উপন্যাস নায়িকা

উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন
ষষ্ঠ পর্ব ,
আহিয়া কলেজের গেটে ঢুকে গেল তখনও আরিফ তার দিকে তাকিয়ে আছে তারপর আরিফ একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ,
সেও কলেজে চলে গেল, সে মনে মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে, এটা ভেবে যে আহিয়া তাকে ইগনোর করতেছে,
কিন্তু সে বুঝতেছে না যে তাকে কেন ইগনোর করতেছে তার দোষটা কি তার সাথে কেন কথা বলতেছে না,
এইসব কথা ভেবে তার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে
গেছে তখন তাকে তার বন্ধু বলে ওঠে তুই কি ঠিক আছিস আরিফ,
আরিফ এত কষ্টে ও এত টেনশনের মধ্যেও
মুচকি হেসে বলল হ্যাঁ আমি ঠিক আছি চিন্তা
করিস না,
তখন তার বন্ধু আসিফ ও কিছু বললো না,
আরিফ ও হাঁটতে শুরু করে, কারণ তার পছন্দ মাথা ব্যাথা করতেছে সেই বাড়িতে এখন চলে যাবে,
সেটা ভেবে হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ আবার ও তার প্রিয়সি মুখ দেখতে পেল মানে আহিয়া, তখন আরেক থমকে গেল আর তার দিকে তাকিয়ে আছে
সে কি মিষ্টি করে হাসতেছে ,
সেদিকে এক পলক আরিফ তাকিয়ে আছে, আর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাঁটতে শুরু করে আবার
আর,মনে মনে বলে আহিয়া আমার,
জান তুমাকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি
সেটা তুমি জানোই না তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করতেছি বাট তুমি আমাকে বোঝার চেষ্টাই করো না
আরিফ হতাশ হয়ে হাঁটতে শুরু করে তার গন্তব্যে
আহিয়া ও কলেজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে,
আর রাতের খাবার দেওয়ার কে ঘুমিয়ে পড়ে,
তারপর সকাল সকাল উঠে প্রাইভেটে চলে যাই, আজকে সকালের নাস্তা সহকরে নাই আজকে প্রাইভেট পরীক্ষা আছে তাই জন্য, আজকে তাড়াতাড়ি চলে গেছে, আসার সময় আহিয়ার আম্মু তাকে অনেক ডাকাডাকি করল কিন্তু আহিয়া বলে গেল আম্মু আমি আজ খাব না, তখন আহিয়া আর কিছু বলতে দে নাই তার আম্মুকে,
সে তাড়াতাড়ি পিয়ার সাথে চলে গেল প্রাইভেটের উদ্দেশ্য,
তার আম্মু পেছন থেকে অনেক ডাকাডাকি করল কিন্তু সে শোনে নাই,
সে তাড়াতাড়ি প্রাইভেটের উদ্দেশ্য হাটা ধরলো পিয়ার সাথে, পিয়া ও একই রকম সে ও সকালের খাবার খায় নাই,
সেও তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে গেছে মনে মনে ভাবছে পরীক্ষা দিয়ে ,
তারপর খাবে।
তারা প্রাইভেটে আসলো তাদের পরীক্ষা শুরু
হয়েছে ,
তখন শরিফ চৌধুরী বাড়িরীর বড় ছেলে মেশকাত শরীফ চৌধুরী বাড়িতে আসলো,
কিন্তু আজকের মেশকাত শরীফ চৌধুরী আসবে যে সেটা আহিয়া জানে না কিভাবে বা জানবে সে সকালে তাড়াহুড়া করে ফেভেটে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চলে গেছে এমনকি কিছু খাইনি সহ,
মেশকাত আসা সাথে সাথে সবাই তাড়াতাড়ি করে আসে আর এক একজন তাকে জরিয়ে,
কথা বলতেই সবার শেষে তার মা হাবিবা শেখ,
আসে,
নিজের ছেলের কে জরিয়ে ধরে হো হো করে কান্না করতে লাগলো, মেশকাত মা কে এভাবে কান্না করতে দেখে বলে ওঠে,
আরে মা কান্না কেন করতো, ছো,
আমি চলে আসছি,
আর কান্না করো না আম্মু প্লিজ তুমি কান্না করো
না,
ছেলে কথা শুনে হাবিবা শেখ থামলেন
আর বলে, তুই ফ্রেশ হয়ে নে আমি তুর জন্য নাস্তা
রেডি করতছি
এ বলে তারা তারি রান্না করতে গেলেন,
কারণ তার একটা মাত্র ছেলে বলে,
কথা,
মেশকাত ও ফ্রেশ হতে গেল।

3 weeks ago | [YT] | 7