না
সে এক পলকের জন্য ওপিছনে আরিফের দিকে তাকাই নাই।
3 weeks ago | [YT] | 11
View 8 replies
উপন্যাস নায়িকা
Bonu I miss youuuuuuuuu 🥺🥺🥺🥺🥺🥺🥺💓
3 weeks ago | [YT] | 7
View 2 replies
উপন্যাস নায়িকা
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন চতুর্থ পর্ব পিয়া রাগে ফুলছে এবং সে ছেলেটাকে বকছে খারাপ লোক একটা শুধু শুধু আমার পিছন পিছন ঘুরছে আল্লাহ জানেন আর কতদিন পিছন পিছন এরকম করবে ,বদ লোক একটা ,লুচ্চা লোক একটা, এত বলার পরেও তো, আবার আমার পিছু ছাড়তেছে না ইডিয়েট একটা বলে বলে আসতেছিল রাস্তা দিয়ে এইসব কথা আহিয়া শুনে শুনে মুচকি হাসতেছে আহিয়া বলে উঠলো, এবার তো থাম ,আর কত বকবি ওই ছেলেটাকে, এবার পিয়ার আরো রাগ উঠলো আহিয়া কে বললো 103 বার ওকে বকবো ওকে ছাড়া ওর চৌদ্দগুষ্টি সবাইকে বকবো আহিয়া পিয়ার কথা শুনে ও আর হাসি আটকে রাখতে পারল না হো হো করে হাসি উঠে আহিয়া হাসি দেখে আরো রেগে গেল ও আহিয়া উপরে পিয়া আর কথা বলে না ও আহিয়া উপরে রেগে চলে যায় সে তার বাড়ি তে আহিয়া ও আর কিছু বলে না আহিয়া ও তার বাড়িতে চলে আসলো সে জানে তার বান্ধবী বেশি ক্ষণ রাগ করে, থাকতে পারে না সে তার বান্ধবী সম্পর্কে জানে তাই, দেখ বে তার বান্ধবী কিছু কখন পরে কল করবে এসব ভেবে আহিয়া এ গুলো মনে মনে ভাবে মুচকি হাসে আর বলে পাগলী একটা তার পর আহিয়া বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে , তখন হঠাৎ তার মা রিতু ইসলাম আসলে এবং খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেলেন ও আর কিছু বলে নাই মায়ের পিছু পিছু খাবার খেতে গেল খাবার টেবিলের সামনে এসে বসলো তারপর তার আম্মু তাকে খাবার পরিবেশন করে তারপর সবাই একসাথে খাবার খায়ে যার তার মতো কাতার রুমে চলে গেল আহিয়া ও রুমে চলে আসলো হঠাৎ রুমে আসে মেশকাত ভাইয়াকথা মনে পড়ে সে কিভাবে আজকের দিনটা মেশকাত ভাইকে ভুলে গেল সে তো ভোলার মানুষ না তার মশকরা কে সেইগুলো ভেবে সে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো মেশকাত ভাইয়া তুমি কোথায়, তোমাকে ছাড়া আমি শন্য তুমি প্লিজ তাড়াতাড়ি আসো দেশে তোমাকে আমি অনেক অনেক ভালোবাসি প্লিজ তাড়াতাড়ি আসো আমার জন্য হলেও আসো তুমি দেশে আই লাভ ইউ , এন্ড আই মিস ইউ মেশকাত ভাইয়া ।ও এগুলা বলে বলে আহিয়া কান্না করতে লাগল, কিছুক্ষণ কান্না করার পর আহিয়ার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেল, প্রচন্ড মাথা ব্যথা করতেছে সে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেছে না, সে চুপচাপ গেয়ে ঘুমিয়ে যায় কিন্তু তার পুরো রাতটা মাথায় ,ঘুম আসতেছে না, আহিয়া পছন্দ মাথাব্যথা করতেছে এন্ড মেশকাত ভাইয়া কথা মনে পড়তেছে, তার বরাবর তাই কোনো মতে রাতটা কাটায় সূর্যের আলো তার চোখে পড়তে সে আস্তে আস্তে উঠে যায় তারপর ফ্রেশ হয়ে বাহির আসে তার মা তাকে দেখে অবাক হয় আহিয়া আম্মু রিতু ইসলাম বলে উঠলেন আজকে মহারানী কেমনে উঠে গেলেন আহিয়া বলে ওঠে আম্মু আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করতেছে মেয়ের কথা শুনে রিতু ইসলাম তাড়াতাড়ি করে তাড়াতাড়ি খাবার রেডি করে, খাবার খাওয়ার পর আহিয়া কে ওষুধ খাইয়া দে তার আম্মু তারপর আহিয়া তার তার রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন কারণ কালকে রাতে সে ঘুমাতে পারে নাই কিছুক্ষণ পর সে ঘুমিয়ে পড়ে সে ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যার দিকে তখন তার ভাই মাহিম তাকে ডাকে মাহিম বনু তুই বলে অসুস্থ আম্মু থেকে শুন মাত্র তোর কাছে এসেছি,এখন উঠে যা তোর জন্য তোর ফেভারিট খাবার খাচ্ছি বিরিয়ানি এনেছি।
4 weeks ago | [YT] | 7
View 3 replies
উপন্যাস নায়িকা
উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন তৃতীয় পর্ব আহিয়া বান্ধবী আহিয়া কে কলেজে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছে তখন আহিয়া রেডি হয়ে নিচে আসে তখন আহিয়া বলে উঠে প্রিয়াকে চল আমি রেডি তখন তারা দুই বান্ধবী হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ করে আহিয়া কে তার ভাইয়া ডাকে আহিয়া দারা হঠাৎ আহিয়া কে তার ভাই ডাকাই তারা দুই বান্ধবী পিছন ফিরে তাকায় তখন হঠাৎ মাহিম বলে ওঠে তোদের দুজনকে আমি দিয়ে আসবো সেটাই বলায় আহিয়া অবাক হলো কেন ভাইয়া আমরা যেতে পারবো তখন মাহিম বলে উঠে আমি তুর থেকে জিজ্ঞাসা করছি, তখন আহিয়া বলে ওঠে , না ভাইয়া আমি শুধু বলতে চাচ্ছি যে তোমার সময় নষ্ট হবে সেটা তখন মাহিম বলে ওঠে তোকে এসব ভাবতে হবে না। তখন আহিয়া আর কিছু বললো না সে চুপচাপ কে গাড়িতে উঠে পড়লো , তখন হঠাৎ মাহিম বলে ওঠে, প্রিয়া তুমি কেন আবার উচ্চ না আমার, বকা শোনা জন্য ,সেটা বলতে প্রিয়া তারা হোরা করে গাড়িতে উঠে গেল কারণ প্রিয়া মাহিমকে অনেক ভয় পায় সেই আহিয়া মতন মাহিম ভাইয়াকে ভয় পাই , তখন মাহিম আর কিছু বলল না, একটা মুচকি হাসি দিয়ে , সেই ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি চালাচ্ছে আর লুকিং গ্লাসে প্রিয়া দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে আর প্রিয়া দেখার আগে সে চোখ ফেলে ফেলতেছে , কারণ সে চাই না ,প্রিয়া জানুক। কারণ সে প্রতিষ্ঠা হয়ে একেবারে তার বাবা মা কে প্রস্তাব দিবে তাই এসব পিয়াকে বুঝতে দেয় না , তাই সে দূর থেকে ভালোবাসে । এসব ভেবে মাহিম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে , কখন ভাবতে ভাবতে কলেজের সামনে চলে এসেছে সেটা টের পাই নাই , গাড়ি পার্ক করে ওদের দুজনকে নেমে দেয় কলেজের সামনে ওরা দুজন সামনে কলেজে গেটের ঢুকতে ছিল হঠাৎ প্রিয়া পিছন ফিরে একবার মাহিমকে দেখলো তখন প্রিয়া দেখল মাহিম তার দিকে তাকিয়ে আছে , তখন প্রিয়া লজ্জা পেয়ে সামনের দিকে গেট দিয়ে ঢুকে গেল, মাহিম কতক্ষণ প্রিয়া যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিল, তারপর মাহিম চুপচাপ গাড়ি নিয়ে আবার চলে গেল। তার গন্তব্যে , তখন প্রিয়া ও আহিয়া সে ছেলের কাছে গেল যার কাছে আহিয়া নোট আছে, কিন্তু আহিয়া কথা বলে না, চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়া ও ছেলেটাকে নোট দিতে গেলে, তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আহিয়া, তখন প্রিয়া বলে ওঠে কামরুল ভাইয়া আহিয়া নোট গুলো দাওতো , কামরুল বলে ওঠে আহিয়া কেমন আছো? তখন আহিয়া মেজাজ বিগড়ে যায়, এই ছেলেটা শুধু তার সাথে কথা বলতে চাই, তাকে তা দুচোখে সহ্য হয় না, শুধু নোটের জন্য এখানে এসেছে , না,হলে জীবনে আসতনা এগুলো আহিয়া মনে মনে ভাবতেছি তখন হঠাৎ বলে ওঠে কামরুল কিরে কিছু বলছো না যে ,আহিয়া তখন কিছু করার বা বলার ছিল না, সে চুপচাপ উত্তর দেন জি ভাইয়া ভালো, কামরুল আবার বলে, ওঠে তোমার পড়াশোনা কেমন হচ্ছে তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো সমস্যা হলে আমাকে বলিও আহিয়া কিছুই বলল না, তখন প্রিয়া বলে উঠলো ভাইয়া নোটগুলো দিলে ভালো হতো তখন কামরুল আর কিছু আগ বাড়িয়ে বলে না সেই চুপচাপ নোট গুলো দিয়ে দে নোট গুলো নিয়ে আহিয়া ও প্রিয়া হাটা ধরলো তারা আজ আর ক্লাস করবে না সেটা ভেবে তারা ক্যাম্পাসে চলে গেল।তার পর একটি চেয়ারে চেয়ে বসলো ওরা তারপর কিছু খাবার অর্ডার দে তারা সেখানে বসে বসে গল্প করছিল । হঠাৎ করে তাতে ক্লাসে একটি ছেলে প্রিয়া কে বলল হে প্রিয়া কেমন আছো? তাতে,পিয়া অবাক হলো না ,সে জানে এই ছেলে কে এই ছেলে তার পিছু পিছু করে সারাক্ষণ ঘুরে, পিয়ার অনেক বিরক্ত লাগে ছেলেটাকে দেখলে কিন্তু কিছু করার বা বলার নাই, কারণ ছেলেটা সবসময় তার সাথে কথা বলতে চাই , কিন্তু প্রিয়া তাকে পাত্তা দেয় না, ইগনোর করে চলে যায়, এখনো তাই করছে সে কোনো উওর দেয় নাই বসে আছে। সেটি দেখে ছেলেটা আবার জিজ্ঞাসা করে কিছু বলছো না যে তুমি কি অসুস্থ, পিয়া , রাগ উঠে গেছে, সে তাকে পাত্তা না দিয়ে আহিয়া হাত ধরে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। তার দিকে অবাক হয়ে সে ছেলে টা তাকিয়ে আছে, প্রিয়া একবারের জন্য পিছে ফিরে তাকায় নাই, সেই ছেলেটা আর কিছু বলে নি ,সেবা কি বলবে, তাকে তো প্রিয়া পাত্ত দেয় না,শুধু প্রিয়া চলে যাওয়ার থেকে থাকায় ছিল আরেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ।
4 weeks ago | [YT] | 10
View 4 replies
উপন্যাস নায়িকা
গাইচ একটা আমি কেমন হয়েছে বলতো😘😘😘🤍🤎😷🫠😶🌫️🤧
4 weeks ago | [YT] | 5
View 4 replies
উপন্যাস নায়িকা
শেষ কান্না উপন্যাস লেখকের নাম নুসরাত আফরিন দ্বিতীয় পর্ব আহিয়া জানালার দিকে তাকিয়ে মনে মনে এগুলো ভাবতে লাগলো তখন তার মা তাকে ডাকে খাবার খাওয়ার জন্য আহিয়া আম্মুর নাম হলো রিতু ইসলাম, তখন আহিয়া বলে উঠলো আমার কিদা নেই আম্মু তখন রিতু ইসলাম বলে উঠলেন তাড়াতাড়ি নিচে আয় না হলে তোর ভাইকে ডাকবো এটা বলে আম্মু চলে গেল, আহিয়া ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিচে নামতে লাগল আর মনে মনে ভাবে সে যদি নিচে না যায় তাহলে তারপর তাকে তার ভাই য়া সে বাকবে তার থেকে ভালো নিচের কে খাবার খেয়ে নি কারণ তার ভাই তাকে অনেক শাসন করে, এ আর কী খাবার কে আবারো রুমে আসে সে তার মেশকাত ভাইয়ের কথা ভাবতে থাকে সে যে তার মেশকাত ভাইকে অনেক ভালো বাসে কিন্তু তার মেশকাত ভাইয়ের কি তাকে ভালো বাসে যদি ভালো না বাসে তাহলে তার কী হবে সেটাই ভাবতে আহিয়া ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো এগুলো ভাবতে ভাবতে আহিয়া কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল সে নিজেও জানে না, যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে, হঠাৎ তার রুমের দরজায় কেউ একজন নক করে তখন আহিয়া বলে উঠে ভিতরে আসুন তখন দরজা খুলে তার বড় ভাই য়া আসে তার দিকে কিছুক্ষণ তাকাই ছিল তারপর প্রশ্ন করে তুই কি কান্না করতে ছিলি? তখন আহিয়া তাড়াতাড়ি করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে আর হান তো গোস্ত করে উত্তর দে নাতো ভাই আমি কান্না করতে ছিলাম না তার ভাই মাহিম বলে ওঠে তাহলে তোর চোখে মুখে এই অবস্থা কেন ? তখন আহিয়া বলে উঠে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো তাই এ অবস্থা , মাহিম আর কিছু বলল না আহিয়া আর মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন আর বলে গেলেন পড়াশোনার ভালো করে করতে, মাহিম ভাইয়া চলে যাওয়ার পর আহিয়া তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে, এসে পড়তে বসে কারণ সে তার ভাই আর কথা না শুনে তারপরে তাকে বকা দিবে এমনিতে তার পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করে না শুধু তার মেশকাত ভাইয়ার কথা মনে পড়ে তার কোনো মতে পড়াতে মন বসে না এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে গেল তা টের পেলনা আহিয়া হঠাৎ করে তার আম্মু রিতু ইসলাম তাকে খাবার খেতে ডাকে সেও ভদ্র মেয়ের মত তার আম্মু পিছু পিছু খাবার টেবিলে গেল আর একটি চেয়ার টেনে বসল তারপর আম্মু রিতু ইসলাম তাকে খাবার পরিবেশন করে তারপর পরপর তার আব্বু চাচারা ওতার চাচাতো ভাই বোনরা ও তার ভাইয়া খাবার টেবিলে এসে চেয়ার টেনে বসে সবাই একসাথে সবাইকে খাবার পরিবেশন করতেছে তার আম্মু ও চাচা রা তখন হঠাৎ তার আব্বু বলে ওঠে আহিয়া আম্মু তোমার পড়াশোনা কেমন যাচ্ছে তখন আহিয়া ছোট করে বলে ওঠে ভালো আব্বু ,তখন আহিয়া আব্বুবলে ওঠে তোমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো ,তখন আহিয়া বলে ওঠে না আব্বু শুধু সামনে পরীক্ষা এ আর কি আব্বু ,তখন আহিয়া আর আব্বু বলে ওঠে টেনশন করিও না আম্মু তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে তুমি ভালো ফলাফল পাবা আম্মু, এটা বলে আহিয়া আব্বু আর কিছু বলল না খাবার শেষ করে উঠে গেলেন তারপর পরপর সবাই খাবার খেয়ে উঠতে লাগলো যার মতো সে রুমে চলে যাচ্ছে আহিয়ার ও খাবার শেষ হলো সে ও তার রুমে আসলো তারপর তার বান্ধবীর সাথে কথা বলতে লাগল সে তেমন একটা কারো সাথে কথা বলে না তার একটা মাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড সেটি হল প্রিয়া আর কারো সাথে কথা বলে না প্রিয়ার সাথে কথা বলার পর সে ঘুমায় পড়ে সকাল সকাল সূর্যের আলো তার চোখে-মুখে পড়ে আর তার ঘুম ভেঙে যায় মনে মনে ভাবে আশ্চর্য হয়ে বলে উঠলো সূর্য আলো সময়টা চোখের মধ্যে পড়তে হলো সেগুলোও ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে তার মনে পড়ে আজকে তাকে কলেজে যেতে হবে তার নোটগুলো নিতে হবে কিন্তু তার যেতে ইচ্ছা করতেছে না কিছু করার নেই তাকে কলেজে যেতে হবে কিন্তু যার কাছে নোট আছে সে হলো তাদের কলেজের সিনিয়র ভাইয়া তাকে সে মোটেও পছন্দ করে না কারণ এই ছেলেটা তার সাথে কথা বলতে চাই আর তার সাথে লেপটে থাকতে চাই তা সেটা মোটেই পছন্দ নয় সব সময় এই ছেলেটাকে সে দূরে থাকে তার থেকে বড় কথা হলো যে কোন ছেলের সাথে কথাই বলে না আর কোন ছেলে তার ডাকেপাশে আসলে তার ভালো লাগলো অসহ্যকর লাগে ,আর ,এ ছিল সব সময় তাকে বিরক্তকর করে তার একটি মোটেই পছন্দ নয় তাই সব সময় সে এ ছেলে থেকে দূরে থাকে আজকে এই ছেলেটিকে তাকে নোট নিতে হবে তাই তার ভালো লাগছে না তাই তার কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না কিন্তু তাকে আজকে কলেজে যেতে হবে নোট এর জন্য এইসব কথা ভেবে আহিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে তখন হঠাৎ তার আম্মু তাকে দরজা থেকে খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে যায় আহিয়াকে ,আহিয়া কিছু ভাবলো না বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে খাবার খেয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়।
4 weeks ago | [YT] | 10
View 6 replies
Load more