উপন্যাস নায়িকা

শেষ কান্না উপন্যাস লেখকের নাম নুসরাত আফরিন দ্বিতীয় পর্ব আহিয়া জানালার দিকে তাকিয়ে মনে মনে এগুলো ভাবতে লাগলো তখন তার মা তাকে ডাকে খাবার খাওয়ার জন্য আহিয়া আম্মুর নাম হলো রিতু ইসলাম, তখন আহিয়া বলে উঠলো আমার কিদা নেই আম্মু তখন রিতু ইসলাম বলে উঠলেন তাড়াতাড়ি নিচে আয় না হলে তোর ভাইকে ডাকবো এটা বলে আম্মু চলে গেল, আহিয়া ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিচে নামতে লাগল আর মনে মনে ভাবে সে যদি নিচে না যায় তাহলে তারপর তাকে তার ভাই য়া সে বাকবে তার থেকে ভালো নিচের কে খাবার খেয়ে নি কারণ তার ভাই তাকে অনেক শাসন করে, এ আর কী খাবার কে আবারো রুমে আসে সে তার মেশকাত ভাইয়ের কথা ভাবতে থাকে সে যে তার মেশকাত ভাইকে অনেক ভালো বাসে কিন্তু তার মেশকাত ভাইয়ের কি তাকে ভালো বাসে যদি ভালো না বাসে তাহলে তার কী হবে সেটাই ভাবতে আহিয়া ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো এগুলো ভাবতে ভাবতে আহিয়া কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল সে নিজেও জানে না, যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে, হঠাৎ তার রুমের দরজায় কেউ একজন নক করে তখন আহিয়া বলে উঠে ভিতরে আসুন তখন দরজা খুলে তার বড় ভাই য়া আসে তার দিকে কিছুক্ষণ তাকাই ছিল তারপর প্রশ্ন করে তুই কি কান্না করতে ছিলি? তখন আহিয়া তাড়াতাড়ি করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে আর হান তো গোস্ত করে উত্তর দে নাতো ভাই আমি কান্না করতে ছিলাম না তার ভাই মাহিম বলে ওঠে তাহলে তোর চোখে মুখে এই অবস্থা কেন ? তখন আহিয়া বলে উঠে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো তাই এ অবস্থা , মাহিম আর কিছু বলল না আহিয়া আর মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন আর বলে গেলেন পড়াশোনার ভালো করে করতে, মাহিম ভাইয়া চলে যাওয়ার পর আহিয়া তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে, এসে পড়তে বসে কারণ সে তার ভাই আর কথা না শুনে তারপরে তাকে বকা দিবে এমনিতে তার পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করে না শুধু তার মেশকাত ভাইয়ার কথা মনে পড়ে তার কোনো মতে পড়াতে মন বসে না এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে গেল তা টের পেলনা আহিয়া হঠাৎ করে তার আম্মু রিতু ইসলাম তাকে খাবার খেতে ডাকে সেও ভদ্র মেয়ের মত তার আম্মু পিছু পিছু খাবার টেবিলে গেল আর একটি চেয়ার টেনে বসল তারপর আম্মু রিতু ইসলাম তাকে খাবার পরিবেশন করে তারপর পরপর তার আব্বু চাচারা ওতার চাচাতো ভাই বোনরা ও তার ভাইয়া খাবার টেবিলে এসে চেয়ার টেনে বসে সবাই একসাথে সবাইকে খাবার পরিবেশন করতেছে তার আম্মু ও চাচা রা তখন হঠাৎ তার আব্বু বলে ওঠে আহিয়া আম্মু তোমার পড়াশোনা কেমন যাচ্ছে তখন আহিয়া ছোট করে বলে ওঠে ভালো আব্বু ,তখন আহিয়া আব্বুবলে ওঠে তোমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো ,তখন আহিয়া বলে ওঠে না আব্বু শুধু সামনে পরীক্ষা এ আর কি আব্বু ,তখন আহিয়া আর আব্বু বলে ওঠে টেনশন করিও না আম্মু তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে তুমি ভালো ফলাফল পাবা আম্মু, এটা বলে আহিয়া আব্বু আর কিছু বলল না খাবার শেষ করে উঠে গেলেন তারপর পরপর সবাই খাবার খেয়ে উঠতে লাগলো যার মতো সে রুমে চলে যাচ্ছে আহিয়ার ও খাবার শেষ হলো সে ও তার রুমে আসলো তারপর তার বান্ধবীর সাথে কথা বলতে লাগল সে তেমন একটা কারো সাথে কথা বলে না তার একটা মাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড সেটি হল প্রিয়া আর কারো সাথে কথা বলে না প্রিয়ার সাথে কথা বলার পর সে ঘুমায় পড়ে সকাল সকাল সূর্যের আলো তার চোখে-মুখে পড়ে আর তার ঘুম ভেঙে যায় মনে মনে ভাবে আশ্চর্য হয়ে বলে উঠলো সূর্য আলো সময়টা চোখের মধ্যে পড়তে হলো সেগুলোও ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে তার মনে পড়ে আজকে তাকে কলেজে যেতে হবে তার নোটগুলো নিতে হবে কিন্তু তার যেতে ইচ্ছা করতেছে না কিছু করার নেই তাকে কলেজে যেতে হবে কিন্তু যার কাছে নোট আছে সে হলো তাদের কলেজের সিনিয়র ভাইয়া তাকে সে মোটেও পছন্দ করে না কারণ এই ছেলেটা তার সাথে কথা বলতে চাই আর তার সাথে লেপটে থাকতে চাই তা সেটা মোটেই পছন্দ নয় সব সময় এই ছেলেটাকে সে দূরে থাকে তার থেকে বড় কথা হলো যে কোন ছেলের সাথে কথাই বলে না আর কোন ছেলে তার ডাকেপাশে আসলে তার ভালো লাগলো অসহ্যকর লাগে ,আর ,এ ছিল সব সময় তাকে বিরক্তকর করে তার একটি মোটেই পছন্দ নয় তাই সব সময় সে এ ছেলে থেকে দূরে থাকে আজকে এই ছেলেটিকে তাকে নোট নিতে হবে তাই তার ভালো লাগছে না তাই তার কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না কিন্তু তাকে আজকে কলেজে যেতে হবে নোট এর জন্য এইসব কথা ভেবে আহিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে তখন হঠাৎ তার আম্মু তাকে দরজা থেকে খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে যায় আহিয়াকে ,আহিয়া কিছু ভাবলো না বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে খাবার খেয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়।

4 weeks ago | [YT] | 10