এরপর আমাদের ভালোবাসা যেন একটু একটু করে রঙ গাঢ় করতে লাগলো। ভেতরকার মানুষটা হঠাৎ করে খুব বাস্তব হয়ে উঠছিল, আর আমার মন শুধু একটা কথাই বলছিল ওকে সামনে দেখতে চাই।
দিনকালের পরিকল্পনা, ছোট ছোট সাহস, আর অবশেষে সেই দিনের ঠিকানাটা চলে এলো। এটা আমাদের প্রথম দেখা ছিল না তাই উত্তেজনার সাথে সাথে একটা অদ্ভুত পরিচিতির উষ্ণতাও ছিল। যেন দুজনই জানি এই দেখাএটা খুব স্বাভাবিক, কিন্তু একই সাথে খুব বিশেষও।
আমি একটা ছোট ক্যাফেতে স্পেশাল রুম বুক করেছিলাম। ভাবছিলাম ভিড় নেই, শব্দ নেই, শুধু শান্ত একটা ঘর, যেখানে ওর সামনে বসে আমি মন খুলে কথা বলতে পারবো। ওও তার বান্ধবীকে নিয়ে এসেছিল, তবুও আমার চোখ শুধু একজন মানুষকেই খুঁজছিল। ও যখন দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল মনে হলো ঘরটা যেন এক মুহূর্তে আলোয় ভরে গেল। হাত পা কাঁপছিল, হৃদস্পন্দন এমন জোরে হচ্ছিল যেন কেউ শুনে ফেলবে, আমরা একসাথে বসলাম। কফি এল টেবিলে, কিন্তু কথা আসলো না আমার মুখে। হাজার কথার ভিড় মাথায় জমে ছিল, তবুও কিছুই বলতে পারছিলাম না। আমি শুধু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম গভীর, শান্ত, অদ্ভুতভাবে টান আছে এমন চোখ। ওর চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম। ঘরের দেয়াল, টেবিল, কফির কাপ সব মিলিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো। থাকলো শুধু একটা মানুষ আর আমার দৌড়ে চলা হৃদয়। ও প্রথমে একটু কনফিউজড, তারপর একটু লজ্জা, আর শেষে হালকা এক হাসি যা আমার ভিতরের সব অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। আমি একটু সাহস করে সাদা গোলাপটা বের করলাম। ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম ও নিঃশব্দে নিলো। হয়তো কোনো কথা ছিল না, কিন্তু সেই নীরব গ্রহণটাই যেন হাজার কথার চেয়ে বেশি সুন্দর। তারপর আমি হাত বাড়ালাম হাতে হাত দাও ও একটু সংকোচ অনুভব করলো, সামনে বান্ধবী ছিল, পরিস্থিতিটা অদ্ভুত নতুন ছিল ওর জন্য। তবুও ও হালকা করে হ্যান্ডশেক করল। কিন্তু আমি থামলাম না। আরও একবার হাত বাড়িয়ে বললাম হাতে হাত দাও সত্যিকারের। সেই মুহূর্তটা অন্যরকম ছিল। ওর মুখে লজ্জার লাল ছটা, চোখে একটা নরম মায়া আর ধীরে ধীরে ও তার হাতটা আমার হাতে রাখলো। ওই হাতের স্পর্শে আমার বুকের ভিতর যেন আরেকটা দরজা খুলে গেলো। আমি বললাম হাতে হাত রেখে কথা দাও সারাজীবন থাকবে আমার সাথে। ও খুব আস্তে, খুব নরম গলায় বললো থাকবো সারাজীবন।
সেই এক মুহূর্তে আমি বাস্তবকে ভুলে গেলাম। ওর হাতের উষ্ণতা, ওর কণ্ঠের কম্পন, ওর দেওয়া প্রতিশ্রুতি সব মিলিয়ে আমাকে একটা অচেনা, অদ্ভুত, স্বপ্নের মতো জগতে নিয়ে গেল। ওর হাত যেন নরম, উষ্ণ এক আলো যা আমার আঙুল বেয়ে, শিরা বেয়ে সোজা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে গেল। এক মুহূর্তে বুঝলাম এই মানুষটা আমার জীবনে শুধু কেউ একজন নয়, এ এক অসীম শান্তি, আর আমার পুরো শরীর যেন কেঁপে উঠল অনুভূতিতে, ভাবনায়, ভালোবাসায়। হাতের ভিতর হাতটাকে শক্ত করে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তের পবিত্র কোমলতাটাও ভেঙে ফেলতে চাইনি। মনে হচ্ছিল সময় থেমে যাক। ঘড়ির কাঁটা না নড়ুক। ওর হাতটা যেন আর কখনো আমার হাত থেকে না সরে।
তারপর আমরা কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম। আমি শুধু ওকে দেখছিলাম আর ওর চেহারায় যেন আমার পুরো পৃথিবী লিখে ছিল। এদিকে সময় যেন খুব তাড়াহুড়ো করছিল। ও আর তার বান্ধবী টাইম দেখে চিন্তিত হচ্ছিল, আর আমার মনে হচ্ছিল প্রতিটা সেকেন্ডই একটা হীরের মতো মূল্যবান। আমি চাইছিলাম সময়টা থেমে যাক, ওরা চলে না যাক, তারপর এলো বিদায়ের মুহূর্ত। ও দাঁড়াল, হাসল, হাত নাড়লো টাটা করলো। আমিও টাটা করলাম, কিন্তু মন থেকে বিদায় দিতে পারলাম না। আমি বসে রইলাম একটু আরও, শুধু নিজের ভিতরের ঝড়টা শান্ত করার জন্য। ঘরটা ফাঁকা হয়ে গেল, তবুও ওর হাসি, ওর চোখ, ওর হাতের স্পর্শ সব যেন সেখানেই রয়ে গেল। আর আমি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালাম একটা নতুন ভালোবাসা নিয়ে, একটা নতুন ব্যথা নিয়ে, আর একটা অদ্ভুত শান্তি নিয়ে যা জীবনে খুব কম মানুষই উপহার দিতে পারে।
আমি ভেবেছিলাম দিনটা এখানেই শেষ নয়, রাতে আরও কথা হবে, অনুভূতিগুলো আরও গভীর হবে।
কিন্তু রাত নামতেই আমার পৃথিবীটা অদ্ভুতভাবে অন্ধকার হয়ে গেল।
তার প্রথম লাইনটাই আমার বুকের ভিতরে বজ্রপাতের মতো পড়ল।
ও বলল তোমার একটা ভুল আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে তোমার আচরণটা আমি মেনে নিতে পারিনি। আসলে আমি বুঝতেই পারিনি এই বিষয় টা ওকে কষ্ট দিতে পারে, তবে যাই হোক আমাকে ভালোবাসে তাই ওটা তার খারাপ লেগেছে,।
ওনার কথা তুমি আমাকে ভুল প্রমাণ করলে আর মনে রেখো, তোমার মতো পুরুষ আমার লাইফে প্রতিদিনই ৩-৪টা আসে।
এই কথাগুলো পড়ার পর মনে হচ্ছিল মাথার ওপর থেকে আকাশ ভেঙে সরাসরি আমার হৃদয়ে পড়ে গেল। এক মুহূর্তে সব হাসি হারিয়ে গেল সেদিনের স্পর্শ, সেদিনের কথা, সেদিনের প্রতিটা সুন্দর মুহূর্ত এক সেকেন্ডে ধূসর হয়ে গেল।
হঠাৎ মনে হলো যে হাতটা আমি এত আদরে ধরেছিলাম, যে মানুষটাকে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জায়গায় রেখেছিলাম, সেই মানুষটাই আমার হৃদয়কে চুপচাপ ছুরির মতো কেটে দিল।
আমার বুকের ভেতর শব্দ হচ্ছিল তোমার মতো পুরুষ প্রতিদিনই আসে
এই কথাটা যেন কাঁটার মতো গেঁথে গেল। মনে হচ্ছিল আমি কোনো বিশেষ মানুষ নই, তার কাছে আমি আলাদা নই, আমি শুধু ভিড়ের একজন একটা সাধারণ নাম, একটা সাধারণ মুখ। আর এই চিন্তাটা আমাকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছিল।
মনে হচ্ছিল শরীরের ভেতর রক্ত জমে যাচ্ছে, শ্বাস আটকে আসছে, চোখের ভেতর সবকিছু ঝাপসা। আমি আগে কখনো এমন ব্যথা পাইনি। সেদিন মনে হয়েছিল যদি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চোখ দিয়ে বের হতো, তাহলে আমার পুরো মুখটাই লাল হয়ে যেত। আমি সত্যি সহ্য করতে পারছিলাম না। একবার মনে হলো বেঁচে থাকারও কোনো মানে নেই। যে মানুষটাকে জীবনের শ্বাসভরে চাইছিলাম, সেই মানুষটাই আমাকে তুলনা করে বলল "তোমার মতো পুরুষ প্রতিদিন আসে। আমার ভেতরে তখন শুধু একটাই প্রশ্ন যার হাত ধরে সারা জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেছি, সে কি সত্যিই আমাকে এমন সাধারণ ভাবে দেখল? সেদিন সেই রাতে আমি আধমরা মানুষের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম ছিল না, খাবার ছিল না, শুধু বুকের ভেতর একটা ভারী পাথর চাপা অনুভূতি যা আমাকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দিচ্ছিল।
সেই কঠিন কথাটাও শেষ ছিল না। যখন আমি ভেবেছিলাম এর চেয়ে বেশি আর ব্যথা হাওয়ার কথা না, ঠিক তখনই উনি লিখল তোমার ভালোবাসার পার্সেন্ট কমে গেল। ২০% ছিল… এখন ১০%। এই কথাটা শুনে আমার ভিতরের পৃথিবীটা আরেকবার ভয়ংকরভাবে কেঁপে উঠল। যে ২০%–কে আমি পুরো আকাশ ভরা আলো মনে করেছিলাম, যে ২০%–এর ওপর আমার পুরো ভালোবাসার ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে ছিল, সেই ২০% একটা লাইনের মধ্যে অর্ধেক হয়ে গেল কোনো সতর্কতা ছাড়াই, কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই। 😭😭
ℭ𝔯𝔢𝔞𝔱𝔦𝔬𝔫 𝔒𝔣 𝔐𝔞𝔫𝔡𝔦𝔯𝔞
এরপর আমাদের ভালোবাসা যেন একটু একটু করে রঙ গাঢ় করতে লাগলো।
ভেতরকার মানুষটা হঠাৎ করে খুব বাস্তব হয়ে উঠছিল,
আর আমার মন শুধু একটা কথাই বলছিল
ওকে সামনে দেখতে চাই।
দিনকালের পরিকল্পনা, ছোট ছোট সাহস,
আর অবশেষে সেই দিনের ঠিকানাটা চলে এলো।
এটা আমাদের প্রথম দেখা ছিল না
তাই উত্তেজনার সাথে সাথে একটা অদ্ভুত পরিচিতির উষ্ণতাও ছিল।
যেন দুজনই জানি
এই দেখাএটা খুব স্বাভাবিক,
কিন্তু একই সাথে খুব বিশেষও।
আমি একটা ছোট ক্যাফেতে স্পেশাল রুম বুক করেছিলাম।
ভাবছিলাম
ভিড় নেই, শব্দ নেই,
শুধু শান্ত একটা ঘর, যেখানে ওর সামনে বসে
আমি মন খুলে কথা বলতে পারবো।
ওও তার বান্ধবীকে নিয়ে এসেছিল,
তবুও আমার চোখ শুধু একজন মানুষকেই খুঁজছিল।
ও যখন দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল
মনে হলো ঘরটা যেন এক মুহূর্তে আলোয় ভরে গেল।
হাত পা কাঁপছিল,
হৃদস্পন্দন এমন জোরে হচ্ছিল যেন কেউ শুনে ফেলবে,
আমরা একসাথে বসলাম।
কফি এল টেবিলে,
কিন্তু কথা আসলো না আমার মুখে।
হাজার কথার ভিড় মাথায় জমে ছিল,
তবুও কিছুই বলতে পারছিলাম না।
আমি শুধু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম
গভীর, শান্ত, অদ্ভুতভাবে টান আছে এমন চোখ।
ওর চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
ঘরের দেয়াল, টেবিল, কফির কাপ
সব মিলিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো।
থাকলো শুধু একটা মানুষ
আর আমার দৌড়ে চলা হৃদয়।
ও প্রথমে একটু কনফিউজড,
তারপর একটু লজ্জা,
আর শেষে হালকা এক হাসি
যা আমার ভিতরের সব অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল।
আমি একটু সাহস করে সাদা গোলাপটা বের করলাম।
ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম
ও নিঃশব্দে নিলো।
হয়তো কোনো কথা ছিল না,
কিন্তু সেই নীরব গ্রহণটাই যেন
হাজার কথার চেয়ে বেশি সুন্দর।
তারপর আমি হাত বাড়ালাম
হাতে হাত দাও
ও একটু সংকোচ অনুভব করলো,
সামনে বান্ধবী ছিল,
পরিস্থিতিটা অদ্ভুত নতুন ছিল ওর জন্য।
তবুও ও হালকা করে হ্যান্ডশেক করল।
কিন্তু আমি থামলাম না।
আরও একবার হাত বাড়িয়ে বললাম
হাতে হাত দাও সত্যিকারের।
সেই মুহূর্তটা অন্যরকম ছিল।
ওর মুখে লজ্জার লাল ছটা,
চোখে একটা নরম মায়া
আর ধীরে ধীরে
ও তার হাতটা আমার হাতে রাখলো।
ওই হাতের স্পর্শে
আমার বুকের ভিতর যেন আরেকটা দরজা খুলে গেলো।
আমি বললাম
হাতে হাত রেখে কথা দাও
সারাজীবন থাকবে আমার সাথে।
ও খুব আস্তে, খুব নরম গলায় বললো
থাকবো সারাজীবন।
সেই এক মুহূর্তে
আমি বাস্তবকে ভুলে গেলাম।
ওর হাতের উষ্ণতা,
ওর কণ্ঠের কম্পন,
ওর দেওয়া প্রতিশ্রুতি
সব মিলিয়ে আমাকে
একটা অচেনা, অদ্ভুত, স্বপ্নের মতো জগতে নিয়ে গেল।
ওর হাত যেন নরম, উষ্ণ এক আলো
যা আমার আঙুল বেয়ে, শিরা বেয়ে
সোজা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে গেল।
এক মুহূর্তে বুঝলাম
এই মানুষটা আমার জীবনে
শুধু কেউ একজন নয়,
এ এক অসীম শান্তি,
আর আমার পুরো শরীর যেন কেঁপে উঠল
অনুভূতিতে, ভাবনায়, ভালোবাসায়।
হাতের ভিতর হাতটাকে শক্ত করে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছিল,
কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তের পবিত্র কোমলতাটাও
ভেঙে ফেলতে চাইনি।
মনে হচ্ছিল
সময় থেমে যাক।
ঘড়ির কাঁটা না নড়ুক।
ওর হাতটা যেন আর কখনো আমার হাত থেকে না সরে।
তারপর আমরা কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম।
আমি শুধু ওকে দেখছিলাম
আর ওর চেহারায় যেন
আমার পুরো পৃথিবী লিখে ছিল।
এদিকে সময় যেন খুব তাড়াহুড়ো করছিল।
ও আর তার বান্ধবী টাইম দেখে চিন্তিত হচ্ছিল,
আর আমার মনে হচ্ছিল
প্রতিটা সেকেন্ডই একটা হীরের মতো মূল্যবান।
আমি চাইছিলাম সময়টা থেমে যাক,
ওরা চলে না যাক,
তারপর এলো বিদায়ের মুহূর্ত।
ও দাঁড়াল, হাসল,
হাত নাড়লো
টাটা করলো।
আমিও টাটা করলাম,
কিন্তু মন থেকে বিদায় দিতে পারলাম না।
আমি বসে রইলাম
একটু আরও,
শুধু নিজের ভিতরের ঝড়টা শান্ত করার জন্য।
ঘরটা ফাঁকা হয়ে গেল,
তবুও ওর হাসি,
ওর চোখ,
ওর হাতের স্পর্শ
সব যেন সেখানেই রয়ে গেল।
আর আমি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালাম
একটা নতুন ভালোবাসা নিয়ে,
একটা নতুন ব্যথা নিয়ে,
আর একটা অদ্ভুত শান্তি নিয়ে
যা জীবনে খুব কম মানুষই উপহার দিতে পারে।
আমি ভেবেছিলাম দিনটা এখানেই শেষ নয়,
রাতে আরও কথা হবে,
অনুভূতিগুলো আরও গভীর হবে।
কিন্তু রাত নামতেই
আমার পৃথিবীটা অদ্ভুতভাবে অন্ধকার হয়ে গেল।
আমি মেসেজ করলাম—
সিরিয়াস, নরম, ভালোবাসাভরা কথায়।
ভাবছিলাম সেও নিশ্চয়ই
সেদিনের স্মৃতিতে ডুবে থাকবে।
কিন্তু…
তার প্রথম লাইনটাই
আমার বুকের ভিতরে বজ্রপাতের মতো পড়ল।
ও বলল তোমার একটা ভুল আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে
তোমার আচরণটা আমি মেনে নিতে পারিনি।
আসলে আমি বুঝতেই পারিনি এই বিষয় টা
ওকে কষ্ট দিতে পারে, তবে যাই হোক আমাকে
ভালোবাসে তাই ওটা তার খারাপ লেগেছে,।
ওনার কথা তুমি আমাকে ভুল প্রমাণ করলে
আর মনে রেখো,
তোমার মতো পুরুষ
আমার লাইফে প্রতিদিনই ৩-৪টা আসে।
এই কথাগুলো পড়ার পর
মনে হচ্ছিল মাথার ওপর থেকে আকাশ ভেঙে
সরাসরি আমার হৃদয়ে পড়ে গেল।
এক মুহূর্তে সব হাসি হারিয়ে গেল
সেদিনের স্পর্শ,
সেদিনের কথা,
সেদিনের প্রতিটা সুন্দর মুহূর্ত
এক সেকেন্ডে ধূসর হয়ে গেল।
হঠাৎ মনে হলো
যে হাতটা আমি এত আদরে ধরেছিলাম,
যে মানুষটাকে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জায়গায় রেখেছিলাম,
সেই মানুষটাই আমার হৃদয়কে
চুপচাপ ছুরির মতো কেটে দিল।
আমার বুকের ভেতর
শব্দ হচ্ছিল
তোমার মতো পুরুষ
প্রতিদিনই আসে
এই কথাটা যেন কাঁটার মতো গেঁথে গেল।
মনে হচ্ছিল আমি কোনো বিশেষ মানুষ নই,
তার কাছে আমি আলাদা নই,
আমি শুধু ভিড়ের একজন
একটা সাধারণ নাম,
একটা সাধারণ মুখ।
আর এই চিন্তাটা আমাকে
ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছিল।
মনে হচ্ছিল
শরীরের ভেতর রক্ত জমে যাচ্ছে,
শ্বাস আটকে আসছে,
চোখের ভেতর সবকিছু ঝাপসা।
আমি আগে কখনো এমন ব্যথা পাইনি।
সেদিন মনে হয়েছিল
যদি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চোখ দিয়ে বের হতো,
তাহলে আমার পুরো মুখটাই লাল হয়ে যেত।
আমি সত্যি সহ্য করতে পারছিলাম না।
একবার মনে হলো
বেঁচে থাকারও কোনো মানে নেই।
যে মানুষটাকে জীবনের শ্বাসভরে চাইছিলাম,
সেই মানুষটাই আমাকে তুলনা করে বলল
"তোমার মতো পুরুষ প্রতিদিন আসে।
আমার ভেতরে তখন শুধু একটাই প্রশ্ন
যার হাত ধরে সারা জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেছি,
সে কি সত্যিই আমাকে এমন সাধারণ ভাবে দেখল?
সেদিন সেই রাতে
আমি আধমরা মানুষের মতো হয়ে গিয়েছিলাম।
ঘুম ছিল না, খাবার ছিল না,
শুধু বুকের ভেতর
একটা ভারী পাথর চাপা অনুভূতি
যা আমাকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দিচ্ছিল।
সেই কঠিন কথাটাও শেষ ছিল না।
যখন আমি ভেবেছিলাম
এর চেয়ে বেশি আর ব্যথা হাওয়ার কথা না,
ঠিক তখনই উনি লিখল
তোমার ভালোবাসার পার্সেন্ট কমে গেল।
২০% ছিল… এখন ১০%।
এই কথাটা শুনে
আমার ভিতরের পৃথিবীটা
আরেকবার ভয়ংকরভাবে কেঁপে উঠল।
যে ২০%–কে আমি
পুরো আকাশ ভরা আলো মনে করেছিলাম,
যে ২০%–এর ওপর
আমার পুরো ভালোবাসার ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে ছিল,
সেই ২০% একটা লাইনের মধ্যে
অর্ধেক হয়ে গেল
কোনো সতর্কতা ছাড়াই,
কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই। 😭😭
1 week ago | [YT] | 4