উপন্যাস নায়িকা

উপন্যাস শেষ কান্না লেখকের নাম নুসরাত আফরিন তৃতীয় পর্ব আহিয়া বান্ধবী আহিয়া কে কলেজে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছে তখন আহিয়া রেডি হয়ে নিচে আসে তখন আহিয়া বলে উঠে প্রিয়াকে চল আমি রেডি তখন তারা দুই বান্ধবী হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ করে আহিয়া কে তার ভাইয়া ডাকে আহিয়া দারা হঠাৎ আহিয়া কে তার ভাই ডাকাই তারা দুই বান্ধবী পিছন ফিরে তাকায় তখন হঠাৎ মাহিম বলে ওঠে তোদের দুজনকে আমি দিয়ে আসবো সেটাই বলায় আহিয়া অবাক হলো কেন ভাইয়া আমরা যেতে পারবো তখন মাহিম বলে উঠে আমি তুর থেকে জিজ্ঞাসা করছি, তখন আহিয়া বলে ওঠে , না ভাইয়া আমি শুধু বলতে চাচ্ছি যে তোমার সময় নষ্ট হবে সেটা তখন মাহিম বলে ওঠে তোকে এসব ভাবতে হবে না। তখন আহিয়া আর কিছু বললো না সে চুপচাপ কে গাড়িতে উঠে পড়লো , তখন হঠাৎ মাহিম বলে ওঠে, প্রিয়া তুমি কেন আবার উচ্চ না আমার, বকা শোনা জন্য ,সেটা বলতে প্রিয়া তারা হোরা করে গাড়িতে উঠে গেল কারণ প্রিয়া মাহিমকে অনেক ভয় পায় সেই আহিয়া মতন মাহিম ভাইয়াকে ভয় পাই , তখন মাহিম আর কিছু বলল না, একটা মুচকি হাসি দিয়ে , সেই ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি চালাচ্ছে আর লুকিং গ্লাসে প্রিয়া দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে আর প্রিয়া দেখার আগে সে চোখ ফেলে ফেলতেছে , কারণ সে চাই না ,প্রিয়া জানুক। কারণ সে প্রতিষ্ঠা হয়ে একেবারে তার বাবা মা কে প্রস্তাব দিবে তাই এসব পিয়াকে বুঝতে দেয় না , তাই সে দূর থেকে ভালোবাসে । এসব ভেবে মাহিম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে , কখন ভাবতে ভাবতে কলেজের সামনে চলে এসেছে সেটা টের পাই নাই , গাড়ি পার্ক করে ওদের দুজনকে নেমে দেয় কলেজের সামনে ওরা দুজন সামনে কলেজে গেটের ঢুকতে ছিল হঠাৎ প্রিয়া পিছন ফিরে একবার মাহিমকে দেখলো তখন প্রিয়া দেখল মাহিম তার দিকে তাকিয়ে আছে , তখন প্রিয়া লজ্জা পেয়ে সামনের দিকে গেট দিয়ে ঢুকে গেল, মাহিম কতক্ষণ প্রিয়া যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিল, তারপর মাহিম চুপচাপ গাড়ি নিয়ে আবার চলে গেল। তার গন্তব্যে , তখন প্রিয়া ও আহিয়া সে ছেলের কাছে গেল যার কাছে আহিয়া নোট আছে, কিন্তু আহিয়া কথা বলে না, চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়া ও ছেলেটাকে নোট দিতে গেলে, তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আহিয়া, তখন প্রিয়া বলে ওঠে কামরুল ভাইয়া আহিয়া নোট গুলো দাওতো , কামরুল বলে ওঠে আহিয়া কেমন আছো? তখন আহিয়া মেজাজ বিগড়ে যায়, এই ছেলেটা শুধু তার সাথে কথা বলতে চাই, তাকে তা দুচোখে সহ্য হয় না, শুধু নোটের জন্য এখানে এসেছে , না,হলে জীবনে আসতনা এগুলো আহিয়া মনে মনে ভাবতেছি তখন হঠাৎ বলে ওঠে কামরুল কিরে কিছু বলছো না যে ,আহিয়া তখন কিছু করার বা বলার ছিল না, সে চুপচাপ উত্তর দেন জি ভাইয়া ভালো, কামরুল আবার বলে, ওঠে তোমার পড়াশোনা কেমন হচ্ছে তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো সমস্যা হলে আমাকে বলিও আহিয়া কিছুই বলল না, তখন প্রিয়া বলে উঠলো ভাইয়া নোটগুলো দিলে ভালো হতো তখন কামরুল আর কিছু আগ বাড়িয়ে বলে না সেই চুপচাপ নোট গুলো দিয়ে দে নোট গুলো নিয়ে আহিয়া ও প্রিয়া হাটা ধরলো তারা আজ আর ক্লাস করবে না সেটা ভেবে তারা ক্যাম্পাসে চলে গেল।তার পর একটি চেয়ারে চেয়ে বসলো ওরা তারপর কিছু খাবার অর্ডার দে তারা সেখানে বসে বসে গল্প করছিল । হঠাৎ করে তাতে ক্লাসে একটি ছেলে প্রিয়া কে বলল হে প্রিয়া কেমন আছো? তাতে,পিয়া অবাক হলো না ,সে জানে এই ছেলে কে এই ছেলে তার পিছু পিছু করে সারাক্ষণ ঘুরে, পিয়ার অনেক বিরক্ত লাগে ছেলেটাকে দেখলে কিন্তু কিছু করার বা বলার নাই, কারণ ছেলেটা সবসময় তার সাথে কথা বলতে চাই , কিন্তু প্রিয়া তাকে পাত্তা দেয় না, ইগনোর করে চলে যায়, এখনো তাই করছে সে কোনো উওর দেয় নাই বসে আছে। সেটি দেখে ছেলেটা আবার জিজ্ঞাসা করে কিছু বলছো না যে তুমি কি অসুস্থ, পিয়া , রাগ উঠে গেছে, সে তাকে পাত্তা না দিয়ে আহিয়া হাত ধরে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। তার দিকে অবাক হয়ে সে ছেলে টা তাকিয়ে আছে, প্রিয়া একবারের জন্য পিছে ফিরে তাকায় নাই, সেই ছেলেটা আর কিছু বলে নি ,সেবা কি বলবে, তাকে তো প্রিয়া পাত্ত দেয় না,শুধু প্রিয়া চলে যাওয়ার থেকে থাকায় ছিল আরেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ।

4 weeks ago | [YT] | 10