নমস্কার বন্ধুরা 🙏 আমি মন্দিরা, ছোট্ট থেকে গ্রামের পরিবেশে বড়ো হয়েছি এখন গ্রামের সাধারণ গৃহবধূ বলতে পারো, ছোটবেলা থেকেই গ্রামের পরিবেশকে বড্ড ভালোবাসি, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা কার না থাকে বলো, ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম এ এসেছি একটু নিজের পায়ে যদি দাঁড়াতে পারি সেই আশায় ,, এখন আমার ছোট্ট একটা বাচ্চাও আছে,,যতটুকু পারি আমার lifestyle vlog আর গাছপালা ভীষণ ভালোবাসি ওই জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ও গাছপালার সৌন্দর্য যত্ন নিয়ে ভিডিও বানাই আর যা যা আমার ভালো লাগে তাই তাই তোমাদের সাথে শেয়ার করি ,, মনে অনেকটা আশা নিয়েএই প্লাটফর্মে আমি এসেছি এবং ধৈর্য নিয়ে কন্টিনিউ কাজ আমি করে যাচ্ছি,, তোমাদেরকে একটাই কথা বলার তোমাদের যদি আমার ভিডিও দেখতে ভালো লাগে তাহলে আমার চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করে পাশে থেকো,, কারণ তোমাদের সাপোর্ট ছাড়া কোন কিছুই হবার নয়,,আমাকে একটু ভালোবাসা দিও যাতে করে আমার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্নটা পূরণ হয়, গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলছি হয়তো আমার স্বপ্নটা একদিন পূরণ হবে আশায়, পাশে থেকো বন্ধুরা ,, তোমাদেরকে অনেক ধন্যবাদ,,🙏🤗
For Business contact
Email- mandirad71@gmail.com
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
এরপর আমাদের ভালোবাসা যেন একটু একটু করে রঙ গাঢ় করতে লাগলো।
ভেতরকার মানুষটা হঠাৎ করে খুব বাস্তব হয়ে উঠছিল,
আর আমার মন শুধু একটা কথাই বলছিল
ওকে সামনে দেখতে চাই।
দিনকালের পরিকল্পনা, ছোট ছোট সাহস,
আর অবশেষে সেই দিনের ঠিকানাটা চলে এলো।
এটা আমাদের প্রথম দেখা ছিল না
তাই উত্তেজনার সাথে সাথে একটা অদ্ভুত পরিচিতির উষ্ণতাও ছিল।
যেন দুজনই জানি
এই দেখাএটা খুব স্বাভাবিক,
কিন্তু একই সাথে খুব বিশেষও।
আমি একটা ছোট ক্যাফেতে স্পেশাল রুম বুক করেছিলাম।
ভাবছিলাম
ভিড় নেই, শব্দ নেই,
শুধু শান্ত একটা ঘর, যেখানে ওর সামনে বসে
আমি মন খুলে কথা বলতে পারবো।
ওও তার বান্ধবীকে নিয়ে এসেছিল,
তবুও আমার চোখ শুধু একজন মানুষকেই খুঁজছিল।
ও যখন দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল
মনে হলো ঘরটা যেন এক মুহূর্তে আলোয় ভরে গেল।
হাত পা কাঁপছিল,
হৃদস্পন্দন এমন জোরে হচ্ছিল যেন কেউ শুনে ফেলবে,
আমরা একসাথে বসলাম।
কফি এল টেবিলে,
কিন্তু কথা আসলো না আমার মুখে।
হাজার কথার ভিড় মাথায় জমে ছিল,
তবুও কিছুই বলতে পারছিলাম না।
আমি শুধু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম
গভীর, শান্ত, অদ্ভুতভাবে টান আছে এমন চোখ।
ওর চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
ঘরের দেয়াল, টেবিল, কফির কাপ
সব মিলিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো।
থাকলো শুধু একটা মানুষ
আর আমার দৌড়ে চলা হৃদয়।
ও প্রথমে একটু কনফিউজড,
তারপর একটু লজ্জা,
আর শেষে হালকা এক হাসি
যা আমার ভিতরের সব অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
আমি একটু সাহস করে সাদা গোলাপটা বের করলাম।
ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম
ও নিঃশব্দে নিলো।
হয়তো কোনো কথা ছিল না,
কিন্তু সেই নীরব গ্রহণটাই যেন
হাজার কথার চেয়ে বেশি সুন্দর।
তারপর আমি হাত বাড়ালাম
হাতে হাত দাও
ও একটু সংকোচ অনুভব করলো,
সামনে বান্ধবী ছিল,
পরিস্থিতিটা অদ্ভুত নতুন ছিল ওর জন্য।
তবুও ও হালকা করে হ্যান্ডশেক করল।
কিন্তু আমি থামলাম না।
আরও একবার হাত বাড়িয়ে বললাম
হাতে হাত দাও সত্যিকারের।
সেই মুহূর্তটা অন্যরকম ছিল।
ওর মুখে লজ্জার লাল ছটা,
চোখে একটা নরম মায়া
আর ধীরে ধীরে
ও তার হাতটা আমার হাতে রাখলো।
ওই হাতের স্পর্শে
আমার বুকের ভিতর যেন আরেকটা দরজা খুলে গেলো।
আমি বললাম
হাতে হাত রেখে কথা দাও
সারাজীবন থাকবে আমার সাথে।
ও খুব আস্তে, খুব নরম গলায় বললো
থাকবো সারাজীবন।
সেই এক মুহূর্তে
আমি বাস্তবকে ভুলে গেলাম।
ওর হাতের উষ্ণতা,
ওর কণ্ঠের কম্পন,
ওর দেওয়া প্রতিশ্রুতি
সব মিলিয়ে আমাকে
একটা অচেনা, অদ্ভুত, স্বপ্নের মতো জগতে নিয়ে গেল।
ওর হাত যেন নরম, উষ্ণ এক আলো
যা আমার আঙুল বেয়ে, শিরা বেয়ে
সোজা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে গেল।
এক মুহূর্তে বুঝলাম
এই মানুষটা আমার জীবনে
শুধু কেউ একজন নয়,
এ এক অসীম শান্তি,
আর আমার পুরো শরীর যেন কেঁপে উঠল
অনুভূতিতে, ভাবনায়, ভালোবাসায়।
হাতের ভিতর হাতটাকে শক্ত করে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছিল,
কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তের পবিত্র কোমলতাটাও
ভেঙে ফেলতে চাইনি।
মনে হচ্ছিল
সময় থেমে যাক।
ঘড়ির কাঁটা না নড়ুক।
ওর হাতটা যেন আর কখনো আমার হাত থেকে না সরে।
তারপর আমরা কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম।
আমি শুধু ওকে দেখছিলাম
আর ওর চেহারায় যেন
আমার পুরো পৃথিবী লিখে ছিল।
এদিকে সময় যেন খুব তাড়াহুড়ো করছিল।
ও আর তার বান্ধবী টাইম দেখে চিন্তিত হচ্ছিল,
আর আমার মনে হচ্ছিল
প্রতিটা সেকেন্ডই একটা হীরের মতো মূল্যবান।
আমি চাইছিলাম সময়টা থেমে যাক,
ওরা চলে না যাক,
তারপর এলো বিদায়ের মুহূর্ত।
ও দাঁড়াল, হাসল,
হাত নাড়লো
টাটা করলো।
আমিও টাটা করলাম,
কিন্তু মন থেকে বিদায় দিতে পারলাম না।
আমি বসে রইলাম
একটু আরও,
শুধু নিজের ভিতরের ঝড়টা শান্ত করার জন্য।
ঘরটা ফাঁকা হয়ে গেল,
তবুও ওর হাসি,
ওর চোখ,
ওর হাতের স্পর্শ
সব যেন সেখানেই রয়ে গেল।
আর আমি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালাম
একটা নতুন ভালোবাসা নিয়ে,
একটা নতুন ব্যথা নিয়ে,
আর একটা অদ্ভুত শান্তি নিয়ে
যা জীবনে খুব কম মানুষই উপহার দিতে পারে।
আমি ভেবেছিলাম দিনটা এখানেই শেষ নয়,
রাতে আরও কথা হবে,
অনুভূতিগুলো আরও গভীর হবে।
কিন্তু রাত নামতেই
আমার পৃথিবীটা অদ্ভুতভাবে অন্ধকার হয়ে গেল।
আমি মেসেজ করলাম—
সিরিয়াস, নরম, ভালোবাসাভরা কথায়।
ভাবছিলাম সেও নিশ্চয়ই
সেদিনের স্মৃতিতে ডুবে থাকবে।
কিন্তু…
তার প্রথম লাইনটাই
আমার বুকের ভিতরে বজ্রপাতের মতো পড়ল।
ও বলল তোমার একটা ভুল আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে
তোমার আচরণটা আমি মেনে নিতে পারিনি।
আসলে আমি বুঝতেই পারিনি এই বিষয় টা
ওকে কষ্ট দিতে পারে, তবে যাই হোক আমাকে
ভালোবাসে তাই ওটা তার খারাপ লেগেছে,।
ওনার কথা তুমি আমাকে ভুল প্রমাণ করলে
আর মনে রেখো,
তোমার মতো পুরুষ
আমার লাইফে প্রতিদিনই ৩-৪টা আসে।
এই কথাগুলো পড়ার পর
মনে হচ্ছিল মাথার ওপর থেকে আকাশ ভেঙে
সরাসরি আমার হৃদয়ে পড়ে গেল।
এক মুহূর্তে সব হাসি হারিয়ে গেল
সেদিনের স্পর্শ,
সেদিনের কথা,
সেদিনের প্রতিটা সুন্দর মুহূর্ত
এক সেকেন্ডে ধূসর হয়ে গেল।
হঠাৎ মনে হলো
যে হাতটা আমি এত আদরে ধরেছিলাম,
যে মানুষটাকে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জায়গায় রেখেছিলাম,
সেই মানুষটাই আমার হৃদয়কে
চুপচাপ ছুরির মতো কেটে দিল।
আমার বুকের ভেতর
শব্দ হচ্ছিল
তোমার মতো পুরুষ
প্রতিদিনই আসে
এই কথাটা যেন কাঁটার মতো গেঁথে গেল।
মনে হচ্ছিল আমি কোনো বিশেষ মানুষ নই,
তার কাছে আমি আলাদা নই,
আমি শুধু ভিড়ের একজন
একটা সাধারণ নাম,
একটা সাধারণ মুখ।
আর এই চিন্তাটা আমাকে
ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছিল।
মনে হচ্ছিল
শরীরের ভেতর রক্ত জমে যাচ্ছে,
শ্বাস আটকে আসছে,
চোখের ভেতর সবকিছু ঝাপসা।
আমি আগে কখনো এমন ব্যথা পাইনি।
সেদিন মনে হয়েছিল
যদি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চোখ দিয়ে বের হতো,
তাহলে আমার পুরো মুখটাই লাল হয়ে যেত।
আমি সত্যি সহ্য করতে পারছিলাম না।
একবার মনে হলো
বেঁচে থাকারও কোনো মানে নেই।
যে মানুষটাকে জীবনের শ্বাসভরে চাইছিলাম,
সেই মানুষটাই আমাকে তুলনা করে বলল
"তোমার মতো পুরুষ প্রতিদিন আসে।
আমার ভেতরে তখন শুধু একটাই প্রশ্ন
যার হাত ধরে সারা জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেছি,
সে কি সত্যিই আমাকে এমন সাধারণ ভাবে দেখল?
সেদিন সেই রাতে
আমি আধমরা মানুষের মতো হয়ে গিয়েছিলাম।
ঘুম ছিল না, খাবার ছিল না,
শুধু বুকের ভেতর
একটা ভারী পাথর চাপা অনুভূতি
যা আমাকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দিচ্ছিল।
সেই কঠিন কথাটাও শেষ ছিল না।
যখন আমি ভেবেছিলাম
এর চেয়ে বেশি আর ব্যথা হাওয়ার কথা না,
ঠিক তখনই উনি লিখল
তোমার ভালোবাসার পার্সেন্ট কমে গেল।
২০% ছিল… এখন ১০%।
এই কথাটা শুনে
আমার ভিতরের পৃথিবীটা
আরেকবার ভয়ংকরভাবে কেঁপে উঠল।
যে ২০%–কে আমি
পুরো আকাশ ভরা আলো মনে করেছিলাম,
যে ২০%–এর ওপর
আমার পুরো ভালোবাসার ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে ছিল,
সেই ২০% একটা লাইনের মধ্যে
অর্ধেক হয়ে গেল
কোনো সতর্কতা ছাড়াই,
কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই। 😭😭
6 days ago | [YT] | 4
View 3 replies
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
আগে যে পর্যন্ত ছিল তাঁর পর থেকে,,👇👇👇
এরপর থেকে সবকিছুই যেন একটু বদলে গেল।
আগের মতো সাধারণ Good Morning বা ছোট ছোট কথার মধ্যেও একটা আলাদা অনুভূতি জমতে শুরু করলো।
কথা বেশি না হলেও, প্রতিটা শব্দেই যেন একটা মিষ্টি টান ছিল।
ওনার ব্যস্ত দিন, হাজার মানুষ, হাজার কাজ
তারপরও আমার জন্য একটু সময় বের করা
ওটা যেন নীরবে বলছিল
“আমি তোমাকে গুরুত্ব দেই।
আর আমার দিক থেকে?
একটা অদ্ভুত ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা জন্ম নিয়েছিল।
কিন্তু সেটা প্রকাশ করার সাহস ছিল না।
কারণ ভয় ছিল
যদি ভুল বুঝে?
যদি দূরে সরে যায়?
তাই অনুভূতি লুকিয়ে রেখে
আমি শুধু ওনার সাথে থাকা মুহূর্তগুলোকে
আরও একটু, আরেকটু বেশি করে অনুভব করতাম।
ওনার প্রতিটা রিপ্লাই,
ওনার পাঠানো যেকোনো ছবি,
যেকোনো ছোট্ট মেসেজ
আমার কাছে দিনের সবচেয়ে সুন্দর জিনিস হয়ে উঠছিল।
আমি বুঝতে পারছিলাম
ভেতরে ভেতরে কিছু বদলে যাচ্ছে।
কিন্তু তবুও চুপচাপ ছিলাম
না বলা ভালোবাসা আর নীরব অপেক্ষা নিয়ে।
কারণ তখনো আমি শুধু চাইতাম
ওনার সাথে কথা হোক,
ওনার সাথে সময় কাটুক,
আর মনটা ধীরে ধীরে বলছিল
হয়তো এই মানুষটাই সেই যাকে আমি খুঁজছিলাম।
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল,
কিন্তু সেই দিনটা যেন অন্যরকম ছিল।
আমি বাজারে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে।
কাজ শেষ হতেই আমার বন্ধু বললো,
চল, একটু পার্কে হাঁটতে যাই।
আমি ভেবেছিলাম
সাধারণ একটা বিকেল, শুধু একটু বাতাস, একটু কথা।
কিন্তু বুঝিনি ওই ছোট্ট সিদ্ধান্তটাই
ওনার মনে একটু ঝড় তুলবে।
পার্কে গিয়ে
আমি ওনাকে টেক্সট করেছিলাম
পার্কে এসেছি।
উনি শুধু একটা শব্দ লিখলেন
Bah.
আর তারপর নীরবতা।
প্রথমে বুঝতে পারিনি,
ভাবলাম হয়তো উনি ব্যস্ত।
কিন্তু সময় যেতে লাগলো
আকাশের আলো কমলো
বাতাসে সন্ধ্যার গন্ধ নামলো
তবুও উনি আর কোনো মেসেজ দিলেন না।
তখনো বুঝিনি
ওই Bah শব্দটার ভেতরে কতকিছু লুকানো ছিল।
আমি আবার লিখলাম
“আজ আপনি খুব ব্যস্ত?
উনি তখন লিখলেন
“নিজের ভুল অন্যের কাঁধে চাপাবেন না।
এক মুহূর্তে মনটা থেমে গেল।
মনে হচ্ছিল বুকের ভেতর গভীর কিছু গুঁজে বসে গেল।
একটা অদ্ভুত কষ্ট
যেটা ব্যথা নয়
ভালোবাসা জন্মানোর শুরু।
সেদিন প্রথমবার বুঝলাম
ওনার রাগটা আসলে রাগ না,
এটা ছিল
অপেক্ষা,
অন্যরকম যত্ন,
আর একটু অধিকার।
আমি ক্ষমা চাইলাম,
হয়তো শিশুর মতো,
হয়তো ভয় নিয়ে,
হয়তো একটু কাঁপা কণ্ঠে
আর কিছুক্ষণ পর দেখলাম
ওনার রাগটা নরম হয়ে গেল,
একটুকু হাসিতে ভেঙে পড়লো।
সেদিন খুব স্পষ্টভাবে অনুভব করলাম
আমার জন্য উনার মনে কিছু জন্মেছে।
কেউ আমাকে এভাবে অনুভব করার মতন গুরুত্ব দেয়।
হয়তো এই নীরব পথচলার মধ্যে, ভালোবাসা আস্তে আস্তে নিজের জায়গা করে নিচ্ছিল।
একদিন কথার পরিমাণ যেনো অজান্তেই বেড়ে গেল।
ওদিন আমি ধর্মসভার মধ্যে ছিলাম,
আর টেক্সট এ ওনার সাথে কথা হচ্ছিল
শান্ত, আরামদায়ক, মন ছুঁয়ে যাওয়া কথা।
সময় যাচ্ছিল, অথচ মনে হচ্ছিল
সময় থেমে গেছে কেবল আমাদের দুজনের জন্য।
হঠাৎ কথার মাঝে একটা প্রশ্ন এসে দাঁড়ালো
নরম, সংকোচে মোড়া একটা কথা
“আমাদের সম্পর্কটার নাম কি?”
প্রথমে আমি চুপ হয়ে গিয়েছিলাম।
শব্দ ছিল না, শুধু বুকের ভিতর একটা ধুকপুকানি আর ভয়
যদি ভুল বুঝে?
যদি দূরে চলে যায়?
যদি আমি হারিয়ে ফেলি তাকে, বলা কথার কারণে?
কিন্তু সব ভয় জড়িয়ে,
সব সাহস এক মুহূর্তে তুলে,
আমি শুধু বলেছিলাম
হয়তো এটা ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই না।
বলেছিলাম খুব সাধারণভাবে,
কিন্তু ভেতরে ঝড় চলছিল।
হৃদয়টা কাঁপছিল এত জোরে,
যেনো ওনার উত্তরের আগেই সবকিছু বলে দিচ্ছে।
আর যখন উনি উত্তর দিলেন
হয়তো পুরো প্রপোজাল ছিল না,
কিন্তু ওটা ছিল একটা সবুজ সংকেত
একটা গ্রহণযোগ্যতা
একটা নীরব স্বীকৃতি।
ওই মুহূর্তে আমার ভেতরটা আলোয় ভরে গেল।
ধর্মসভাতে বসে,
সেই শান্ত, শুদ্ধ পরিবেশে
আমি চোখ বন্ধ করে শুধু একটি দোয়া করেছিলাম
আল্লাহ,
যদি সে আমার জন্য লেখা থাকে,
তাহলে তাকে আমার জীবনে রেখো
আর তার হৃদয়ে আমার জন্য ভালোবাসা বাড়িয়ে দাও।
ওইদিন প্রথমবার,
শুধু আমি তাকে ভালোবেসে নয়,
আল্লাহর কাছেও তাকে চেয়েছিলাম।
আর সেই মুহূর্ত থেকে,
ওর নামটা আর শুধু নাম থাকলো না
হয়ে গেলো মনের দোয়া আর হৃদয়ের বিনয়।
ধীরে ধীরে, অজান্তেই,
উনি আমার হৃদয়ের ভেতর একটা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন।
প্রতিদিনের কথা, ছোট ছোট যত্ন,
অল্প কিছু অভিমান
সব মিলিয়ে ওর উপস্থিতি হয়ে উঠছিল অভ্যাসের থেকেও বেশি।
একদিন কথা বলতে বলতে উনি হঠাৎ বললেন
আজ থেকে আমরা তুই করে বলবো।
আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
যে মানুষটাকে আমি এত শ্রদ্ধা করি,
যার প্রতি এত সম্মান আর ভালোবাসা
তাকে তুই বলা যেন অসম্ভব লাগছিল।
মনে হচ্ছিল,
না… এটা বলা আমার পক্ষে কঠিন।
কিন্তু উনি বললেন
তুই মানে অসম্মান না,
তুই মানে খুব আপন।
যখন তুই ছিলি অচেনা, তখন আপনি ছিলি।
এখন তুই আমার খুব কাছের।
ওই কথাগুলো শুনে
মনটা অদ্ভুতভাবে নরম হয়ে গেল।
আমি একটু লজ্জায়,
অল্প থমকে বলেছিলাম
যদি আপনি সত্যিই খুশি হন
তাহলে আমি বলবো।
আর সেই প্রথমবার ওনাকে বলেছিলাম
তুই আমাকে কতটা ভালোবাসিস ?
শেষে হাসতে হাসতে সে উত্তর দিয়েছিল
২০%
অনেকের কাছে এটা কম।
কিন্তু আমার কাছে
ওটা ছিল আকাশ ভরা আলো
কারণ সেই ২০%-এর ভিতরে
সততা ছিল, গ্রহণ ছিল, আর জেনুইন অনুভূতি ছিল।
জীবনটা অদ্ভুত কখনো হাসায়, কখনো ভিজিয়ে দেয়।
পথে পথে মানুষ বদলায়, অনুভূতিও বদলে যায়।
তবুও আমরা চলি, কারণ ভিতরে ছোট্ট একটা আশা থাকে
আগামীকালটা আজকের চেয়ে একটু ভালো হবে।
ঠিক আমার জীবন টাও তেমন, এইভাবে চলতে চলতে উনি আমার জিবনে আসলেন,
তার পর থেকে জীবনটা যেন একটু অন্যরকম।
কিছু পথ সহজ হয়ে গেল, কিছু ব্যথা শব্দ হারাল,
আর আমি শিখলাম কিছু মানুষ চুপচাপই সবকিছু বদলে দেয় ।
আর তার পর থেকে আমার দিনগুলোতে একটুখানি আলো বাড়ল,
যেন অকারণে হাসি পায়, মনটা একটু নরম হয়।
ওনার উপস্থিতি আমার ভেতরের সব অগোছালোকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে দিতে লাগলো।
তার পরে থেকে সবকিছু বদলে গেল অদ্ভুতভাবে
মনে হয় কেউ নীরবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে
কথা না বললেও শান্তি দেয়, কথা বললে আর বেশি শান্তি দেয় ।
দূরে থাকলেও মনকে একটু ভরসা দেয়। যেন কেউ একজন আছে আমার সুখ দুঃখ তে।
1 week ago | [YT] | 6
View 0 replies
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
এটা গল্প না, এটা হচ্ছে,,নীরবে জমে ওঠা অনুভুতি,,
কখনো কখনো কিছু শুরু হয়ে যায় নিজে থেকেই… না বুঝে, না জেনে। আমার অনুভূতির গল্পটাও ঠিক তেমনই । “ওনাকে দেখলেই মনটা হঠাৎ থমকে যায়।
কেন জানি না, কিন্তু মনে হয়
এই মানুষটার উপস্থিতিতেই একটা আলাদা শান্তি আছে।
ওনার মুখের হাসিটা দেখলেই ভিতরটা খুব নরম হয়ে যায়।
যেন অনেকদিনের ক্লান্তি, চিন্তা সব এক মুহূর্তে হালকা 🥰তাই আজ বলি তার শুরুটা কেমন ছিল।🥰 👉সবকিছু একদম অজান্তেই শুরু হয়েছিল।
ওনার কোনো লেখা পড়িনি, কোনো কথা শুনিনি —
শুধু একদিন হঠাৎ নিউজফিডে ওনার একটা ছবি আর রিল ভিডিও চোখে পড়েছিল।
আর সেই মুহূর্তেই যেন কিছু একটা আলাদা অনুভব করলাম।
না জানি কেন, মনে হচ্ছিল এই মানুষটার মধ্যে এক অদ্ভুত শান্তি আর পজিটিভ এনার্জি আছে।
হয়তো ক্যামেরার পেছনের হাসিটা ছিল এত বাস্তব, এত সহজ,
যে সেটা মন ছুঁয়ে গেল প্রথম দিনেই রিকুয়েস্ট দিতে ইচ্ছা হচ্ছিল,
আবার ভাবছিলাম, “না হয়তো ভুল বুঝবে।”
দুই দিন ধরে শুধু সেই প্রোফাইলটা দেখতাম দু’দিন ধরে ভাবছিলাম — রিকুয়েস্ট পাঠাবো কি না।
শেষে মন মানলো না, পাঠিয়ে দিলাম।
ভাবছিলাম, হয়তো একসেপ্ট করবে না…
কিন্তু যেদিন রিকুয়েস্টটা একসেপ্ট করলেন, তখন মনে হচ্ছিল মন থেকে কিছু চাইলে সত্যিই মিলে যায়।
তারপর ধীরে ধীরে কথা হতে লাগলো — খুব অল্প, কিন্তু মিষ্টি কিছু কথা।—
প্রথমে একদম সাধারণ, “good morning”, “খাবার খেয়েছেন?”,
তারপর ধীরে ধীরে মন খুলে বলা শুরু।
ওনার কথা বলার ভঙ্গি, ভদ্রতা,
আর প্রতিটা লাইনে একটা আলাদা সৌন্দর্য —
সেই জায়গাটাই আমাকে টেনে নিয়েছিল।
উনি খুব ব্যস্ত মানুষ — কাজের ভেতরও শান্ত, পরিপাটি, আর দায়িত্বশীল।
ওনার কাজের প্রতি একাগ্রতা আর সম্মান দেখলে সত্যি মনে হতো,
“মানুষটা আলাদা।”
আমি বলেছিলাম, “আপনি আসলেই ভালো মনের মানুষ।”
উনি হেসে বলেছিলেন,
“তিন দিনের চ্যাটে বুঝে ফেললেন?”
সেই মুহূর্তে হাসতে হাসতেই ভেতরে একটা শান্তি নেমে এলো। এইভাবে চলতে থাকে একদিন আমি বলেছিলাম আমি উইশ করি আপনি সবসময় হ্যাপি থাকেন, তখন উনি বলেছিলেন
“আমার তো ১০০ এর মধ্যে ৯০ পারসেন্ট unhappy থাকার কথা,
নিজের চেষ্টায় ৯৫ পারসেন্ট ভালো থাকি,
বাকি ৫ পারসেন্ট কখনো ঠিক হবে না।”
ওই কথাটা শুনে মনটা কেমন যেন চেপে গেল।
চুপচাপ শুধু ভাবছিলাম,
“যদি পারতাম, ওনার ওই ৫ পারসেন্ট কষ্টটুকু মুছে দিতে…”
সেই থেকেই একটা অদ্ভুত টান তৈরি হলো।
মনে হলো — শুধু ভালো লাগা নয়,
এটা যেন একরকম দায়িত্ববোধ, যত্ন, আর শ্রদ্ধা।তারপর এলো সেই দিনটা — মেলায় দেখা হলো প্রথমবার।
ওনাকে যখন প্রথম মেলায় দেখলাম,
মনের ভিতর কেমন অদ্ভুত শান্তি আর আনন্দের ঢেউ উঠেছিল।
চোখে চোখ পড়তেই মনে হলো, সময় যেন থেমে গেছে। এরপর
একসাথে অলিগলি ঘোরা, ট্রয় ট্রেনে চড়া —
সবকিছু যেন একটা ছোট্ট সিনেমার দৃশ্যের মতো লাগছিল।
ভিড়ের মধ্যেও মনে হচ্ছিল সময়টা যেন থেমে আছে।
ওনার হাতের ছোঁয়া লেগেছিল আমার হাতে — এক মুহূর্ত, কিন্তু মনে হলো পুরো দুনিয়া নিঃশব্দ।
উনি যখন হাসছিলেন, তখন সত্যিই মনে হচ্ছিল সেই হাসির জন্যই এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম। উনি আমাকে রেস্টুরেন্ট খাওয়ালেন কিন্তূ আমাকে টাকা দিতে দিলেন না, আমি বলেছিলাম থাক আমি খাওয়াবো, কিন্তূ উনি বলেছিলেন আমি কিন্তূ খুব জেদি, সেই ভয় এ আমি আর চাপ দিয়ে কিছু বলতে পারিনি, ছোট একটা মুহূর্ত, কিন্তু মন ছুঁয়ে গেল।
ওনার মধ্যে এমন একটা যত্ন আছে,
যেটা কথায় বোঝানো যায় না, শুধু অনুভব করা যায়। রেস্টুরেন্ট থেকে আমরা আবার যে যার গন্তব্যে ফিরে গেলাম। এখন প্রতিদিনের শুরুটা ওনাকে একটা “Good Morning” দিয়ে শুরু করতে মন চায়,
আর প্রতিদিনের শেষে শুধু একটা কথাই মনে হয় —
“আপনি থাকুন, যেমন আছেন, আমার happiness হয়েই সারাজীবন।
1 week ago | [YT] | 2
View 0 replies
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
কেমন আছো বন্ধুরা 🥰
1 month ago | [YT] | 2
View 1 reply
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
ভাইফোঁটা 🥰
1 month ago | [YT] | 4
View 1 reply
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
শুভ বিজয়া 🙏
2 months ago | [YT] | 2
View 0 replies
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
আমাদের গ্রামে মনসা পূজায় অনুষ্টানের কিছুটা শর্ট ভিডিও আপলোড করব ,, তোমরা অবশ্যই দেখো বন্ধুরা,, আশা করছি তোমাদের খুব ভালো লাগবে 🙂🙂🙏🙏
4 months ago | [YT] | 10
View 1 reply
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
ভুলে গেছো ?? নাকি মনে আছে বন্ধুগণ 🥰😁
5 months ago | [YT] | 10
View 1 reply
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
আজ শেষ মঙ্গলবারে তোমরা মায়ের পুজো কে কে দিলে ???
7 months ago | [YT] | 3
View 0 replies
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
আবারও একটা নতুন কাজের সাথে যুক্ত হলাম বন্ধুরা 🙂 এবার হয়তো দুএকটা রিলস দিতে পারবো 😁 তোমরা দেখবে তো। ??? 🙃🙃🙃
7 months ago | [YT] | 4
View 2 replies
Load more