💗RaFiyA💗 - Invidious

💗RaFiyA💗

AssalAmu walEkuM My All qUeeN's aNd KinG's ☺️💐 I'm yOuR MaHdiYa + RaFiyA Api ...😫👍 aNd welcome two my third YouTube channel🙃💯 I'm A YouTuber + TikTok 💗 mY maiN YouTube channEl @Kim_Rafu
I'm Not BTS army 🤧 I'm a bell 🌚🤭 And my baiS বদের হাড্ডি 😫 👍 👀 저 는 당신의 마흐디야 바비입니다🌚🤓🤭 AllAh HaFiZ 🤗👋💗

View channel on YouTube

Switch Invidious Instance

Videos

Shorts

Posts

💗RaFiyA💗

প্রেম বিচ্ছেদ Part - 8

কিছুক্ষণ পর আফরিন হাতে খাবার নিয়ে রোহানের রুমে আসে , রোহান রুমে নেই তাই খাবারটা টেবিলে রেখে রোহানের রুমের বারান্দায় যায় , আফরিন দেখে রোহান আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে

আফরিন স্বাভাবিকভাবে বলে....
"খাবার টেবিল থেকে হঠাৎ চলে আসলে কেন???"

রোহান আফরিনের দিকে তাকিয়ে বলে...
"তো কি করতাম পারবো না আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে "

আফরিন মৃদু হেসে বলে....
"বিয়ে করা ফরজ"

রোহান আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে....
"এখন কি বিয়ে করতে বলছো আমাকে???"

আফরিন স্বাভাবিকভাবে বলে....
"করো না বিয়েটা"

কিছুটা অবাক হয়ে বলে....
"মাথা ঠিক আছে তোমার আফরিন???"

আফরিন রোহানের কাছে গিয়ে রোহান হাতটা শক্ত করে বলে....
"রোহান আমি সবটা ভেবে বলছি "

রোহান মলিন কন্ঠে বলে....
"আফরিন চলো না পালিয়ে যাই আমরা, একসাথে ছোট একটা সংসার সাজাবো এখান থেকে অনেক দূরে চলে যাবো যাতে কেউ আমাদের খুঁজে না পায় আর তুমি যদি চাও আমি তোমাকে নিয়ে country-র
বাহিরে নিয়ে যেতে পারি , যাবে আমার সাথে আফরিনের পরিবার আমাদের কখনো এক হতে দেবে না চলো আমরা পালিয়ে যাই"

আফরিন তাকিয়ে আছে রোহানের দিকে একটা ছেলেও এত অসহায় ভাবে বলতে পারে ভাবছে আফরিন, ইশ আফরিন যদি রোহানকে নিয়ে দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে পারতো কিন্তু আফরিন ভাগ্যের কাছে অসহায়

আফরিন নিজেকে সামলিয়ে বলে....
"আল্লাহর দোহাই লাগে তুমি বিয়েটা করো"

রোহান বলে....
"আমার জন্য কেউ ফরজ গোসল করছে এটা দেখতে পারবে??? সকাল কারো গোসলের একান্ত কারন হবো আমি এটা সহ্য করতে পারবে আফরিন???"

(( সরি লাইনগুলো বেশি মাসুদ হয়ে গেছে 🤧🙈 ))

আফরিন বলে....
"হ্যাঁ পারবো তুমি শুধু বিয়েটা করো প্লিজ"

বলে এক দৌড়ে রুমে চলে যায় , রোহান রুমে ঢুকে

আরফিন রুমের দরজার বন্ধ করে কান্না করছে এমন সময় দরজায় কেউ আসে "ফুপ্পি দরজা খোলো আমি আসবো" শব্দ শুনে আফরিন চোখ মুছে দরজা খোলে

আফরিন মৃদু হেসে বললো....
"আরিয়ান ( রোহানের বড় ভাইয়ের ছেলে ) তুমি এখানে কেন ?? কিছু লাগবে আব্বু "

আরিয়ান রুমে এসে বিছানায় বসে উত্তর দিলো.....
"আজকে আমি তোমাল সাথে ঘুমাবো ফুপ্পি"

আফরিন বুঝতে পারে আরিয়ানকে ওর আম্মু এখানে পাঠিয়েছে

আফরিন আরিয়ানকে কোলে নিয়ে বলে....
"আব্বু তুমি এখানে এসেছো তোমার আম্মু একা একা ভয় পারে না??? (আরিয়ানের আব্বুকে প্রায় বেশির ভাগ সময় ব্যবসার কাজে দেশের বাহির যেতে হয়)

আরিয়ান হেসে বলে.....
"না না ফুপ্পি আম্মু ভয় পাবে না, আব্বু রুমে আছে তো"

আফরিন আরিয়ানকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলে....
"আচ্ছা আব্বু তুমি ঘুমাও আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি"

আরিয়ানকে ঘুম পারাতে পারাতে , আফরিন নিজেই কখন ঘুমিয়ে গেছে সেটা সে নিজেও যানে না

চলবে?????

11 বা 12 পর্বে আমাদের ফারহার entry হবে👀💐

2 weeks ago (edited) | [YT] | 5

View 7 replies

💗RaFiyA💗

প্রেম বিচ্ছেদ 🙂🔥 part - 7

রোহান আফরিন কে একটা এতিমখানায় নিয়ে গেল এখানে ওরা মাসে একবার হলেও আসে এই জায়গাটা আফরিনের অনেক পছন্দ , ছোট বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে আফরিনের

রোহান বাড়ির বড় ছেলে কথাটা বললে ভুল হবে, রোহানের একটা বড় ভাই আছে মাহির হোসেন আমি সব সময় দেশের বাইরে থাকে ব্যবসার জন্য আর কি

যাই হোক প্রায় দুই ঘণ্টার বাচ্চাদের সাথে মত সময় কাটিয়ে , রাত আট টার দিকে বাসায় ফেরে রোহান বলেছিল বাইরে থেকে খেয়ে আসি কিন্তু আফরিন খাবে না তাই তাড়াতাড়ি বাসায় এসে পড়েছে

~~~

বেশ অনেকদিন কেটে যায় এর মধ্যে দেখা হয়নি রোহান আফরিনের, রোহানের সময় হলে আফরিনের সময় হয় না আবার আফরিনের সময় হলে রোহানের সময় হয় না

আফরিন একটা হসপিটালের নার্স এটা ওর চাকরি না এটা ওর স্বপ্ন, রোহান এই ব্যাপারে অনেক সাপোর্ট করেছে আফরিনকে

রোহান সকাল 8 টায় অফিসে যায় আর রাত 9 টায় বাসায় ফিরে আর আফরিন রাতে ডিউটি করে সকাল 6 টায় বাসায় ফিরে তাই দেখা হয়ে উঠে না কখনো কখনো খাবার টেবিলে 5 মিনিটের জন্য দেখা হয় তবে কথা বলাটা হয়ে ওঠে না

আজকের রোহান অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরেছে মানে 8:00 টায় বাড়ির সবাই একসাথে খেয়ে খেতে বসেছি আজকে আফরিন হসপিটালে যাইনি , খাবার টেবিলে নীরবতা কারো মুখে কোন কথা নেই

নীরবতা ভেঙে রকি (রোহানের বাবা) স্বাভাবিকভাবে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন....
"রোহানের বয়স তো 25 পেরিয়ে গেছে যথেষ্ট বড় হয়েছে এখনতো বিয়ে দিতে হবে"

(( রোহানের বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেছে একটা ছয় বছরের ছেলেও আছে নাম আরিয়ান ))

সবাই রোহানের দিকে তাকায় কিন্তু রোহান নিজের মত খাবার খাচ্ছে

আবার রকি হোসেন বললেন.....
"রোহান আমি তোমার জন্য একটা মেয়ে দেখেছি, তুমি যদি রাজি থাকো তাহলে ওই মেয়েকে আমি আমার বাড়ির বউ বানাতে চাই"

রোহান বাবার মুখের দিকে তাকায় স্বাভাবিকভাবেই বলে....
"আব্বু আপনারা কি কিছুই জানেন না??? নাকি সব জেনেও না জানার অভিনয় করছেন??? একটু বলবেন??? আমি আফরিনকে ভালোবাসি এই কথা বাড়ির সবাই জানে তাহলে এখন কারো কথা কিভাবে বলছেন আব্বু আমি বিয়ে করলে আফরিনকে করবো"

আফরিনের চোখে পানি কারণ সে জানে এটা কোনদিন সম্ভব না তবুও কিছু বলবো না

রকি হোসেন বললেন....
"এই বাড়ির মেয়ে ছাড়া তুমি পৃথিবীর যে কোন কাউকে বিয়ে করতে পারো"

এবার রোহানের মাথায় রক্ত ওঠে

তারপরও নিজেকে শান্ত করে বললো....
"এই বাড়ির মেয়েরা কি দোষ করেছে??? কেন আমি তোমার তাদের বিয়ে করতে পারব না?? তারা কি দেখতে খারাপ ??? না পড়ালেখায় খারাপ?? নাকি কোন কাজ পারে না?? নাকি আমি বলব আপনি আপনার বাড়ির মেয়েদের পারিবারিক শিক্ষা দেননি তাই বাড়ির মেয়ে বাড়িতে থাকুক সেটা আপনি চান না??"

পাশ থেকে রোহানের কাকা মানে আফরিনের আব্বু বললেন....
"রোহান তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছ তুমি তোমার বাবার সাথে কথা বলছো"

রোহান এবার দাঁতে দাঁত চেপে বলে.....
"আমি ভুলছি না আমি কার সাথে কথা বলছি, আপনারা হয়তো ভুলে গেছেন আমি নুসরাত না আমি রোহান"

নুসরাত ভাইয়ের মুখের দিকে তাকায় নুসরাতের চোখে পানি (( নুসরাত রোহানের আপন ছোট বোন )) নয় মাস ধরে যাকে ভোলার চেষ্টা করছে আজকে তার ভাই তার কথা মনে করিয়ে দিলো , গলা দিয়ে খাবার নামছে না নুসরাতের, দম বন্ধ হয়ে আসছে ভেসে উঠছে অতীতে থাকা মানুষটির সেই চেনা মুখ

রোহান আবার বলল.....
"মনে আছে তো ওর কথা??? আপনার আমাকে বলেছেন ব্যবসা করতে আমি করেছি এই 10 বছরে এমন কি কোন কথা আছে যেটাতে আমি আপনাদের অবাধ্য হয়েছি??আচ্ছা আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন???ওই মেয়েটার সাথে যদি আমার বিয়ে হয় তাহলে ওই মেয়েটাকে কখনো আমার ভালোবাসা পাবে ??? আব্বু 90 শতক না , আমি আফরিনকে ভালোবাসি আফরিনকে বিয়ে করতে চাই "

প্রথমে কতটুকু রেগে বললেও শেষের কথা টুকু অনেক অসহায় ভাবে বলে রোহান

রকি হোসেন আবার বললো....
"এটাই আমার শেষ কথা, ঐ মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে হবে আফরিনের সাথে না 20 তারিখ তোমাদের বিয়ে"

রোহান এবার রেগে খাবার ছেড়ে রুমে চলে যায়, আফরিন চেয়েও আটকাতে পারেনি

চলবে???

2 weeks ago | [YT] | 2

View 2 replies

💗RaFiyA💗

প্রেম বিচ্ছেদ Part - 6

"তুই বেশি পাকা"

রোহানের কথার উত্তরে মুহসিনা বলে....
"প্লিজ ভাইয়া আবার শুরু করো না, এখানে আমরা ঘুরতে এসেছি তোমার জ্ঞান শুনতে আসিনি"

উত্তরের রোহান কিছু বলে না কারণ মুহসিনা একটু চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে

জিসান কে ডাকে বলে...
"ওদের নিয়ে ঘুরে আয় আর রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খেয়ে আয় সবাই"

জিসান বলে....
"ভাইয়া তুমি কোথায় যাবে???"

রোহান কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলে....
"মরতে"

জিসান স্বাভাবিকভাবেই বলে....
"ভালো করে উত্তর দিলেই তো পারো এই রকম তেড়া উত্তর দাও কেন??"

রোমান স্বাভাবিক ভাবে বলে ...
"আমি আর আফরিন অন্য জায়গায় যাবো একটু দেরি হবে বাসায় ম্যানেজ করে নিস প্লীজ"

জিসান আর কিছু বলার আগেই রোহান আফরিনকে নিয়ে একটা রিক্সায় উঠে চলে যায় , জিসানের আর কি করার সেও বোনদের নিয়ে রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে

চলবে????

ব্যস্ততার জন্য বেশি দিতে পারলাম না সরি🙃🖤আমি জানি এখন এই গল্পে তোমরা কোন মজা পাচ্ছো না কিন্তু আগে 15 পাট পর্যন্ত পড়ো আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি প্রেম বিচ্ছেদ খালাতো ভাইয়ের থেকেও অনেক বেশি সুন্দর 😌💗
এটা romantic + Islamic 💯✨

@kim_Rafu এই চ্যানেলে 6 মিনিটে ভিডিওতে 100 views হয় আর ‪@Mahdiya_khan‬ চ্যানেলে দুই দিনেও 100 views হয় না 😅 প্লিজ কয়েকটা কপি লিংক করে দাও ‪@Mahdiya_khan‬ 🥺

2 weeks ago (edited) | [YT] | 4

View 3 replies

💗RaFiyA💗

ভয়ঙ্কর মায়া part - 4

রাহুলের সাথে আর কথা বলি আর ভাবি , মানুষ এতটাও ধৈর্য ধরতে পারে??? এতটাও সরল ভাবে ভালোবাসতে পারে???

~~`

ধীরে ধীরে বিয়ের দিনে এগিয়ে আসছে , আজকে আমাদের কাঁচা হলুদ/গায়ে হলুদ পার্লার থেকে লোক এসে সাজিয়ে দিয়ে গেছে, বিকাল 7:00 টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু আর এখন 6 টা বাজে

রাহুল বললো ও আর ওর বাসার সবাই আসছে, আমাদের বাড়ি থেকে রাহুলের বাড়ি যেতে 40 মিনিট লাগে, আমি ছাদে গেলাম ওখানেই অনুষ্ঠান হবে, কাঁচা ফুল দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে আমিও শুধু একটা শাড়ি আর কাঁচা ফুলের গহনা পড়েছি বেশি গর্জিয়াস সাজিনি

পুরা ছাদটা একবার দেখে , হলুদের বাটিটা হাতে নিলাম আর ছোট বোনকে বললাম....
"রাহুলরা আসলে আমাকে ডাকিস"

ও বললো....
"আপু কোথায় যাচ্ছো এখন??"

কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললাম....
"এত কথা বলিস কেন?? যা বলছি তাই করবি আমি তোর বড় ছোট না"

বলেই চলে আসলাম দুই তলায়, আমাদের বাসা তিন তলা আমি তন্ময় ভাইয়া আর মিরাজ ভাইয়া ছাড়া সবার রুম নিচে

আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে , তন্ময় ভাইয়ার রুমে গেলাম রুমের দরজা খোলা ভাইয়া বিছানায় বসে ফোন দেখছে , তাকে দেখে কেউ বলবে না যে আজকে বাসায় একটা অনুষ্ঠান স্বাভাবিক দিনের মতোই ফোন দেখছে

ভিতরে আসার অনুমতি চাইলাম, ভাইয়াও আসতে বললো, রুমের ভিতরে গিয়ে ভাইয়ার সামনে দাঁড়ালাম

স্বাভাবিকভাবে বললাম....
"ভাইয়া কেমন লাগছে আমাকে, রাহুলের হবু বউ হিসাবে"

ভাইয়া আমার দিকে না তাকিয়ে বলল...
"এই কথা বলার জন্য এসেছিস???"

খোঁচা দিয়ে বললাম....
"হ্যাঁ এটা বলার জন্যই আমি এসেছি, আমি আমার হবু জামাইয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কথা আর তাছাড়া আমি তো আমাদের বিয়ের ঘটকও তাই না??? আমাকে এত বছর আগলে রেখেছ শুধু রাহুলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য"

আমাকে এক নজর দেখে বললো....
"তোর কথা শোনার সময় নেই আমার, অন্য কোন কাজে এসে থাকলে বল নয়তো যা"

কিছুটা বাঁকা হেসে, হলুদের বাটি থেকে কিছুটা হলুদ হাতে নিয়ে ভাইয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম.....
"প্রথম হলুদ তুমি লাগাও আমাকে আগলে রাখতে কত কষ্ট হয়েছে তোমার"

গালে কিছুটা হলুদ লাগিয়ে, রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বললাম.....
"অনুষ্ঠানে আমাদের দুইজনকে হলুদ লাগাতে আসবে কিন্তু"

বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেলাম, ঘন্টা খানেক পর রাহুল আসলো, অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল প্রথমে রাহুল ভাইয়ের আব্বু হলুদ দিলো তারপর আসলো রাহুল ভাইয়ের আম্মু

আমি ওই দিন এয়ারপোর্টে ভাইয়াকে থাপ্পর মেরে ছিলাম , সেরা আর কেউ না দেখলেও রাহুল আর তার মা দেখেছিল

উনি আমাকে হলুদ দেওয়া শেষে স্বাভাবিকভাবে বলল....
"আশা করি তুমি আমার মেয়ে হয়েই থাকবে"

আমি মৃদু হেসে বললাম...
"অবশ্যই আম্মু"

রাহুল আমার হাত ধরে মৃদু হাসলো

চৌধুরী বাড়ির সবার দেওয়া শেষে, তন্ময় ভাইয়া হলুদ গিয়ে আসলো , হলুদ দেওয়ার মাঝখানে আমি ওনাকে বিড়বিড় করে বললাম.....
"কেমন লাগছে মিস্টার তন্ময় চৌধুরী নিজের কাজিন আর নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডর কাঁচা হলুদে"

উনি গভীর কন্ঠে বিড়বিড় করে উত্তর দিল....
"খুব... ভালো"

আমি কিছুটা বাঁকা হাসলাম

~~~~

আজকে আমাদের বিয়ে কোন একটা সমস্যার জন্য রাহুলের বাড়ি থেকে বলা হয়েছে বিয়েটা যেন কাঁচা হলুদের দুইদিন পরে হয় কথা মত তাই হয়েছে

গায়ে হলুদের দুদিন পার হয়ে গেছে আজকে আমাদের বিয়ে , এই দুইদিনে আমি একবারও ভাইয়ের সামনে চাইনি উনিও একবারও আমার সামনে আসেনি

রাহুল সকাল 7 টার দিকে ফোন করে ছিলো , 35 মিনিট রাখার পর আমি জোর করে ফোনটা কেটে দিয়েছি , আমার সাথে 2 ঘন্টা কথা বললেও উনার হবে না সেটা আমি এই কয়দিনে বুঝে গেছি

কেনো জানি না আজকে ভালো লাগছে না, শুধু ভাইয়ার কথা মনে পরছে এগারোটার দিক দিয়ে পার্লারের লোক এসে সাজিয়ে দিয়ে গেছে

ঘড়ির কাঁটায় দুপুর এক'টা কিছুক্ষণ পর আম্মুর ফোনে কল আসলো, আম্মুর ফোন সব সময় আমি ব্যবহার করি, অচেনা নাম্বার তারপরও আজকের রিসিভ করলাম , এমনিতে অচেনা নাম্বার দেখলে আমি ফোন রিসিভ করি না

ওপাশ থেকে একটা ছেলে...
"বউ সাজা হয়ে গেছে???"

কন্ঠ শুনে বুঝতে পারলাম এটা , তন্ময় ভাইয়ের বন্ধু আফজাল হোসেন

স্বাভাবিকভাবেই বললাম...
"আপনি আফজাল ভাই না??"

আফসার ভাইয়ের বাবা মারা যাওয়ার কারণে বিয়েতে আসতে পারিনি

গভীর কণ্ঠে বললো....
"হ্যাঁ তাহলে চিনতে পেরেছো বাদ দাও তুমি যে কারো ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে গিয়ে কারো ভালোবাসার বিচ্ছেদ করছো সেটা কি তুমি জানো??"

কিছুটা অবাক হয়ে বললাম....
"মানে??"

দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল....
"তন্ময় তোমাকে ছোট বেলা থেকে ভালোবাসে, তোমার 16 তম জন্মদিনে তোমাকে লাল শাড়িতে দেখে রাহুলের পছন্দ হয়েছিল বিদেশ যাওয়ার আগে রাহুল তন্ময়কে বলে গিয়েছিল তোমাকে যেন সে আগলে রাখে, বিদেশ থেকে ফিরে এসে রাহুল তোমাকে বিয়ে করবে, তন্ময় রাহুলকে হারাতে চাইনি তাই আর বলেনি সে তোমাকে ভালোবাসে"

আমি কিছু বলতেই যাবো সেই সময় আফজাল ভাই ফোন কেটে দিল, আমার পুরো পৃথিবী উল্টাপাল্টা হয়ে গেল , আমার প্রিয় মানুষ আমাকে ভালোবাসে এটা শোনার পর আমি অন্য কাউকে কিভাবে বিয়ে করতে পারি???

শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে আমার অজান্তেই কান্না করে দিলাম , দরজায় কেউ টোকা দিল তাড়াতাড়ি করে চোখের পানি মুছলাম দরজা খুলে দিলাম , আমাকে বিয়ের জন্য ডাকতে এসেছে

ছোট বোন আর বান্ধবীদের সাথে নিচে নামলাম, রাহুল ভাইয়া, কাজী সাহেব, বর পক্ষ সবাই এসে গেছে, বিয়ে পরানো শুরু হলো

কাজী সাহেব আমাকে কবুল বলতে বললেন, অথচ আমার সেদিকে কোন খেয়াল নেই আমার চোখ একজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছে

ভাইয়াকে দেখলাম বাড়ির এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে চেনা মানুষটা কে আজ বড্ড অচেনা লাগছে , চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে যারা ভাইয়ের খুব কাছের মানুষ আছে তারা ভাইয়ার চোখ দেখে বলে দিতে পারবে সে কতদিন ঘুমায় না কারণ না ঘুমালে ভাইয়ার চোখের নিচে কালি পড়ে যায় , চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে

রাহুল আমার হাতে হাত রেখে, ইশারা করে কবুল বলতে বললো, তিন বাক্যের কবুল বলার শক্তি নেই আমার , কাকে বেছে নিবো আমি??? যে ছোটবেলা থেকে আমাকে ভালোবেসেছে নাকি .....

রাহুলের দিকে তাকালাম রাহুল আরো শক্ত করে আমার হাত ধরে কবুল বলতে ইশারা করলো

তন্ময় ভাইয়ার সামনে আসলো, এসে মলিন কন্ঠে আমাকে কবুল বলতে বললো

উঠে দাঁড়িয়ে তন্ময় ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললাম...
"তুমি এটা কি করে করতে পারো তন্ময়?? তুমি তো বলেছিলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে?? তুমি তো বলেছিলে ভালোবাসো?? তুমি তো রাতে আমার রুমেও আসলে তাহলে এখন তুমি আমাকে তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে বিয়ে দিচ্ছো."

ভাইয়া তো পুরো সক্ট রাতে রুমে আসা মানে উনি তো পরানো ছাড়া কখন আমার রুমে আসেনি,আমার কাকা মানে ভাইয়ার আব্বু ভাইয়ার গালে একটা থাপ্পর মেরে বললো...
"তন্ময় তুমি চৌধুরী বাড়ির মান সম্মান নিয়ে খেলছো"

ভাইয়া কিছু বললো না, কিছুক্ষণ পর রাহুল তন্ময় ভাইয়ার কাছে এসে সজোরে একটা থাপ্পর দিয়ে বলল...
"ছিঃ তন্ময় তুই এত খারাপ একটা বিয়ের সাথে রাত কাটিয়ে এখন ছিঃ আমার নিজের প্রতি ঘৃনা হচ্ছে আমি তোকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়েছি"

~~~~~

সবাই আমাকে সুন্দর করে বউ সাজিয়ে বিছানার উপর বসিয়ে দিয়ে গেছে কিছুক্ষণ পর ও আসলো, লম্বা ঘোমটা থাকায় বেশি কিছু দেখা যাচ্ছে না, অল্প অল্প দেখা যাচ্ছে

রুমের দরজায় লাগিয়ে, রুমে এসে আবার বারান্দায় গেল, 5 মিনিট পর আবার আসলো এসে ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি খেলো , তারপর ওয়াশ রুমে গেলো, ওয়াশরুম থেকে কাপড় চেঞ্জ করে আসলো

এসে আমার পাশে বললো, আমার ঘোমটা তুলে দিয়ে কিছুটা মৃত হাসলো তারপর পায়ে হাত দিয়ে পায়ে থাকা নুপুর খুলতে লাগলো

একটু একটু করে নুপুর খুলতে আর আমার পুরো হাত স্পর্শ করছে, পুরো শরীর কেঁপে উঠছে প্রায় 5 মিনিট নিয়ে একটা নুপুর খুলল , আরেক পায়ে হাত দিতে যাবে
তার আগে লজ্জা পেয়ে আমি বললাম ....
"আর খুলতে হবে না,আমি নুপুর খুলতে পারবো"

এবার পা ছেড়ে , গলার গহনা খুলতে খুলতে বললো...
"যার সাথে রাত কাটিয়েছিস তার সাথে আবার লজ্জা কিসের???"

হ্যাঁ রাহুল আমাকে তন্ময়ের সাথে বিয়ে দিয়েছে, কিছু মানুষ ভালোবাসার মানুষটার সুখের মাঝেও নিজের খুশি খুঁজে নেয়

স্বাভাবিকভাবে বললাম...
"চুপপ... একদম আজাইরা কথা বলবে না, আজ পর্যন্ত আমি শুধু তোমাকে কেনো কোন ছেলেকে নিজের হাত পর্যন্ত ধরতে দেই নি"

ভাইয়ার কালে হাত দিয়ে বললাম....
"ইশ অনেক ব্যথা লেগেছে তাই না"

কানের দুল খুলতে খুলতে বললো.....
"তোর জন্যই তো"

স্বাভাবিকভাবে বললাম....
"তো কি করতাম নিজের ভালোবাসাকে হারাতে দিলাম???"

বলেই তন্ময়কে জরিয়ে ধরে বললো....
" I love you so much"

তন্ময়ও আমাকে জরিয়ে ধরে বললো....
" I love you too Sona "

(( অন্যের বাসর না দেখে বিয়ে করো আর আমাদের দাওয়াত দাও আর সেটাও যদি না পারো তাহলে আমার গোলামের পুত থুক্কু আমার শাশুড়ির বড় পোলারে ধরে আনো আমি বিয়ে করে তোমাদের দাওয়াত দেই))🌚🙈

....... 🤗💗The End💗🤗......

কেমন লেগেছে গল্পটা???😪😪

3 weeks ago (edited) | [YT] | 3

View 6 replies

💗RaFiyA💗

ভয়ঙ্কর মায়া 🖤🔥 part - 3

ছবিতে ভাইয়াকে হাসতে দেখলাম,আগে ভাইয়ার হাসিটাই ছিল আমার সবচেয়ে ভালো লাগার জিনিস কিন্তু প্রায় অনেক বছর আমি তাকে হাসতে দেখিনা ,আগে ভাইয়া অনেক হাসতে দেখতাম এখন আর হাসে না , যদিও মাঝে মাঝে হাসে কিন্তু আমাকে দেখলে থেমে যায় কারণটা আমার কাছে আজ যাওয়া যায় না

রুমে কারো আসার পায়ের শব্দ শুনে, ভাইয়া রুমের জানালার পর্দার পিছনে লুকিয়ে গেলাম

ভাইয়া এসেছে, অনেক ক্লান্ত দেখাচ্ছে তাকে, রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে কাউকে মেসেজ করে, বিছানায় শুয়ে পড়লো

হয়তো ঘুমিয়ে গেছে ভেবে, পর্দার পিছন থেকে বেরিয়ে এলাম, যেই রুমের দরজায় হাত দিতে যাবো তখন পিছন থেকে

ভাইয়া চোখ বন্ধ করেই বলল....
"রুমে কেনো এসেছিলি ??"

তারমানে ভাইয়া ঘুমাইনি, শুধু চোখ বন্ধ করে ছিলো

আবার একটা ধমক দিয়ে বলল.....
"আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি, উত্তর চাই আমার"

তোতলিয়ে বললাম....
"তো-তো-মার র-রুমে আমি কি আ-আসতে পার-রি না??"

কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললো....
"না পারিস না, কে তুই আমার?? কেনোই বা আসবি তুই আমার রুমে??"

চোখের পানি টলমল করে উঠলো, আমি ভাইয়ার কিছুই হই না এটা উনি বলতে পারলো

ওই রুমে দাঁড়িয়ে থাকার আর শক্তি হলো না, কিছু না বলেই চলে আসলাম

~~~

আজকে ভাইয়ার আব্বু মানে আমার চাচা আসবে, তন্ময় ভাইয়া, আরাফাত ভাইয়া যাবে এয়ারপোর্ট থেকে তাকে আনতে

এই কয়দিনে ভাইয়া একবারও আমাকে পড়াতে আসেনি আমিও ভাইয়ার রুমে যাইনি, আমি যার কিছু হই না তার রুমে গিয়ে কি লাভ?? পড়তে তো যাব না তাহলে কাউকে দেখার জন্য কি আমি কেন শুধু শুধু অপমানিত হবো??

পাশে থাকা ফোনটায় কল বেজে উঠলো, রাহুল ভাইয়া ফোন করেছে , ফোনটা রিসিভ করলাম

প্রায় দুই ঘণ্টার মত দুইজন কথা বললাম, নিচে অনেক শব্দ হচ্ছে তার মানে কাকা এসেছে

স্বাভাবিকভাবে বললাম.....
"কাকা এসেছে পরে কথা বলে আমরা??"

রাহুল ভাইয়া হাসি মুখে বলো....
"আচ্ছা সমস্যা নেই, কথা পরেও কথা যাবে তুমি উনাদের সাথে সময় কাটাও আল্লাহ হাফেজ"

"আল্লাহ হাফেজ " বলেই ফোন কেটে দিয়ে, নিচে গেলাম, বেশ অনেকক্ষণ সবার সাথে কথা বললাম, এক ঘন্টা পর রুমে আসলাম

রাহুল ভাইয়া এর মধ্যে আমাকে অনেক বার কল করেছে, কল ব্যাক করলাম তবে ফোনটা কেটে দিয়ে মেসেজ করে বললো....
"এখন একটা মিটিং এ আটকে গেছি রে বউ , ফ্রি হলে অনেকক্ষণ কথা বলবো ওকে??"

কোন রিপ্লাই দিলাম না কিন্তু মেসেজটা পড়ে কিছুটা হাসলাম , লজ্জা পেলাম, নিজের ভাগ্যকে মেনে নিলাম রাহুল আমার জীবনসঙ্গী

নিচের সবাই দেখছে কার জন্য কি এসেছে,ছোট বোন অনেক বার ডেকে গেছে তবুও আমি যায়নি, শুনেছি আমার জন্য বিয়ের অনেক গয়না এসেছে

যেতে ইচ্ছে করছে না তাই ফোন দেখছি হঠাৎ রাহুলের ফোন আসলো, হেসে ফোন রিসিভ করলাম, আমি নিচের সবটা দিয়ে ভাইয়াকে ভোলার চেষ্টা করছি

~~~~~~

বিয়ের আর মাত্র তিন দিন আছে , আজকে আমি আর রাহুল শপিং করতে এসেছি , আমি নিজে অনেক কিছু কিনেছি আবার রাহুলও নিজের পছন্দমত অনেক কিছু কিনে দিয়েছে

শপিং শেষে আমাকে বলল....
"চলো রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খেয়ে আসি"

স্বাভাবিকভাবে বললো .....
"বাইরের খাবার আমার এত বেশি ভালো লাগে না, চলুন একেবারে বাসায় গিয়েই কিছু খাই"

কিছু না বলে মৃদু হেসে, গাড়ি স্টার্ট দিল এটা আমার বাড়ির রাস্তা না
তাই বললাম.....
"এটা তো আমার বাড়ির রাস্তা না আপনাকে তো আমি বললাম আমি বাইরে খাব না, কোথায় যাচ্ছি আমরা??"

কিছু বলল না, গাড়ি একটা বাড়ির সামনে এসে থামলো, আমাকে নিয়ে ভিতরে গেল দেখলাম রাহুল ভাইয়ের আম্মু আর ছোট ভাইকে বুঝতে বাকি রইলো না এটা রাহুলের বাড়ি

আমাকে দেখে সবাই খুব খুশি হলো, রাহুল আমাকে তার রুমে নিয়ে গেলো কিছুক্ষণ পর তার আম্মু আসলো

রাহুল হেসে তার মাকে বললো....
"আম্মু তোমার ছেলের বউয়ের জন্য খাবার নিয়ে আসো সে বাহিরের খাবার খাবে না"
তার আম্মু বললো.....
"তোমরা বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি"

খাবার নিয়ে আসার পর দুজনে খেয়ে, কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম

রাহুলকে সবাই বলেছে, না খেয়ে গেলেও কিছুক্ষণ থেকে যেতে কিন্তু সে থাকেনি আমাকে পৌঁছিয়ে দিয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে

আমাকে একবার বলে যায়নি অথচ সবাইকে বলে গেছে , খুব রাগ হলো রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে , বিছানায় শুয়ে ফোন দেখছি এর মধ্যে সে (রাহুল) আবার ফোন দিলো, কিন্তু এবার কিছুটা বিরক্ত হলাম ধরলাম না আবার কেটেও দিলাম না, 10 মিনিট এভাবে কেটে গেল, অনেকবার ফোন দিয়েছে আমি কেটেও দেইনি আবার ধরিও নি

আবারো ফোন দিল, এবার কিছুটা বাধ্য হয়েই ফোনটা ধরলাম , রেগে ফায়ার হয়ে আছে
গভীর কন্ঠে বলল.....
"ফোন করছি কতক্ষণ ধরে কানে শুনিস না?? এতক্ষণ ফোন ধরিস নি কেন??"

আমাকে নিরব দেখে, রাগ বাড়লো না কমলো

স্বাভাবিকভাবে বললো.....
"কোথায় ছিলে এতক্ষণ?? জানো তুমি ফোন খুব চিন্তা হচ্ছিল আমার, কেন এমন করো?? যাই হোক সরি"

স্বাভাবিকভাবে বললাম....
"সরি কেন??"

স্বাভাবিকভাবে বললো.....
"তোমাকে না বলে আসার জন্য, বউ রাগ করেছিস"

কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললাম....
"সেটা আপনার ইচ্ছা"

এই টাইপের মানুষটা আমার অনেক ভালো লাগে, যারা প্রথমে রাগ করলেও পরে ঠিকই আপন করে নেয়, এভাবে স্বাভাবিক ভাবে কথা চলতে থাকে আমাদের

~~~™

রাগ অভিমান নাকি ভালোবাসা? 💗🔥 পাঠ ৪

মেহের ঘুম থেকে উঠে, রিয়াজের বানানো খাবার খেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে

স্বাভাবিকভাবে রিয়াজকে বলে....
"ভাইয়া আমাকে স্কুলে দিয়ে আসবে, আজকে প্রথম দিন তো তাই"

রিয়াজ কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলে....
"আমি দিয়ে আসতে পারবো না আমার অনেক কাজ আছে"

দুজনে বাড়ি থেকে বের হয় কিন্তু পথ আলাদা, কেউ স্কুলে উদ্দেশ্যে বের হচ্ছে আর কেউ অফিসের উদ্দেশ্যে

একা একাই স্কুলে যায় মেহের তবে নিজের ক্লাস খুঁজে পাচ্ছেনা , সামনে একটা ছেলেকে দেখে

স্বাভাবিকভাবেই বলে....
"ভাইয়া ক্লাস 10 এর রুম কোথায় একটু বলে দিবেন প্লিজ"

ছেলেটা হেসে বলে...
"এই স্কুলে নতুন তুমি??"

মেহের মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলেন, ছেলেটা আবার বলে...
"আচ্ছা চলো আমি পৌঁছে দিচ্ছি"

ছেলেটা মেয়েকে ক্লাসরুম দেখিয়ে দেয়, আসার সময় পিছনে ঘুরে ক্লাসটা আবার দেখে , দেখে বোঝাই যাচ্ছে মেহেরের উপর ক্রাশ খেয়েছে, মেহেরের 15 বছর হলেও কোনো 17/ 18 বছরের মেয়েদের থেকে কম সুন্দরী না মেহের

(ছেলেটাকে চিনে রাখো) ছেলেটার নাম সাব্বির হোসেন রাতুল

দেখতে দেখতে দুইটা ক্লাস শেষ হয়ে যায় তৃতীয় ক্লাসে ওই ছেলেটা আসে মানে সাব্বির , ছেলেটা এই স্কুলের একটা শিক্ষক তখন সাব্বিরকে মেহের ভাইয়া বলেছিলো বলেই সাব্বির জিজ্ঞেস করেছিল , মেহের এই স্কুলে নতুন কিনা ???

যাই হোক স্কুল শেষ হয়ে যায়, মেহের খুব চঞ্চল এবং মিশুক স্বাভাবিক মেয়ে হওয়ায় প্রথম ক্লাসে একটা মেয়ের সাথে তার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়, মেহের এমনিতে খুব চঞ্চল একটা মেয়ে কিন্তু রিয়াজের সামনে মেহের কিছু বলার সাহস পায় না , মেহেরের কাছে রিয়াজ অনেকটা অপরিচিত লোক কত দিনেরই বা পরিচয় তাদের??

মেহের আর তার বান্ধবী ( ফাইজা ) স্কুল শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়
মাঝপথে ফাইজা বলে....
"মেহের তুমি যাও আমি কোচিং করে পরে বাড়ি ফিরবো"
মেহের স্বাভাবিকভাবেই বলে...
"আমিও কোচিং করবো তুমি কোন স্যারের কাছে কোচিং করবে??"

ফাইজা বলে....
"সাব্বির স্যারের কাছে তুমি?"

মেহের এক গাল হেসে বলে....
"আমিও সাব্বির স্যারের কাছে পড়বো, চলো দুজনে একসাথেই যাই"

দুইজন কোচিং এ যায় , মেহেরকে নিজের কোচিং এ দেখে সাব্বির অনেকটা খুশি হয় , কোচিং শেষে দুইজন একসাথে বাড়ি ফিরে

আচ্ছা Queen's king's তোমরা তোমরা কি আমার এই চ্যানেলটাকে সাপোর্ট করতে গিয়ে, আমার অন্যান্য সব চ্যানেলকে ভুলে গেছো?? ‪@Mahdiya_khan‬ আমার এই চ্যানেলের অবস্থা দেখলে আমার নিজেরই হাসি পায় 😄🥀 আগে কোন ভিডিও ছাড়লে 10 মিনিটের মধ্যে 100 ভিউ হয়ে যেত আর এখন দুই দিনের 100 ভিউ হয় না 😅💔 বিশ্বাস করো নিজের চ্যানেলগুলোর এই অবস্থা দেখলে ভিডিও দেওয়ার ইচ্ছা থাকে না😣🥀 প্লিজ ‪@Mahdiya_khan‬ 👈 এই চ্যানেলের ভিডিও গুলো একটু বেশি বেশি দেখো , লাইক কমেন্ট করো আর পারলে কপি লিংক করে দিও , চ্যানেলের অবস্থা খুব খারাপ😔

3 weeks ago (edited) | [YT] | 3

View 5 replies

💗RaFiyA💗

ভয়ঙ্কর মায়া 🖤🔥 part - 2

বাসায় এসে নিজের রুমের দরজা লাগিয়ে বিছানায় শুয়ে অনেকক্ষণ কান্না করলাম, 1 টার দিকে গোসল করতে গেলাম প্রায় এক ঘন্টা সময় সাওয়ার নিলাম

2:00 টার দিকে রুমে এসে দেখি তন্ময় ভাইয়া আমার রুমের সোফায় বসে আছে, কিছুটা অবাক হলাম পড়ার সময় ছাড়া ভাইয়া কখন আমার রুমে আসে না

ভাইয়া ফোন দেখছিল, ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দ পেয়ে, আমার দিকে তাকিয়ে বলে পড়তে বসতে , আরো অবাক হলাম কারণ ভাইয়া বিকালে ছাড়া আমাকে কখনো পড়ায় না কিন্তু আজ দুপুর 2 টার দিকে কেন পড়তে বসতে বলছো আমার মাথায় ঢুকছে না তারপরও কিছু জিজ্ঞেস করলাম না চুপচাপ পড়তে বসলাম

ভাই আমাকে দুই ঘন্টা পড়ায় তবে আজ মাত্র 30 মিনিট পড়ালো, কিছু বললাম না আমি

~~~

শুয়ে শুয়ে ভাইয়ার ফোন দেখছি, ভাইয়া বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেছে আমার কোন ফোন নেই তাই ভাই আর ফোন দেখছি, হঠাৎ তন্ময় ভাইয়ার ছোট বোন নাম তুবা চৌধুরী সিনথিয়া

স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞেস করল....
"আপু কি করছো??"
ফোন দেখতে দেখতে উত্তর দিলাম....
"দেখছিস না কি করছি?? কিসের জন্য এসেছিস হঠাৎ ??"
কিছুটা মন খারাপ করে বললো....
"আপু তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে???"

কথাটা শুনেই যেন আকাশ থেকে পরলাম, আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে অথচ আমি জানিনা

বিরক্তি নিয়ে বললাম....
"মিথ্যা কেন বলছিস?"
ও মন খারাপ করে বললো....
"আপু মিথ্যা বলছি না আমি, আজকের তিনটার দিকে রাহুল ভাই আর তার পরিবার এসেছিল, তোমাকে নাকি তারা দেখেছে তাই তোমাকে তাদের সামনে আর নিয়ে যাওয়া হয়নি, 10 দিন পর তোমাদের বিয়ে রাহাত ভাইয়া বলেছে, বিদেশ যাবে না কিন্তু বিয়ে নিয়ে সে দেরি করতে পারবে না তাই বিয়ের ডেট টা তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে গেছে, আর তাছাড়া আর মাত্র 3 দিন পর বাবা আসবে "

কথাটা বলা শেষে ওর চোখে পানি দেখলাম, বুঝতে পারলাম মিথ্যা বলছে না আমার ছোট বোন, রাহুল ভাই আর সত্যিই এসেছিলো

নিজের কষ্ট লুকিয়ে মৃত হেসে বোনের মন ভালো করার জন্য ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম....
"কাঁদছিস কেন ?? মেরেছি আমি তোকে?? চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে"

কিছুক্ষণ পর চলে যায়, নিজের ছোট বোনকে সান্ত্বনা দিলাম অথচ আমার ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে, আব্বু কাকাকে বলে কোন লাভ নেই

~~~

আমার এসে রাতে বিয়ের সব কথা ভুলে গেছে, কোন দিন কি হবে, আমি কিছু বলিনি চুপ করেছিলাম

আজকে নিজ থেকে ভাইয়ার রুমে পড়তে গেলাম আজকে ভাইয়া পড়ার কথা বলতে আসিনি, ভাইয়া এ ব্যাপারে সব কিছু জানে , সেটা আমি জানি টাই পরার নাম করে ভাইয়ার রুমে গেলাম

দরজায় দাঁড়িয়ে বললাম....
"ভাইয়া আসবো??"

হয়তো বারান্দায় ছিল তাই শুনতে পাইনি, রুমটা অনেকটাই পড়ো তাই রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বললে বারান্দায় শোনা যায় না

এখন আর একটু জোরে বললাম....
"ভাইয়া আসবো"
রুমে এসে উত্তর দিলো....
"হ্যাঁ আয়"

ভিতরে ঢুকে বিছানার উপর পড়তে বসলাম, আমাকে পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে ভাইয়া ফোনে যেন কি করছে, ভালো করে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু এতটুকু দেখা যাচ্ছে কারো সাথে মেসেজে কথা বলছে হয়তো রাহুল ভাইয়ার সাথে

প্রায় 20 মিনিট পর বললাম....
"আচ্ছা ভাইয়া, রাহুল ভাইয়া আমাকে কবে দেখে পছন্দ করেছিল??"
ভাইয়াকে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললো....
"পড়তে এসেছিস পড়ে চলে যাবি এত কথা বলিস কেন??"

আমি আর কিছু বললাম না, যে বলতে চায় না তাকে জোর করে কি লাভ?? পড়া শেষে রুমে আসলাম, বিছানায় শরীরে এড়িয়ে দিয়ে কখন ঘুমিয়ে গেছি আমি নিজেও জানিনা

~~~~

কালকে তোমার ভাইয়ের আব্বু মানে আমার চাচা আসবে, ভাইয়া আমাকে একবারও পড়াতে আসেনি আমি আর ভাইয়া রুমে যাইনি, ভাইয়ার রুমে গেলাম দরজা বাইরে থেকে লাগানো মানে ভাইয়া নেই হয়তো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেছে, আর নয়তো রাহুল ভাইয়ের বাড়িতে গেছে, প্রায় 4 বছর পর রাহুল ভাই আর দেশের মাটিতে পা রেখেছে

ভাইয়া রুমে প্রবেশ করলাম, রাহুল ভাইয়াকে আমি সচরাচর কখনো আমাদের বাড়িতে আসতে দেখিনি, আমি ভাইয়ার ফ্রেন্ডের সামনে খুব একটা যাই না

ভাইয়া টেবিলে একটা ছবি দেখলাম, ছবিটা তন্ময় ভাইয়া আর রাহুল ভাইয়ের এই ছবিটা আমার 16 তম জন্মদিনের তোলা

ওই দিনে প্রথম আমি রাহুল ভাইয়াকে দেখেছিলাম, "রাহুল ভাই ও প্রথম আমাকে দেখেছিল তবে কি ঐ দিন রাহুল ভাই আমাকে পছন্দ করেছিল??"

ভেবেছিলাম দুইটা পাঠ করবো , কিন্তু এখন দেখছি তিনটা পার্ট করতে হবে যাইহোক কালকে তিন নাম্বার পাঠ দিয়ে গল্প শেষ করে দেবো😪আশাকরি ভালো লেগেছে আর ☺️☺️"তোমার অনেকেই জানতে চেয়েছিলে আপু তুমি কয়টা গল্প লিখেছ??"🔥💗 তাদের জন্য আমি একটা ভিডিও এডিট করেছি সেখানে আমি কতগুলো গল্প লিখেছি সব দেওয়া আছে😫তোমরা আমার এই ভিডিওটা দেখে আসো তাহলে বুঝবে আমি কয়টা গল্প লিখেছি 👀🙃☺️👇 যাই হোক আল্লাহ হাফেজ 💗

3 weeks ago (edited) | [YT] | 5

View 5 replies

💗RaFiyA💗

ভয়ঙ্কর মায়া🖤🔥

আমি মাহদিয়া চৌধুরী , চৌধুরী বাড়ির বড় মেয়ে আপাতত এটুকুই পরিচয় জেনে নাও

বসে বসে ফোন দেখছি হঠাৎ আমার রুমে আসে আমার চাচাতো ভাই নাম তন্ময় চৌধুরী ফাহাদ
এসে আমাকে বলল পড়তে বসতে, আমিও কোন কথা না বলে পড়তে বসে গেলাম

ভাই আমাকে পড়ায় , পেশায় একজন শিক্ষক আমার থেকে 5 বছরের বড় , পেশা বললে ভুল হবে এটা ওর স্বপ্ন, আমার চাচা মানে ওর আব্বু out of country
ওনার মা আছে আর একটা ছোট বোন আর আমার বড় ভাই আছে আর মা-বাবা সবাই আমরা একসাথে এই বাড়িতে থাকি

যাই হোক ভাইয়ের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে, উনার মাথাটা ধরেছে, বেশ অনেকক্ষণ ধরে পড়ছি পড়তে আর ভালো লাগছে না
হঠাৎ বলে উঠলো.....
আমার জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আয়

আমিও মহা খুশিতে কফি বানাতে গেলাম, এটার অপেক্ষায় ছিলাম আপনার মাথা ধরলে কফি লাগে তাছাড়া মাথাব্যথা কিছুতেই ভালো হয় না , আর বিশেষ করে উনার জন্য কফি বানাতে আমার অনেক ভালো লাগে আজকে পড়তে ভালো লাগছিল না তাই আরো বেশি খুশি হয়ে উনার জন্য কফ বানাতে গেলাম

কফি উনার হাতে দিলাম, 10 মিনিট পর আমাকে বলল "কাপটা রান্নাঘরের রেখে আয়" আমিও কাপটা নিয়ে রান্না ঘরের দিকে গেলাম

কাপে কিছুটা কফি ছিল একটা চুমুক দিয়ে, সাথে সাথে থু থু দিয়ে ফেলে দিলাম

এত খারাপ কফি আমি কোনদিন খাইনি, মনে হচ্ছে চিনি দেওয়াই হয়নি অথচ কফিটা আমি বানিয়েছি, ভাইয়া কি করে খেলে কফিটা?? ভাবতে ভাবতে ফ্রিজের দরজা খুলে আইসক্রিম হাতে নিলাম।

প্রায় 30 মিনিট ধরে টিভি দেখছি আর আইসক্রিম খাচ্ছি, হঠাৎ আমার বড় ভাই আরাফাত চৌধুরী মিরাজ এসে বললো....
কিরে শয়তান এখনো আইসক্রিম খাচ্ছিস, তন্ময় তোর জন্য অপেক্ষা করছে, আজকের তোর কপালে শনি আছে

কথাটা শুনে কোন দিকে না তাকিয়ে, নিজের রুমের দিকে দৌড় দিলাম, ভাইয়া এখনো বসে আছে, আমি যেতেই আমার দিকে আগুনের মত লাল চোখ নিয়ে
আমার দিকে তাকালো , এই বুঝি কখন একটা থাপ্পর দিবে সেটাই ভয় পাচ্ছি আমি

তোতলিয়ে তোতলিয়ে বললাম.....
"ভা-ইই-য়া স-সরি"
ভাইয়া কিছু বললো না আমার কাছে এসে আমার হাতটা ধরে নিচে নিয়ে গিয়ে রান্নাঘরে নিয়ে গিলো, আম্মু আর চাচিকে বলল....
"আজকে সবার ছুটি আজকে রাতের রান্না করবে চৌধুরী বাড়ির বড় মেয়ে"
সবাই অবাক , যে মেয়ে কফি ছাড়া আজ পর্যন্ত কিছুই বানাইনি সে নাকি রান্না করবে
চাচি বললো...
পাগল হয়ে গেছিস তুই ও রান্না করতে পারবে না
ভাই আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল....
"কিরে পারবি না?? বল সবাইকে"
আমি তোতলিয়ে বললাম....
"না"
চেঁচিয়ে বলে উঠলো....
"কিহ্??"
কলিজাটা কেঁপে উঠলো কখন আবার থাপ্পর মেরে বসে তাই বাধ্য হয়ে বললাম....
"না সবাই বাইরে যাও আজকে আমি রান্না করবো"

দুইটা সার্ভেন্ট আম্মু, চাচি সবাই বেরিয়ে গেল
ইউটিউব থেকে সব রান্না করলাম ধরতে গেলে এটাই আমার প্রথম রান্না

~~~~

দীর্ঘ 3 ঘন্টা পরিশ্রম করে রান্না করে, রাতে সবাইকে খাইয়েছি, ঘড়ির কাঁটায় রাত প্রায় ১০টা হঠাৎ ভাইয়া এসে বললো "পড়তে বসতে" , ভাল্লোগেনা যখনই আসবে তখনই শুধু পড়া পড়া আর কোন কথা নেই কথাটা বিড় বিড় করেই বললাম জোরে বলার সাহস নেই আমার

বেশ কয়েক মিনিট পর ভাই আমার রুমের বারান্দায় গেলো, এই সুযোগে আমার ভাইয়ের ফোনটা হাতে নিলাম একটা মেসেজ দেখলাম "তন্ময় কেমন আছে আমার....??" আর কিছু দেখার আগেই ভাইয়া রুমে এসে আমার হাত থেকে ফোনটা আচমকা নিয়ে নিলো

আর বিরক্তি নিয়ে বললো....
এরপর থেকে কখন আমার ফোন ধরবি না

বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো, বুঝতে পারলাম আজকে আর পড়াবে না ভাইয়া তাই সব বই গুছিয়ে বিছানায় শরীর এড়িয়ে দিলাম ভাবতে লাগলাম..

আজকে সারাদিনের কথাগুলো ভাবতে থাকলাম, আজকে আমার রান্না খেয়ে সবাই প্রশংসা করেছে শুধু তন্ময় ভাইয়া ছাড়া, খাওয়ার সময় অনেক শুধু নিজের ফোনের দিকে তাকিয়ে মৃত হেসেছেন এখন ভাই আমার সাথে এমন কেন করে?? বিশেষ করে আমার 16 তম জন্মদিনের পর থেকে, আগে তার ফোন ধরলে আমাকে কিছু বলতো না, এখন তার ফোনের দিকে তাকাতে পর্যন্ত দেয় না, কি এমন রহস্য আছে ঐ ফোনে???

এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম, ফোনে অনেকবার কল এসেছে কেটে দিয়েছি এবার আর সহ্য করতে না পেরে ফোনটা ধরলাম, তন্ময় ভাইয়ার ফোন

ভাইয়া বললো...
"কখন থেকে ফোন করে যাচ্ছি, এত ঘুম কিসের???"
স্বাভাবিকভাবে বললাম...
"ভেবেছিলাম অন্য কোন ছেলে ফোন দিয়েছে তাই ধরিনি "
কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললো.....
"কেন অন্য ছেলেরা কি তোকে ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করে নাকি??"
স্বাভাবিকভাবে বললাম....
"না"
গভীর কন্ঠে বললো...
"তাহলে??? যাই হোক বাদ দে আমার খুব মাথা ব্যথা করছে, এক কাপ কফি নিয়ে আমার রুমে আয়"

কিছু বলার আগে ফোনটা কেটে দিল, তাড়াতাড়ি করে ওঠে কোন রকমের ফ্রেশ হয়ে, ভাইয়ার রুমে গেলাম, তুমি কেউ নেই তাই অনুমতি না নিয়ে এই রুমে ঢুকলাম, দেখলাম ভাইয়া কার সাথে যেন কথা বলছে
ওপাশ থেকে কি বলেছে শুনতে পাইনি কিন্তু বলছে..
"চিন্তা করিস না , তোর মহারানীকে আমি খুব শাসনে আগলে রেখেছি "
এটুকু বলে ভাইয়া পিছনে ঘুরে তাকায় , আমাকে রেখে তাড়াতাড়ি করে ফোনটা কেটে দেয়

বারান্দায় থাকা সোফায় শুয়ে পড়ে আর বলে....
"কারো অনুমতি ছাড়া তার রুমে ঢুকতে হয় না জানিস না??? লুকিয়ে লুকিয়ে কারো কথা শুনতে হয় না, এতটুকু পারিবারিক শিক্ষা কি নেই???"

কিছু বললাম না, কিছুক্ষণ পর আবার বলল....
"কফিটা এখানে রাখ আর আমার মাথাটা টিপে ব্যথাটা অনেক বেড়েছে এই ব্যথার জন্য সারারাত ঘুমাতে পারিনি"

কিছু না বলে মাথা টিপতে শুরু করলাম, বারান্দায় হালকা বাতাস বইছে ফেব্রুয়ারি তো এমনটাই হওয়ার কথা, ভাইয়ার চোখ বন্ধ , আমি আলতো ভাবে মাথা টিপে দিচ্ছি হঠাৎ একটা মেসেজ এসো ভাবলাম ভাইয়া ঘুমিয়ে গেছে তাই ফোনের দিকে হাত বাড়ালাম, আমি ফোনটা ধরার আগে ভাইয়া ফোনটা নিয়ে নেয়
ফোনটা হাতে নিয়ে বলল .....
"তুই রুমে চলে যা আর হ্যাঁ কখনো যেন আমার অনুপস্থিতিতে আমার ফোন ধরতে না দেখি দেখলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না"

অভিমান করে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম, আর মাত্র 5 দিন পর আমার জন্মদিন তবে এখন আর আমার জন্মদিনটা পালন করা হয় না আগে ভাইয়া নিজ থেকেই আমাকে সারপ্রাইজ দিতো কিন্তু এখন ভাইয়াই বলে জন্মদিনে আমি যেন বাসায় কাউকে দাওয়াত না দিই
আমি মনে ভাবলাম ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে তাই এত শাসনে রাখে , আমিও ভাইয়াকে প্রচন্ড না না আজ থেকে নয় আরো 5 বছর আগে থেকেই

~~`

আজ 25 ফেব্রুয়ারি আমার জন্মদিন, ভাইয়া না বলেছে তাই কাউকে দাওয়াত দেওয়ার সাহস আমার নেই, সকাল 8:00 টার সময় ভাইয়া আমার রুমে এসে বলল.....
"রেডি হতো কে নিয়ে কোথাও একটা যাব"

আমি খুব খুশি হলাম ভাবলাম হয়তো আজকে আমার জন্মদিন তাই আমাকে সারপ্রাইজ দিবে, শুধু রেডি হতে বললে চাইনি সাথে একটা লাল শাড়িও দিয়ে গেছে, আমার 16 তম জন্মদিনের পর থেকে ভাইয়া আমাকে কখনো লাল পোশাক পরতে দেয়নি অথচ আজ নিজেই একটা লাল শাড়ি দিয়ে গেছে আমি তো মহা খুশি

লাল শাড়ি পড়ে, মাথায় খোঁপা করে সাদা কয়েকটা ফোন লাগালাম, ঠোটে হালকা লিপস্টিক

~~~~

ভাইয়া গাড়ি চালাচ্ছে আর আমি বসে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছি, গাড়ি একটা এয়ারপোর্টে এসে থামলো

ভাইয়া স্বাভাবিক ভাবেই বললো....
"নাম গাড়ি থেকে"
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম....
"ভাইয়া এখানে "
গভীর কন্ঠে
"হ্যাঁ কেন কোন সমস্যা???"

মাথা নেড়ে না বললাম

আবার বলল ....
"তাহলে নাম"

~~~~

বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভাইয়া ফুল নিয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করছে, কে সে জানা নেই আমার, শুধু নিরবে ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছি

হঠাৎ একটা ছেলেকে দেখে ভাইয়া তার দিকে এগিয়ে গেল, আমিও গেলাম ছেলেটা কে বেশ চেনা চেনা লাগছে, হঠাৎ মনে পড়ল হ্যাঁ এটা রাহুল আহমেদ শুভ্র ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড আমার 16 তম জন্মদিনের কিছুদিন পরে বাবার ব্যবসা সামলাতে আমেরিকা গিয়েছিল

ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে , ভাইয়া রাহুল ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে, কিছুক্ষণ পর রাহুল ভাই আমার দিকে ইশারা করে বলল....
"এটাই তো ও তাই না???"
ভাই আমি মুচকি হেসে বলল....
"হ্যাঁ এত বছরের আগের রাখা ভালোবাসা"

ভাইয়া রাহুল ভাইয়াকে আমার কাছে নিয়ে আসলো , আমার হাতটা রাহুল ভাইয়ের হাতে রেখে বলল.....
"আজ থেকে আমার দায়িত্ব শেষ , তোর ভালোবাসাকে তোর হাতে তুলে দিলাম, এখন আমি মুক্ত"

কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম ভাই আমাকে ভালোবাসে না, রাহুল ভাইয়ার কথা এতদিন আমাকে শাসনে রেখেছে, আজ সময় হয়েছে তাই রাহুল ভাইয়ের হাতে তুলে দিচ্ছে

কিছু না ভেবেই ভাইয়ার গালে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম, ভাইয়া কিছু বললো না , শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে আছে, কি বা বলবে সে ??? আশেপাশে না তাকিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম, আমার কাছে টাকা ছিল সে টাকা দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম

এটা প্রথম পাঠ, আর একটা পাঠ আছে তোমরা ছোট গল্প পড়তে পছন্দ করো যারা আমার পুরাতন সাবস্ক্রাইবার আছো তারা জানো আমি আগেও অনেকবার ছোট গল্প দিয়েছি ☺️ছোটগল্প অনেকদিন দেওয়া হয় না তাই এটা দিলাম আশাকরি ভালো লাগবে👀💗☺️ রাগ অভিমান নাকি ভালোবাসা এর পার্ট 3 আইডিতে দিয়েছি দেখে আসো💯💗 আর এই গল্পের দ্বিতীয় পাট কি দেবো????😌🔥

4 weeks ago (edited) | [YT] | 7

View 8 replies

💗RaFiyA💗

রাগ অভিমান নাকি ভালোবাসা পাঠ ৩

মেহেরের আর কি করার , সেও রিয়াজের পিছন পিছন হাটা দিল, রিয়াজ মেহেরের রুমে এসে বালিশটা বিছানায় রাখলো

মেহের কে উদ্দেশ্য করে বলল...
"এখানে ঘুমা আমি এখানেই আছি তুই ঘুমিয়ে গেলে তারপর রুমে যাবো"

মেহেরও রিয়াজের কথামতো শুয়ে পড়ল

~~~

মেহের বিছানায় ঘুমাচ্ছে, রিয়াজ মেহেরের রুমের সোফায় বসে ফোন দেখছে, রিয়াজ মেহেরের দিকে তাকায়

মেহের ঘুমিয়ে গেছে , রিয়াজ ভাবছে....
ইশ মেয়েটা কি মায়াবী, ফুলের মতন এই ছোট্ট মেয়েটার জীবন আমি নষ্ট করে দিলাম
যে বয়সে ওর পুরো বাড়ি ছুটে বেড়ানোর কথা, পড়াশোনার করার কথা সেই বয়সে আমি ওকে বিয়ের নামক শব্দ আবদ্ধ করে ঘরের চার দেয়ালে বন্দী করে দিলাম

দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলে , মুচকি হেসে রুমের দরজা চাপিয়ে রেখে রুম থেকে বের হয়ে গেল

চলবে??

4 weeks ago (edited) | [YT] | 6

View 15 replies

💗RaFiyA💗

"রাগ অভিমান নাকি ভালোবাসা" পাঠ 2

অনেকটা বাধ্য হয়েই রিয়াজ মেহেরকে নিয়ে এসেছে আর মেহেরও আসার সময় অনেক কান্না করেছে, রিয়াজ অনেকটা মেহেরের কাছে অচেনা মানুষের মত, হয়তো পনের দিন বা এক মাসের মত রিয়াজের সাথে তার পরিচয়

মেহের যখন বুঝতে শিখেছে তার কয়েক মাস পর থেকে সিলেট এসে পরেছে, তারপর অনেক বার ভিডিও কলে কথা বললেও এটাই ছিল মেহের আর রিয়াজের প্রথম দেখা💜💜 রিয়াজ এত বছরে বাসায় এসেনি ব্যাপারটা এমন না , অনেক বার বাসায় এসেছে রিয়াজ কিন্তু মেহেরের সাথে দেখা করার সময়টা হয়ে ওঠেনি তার

রাস্তায় এসার সময় মেহেরকে রিয়াজ অনেক বার জিজ্ঞাসা করেছে , মেহের কি কিছু খাবে? কিন্তু মেহের শুধু মাথা নাড়িয়ে না বলেছে

~~~

ঘড়ির কাঁটায় রাত প্রায় ১০টা মেহের আর রিয়াজ বাসায় এসেছে সন্ধ্যা ৭টায় , দুজনেই খেয়ে যার যার রুমে চলে যায়

মেহের এর আগে কখনো একা রুমে ঘুমায়নি, একা ঘুমাতে ভয় পায় তাই বালিশ নিয়ে রিয়াজের রুমের দিকে পা বাড়ায়

রিয়াজ ফোন দেখছে, রুমে কারো আসার শব্দ শুনে সেদিকে তাকায়

মেহেরের দিকে তাকিয়ে....
এই পিচ্চি এখানে কি?

মেহের স্বাভাবিক ভাবে বললো....
"আমি এর আগে কখনো একা ঘুমায়নি"

"হুম তো?"

"আপনার রুমে আমাকে ঘুমাতে দেবেন, সত্যি বলছি আমি একটুও বিরক্ত করব না আপনাকে"

রিয়াজ বুঝতে পারে মেহের ভয় পায় তাই মেহেরের হাত থেকে বালিশটা নিয়ে

স্বাভাবিকভাবে বললো....
"আয় আমার সাথে"

চলবে???

আমি আজকে নানা বাড়ি যাবো গল্প দিতাম না তাও দিলাম 😌 কালকে পরশু ব্যস্ত থাকবো 🙃💗 তারপর দিন আবার গল্প দিবো ইনশাল্লাহ 👀🔥

1 month ago (edited) | [YT] | 5

View 6 replies

💗RaFiyA💗

পরীক্ষা শেষ কিন্তু গল্প দিতে মন চাচ্ছে না 🙂 কালকে দিবো টা টা🙂👋

1 month ago (edited) | [YT] | 4

View 2 replies