আমি অদিতি মুখার্জি বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি । বাংলা সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থেকে বাংলা কবিতার প্রতি ভালোবাসা, আর সেই ভালোবাসা থেকেই
পছন্দের কবিতাগুলি আবৃত্তি করতে আসা।
ভালবাসি বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে,
গান শুনতে ,গান করতে ,হাতে তৈরী নানান ধরনের জিনিস বানাতে , ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে লিখতে
ভালবাসি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে ।
নাটক এবং আর্ট ফিল্ম অত্যন্ত প্রিয় আমার
আমার কবিতা আবৃত্তি যদি আপনাদের ভালো লাগে
তাহলে আমার চ্যানেল টা সাবক্রাইব করবেন ,লাইক কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থাকবেন
Aditi Mukherjee
ধনেশ্বর রায় সম্পর্কে না- বলা কথা কিছু:জগদীশ আসোয়ার
বয়সের ব্যবধান অনেকটাই বলতে হবে,কিন্তু তাকে অবলীলায় অতিক্রম করে আমার আত্মার আত্মীয় হয়ে উঠেছিলেন স্বর্গীয় ধনেশ্বর রায়।আমি যখন ভূটানীরঘাটে শিক্ষক হয়ে আসি,তখন তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় স্বর্গীয় সুশীল রায়ের বাড়িতে।গানে মধ্য দিয়েই আমরা দু' জনে যেন একাত্ম হয়ে গেলাম।ধনেবর বাবু গান লেখেন,আমিও গান লিখি।ধনেশ্বর বাবুর গান মৃলত ভাওয়াইয়ার রাস্তা দিয়েই হেঁটেছে বরাবর। আমি কিন্তু তখন থেকেই লিখছি ব্যতিক্রমী গান। তিনি গানগুলো শুনতেন খুবই মনোযোগ দিয়ে। প্রায়ই তিনি বলতেন,- আসোয়ার বাবু,সুরে এতো বৈচিত্র্য আপনি পান কোথা থেকে? আমি জিগ্যেস করতাম,-কেমন লাগে আপনার? তিনি প্রায় আবেগে বলে ফেলতেন,- অসাধারন! তিনি ইচ্ছে করলে আমাকে নিরুৎসাহিত করতে পারতেন,বলতে পারতেন এমন এক্সপেরিমেন্ট করা মনে হয় ঠিক হচ্ছে না। তা কিন্তু একদিনও বলেননি।আমার ছাত্রী কাবলি( রত্না রায়) যখন আমার আমার গানগুলো দিয়ে নৃত্যালেখ্য তৈরি করতো,তাতে তিনি বরাবর উৎসাহ- ই দিতেন। একটা পর্যায়ে এসে তো তিনি আমার গান কন্ঠে ধারণও করা শুরু করলেন।যখন তাঁর "প্রেম বড় ধন" গানের এলবামটি বেরুলো,তার প্রথম গানটি- ই ছিল আমার।" আন্ধার ম্যাঘে ঢাকিল দেওয়া রে" গানটিও তিনি অসাধারণ দরদ দিয়ে গেয়েছেন।ওই গানটিতে আমি সুর দেওয়ার সময় ইচ্ছে করেই মীড়ের কাজ রেখেছি।সেটি গলায় তোলার জন্য তিনি যেভাবে চেষ্টা করেছেন বোধকরি তেমনটা কোন ছাত্রও করে না। এমন উদার এবং অহংশূন্য মানুষ শিল্পী মহলে আমি দেখিনি বললেই চলে।এই মানুষটি দীর্ঘদিন গাইতে পারেননি তাঁর কন্ঠ আচমকা বসে যাবার জন্য।তাঁর সঞ্চয়ে তখন এইস এম ভি -তে রেকর্ড করা দু'খানি মাত্র চটকা গান।ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় তিনি যখন তাঁর কন্ঠ ফিরে পেলেন,তখন আমি,ডা.জয়ন্ত রায় এবং শিল্পী চৈতন্যদেব রায় মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম তাঁর পছন্দমতো ২০- টি গান রেকর্ড করার।
সে এক ইতিহাস।চৈতন্য যোগাযোগ করে স্টুডিও ঠিক করলো। যেতে হবে কলকাতায়।যেদিন ট্রেনে ওঠার কথা সেদিন হঠাৎ ধনেশ্বর বাবুর এসে গেল জ্বর। কিন্তু সব তখন ঠিকঠাক, schedule নড়চড় করার কোনো উপায় নেই। জয়ন্তকে সঙ্গে নিয়ে ওই অবস্থাতেই আমরা রওনা দিলাম কলকাতার অভিমুখে।ধনেশ্বর বাবুর চিকিৎসা চলতে লাগল ট্রেনেই।আমরা যখন ট্রেন থেকে নামলাম তখন তিনি অনেকটাই সুস্থ।শুরু হল রেকর্ডং- এর কাজ। প্রথম দিন রেকর্ড করা হল দশটি গান।পরের দিনের রেকর্ডং চলছে।ওই অবস্থাতে তিনি হঠাৎ শরীর ছেড়ে দিলেন।আমরা সবাই আতঙ্কিত।জয়ন্ত পরীক্ষা - নিরীক্ষা করে বলল,- হার্ট এটাক। কাছেই ছিল ওষুধের দোকান।তৎক্ষণাৎ ওখান থেকে একটি ট্যাবলেট এনে ধনেশ্বর বাবুর জিহ্বার নীচে দিয়ে দিল জয়ন্ত।তারপর প্রবল শঙ্কা নিয়ে আমরা অপক্ষা করতে লাগলাম। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই তিনি স্বাভাবিক হলেন।সেবার তিনি ডা. জয়ন্ত রায়ের পরিষেবায় প্রাণে বেঁচে গেলেন।জয়ন্ত- র ছাড়পত্র নিয়ে আবার শুরু হল রেকর্ডং- এর কাজ।রেকর্ড করা হল মোট কুড়িটি গান বিচিত্র রকমের।পরে তপন তার থেকে দশটি গান বেছে নিয়ে করল তার দৃশ্যায়ন। এখন ওই গানগুলির জন্যই ধনেশ্বর বাবু স্মরণীয় হয়ে আছেন,হয়তো স্মরণীয় হয়ে থাকবেন চিরকালই। এই গানগুলোর রেকর্ডং- এর সময় যে এতো ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। পরে তিনি মরা গেলেন ওই heart failure -এর কারণেই। খবর পেয়েই জয়ন্ত এসে খোঁজ করতে লাগলো ICU. কিন্তু ফালাকাটায় ICU নেই বলে তাকে পাঠানো হচ্ছিল বাইরে।জয়ন্ত অবশ্য বলল,- জামাই বাবু,অনেক দেরি হয়ে গেল। এবার মনে হয় ওনাকে বাঁচানো গেল না।ওর আশঙ্কাই সত্য হল, মাঝপথেই ধনেশ্বর বাবু শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন। প্রতিদিন টেলিফোনে আমার কথা হতো এই মানুষটির সঙ্গে।স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি আমাকে যুগিয়ে যেতেন বাঁচার প্রেরণা।যোগেশদা( প্রক্তন মন্ত্রী যোগেশ চন্দ্র বর্মন) তার আগেই গিয়েছেন।তারপর গেলেন ধনেশ্বর বাবুও।ওমোন মানুষ আর হবে না।যেতে তো হবে সকলকেই।গেলে তো ল্যাঠা চুকে গেল। কিন্তু বেঁচে থেকে নিঃসঙ্গতার ভার বহন করা যে কতো কঠিন সেটা আমি এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি।
15 hours ago | [YT] | 3
View 0 replies
Aditi Mukherjee
ভাওয়াইয়া সংগীতগুরু ধনেশ্বর রায়ের ৯১ তম জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ধনেশ্বর রায় মহাশয় ছিলেন উত্তর বঙ্গের একজন বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া স;গীত শিল্পী । তিনি বঙ্গ রত্ন উপাধি পেয়েছিলেন। ওনার জন্ম দিনে ওনাকে জানাই শতকোটি প্রনাম।🙏🌹🙏
1 day ago | [YT] | 8
View 1 reply
Aditi Mukherjee
সুজান মিঠির মিষ্ঠি কবিতা নিয়ে আসছি আজ 5.15 te premier e সকলের আমন্ত্রণ রইল, শোনার অনুরোধ রইল 🙏🌹♥️🍫
1 day ago | [YT] | 4
View 0 replies
Aditi Mukherjee
Good morning everyone ❤️🙏
2 days ago | [YT] | 11
View 5 replies
Aditi Mukherjee
উনি একা মারা গিয়েছিলেন — আর ৪২ বছর ধরে পৃথিবী ঠিকই চলতে থেকেছে, যেন কিছুই ঘটেনি।
১৯৬৬ সালে, ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব শহরের এক নার্স, হেডভিগা গোলিক, নিজের জন্য এক কাপ চা বানালেন এবং ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে বসে পড়লেন। কেউ জানে না এরপর ঠিক কী ঘটেছিল — শুধু এটুকু জানা যায়, তিনি আর কখনও উঠেননি।
বছরের পর বছর কেটে গেল। বাইরে পৃথিবী বদলে গেল — নতুন সরকার, নতুন যুদ্ধ, নতুন প্রজন্ম — কিন্তু সেই বন্ধ দরজার ওপারে সময় যেন থেমে গেল।
কেউ তার নিখোঁজ হওয়ার খবর দেয়নি। প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো অন্য কোথাও চলে গেছেন। ভবনের স্থপতি তার বিদ্যুৎ বিলের জন্য স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট সেট করেছিলেন — যা তার নিজের মৃত্যুর পরও চালু ছিল। তাই হেডভিগার ফ্ল্যাটে আলো জ্বলতে থাকল, বছর ধরে, দশক ধরে।
২০০৮ সালে, ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলাকালীন, শ্রমিকরা অবশেষে সেই দরজাটি জোর করে খুললেন — আর ঢুকে পড়লেন এক সময়ের কফিনে।
ভিতরে সবকিছুই ১৯৬০-এর দশকের মতোই রয়ে গেছে। সাদাকালো টেলিভিশন। মধ্য-শতাব্দীর আসবাবপত্র। এক কাপ চা এখনো পড়ে আছে আরামচেয়ারের পাশে। আর সেই চেয়ারেই বসে আছেন হেডভিগা গোলিকের মমি করা দেহ — বন্ধ ঘর আর শুকনো বাতাসে নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত।
এই আবিষ্কার পুরো ক্রোয়েশিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছিল — শুধু দুঃখজনক ঘটনার জন্য নয়, বরং এ কারণে যে এটি আধুনিক জীবনের এক ভয়ঙ্কর সত্য উন্মোচন করেছিল: কেউ এতটাই হারিয়ে যেতে পারে, যে চার দশক ধরে কেউ টেরও পায় না।
পুলিশ তার কাগজপত্র ও ফটো দেখে পরিচয় নিশ্চিত করে। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৪২ বছর — একজন নার্স, একজন বন্ধু, একসময় সমাজের অংশ ছিলেন, যাকে পৃথিবী একসময় ভুলে গিয়েছিল।
তার ফ্ল্যাট হয়ে উঠেছিল এক অদ্ভুত স্মৃতিস্তম্ভ — নিঃসঙ্গতার প্রতীক। সাংবাদিকরা একে বলেছিলেন “সময়ের সমাধি,” যেখানে একটি যুগ অক্ষত ছিল, আর একই সঙ্গে মানবজীবনের ভুলে যাওয়া বাস্তবতা প্রতিফলিত হচ্ছিল।
হেডভিগা গোলিকের গল্প শুধু মৃত্যুর নয় — এটি বিচ্ছিন্নতার গল্প।
তিনি শহরের কোলাহলের মাঝেই থাকতেন, অসংখ্য প্রতিবেশীর ঘেরা পরিবেশে — তবুও তিনি হারিয়ে গেলেন নিঃশব্দে।
৪২ বছর ধরে তার অ্যাপার্টমেন্টই ছিল তার সমাধি — আর তার আত্মা যেন ফিসফিস করে মনে করিয়ে দেয়, আধুনিক বিশ্বে নিঃসঙ্গতা কখনও কখনও মানুষকে পুরোপুরি অদৃশ্য করে দিতে পারে।
এক কাপ চা। একটি বন্ধ দরজা।
আর একটি জীবন, যার থেমে যাওয়া কেউ টেরই পায়নি।
#collected
3 days ago | [YT] | 6
View 1 reply
Aditi Mukherjee
3 days ago | [YT] | 10
View 5 replies
Aditi Mukherjee
4 days ago | [YT] | 9
View 3 replies
Aditi Mukherjee
🙏🙏🌹🌹🙏🙏
5 days ago | [YT] | 7
View 1 reply
Aditi Mukherjee
আজ রাত দশটায special live korbo সকলের আমন্ত্রণ রইল
5 days ago | [YT] | 9
View 2 replies
Aditi Mukherjee
সকলের মনে ভালোবাসার সঞ্চার হোক 🌹🌹♥️♥️🙏🙏
5 days ago | [YT] | 5
View 1 reply
Load more