সকালের সূর্যটা অনেক আগেই পূর্ব আকাশে মুখ তুলেছে। চারদিকে ব্যস্ততা, শহরের কোলাহল—সব কিছুই যেন জেগে উঠেছে। শুধু ঘরে এখনও ঘুমের রাজ্য ছড়িয়ে আছে নয়ন তারা।
— "আর একটুও না, অনেক হয়েছে। আজ তোর ভার্সিটির ছুটি বলে এই না যে তুই ঘুমে শহীদ হবি!"
— "আহ্! ছুটির দিন বলে একটু শান্তিতে ঘুমাতেও তো দিলেন না!"
মুখ ফুলিয়ে নয়নতারা ফ্রেশ হতে গেল।
নয়নতারা, বাবার আদরের মেয়ে, ভাইয়ের আদরের বোন। স্বভাবতই চঞ্চল, তবে সেটা শুধু প্রিয় মানুষদের কাছে। তার বাবা আশরাফুল মির্জা আর মায়ের নাম আসিয়া মির্জা। নয়নতারার বড় ভাই আদনান মির্জা—ব্যবসায়ী, সুদর্শন, আর হয়তো একটু অলসও।তবে —এই গল্পের দ্বিতীয় হিরো তিনিই।
তার বাবা আশরাফুল মির্জা ও তার বাবার বন্ধু রফিক চৌধুরী যুগ যুগের বন্ধু। তারা একসঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, আর এখন তা রীতিমতো বড়সড় এক সাম্রাজ্য। চাইলেই তারা ভাগ করে নিতে পারতেন সেই ব্যবসার মালিকানা। কিন্তু না, বন্ধুত্বের চেয়ে বড় কিছু নেই তাদের কাছে।
ডাইনিং টেবিলে এসে নয়নতারা জিজ্ঞেস করলো, — "আম্মু, আব্বু কই?"
— "তোমার আব্বু অনেকক্ষণ আগেই নাস্তা করে অফিস চলে গেছে। আর তুমি এই বেলা ঘুমিয়ে ওঠার পর জিজ্ঞেস করছো!"
— "ভাইয়া অফিসে গেলো না?"
— "আজ তো সরকারি ছুটি। ওর তো বিশ্রাম দরকার।"
— "তাহলে বাবারা কী করে? তারাও তো কাজ করেন। তাদের বিশ্রাম দরকার নেই?" নয়নতারার কণ্ঠে রাগ।
এইসব বলতে বলতে নয়নতারা পা টিপে টিপে ভাইয়ের রুমে যায়। বিছানায় উল্টে পড়ে থাকা আদনানকে দেখে বলল,
— "এই ভাইয়া, দশটা বেজে গেছে! উঠো বলছি!"
— "তুই তো এখন উঠলি, আবার আমায় জ্ঞান দিচ্ছিস?" ঘুমে ঢুলুঢুলু কণ্ঠে জবাব দেয় আদনান।
নয়নতারা দমবার পাত্রী নয়।
— “যা, আমাকে ঘুমাতে দে।” — বলে আবার চোখ বন্ধ করে দিল আদনান।
কিছুক্ষণ নীরবতা... তারপর হঠাৎ নয়নতারা এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি এনে ঢেলে দিল ভাইয়ের উপর!
আদনান চমকে উঠে বললো, “এই! এটা কি করলি তুই?!”
— “ভালোই করেছি! আমাকে উঠিয়ে দিবি আর নিজে ঘুমাবি? সেটা তো আমি হতে দিবো না!”
আদনান রাগী কন্ঠে বলে উঠে
"আজ তোকে আমার হাত থেকে কে বাচায় সেটা শুধু দেখবো। "
" তারজন্য আমি দাঁড়িয়ে থাকবো নাকি।"
— নয়নতারা খিলখিলিয়ে হেসে পালালো। নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো। আদনান চিৎকার করে উঠলো—
— “আজ তুই রুম থেকে বের হলেই তোকে দেখে নিচ্ছি!”
— “তাহলে দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকো।”
— ভেতর থেকে নয়নতারা মজা করেই বললো। *---*---
ঠিক তখনই নয়নতারার মোবাইলে ফোন এল। ওপাশ থেকে চেনা কণ্ঠ—
— “এই ননদ, কেমন আছিস?” — ফোনের ওপাশে খুশি, নয়নতারার বেস্ট ফ্রেন্ড, এবং গল্পের দ্বিতীয় হিরোইন। খুশি, রফিক চৌধুরীর মেয়ে, আদনানকে অনেক ভালোবাসে, কিন্তু কখনো প্রকাশ করেনি।
— “তুই আমার সাথে কথা বলিস না।” — নয়নতারা হঠাৎ রেগে গেল।
— “কেন রে, কি হয়েছে?” — খুশি অবাক।
— “তুই যে ভাবে এগুচ্ছিস, মনে হয় পরে আমাকে কেউ আর ‘ননদ’ বলবে। তখন কান্না কেটে লাভ হবে না।”
— “না-আ-আ-আ! এটা হতে পারে না! আমার জামাই যদি অন্য কারো হয়, আমার কি হবে গো!” — খুশির নাটক শুরু।
- "এই ড্রামা কুইন ড্রামা বন্ধ কর। যা করার তারাতাড়ি কর আমি আব্বু আম্মু কে ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে কথা বলতে শুনেছি । পড়ে কিন্তু কপাল চাপরেও কোন কাজ হবে না।"
অবশ্যই! নিচে তোমার দেওয়া সংলাপগুলোর ভিত্তিতে উপন্যাসধর্মী রূপান্তর দেওয়া হলো। সংলাপধর্মী ভঙ্গিমা বজায় রেখেও বর্ণনা এবং উপন্যাসের ধাঁচে উপস্থাপন করা হয়েছে:
---
উপন্যাসের নামঃ “নয়নতারার নীরবতা”
"তোর বিয়েটা আগে হলে ভালো হতো," হেসে বলল খুশি, চোখে মুখে একরাশ হাসি। "তাহলে তো আমাকে এত টেনশন করতে হতো না।"
নয়নতারার মুখ গম্ভীর হয়ে উঠলো, "তুই তো শত্রুর থেকেও ভয়ংকর। এসব কথা তুই কীভাবে বলতে পারিস! আচ্ছা বাদ দে, এবার বল ফোন দিলি কেন?"
খুশির সোজা সাপটা জবাব দিলো "তিন দিন পর ভাইয়ার জন্মদিন। আর ভাইয়াও সেদিন দেশে ফিরছে। আমরা একটা বড় পার্টির আয়োজন করেছি। তোদের ইনভাইট করতে আমি আর আম্মু আসবো।"
"ওহ, তোর সেই পাট কাঠির মতো ভাইটা?" নয়নতারা বাঁকা হাসলো।
খুশি গম্ভীর হয়ে বলল"দশ বছর হয়ে গেছে তুই আমার ভাইয়াকে দেখিসনি, তাই এটা বলছিস। এখন যদি দেখিস, প্রেমে পড়ে যাবি।"
Biblab Diary
সকালের সূর্যটা অনেক আগেই পূর্ব আকাশে মুখ তুলেছে। চারদিকে ব্যস্ততা, শহরের কোলাহল—সব কিছুই যেন জেগে উঠেছে। শুধু ঘরে এখনও ঘুমের রাজ্য ছড়িয়ে আছে নয়ন তারা।
হঠাৎ করেই এক মায়ের কণ্ঠে ভেসে এলো ঝাঁঝালো ডাকে -
— "এই নয়ন , ঘুম থেকে উঠ! সকাল ১০টা বাজে, এখনো ঘুমাচ্ছিস!"
চাদরের ভেতর থেকে বিরক্ত মুখে নয়নতারা মুখ বাড়িয়ে বলে,
— "আহ্ আম্মু, আরেকটু ঘুমাতে দাও না।"
আসিয়া মির্জা আবার রাগী কন্ঠে বলে উঠে
— "আর একটুও না, অনেক হয়েছে। আজ তোর ভার্সিটির ছুটি বলে এই না যে তুই ঘুমে শহীদ হবি!"
— "আহ্! ছুটির দিন বলে একটু শান্তিতে ঘুমাতেও তো দিলেন না!"
মুখ ফুলিয়ে নয়নতারা ফ্রেশ হতে গেল।
নয়নতারা, বাবার আদরের মেয়ে, ভাইয়ের আদরের বোন। স্বভাবতই চঞ্চল, তবে সেটা শুধু প্রিয় মানুষদের কাছে। তার বাবা আশরাফুল মির্জা আর মায়ের নাম আসিয়া মির্জা। নয়নতারার বড় ভাই আদনান মির্জা—ব্যবসায়ী, সুদর্শন, আর হয়তো একটু অলসও।তবে —এই গল্পের দ্বিতীয় হিরো তিনিই।
তার বাবা আশরাফুল মির্জা ও তার বাবার বন্ধু রফিক চৌধুরী যুগ যুগের বন্ধু। তারা একসঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, আর এখন তা রীতিমতো বড়সড় এক সাম্রাজ্য। চাইলেই তারা ভাগ করে নিতে পারতেন সেই ব্যবসার মালিকানা। কিন্তু না, বন্ধুত্বের চেয়ে বড় কিছু নেই তাদের কাছে।
ডাইনিং টেবিলে এসে নয়নতারা জিজ্ঞেস করলো,
— "আম্মু, আব্বু কই?"
— "তোমার আব্বু অনেকক্ষণ আগেই নাস্তা করে অফিস চলে গেছে। আর তুমি এই বেলা ঘুমিয়ে ওঠার পর জিজ্ঞেস করছো!"
— "ভাইয়া অফিসে গেলো না?"
— "আজ তো সরকারি ছুটি। ওর তো বিশ্রাম দরকার।"
— "তাহলে বাবারা কী করে? তারাও তো কাজ করেন। তাদের বিশ্রাম দরকার নেই?" নয়নতারার কণ্ঠে রাগ।
এইসব বলতে বলতে নয়নতারা পা টিপে টিপে ভাইয়ের রুমে যায়। বিছানায় উল্টে পড়ে থাকা আদনানকে দেখে বলল,
— "এই ভাইয়া, দশটা বেজে গেছে! উঠো বলছি!"
— "তুই তো এখন উঠলি, আবার আমায় জ্ঞান দিচ্ছিস?" ঘুমে ঢুলুঢুলু কণ্ঠে জবাব দেয় আদনান।
নয়নতারা দমবার পাত্রী নয়।
— “যা, আমাকে ঘুমাতে দে।” — বলে আবার চোখ বন্ধ করে দিল আদনান।
কিছুক্ষণ নীরবতা... তারপর হঠাৎ নয়নতারা এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি এনে ঢেলে দিল ভাইয়ের উপর!
আদনান চমকে উঠে বললো, “এই! এটা কি করলি তুই?!”
— “ভালোই করেছি! আমাকে উঠিয়ে দিবি আর নিজে ঘুমাবি? সেটা তো আমি হতে দিবো না!”
আদনান রাগী কন্ঠে বলে উঠে
"আজ তোকে আমার হাত থেকে কে বাচায় সেটা শুধু দেখবো। "
" তারজন্য আমি দাঁড়িয়ে থাকবো নাকি।"
— নয়নতারা খিলখিলিয়ে হেসে পালালো। নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো। আদনান চিৎকার করে উঠলো—
— “আজ তুই রুম থেকে বের হলেই তোকে দেখে নিচ্ছি!”
— “তাহলে দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকো।”
— ভেতর থেকে নয়নতারা মজা করেই বললো।
*---*---
ঠিক তখনই নয়নতারার মোবাইলে ফোন এল। ওপাশ থেকে চেনা কণ্ঠ—
— “এই ননদ, কেমন আছিস?” — ফোনের ওপাশে খুশি, নয়নতারার বেস্ট ফ্রেন্ড, এবং গল্পের দ্বিতীয় হিরোইন। খুশি, রফিক চৌধুরীর মেয়ে, আদনানকে অনেক ভালোবাসে, কিন্তু কখনো প্রকাশ করেনি।
— “তুই আমার সাথে কথা বলিস না।” — নয়নতারা হঠাৎ রেগে গেল।
— “কেন রে, কি হয়েছে?” — খুশি অবাক।
— “তুই যে ভাবে এগুচ্ছিস, মনে হয় পরে আমাকে কেউ আর ‘ননদ’ বলবে। তখন কান্না কেটে লাভ হবে না।”
— “না-আ-আ-আ! এটা হতে পারে না! আমার জামাই যদি অন্য কারো হয়, আমার কি হবে গো!” — খুশির নাটক শুরু।
- "এই ড্রামা কুইন ড্রামা বন্ধ কর। যা করার তারাতাড়ি কর আমি আব্বু আম্মু কে ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে কথা বলতে শুনেছি । পড়ে কিন্তু কপাল চাপরেও কোন কাজ হবে না।"
অবশ্যই! নিচে তোমার দেওয়া সংলাপগুলোর ভিত্তিতে উপন্যাসধর্মী রূপান্তর দেওয়া হলো। সংলাপধর্মী ভঙ্গিমা বজায় রেখেও বর্ণনা এবং উপন্যাসের ধাঁচে উপস্থাপন করা হয়েছে:
---
উপন্যাসের নামঃ “নয়নতারার নীরবতা”
"তোর বিয়েটা আগে হলে ভালো হতো," হেসে বলল খুশি, চোখে মুখে একরাশ হাসি।
"তাহলে তো আমাকে এত টেনশন করতে হতো না।"
নয়নতারার মুখ গম্ভীর হয়ে উঠলো, "তুই তো শত্রুর থেকেও ভয়ংকর। এসব কথা তুই কীভাবে বলতে পারিস! আচ্ছা বাদ দে, এবার বল ফোন দিলি কেন?"
খুশির সোজা সাপটা জবাব দিলো "তিন দিন পর ভাইয়ার জন্মদিন। আর ভাইয়াও সেদিন দেশে ফিরছে। আমরা একটা বড় পার্টির আয়োজন করেছি। তোদের ইনভাইট করতে আমি আর আম্মু আসবো।"
"ওহ, তোর সেই পাট কাঠির মতো ভাইটা?" নয়নতারা বাঁকা হাসলো।
খুশি গম্ভীর হয়ে বলল"দশ বছর হয়ে গেছে তুই আমার ভাইয়াকে দেখিসনি, তাই এটা বলছিস। এখন যদি দেখিস, প্রেমে পড়ে যাবি।"
"হয়েছে, আর বলতে হবে না। "
"আচ্ছা, বায়।"
"বায়।"
---
গল্পঃ #গোপনে_ভালোবেসে_যাবো
লিখিকাঃ #জান্নাতুল_ফেরদৌসি_রিয়া
পর্ব-১
সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
youtube.com/playlist?list=PL4...
2 weeks ago (edited) | [YT] | 9