Biplab Diary ইউটিউব চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
ভালোবাসা সুন্দর, অতি সুন্দর, আরো সুন্দর হয়! যদি সেটা পবিত্র ভালোবাসা হয়
#emotionalstory
#motivationalstory
#hearttouchingstory
#romanticstory
#lovestory
#sadstory
#brokenheartstory
#banglashortStory
#indianbanglashortStory
#
Biblab Diary
https://youtu.be/33JHQ04XDkw?si=hmoRZ...
13 hours ago | [YT] | 0
View 0 replies
Biblab Diary
https://youtu.be/4Mu9BPGlXQ4?si=0OEzL...
1 day ago | [YT] | 0
View 0 replies
Biblab Diary
নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ডালিয়াকে তার শ্বাশুড়ি খাদিজা বেগম এক বালতি কাপড় ধুইতে দিয়ে যায়। সকাল থেকে গরমের মধ্যে রান্নাবান্না করে ঘর পরিস্কার করেছে। পেটটা চিনচিন ব্যাথা করছে। ১০ টা বাজে কিন্তু এখনো এক দানা পেটে পরেনি।
ডালিয়া ক্লান্ত কন্ঠে বলে
" মা আমি খাবার খেয়ে নিই, তারপর কাপড় গুলো ধুয়ে দিব। "
খাদিজা বেগম কর্কশ গলায় বলেন
" এতো আইলশামী করো কেন বউ, খাইলে তোমার শইল ভারী ওইয়া যাইব আর কাম করতা পারতা না, এক্ষনই যাও কাপড় কয়ডা ধুইয়া মেইলা দেও। দেরি করলে কাপড় শুকাইতো না, রইদ পইরা যাইবো । "
" মা আমার শরীল টা আজকে ভালো লাগছে না পেটটা ব্যাথা করছে। "
" একদম বাহানা করবা না, পোলা মাইয়া আমরাও পয়দা করছি। এমন সময় কাম কাজ করলে তোমার শরীলের লাইগাই বালা, কাম কাজ না করলে শইল ভারী ওইয়া যাইবো। আমি পোয়াতি আছিলাম বালা ১০ জনের কাম একলাই করছি। "
ডালিয়া আর কিছু না বলে চুপচাপ কাপড় ধুইতে যায়।
৫ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ডালিয়া। ' নুসরাত জাহান ডালিয়া ', বাবার আদরের ছোট্ট পরী তাই উনার পছন্দের ফুলের নামের সাথে মিল রেখেই নাম করণ করা হয়েছে । বাবা 'নেওয়াজ মুর্শেদ' কলেজের প্রফেসর। তিন ভাই ভালো মানের চাকরি করে, বোনের ভালো জায়গায় বিয়ে হয়েছে। ঢাকায় তাদের নিজস্ব বাসাবাড়ি। উচ্চবিত্ত বলা চলে। বাড়ি থাকতে এক গ্লাস পানি গড়িয়ে খেতে হয়নি ওর।খেতে না চাইলে মা মুখে তুলে খাইয়ে দিত। আর সেই সুখের জীবনে ভালোবাসা নামক অনুভূতিটা এসে সব কিছু উলোটপালোট করে দিল। আনিস নামক একটা ব্যাকার ছেলে যাকে মন দিয়ে বসেছিল ডালিয়া। বাবা ভাইয়ের পছন্দ হলো না আনিসকে। তারা এই ছেলের কাছে বিয়ে দিবে না তাদের আদরের দোলালিকে। তাদের মতোই একটা উচ্চবিত্ত পরিবারে ঠিক করলো ডালিয়ার বিয়ে। নিজের ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ভয়ে বিয়ের আসর থেকে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে আসলো অচেনা শহরে, অচেনা মানুষের ভীরে, ভালোবাসা টানে। বাবা স্ট্রোক করেছিল ডালিয়া পালিয়ে আসবার পরে, ভাইয়েরা তাকে অনেক বুঝিয়ে বাড়ি নিবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সার্থপর ডালিয়ার কাছে ১৯ বছরের স্নেহ ভালোবাসার থেকে কদিনের চেনা ভালোবাসাই বড়, বাবাকে দেখার জন্যও যায়নি সে। এর পর থেকে বাবার বাড়ির আর কেউ খুঁজ নেয়নি ডালিয়ার,ওদের জন্য ডালিয়া মৃত । ডালিয়া নিজে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলেও ওরা এড়িয়ে গেছে।
ডালিয়ার বিয়ের দুইবছর পার হয়ে গেছে, আনিস যখন ব্যাকার ছিল টিউশনি করে যা রোজগার করতো তা দিতেই টেনেটুনে সংসার চালিয়ে নিতো ডালিয়া, স্বামী শাশুড়ী আর ডালিয়া এই তিনজনের সংসার। শাশুড়ী যদিও সব সময়েই কড়া স্বভাবের, (ভিতরে একটু নরম) তবে আনিস ডালিয়াকে ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখতো। এতো অভাবের মধ্যোই ডালিয়া খুঁজে নিয়েছিল সুখ।
আনিসের ভালো মানের চাকরি হলো অভাব দূর হলো সেই সাথে পরিবর্তন হলো আনিসের ভালোবাসা।
সংসারের কাজ করতে করতে ডালিয়ার আর আগের মতো রুপ জৌলুশ নেই কেমন যেন ফিকে হয়ে গেছে। আনিস ডালিয়ার চেহারা নিয়ে এখন কথা শুনায়।
যখন আনিস জানতে পারে ডালিয়া সন্তান সম্ভবা তখন কতবার বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে চেয়েছে ও নাকি এখন বাচ্চার জন্য তৈরি না কিন্তু ডালিয়া পারেনি নিজের ভালোবাসার চিহ্নকে মুছে ফেলতে, পারেনি স্বামীর বাধ্য বউ হতে সেই থেকে তাদের সংসারে জগরা অশান্তি লেগেই আছে। এই অবস্থায় আনিস বহুবার হাত পর্যন্ত তুলেছে ডালিয়ার গায়ে সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যেই এক্সট্রা কেয়ার দরকার তা ডালিয়া পায় এই না উল্টে সাত বাদির কাজ একা হাতে করে। মাঝেমধ্যে শাশুড়ী হাত লাগায়,তবে উনি একদিন কাজ করলে দশ দিন উনার নাকি শরীল ব্যাথা করে।
এইতো কয়দিন আগে, ডালিয়া পেট ব্যাথায় কাতরাচ্ছিল আনিস এসে ডালিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় কিন্তু ডালিয়া বারন করে দেয়, এই সময়ে ইন্টিমেট হলে বাচ্চারও ক্ষতি হয়। আনিস তবুও জেদ ধরে সে শারীরিক সম্পর্ক করবে, ডালিয়া নানান ভাবে বুঝায় তবুও আনিস জোর করে ইন্টিমেট হতে নিলে ডালিয়া আনিসকে একটা থাপ্পড় মারে। আনিসে মাথায় রক্ত উঠে যায়, বিপরীতে সে ডালিয়াকে পশুর মতো মারে। গাল চেপে ধরে বলে
" মা*গি জামাইয়ের খাইশ মিটাইতে পারছ না তাইলে হিজরা হইলেই পারতি৷ "
আনিস তারপর রুম থেকে বের হয়ে চলে যায়। ডালিয়া সারারাত কান্না করে।সেদিনের মারের দাগ এখনো আছে।
কাপড় কাচতে কাচতে এইসব ভেবে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো ডালিয়ার চোখ বেয়ে। কাপড় ধুয়া শেষে বালতি হাতে নিয়ে এক পা এগুলেই ধপাশ করে পরে যায়, ফ্লোরে হয়তো বেখেয়ালে সাবানের গুড়া পরে গিয়েছিল যার কারনে পিচ্ছিল ।
পরে গিয়ে ডালিয়া জোরে চিৎকার দিয়ে বলে
" মাআআআ "
খাদিজা বেগম এক প্রতিবেশীর সাথে গল্পে ব্যাস্ত ছিলেন তাই তিনি ডালিয়ার ডাকে বিরক্ত হয়ে উঠে আসেন, সাথে আসে প্রতিবেশী মহিলাটি।
" কি বউ আবার কি নাটক শুরু করলা "
ডালিয়ার পা বেয়ে রক্ত বের হতে দেখে উনি একটু ভয় পেয়ে যান তারপর ডালিয়াকে কথা শুনিয়ে দেন। এত অসচেতন কেন, একটু সাবধানে কাজ করলেই তো হতো। প্রতিবেশী মহিলাটি উনাকে থামিয়ে বলেন "তারাতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। "
" কি কও,পোলারে না জানাইয়া হাসপাতালে কেমনে লইয়া যামো, ধাই লইয়া আই যাইয়া "
ওদিকে ডালিয়া ব্যাতায় কাতরাচ্ছে, চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরছে। ও কাতর কন্ঠে বলে
" মা আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান।"
খাদিজা বেগম ডালিয়ার দিকে বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে ছেলের ফোনে কল করেন, কিন্তু কল ধরার নাম গন্ধ নেই। শেষে প্রতিবেশী মহিলাটির জোরজবরদস্তির কারনে ডালিয়াকে হাসপাতালে নিতে বাধ্য হন।
ওই মহিলাটি তার ছেলেকে ডেকে এনে ডালিয়াকে নিয়ে গিয়ে সিএনজিতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খাদিজা বেগম কালো মুখ করে ডালিয়ার সাথে যায়।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন
" ইমিডিয়েটলি সিজার করাতে হবে নয়তো মা, বাচ্চা কাউকেই বাঁচানো যাবে না, আপনারা টাকা জমা করে দিবেন "
খাদিজা বেগম কে কিছু বলতে না দিয়েই ডালিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়।কারণ পেশেন্টের কন্ডিশন সিরিয়াস।
এদিকে উনি বাহিরে বসে বসে টাকার হিসেব খষচে, আনিস কি এতো টাকা খরচ করবে, ডালিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে শুনলে নিশ্চয়ই আনিস রাগ করবে।
ওদিকে আনিস লাঞ্চ টাইমে ফোন হাতে নিয়ে দেখে মায়ের অনেকগুলো কল এসেছে, সে কল ব্যাক করে। খাদিজা বেগম আনিসকে সব খুলে বলে। আনিস যেন এখনি হাসপাতালে আসে। আনিস মায়ের উপর ক্ষেপে বলে
" হসপিটালে নিয়ে গেলে কেন? এখন কতগুলো টাকা যাবে হিসেব আছে তোমার? "
" আমি আনতে চাইনি বাবা ওই.... "
খাদিজা বেগমের কথা শেষ হওয়ার আগেই আনিস কল কেটে দেয়।
বসের থেকে ছুটি নিয়ে চলে যায় হসপিটালে। আনিস হসপিটালে যেয়ে দেখে মা অপারেশন থিয়েটারের সামনে বসে আছে,আনিসও গিয়ে মায়ের পাশে বসে। মাকে জিজ্ঞেস করে
" টাকা জমা করেছো? "
" না, আমি টেহা কই থাইকা পামু। "
" টাকা ছাড়াই ওরা সিজারে নিয়ে গেল? আশ্চর্য! "
ডালিয়াকে একজন মহিলা ডাক্তার সিজার করেন,ওই মহিলাটি ডালিয়ার বড় বোনের ননদ, 'নাসিমা জাহান' উনি ডালিয়াকে চেনে তাই টাকার অপেক্ষা না করে ডালিয়াকে সিজার করতে নিয়ে যায়।
#অনিন্দিতা
#ফৌজিয়া_কবির
#পর্ব_০১
সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
youtube.com/playlist?list=PL4...
4 days ago (edited) | [YT] | 8
View 0 replies
Biblab Diary
দীর্ঘ সাত বছর পর মির্জা বাড়ির দোড়গোড়ায় পা রাখলো বড় ছেলে #আব্রাহাম মির্জা তূর্য।
অচেনা-পরিচিতের মতো তাকে দেখে চমকে উঠলো সকলে। এই বাড়ির লোকজন বহুবার তার ফিরে আসার আশায় বুক বেঁধেছিল, অগণিতবার ফোন মেসেজ করা হয়েছিলো তাকে—কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। যেন সাত বছরের এই দূরত্ব শুধু সময় নয়, সম্পর্কের দেয়ালও গড়ে তুলেছিল।
তূর্যের বাড়ি ছাড়ার কারণটা কেউ ভোলেনি। শিশুবিবাহের মতো নিষ্ঠুর এক বাঁধনেই তাকে আটকে ফেলেছিল তার দাদি আমিনা মির্জা। সেদিনের ঘটনা আজও তূর্যের বুক চিরে ওঠে—
মাত্র নয় বছরের শিশু তাসনিম তার চাচাতো বোন, তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিলো,তখন তূর্য একুশ বছরের টকবকে যুবক।
তূর্য হাজারবার প্রতিবাদ করেছিল। অনুনয় করেছিল। কিন্তু দাদি আমিনা মির্জা হলেন গৃহের একচ্ছত্র শাসক। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কথাই উচ্চারণ করার সাহস ছিল না কারো। পরিবারের সবাই নীরব দর্শক। আমিনার কথাই ছিল আইন, আমিনা মির্জার সিদ্ধান্তই ছিল নিয়তি।
সেই অমানবিক ঘটনার পর ক্ষোভে, অভিমানে, বেদনায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল তূর্য। শুধু বাড়ি নয়, ছেড়েছিল গোটা দেশকেই।
বিদেশে গিয়ে গড়েছিল নিজের নতুন জীবন, কিন্তু ভেতরের ক্ষত কোনোদিন শুকোয়নি।
আজ এত বছর পর সে যখন মির্জা বাড়ির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছে, তখন তার পদধ্বনির সঙ্গে মিলেমিশে ভেসে আসছে পুরোনো দিনের দীর্ঘশ্বাস।
খালেদ মির্জার দুই মেয়ে ও এক ছেলে,
আলিয়া মির্জা বড় মেয়ে। বয়স ঊনত্রিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেছে প্রায় চার বছর আগে। শ্যামবর্ণ হলেও মুখশ্রীতে এমন মায়াবী ছটা আছে, যা প্রথম দেখাতেই যে কাউকে আকর্ষণ করে। তার চোখে সবসময় একধরনের শান্ত ভাব খেলে যায়, অথচ সেই শান্ত চাহনির ভেতর লুকিয়ে থাকে গভীর রহস্য। উচ্চতা পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। লম্বা চুল কোমরের কিছুটা উপরে এসে থেমেছে। পরিপাটি, পরিমিতভাষী, আর একরকম ধীর স্থির স্বভাবের জন্য সবাই তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে।
তারপর মেজো তূর্য জীবনের বাঁকগুলো একে একে অতিক্রম করে আজ দাঁড়িয়েছে সাফল্যের শিখরে। দেশে থেকে যাওয়ার পর কিছু পড়াশুনা বাকি ছিলো তা বিদেশেই শেষ করেছে।পড়াশোনা শেষ করেই বিজনেস জগতে ঢুকে পড়ে। বর্তমানে তূর্য একজন সফল বিজনেস ম্যান, আর সেই সাথে একজন সফল সিঙ্গারও। তার গানের সুর ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্ত পেরিয়ে বহু দেশে, বহু মানুষের হৃদয়ে। তূর্য নামটি শুধু একটি নাম নয়, বরং এক অনন্য পরিচয়—সম্মান, ভালোবাসা আর কৃতিত্বের মিশেল।
তবে এই যাত্রায় তূর্য কখনো একা ছিল না। পাশে ছিল তার দুই প্রিয় বন্ধু,আর এক বান্ধবী। যাদের প্রতি তূর্যের ভালোবাসা নিঃশর্ত, প্রাণের সমান। সাফল্যের উজ্জ্বল আলোয় দাঁড়িয়েও সে ভুলে যায়নি বন্ধুত্বের সেই বাঁধন, যে বাঁধন তাকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে।
আর আছে ছোট বোন—তুলি মির্জা। বয়স মাত্র তেরো, ক্লাস সেভেনে পড়ে। তবু তার উপস্থিতি যেন আলাদা করে চোখে পড়ে। ফর্সা গায়ের রঙ, কোমরের নিচে নেমে আসা কালো চুল, আর বয়সের তুলনায় লম্বা গড়ন—প্রায় পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি।
ইয়াসিন মির্জার এক ছেলে এক মেয়ে।
ছেলে বড় #জিসান আদিত্য মির্জা। বয়স তেইশ, অনার্সের তৃতীয় বর্ষ পড়ে। লম্বা দেহ, প্রায় পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি, আর ফর্সা রঙে যেন এক আলাদা সৌন্দর্য খেলে যায়। মুখে চাপ দাঁড়ি, তবে তা এলোমেলো নয়—স্টাইল করে রাখা, যা তার ব্যক্তিত্বে আনে এক আধুনিক ঔজ্জ্বল্য। তার চোখে থাকে আত্মবিশ্বাস, ভঙ্গিমায় থাকে দৃঢ়তা। পড়াশোনার চাপ সামলেও জিসান যেন সবসময় সবার ভরসার জায়গা, পরিবারের স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণ।
আর ছোট মেয়ে, পরিবারের সব থেকে আদরের সদস্য #মাবিহা মির্জা তাসনিম। বয়স মাত্র সতেরো, সদ্য এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেছে। কিন্তু বয়সের তুলনায় তার সৌন্দর্য যেন অন্যরকম মোহময়। লালচে ফর্সা গায়ের রঙ, মায়াবী চোখদুটি যেন কথা বলে যায় নীরবে। ঠোঁট দুটি গোলাপি, যেন স্বাভাবিকভাবেই লিপবামের কোমল আভা মেখে আছে। চুল নেমে এসেছে হাঁটু পর্যন্ত, আর সিমসাম গড়নের শরীর তাকে করেছে অনন্য সুন্দর। অনেকেই বলে, মাবিহার দিকে একবার তাকালে দ্বিতীয়বার না তাকিয়ে থাকা অসম্ভব। তার সরল হাসি আর স্বপ্নভরা চোখই যেন এই পরিবারের সবচেয়ে কোমল কবিতা।
মির্জা বাড়ির গর্ব, মির্জা বাড়ির প্রাণ—এই পাঁচ রতনই যেন সংসারের আলো-ঝলমলে আকাশের পাঁচটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তূর্য, জিসান, আলিয়া, তাসনিম, তুলি প্রতিটি নামেই ছিলো আলাদা জ্যোতি, আলাদা ভালোবাসা।
কিন্তু হঠাৎ করেই তূর্যের চলে যাওয়াটা যেন সেই আলোকিত আকাশ থেকে এক টুকরো তারাকে ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়ার মতো হলো। তূর্য ছিল ভীষণ চঞ্চল স্বভাবের ছেলে—হাসি, ঠাট্টা, দুষ্টুমি আর প্রাণোচ্ছল কথাবার্তায় সে সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতো। তার উপস্থিতিতে প্রতিটি ঘর, প্রতিটি আঙিনা যেন জীবন্ত হয়ে উঠত। তূর্যের হাসি মানেই ছিল সকালবেলার রোদ, তার দৌড়ঝাঁপ মানেই ছিল উৎসবের কোলাহল।
তবু একদিন হঠাৎই সে যখন চলে গেল, পুরো বাড়িটা যেন নিস্তব্ধ হয়ে গেল। সারা বাড়িতে আর কারও দৌড়ঝাঁপ শোনা যায় না, বারান্দায় আর হঠাৎ করেই ভেসে আসে না গান কিংবা গিটারের সুর। নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকা দেয়ালগুলো যেন প্রতিদিনই তূর্যের জন্য অপেক্ষা করে, আর পরিবারের প্রত্যেকের চোখে লুকিয়ে থাকে এক অদৃশ্য শূন্যতা।
তূর্য যেন শুধু একজন নয়, পুরো বাড়ির প্রাণভোমরা ছিল। তার না থাকার যন্ত্রণা মির্জা পরিবারের প্রত্যেকের হৃদয়কে করে তুলেছিল ভারী।
সাত দীর্ঘ বছর পর যখন তূর্য আবার মির্জা বাড়ির দোরগোড়ায় পা রাখলো, তখনকার সেই চঞ্চল, দুষ্টুমিভরা ছেলেটিকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না কেউ। সময় যেন তাকে পাল্টে দিয়েছে সম্পূর্ণভাবে। এখনকার তূর্য অনেক গম্ভীর, অনেক শান্ত চোখের দৃষ্টি যেন গভীর সমুদ্রের মতো, যেখানে সহজে পৌঁছানো যায় না।
বাদামি রঙের তীক্ষ্ণ চোখখানা তাকালেই কারও বুক কেঁপে ওঠে। গালভর্তি চাপ দাড়ি তাকে এনে দিয়েছে পুরুষালি দৃঢ়তা। লম্বা হয়েছে আরও—এখন সে প্রায় পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি। ফর্সা গায়ের রং যেন আরও ধবধবে হয়েছে, যেন সময় তাকে শুধু প্রাপ্তবয়স্কই করেনি, আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বড় বড় সিল্কি চুলগুলো জেল দিয়ে নিখুঁতভাবে সেট করা, যেন তার পুরো ব্যক্তিত্বেই জ্বলজ্বল করছে এক আভিজাত্য।
#অমর_প্রণয়
#সকল_পর্ব_
#লেখিকা_তাসনিম_তালুকদার_বুশরা
সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
youtube.com/playlist?list=PL4...
1 week ago (edited) | [YT] | 16
View 0 replies
Biblab Diary
https://youtu.be/AzXHTyEIp-Y?si=FPrWb...
1 week ago | [YT] | 0
View 0 replies
Biblab Diary
https://youtu.be/4aChDqRkUm8?si=bdGER...
1 week ago | [YT] | 1
View 0 replies
Biblab Diary
youtube.com/playlist?list=PL1...
1 week ago | [YT] | 0
View 0 replies
Biblab Diary
https://youtu.be/ssX_m6dfgrk?si=6z7Ol...
2 weeks ago | [YT] | 0
View 0 replies
Biblab Diary
https://youtu.be/H9pMO07fZ8o?si=a8moy...
2 weeks ago | [YT] | 1
View 0 replies
Biblab Diary
সকালের সূর্যটা অনেক আগেই পূর্ব আকাশে মুখ তুলেছে। চারদিকে ব্যস্ততা, শহরের কোলাহল—সব কিছুই যেন জেগে উঠেছে। শুধু ঘরে এখনও ঘুমের রাজ্য ছড়িয়ে আছে নয়ন তারা।
হঠাৎ করেই এক মায়ের কণ্ঠে ভেসে এলো ঝাঁঝালো ডাকে -
— "এই নয়ন , ঘুম থেকে উঠ! সকাল ১০টা বাজে, এখনো ঘুমাচ্ছিস!"
চাদরের ভেতর থেকে বিরক্ত মুখে নয়নতারা মুখ বাড়িয়ে বলে,
— "আহ্ আম্মু, আরেকটু ঘুমাতে দাও না।"
আসিয়া মির্জা আবার রাগী কন্ঠে বলে উঠে
— "আর একটুও না, অনেক হয়েছে। আজ তোর ভার্সিটির ছুটি বলে এই না যে তুই ঘুমে শহীদ হবি!"
— "আহ্! ছুটির দিন বলে একটু শান্তিতে ঘুমাতেও তো দিলেন না!"
মুখ ফুলিয়ে নয়নতারা ফ্রেশ হতে গেল।
নয়নতারা, বাবার আদরের মেয়ে, ভাইয়ের আদরের বোন। স্বভাবতই চঞ্চল, তবে সেটা শুধু প্রিয় মানুষদের কাছে। তার বাবা আশরাফুল মির্জা আর মায়ের নাম আসিয়া মির্জা। নয়নতারার বড় ভাই আদনান মির্জা—ব্যবসায়ী, সুদর্শন, আর হয়তো একটু অলসও।তবে —এই গল্পের দ্বিতীয় হিরো তিনিই।
তার বাবা আশরাফুল মির্জা ও তার বাবার বন্ধু রফিক চৌধুরী যুগ যুগের বন্ধু। তারা একসঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, আর এখন তা রীতিমতো বড়সড় এক সাম্রাজ্য। চাইলেই তারা ভাগ করে নিতে পারতেন সেই ব্যবসার মালিকানা। কিন্তু না, বন্ধুত্বের চেয়ে বড় কিছু নেই তাদের কাছে।
ডাইনিং টেবিলে এসে নয়নতারা জিজ্ঞেস করলো,
— "আম্মু, আব্বু কই?"
— "তোমার আব্বু অনেকক্ষণ আগেই নাস্তা করে অফিস চলে গেছে। আর তুমি এই বেলা ঘুমিয়ে ওঠার পর জিজ্ঞেস করছো!"
— "ভাইয়া অফিসে গেলো না?"
— "আজ তো সরকারি ছুটি। ওর তো বিশ্রাম দরকার।"
— "তাহলে বাবারা কী করে? তারাও তো কাজ করেন। তাদের বিশ্রাম দরকার নেই?" নয়নতারার কণ্ঠে রাগ।
এইসব বলতে বলতে নয়নতারা পা টিপে টিপে ভাইয়ের রুমে যায়। বিছানায় উল্টে পড়ে থাকা আদনানকে দেখে বলল,
— "এই ভাইয়া, দশটা বেজে গেছে! উঠো বলছি!"
— "তুই তো এখন উঠলি, আবার আমায় জ্ঞান দিচ্ছিস?" ঘুমে ঢুলুঢুলু কণ্ঠে জবাব দেয় আদনান।
নয়নতারা দমবার পাত্রী নয়।
— “যা, আমাকে ঘুমাতে দে।” — বলে আবার চোখ বন্ধ করে দিল আদনান।
কিছুক্ষণ নীরবতা... তারপর হঠাৎ নয়নতারা এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি এনে ঢেলে দিল ভাইয়ের উপর!
আদনান চমকে উঠে বললো, “এই! এটা কি করলি তুই?!”
— “ভালোই করেছি! আমাকে উঠিয়ে দিবি আর নিজে ঘুমাবি? সেটা তো আমি হতে দিবো না!”
আদনান রাগী কন্ঠে বলে উঠে
"আজ তোকে আমার হাত থেকে কে বাচায় সেটা শুধু দেখবো। "
" তারজন্য আমি দাঁড়িয়ে থাকবো নাকি।"
— নয়নতারা খিলখিলিয়ে হেসে পালালো। নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো। আদনান চিৎকার করে উঠলো—
— “আজ তুই রুম থেকে বের হলেই তোকে দেখে নিচ্ছি!”
— “তাহলে দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকো।”
— ভেতর থেকে নয়নতারা মজা করেই বললো।
*---*---
ঠিক তখনই নয়নতারার মোবাইলে ফোন এল। ওপাশ থেকে চেনা কণ্ঠ—
— “এই ননদ, কেমন আছিস?” — ফোনের ওপাশে খুশি, নয়নতারার বেস্ট ফ্রেন্ড, এবং গল্পের দ্বিতীয় হিরোইন। খুশি, রফিক চৌধুরীর মেয়ে, আদনানকে অনেক ভালোবাসে, কিন্তু কখনো প্রকাশ করেনি।
— “তুই আমার সাথে কথা বলিস না।” — নয়নতারা হঠাৎ রেগে গেল।
— “কেন রে, কি হয়েছে?” — খুশি অবাক।
— “তুই যে ভাবে এগুচ্ছিস, মনে হয় পরে আমাকে কেউ আর ‘ননদ’ বলবে। তখন কান্না কেটে লাভ হবে না।”
— “না-আ-আ-আ! এটা হতে পারে না! আমার জামাই যদি অন্য কারো হয়, আমার কি হবে গো!” — খুশির নাটক শুরু।
- "এই ড্রামা কুইন ড্রামা বন্ধ কর। যা করার তারাতাড়ি কর আমি আব্বু আম্মু কে ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে কথা বলতে শুনেছি । পড়ে কিন্তু কপাল চাপরেও কোন কাজ হবে না।"
অবশ্যই! নিচে তোমার দেওয়া সংলাপগুলোর ভিত্তিতে উপন্যাসধর্মী রূপান্তর দেওয়া হলো। সংলাপধর্মী ভঙ্গিমা বজায় রেখেও বর্ণনা এবং উপন্যাসের ধাঁচে উপস্থাপন করা হয়েছে:
---
উপন্যাসের নামঃ “নয়নতারার নীরবতা”
"তোর বিয়েটা আগে হলে ভালো হতো," হেসে বলল খুশি, চোখে মুখে একরাশ হাসি।
"তাহলে তো আমাকে এত টেনশন করতে হতো না।"
নয়নতারার মুখ গম্ভীর হয়ে উঠলো, "তুই তো শত্রুর থেকেও ভয়ংকর। এসব কথা তুই কীভাবে বলতে পারিস! আচ্ছা বাদ দে, এবার বল ফোন দিলি কেন?"
খুশির সোজা সাপটা জবাব দিলো "তিন দিন পর ভাইয়ার জন্মদিন। আর ভাইয়াও সেদিন দেশে ফিরছে। আমরা একটা বড় পার্টির আয়োজন করেছি। তোদের ইনভাইট করতে আমি আর আম্মু আসবো।"
"ওহ, তোর সেই পাট কাঠির মতো ভাইটা?" নয়নতারা বাঁকা হাসলো।
খুশি গম্ভীর হয়ে বলল"দশ বছর হয়ে গেছে তুই আমার ভাইয়াকে দেখিসনি, তাই এটা বলছিস। এখন যদি দেখিস, প্রেমে পড়ে যাবি।"
"হয়েছে, আর বলতে হবে না। "
"আচ্ছা, বায়।"
"বায়।"
---
গল্পঃ #গোপনে_ভালোবেসে_যাবো
লিখিকাঃ #জান্নাতুল_ফেরদৌসি_রিয়া
পর্ব-১
সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
youtube.com/playlist?list=PL4...
2 weeks ago (edited) | [YT] | 9
View 0 replies
Load more