ranjit roy babu | রনজিৎ রায় বাবু

স্বাগতম আমার গানভরা জগতে।
আমি রনজিৎ রায় বাবু — বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার একজন সাধারণ মানুষ। আমি কোন পেশাদার শিল্পী নই, কিন্তু আমার হৃদয় জুড়ে আছে গান ও সুর। প্রতিটি গানে থাকে আমার ভালোবাসা ও অনুভব।

I’m not a professional singer, but I sing with love and soul.

এই চ্যানেলে আমি পোস্ট করি আমার প্রিয় গানগুলো – যা মন থেকে গাই, ভালোবেসে গাই।

আমি একজন প্রবাসী মানুষ। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আইন (UAE)-এ কর্মরত। বিদেশের মাটিতেও বাংলা গানই আমার শান্তি ও আত্মার খাবার।

এই চ্যানেলে আপনি শুনতে পাবেন:
- লালন গীতি (Lalon Geeti)
- বাউল গান (Baul Songs)
- মুর্শিদী, মারফতি, শ্যামা সংগীত
- গুরু ভজন, ভক্তি গীতি, রামপ্রসাদী
- নজরুল গীতি (Nazrul Geeti)
- কীর্তন, ফোক ও কাভার সং
-devotional songs

আমি জোর করে Like, Comment, Share চাই না। যারা গান অনুভব করেন, তারা নিজেরা ভালোবেসেই প্রতিক্রিয়া জানাবেন — সেটাই আমার চাওয়া।

ভালোবাসা ছড়াক, সুরে থাকুক শান্তি।

Joy Guru | জয় গুরু

From Manikgonj, Bangladesh | Living in Al Ain, UAE


ranjit roy babu

কপিরাইট | copyright | কি করবো | ranjit roy babu
https://youtu.be/i_JJHucQ4ic

2 weeks ago | [YT] | 1

ranjit roy babu

এক দিনে ৪২ টি ভিডিও দেখা অসম্ভব । আমি প্রবাসে পরের কাজ করে খাই । আমার এতো সময় নেই । যে ভিডিও থেকে আমার কোনো লাভ নেই ,মনের প্রশান্তি মিলে না , সে ভিডিও আমি দেখব না । ভাল থাকুন । প্রণাম 🙏

1 month ago | [YT] | 4

ranjit roy babu

ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছেন,
"মায়ের কাছে কিছু চাইতে যেও না।
চাইলেই কম পরে যাবে।।"

স্বামী বিবেকানন্দ চাইতে যেয়েও,
ফিরে এসেছে বারবার।
ঠাকুরকে বলেছেন-

"এই তুচ্ছ বিষয় বাসনার কথা,
মায়ের কাছে কি ভাবে বলি?"

এমাউন্ড লেখা ব্যাংক চেকে নির্ধারণ করা থাকে পরিমান,
সে যত বড় অংকই হোক না কেন।
কিন্তু ব্ল্যাংক চেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী লেখা যায়,যত ইচ্ছে।।

কি নেই,কিসের অভাব?
সবকিছুই তুমি জানো।
বোবা শিশুর কান্নার আওয়াজ
হয়তো হয় না,তাই বলে কি,
মা,দুধ দেয় না সন্তানেরে ?
সে যে নারীর টান,আত্মার বন্ধন
মা ভিন্ন বুঝিবার সাধ্য কার?

আমি কালা -বোবা -অন্ধ -বধির,
হাত ধরে বসিয়ে রেখো চরণের পাশে।
পতিতের বাঞ্ছা যেন পূর্ণ হয়।
সেই প্রত্যাশা অন্তরে।।

2 months ago | [YT] | 13

ranjit roy babu

“ মহাভারতের মা “ কলমে : ranjit roy babu

আমি এক মাতা।
শঙ্কর ঘরনী গঙ্গা।
স্বর্গের অষ্ট বসু গর্ভে করেছি ধারণ।
মুনি বশিষ্ঠ অভিশপ্ত আট পুত্র মোর,
স্বর্গলোক থেকে আসিয়াছে মর্তধামে।
অষ্টবসুর প্রার্থনায় মা হয়েছি তাদের।
নিয়েছি ছদ্মবেশ পুত্রের লাগিয়া।

পিতা রাজা প্রতীকের প্রতিশ্রুতি রাখতে
বিবাহ করেছিলেন আমায়,
হস্তীনাপুরের মহারাজ সান্তনু।
রূপে-গুণে বাক্যে আকৃষ্ট হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন
আমার কোন কর্মে কভু বাঁধা দেবেন না।
যদি কভু হয় প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ,
স্বেচ্ছায় ত্যাগ করিব রাজ প্রাসাদ ।

একে একে সাত পুত্র মোর জন্মের পরেই,
দিয়েছি গঙ্গায় বিসর্জন !
স্বর্গের সপ্তবসু করেছি অভিশাপ মুক্ত।

পুত্রের মুখ দেখেনি পিতা।
কি নিষ্ঠুর মাতা আমি!
তবু প্রতিজ্ঞায় স্বামী শান্তনু ছিলেন অনড়।

অষ্টম পুত্র এলো পৃথিবীতে।
কান্নার ধ্বনিতে জাগিয়াছে রাজপ্রাসাদ।
অষ্টম পুত্র সমেত গঙ্গাতীরে,
তেজীবো পুত্র গঙ্গা জলে।
অভিশাপ মুক্ত করিব তাহারে।

পিছনে ডাকিলেন স্বামী,
ভিক্ষা দাও এ পুত্র মোর।
কেমন নিষ্ঠুর মাতা তুমি?
হাসিমুখে সন্তান করিছো বিসর্জন,
তেজস্বিনী গঙ্গার স্রোতধারায় !

পতির প্রতিজ্ঞা ভঙ্গে, ত্যাগ করেছি রাজপ্রাসাদ ।
আশ্বস্ত করেছি তাহারে,
ষোল বৎসর কাল পরে,আসিব হেথায়,
দান করিবো অষ্টম পুত্র দেবব্রত,
হস্তিনাপুরের যোগ্য রাজকুমার।

পিতার ব্যাকুলতা দেখিয়াছি পূত্রের লাগিয়া!
কিন্তু আমি নিরুপায় !
আমি যে মাতা।
সন্তানের মুক্তি'ই আমার একমাত্র ব্রত।

অষ্টম পুত্র মোর দেবব্রত
দেবগুরু বৃহস্পতি শিখাইয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
মুনি বশিষ্ঠ দিয়েছেন বেদ বেদাঙ্গ জ্ঞান।
গুরু পরশুরাম দান করেছেন ধনুর্বিদ্যা।
ত্রয়োবিংশ দিবস রণে, গুরু পরশুরাম বিজেতা।
এক যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক দেবব্রত।

ষোল বৎসর পর,ফিরায়ে দিয়েছি পুত্র,
পিতা শান্তনুর নিকট।
আনন্দিত পিতা করিয়াছেন পুত্রের অভিষেক,
আনন্দিত প্রজা বর্গ,রাজগুরু,সকলেই
দেবব্রত আজ হস্তিনাপুরের যুবরাজ।

কিছুকাল পরে,রাজা গিয়েছিলেন মৃগয়ায়।
দেখিয়াছে ধীবর দাসরাজ কন্যা,
চিরযৌবনা সত্যবতী,
কৃষ্ণদ্বৈপ্যায়ন বেদব্যাসের মাতা,মৎস্যগন্ধা।
পরাশর মুনির পরশে আজি পদ্মগন্ধ যুক্ত,
করিছে এপার ওপার মুনিঋষি - পথিক।

স্ত্রী হারা শান্তনু, প্রেমের বাসনায় সত্যবতী,
মহারাণী করিতে তাহারে বাসনা রাজার।
কিন্তু পিতা দাসরাজ,বাদ সাধেন তাতে।
সত্যবতীর পুত্র হবে রাজা,
এ তাহারে ললাট লিখন।

সান্তনু রাজার জৈষ্ঠ পুত্র দেবব্রত,
রাজা হবার অধিকার তাহারই।
পিতা হয়ে পুত্রের প্রতি এই অবিচার,
অসম্ভব।

পিতার বিমর্ষ বদন হেঁড়িয়া,দাসরাজ গৃহে দেবব্রত।
ত্যাগ করেছে রাজা হবার বাসনা।
বিমাতার পুত্রই হবে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত,
দিয়েছে বচন দাসরাজ সম্মুখে।
করিয়াছে ভীষণ প্রতিজ্ঞা,
আজীবন ব্রহ্মচর্য ব্রত করিব পালন।
ভার্যা হবেনা কোন নারী এ ত্রিভুবনে।
আজি হতে বিশ্বের সমস্ত রমণী আমার জননী।।

ভীষণ প্রতিজ্ঞা হেতু সে ভীষ্মদেব।
দেবগন করিয়াছে পুষ্পবৃষ্টি,
পিতা দিয়েছেন ইচ্ছা মৃত্যু বর।
বিমাতা দিয়েছেন অপার মাতৃস্নেহ,
অতন্দ্র রক্ষী হস্তিনাপুরের,নিদ্রাহীন দেবব্রত।
কুরু - পান্ডব পিতামহ, ভীষ্মদেব।
মহাভারতের মহানায়ক।
পুত্রের গর্বে ভরিয়াছে বুক।
আমি তাহারি মাতা।

(মহাভারতের মা)

কলমেঃ রণজিৎ কুমার রায়।
২৬/১১/২০২১

2 months ago | [YT] | 23

ranjit roy babu

আজ ৩৪ টি ভিডিও দেখতে হবে ! এ কি করে সম্ভব ? আমার ইউটিউব পরিবারের সবাই মিলে ৩৪ টি ভিডিও আপলোড করেছে । কেউ কেউ ১ দিন আগে ১ টি , আবার ২৩ ঘণ্টা আগে একটি ! আড়াই ঘণ্টা সময় ইউটিউবে দেয়া ,আমার পক্ষে সম্ভব নয় । আমি প্রবাসে পরের কাজ করে খাই । সপ্তাহে ১/২ টি আপনার ভিডিও দেখতে পারবো । এর বেশি নয় । প্রতিদিন যারা আপলোড করেন ,তাদের আনসাব করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখছি না । আমি দুঃখিত । ভালো থাকুন ।🙏🌺💙🕉️

2 months ago | [YT] | 17

ranjit roy babu

যে গান গুলি আপনি মনে করেন ভালো গেয়েছেন ,কিন্তু আশা অনুরুপ ভিউ হয় নি । সে গান গুলি পুনরায় , রেকর্ড করুন , আরও উন্নত করে । আপলোড করুন নতুন ভাবে । টাইটেল ডিসকাইপসন একটু আলাদা করে সাজিয়ে দিন ।যেন আগের ভিডিও থেকে আলাদা হয় । এতে নতুন করে ভিউ আসবে এবং রিআপলোড সমস্যা হবে না । ভালো থাকুন সব সময় । শুভকামনা ।🙏🌺💙

2 months ago | [YT] | 22

ranjit roy babu

ধর্মীয় গানে ডিসলাইক দেয় !!! 😢🙏🌺

3 months ago (edited) | [YT] | 5

ranjit roy babu

যদি ভোগ দিলে ভগবান মিলতো | রাধাবল্লভ সরকার | Bhakti Song | Ranjit Roy Babu

রচয়িতা ও সুরকার :
রাধাবল্লভ সরকার
Cover Ranjit Roy Babu

🎶 ধরণ: ভক্তিমূলক গান,Bhakti Song,Baul Philosophy,

ধান্ধাবাজের ধোঁকায় পড়ে আন্দাজে করলে সাধন লিরিক্স,

ধান্ধাবাজের ধোঁকায় পড়ে,
আন্দাজে করলে সাধন।
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন?।।
কোন রূপেতে পাবে তারে,
নিরাকার সাঁই নিরাঞ্জন।
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন।।

যদি মক্কায় যেয়ে খোদা মিলতো,
শিব মিলতো কাশীতে।
বৃন্দাবনে কৃষ্ণ মিলতো,
কেউ আসতো না দেশেতে রে,
কেউ আসতো না দেশেতে।।
শুনেছি জাহেরে বাতনে মওলা,
ভক্ত নিয়ে করে খেলা।
কোন রূপে তার নিত্য লীলা,
কে পেল তার দরশন?
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন।।

যদি ভোগ দিলে ভগবান মিলতো,
খোদা মিলতো শিন্নিতে।
বড় করে ভোগ লাগাইয়ে,
রাজায় পারতো কিনিতে তারে
বাদশাহায় পারতো কিনিতে।।
সে যে কোন মোকামে থাকে বদ্ধ,
কি ধন দিলে হয় সে বাধ্য।
যে বস্তু তার প্রিয় খাদ্য,
করছো নি তার আয়োজন।
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন।।

আবার মন্দিরে মূর্তি গড়ে,
ধ্যান করো মনে-মনে।
আসমানেতে হাত উঠায়ে
সেজদা দেও তার জমিনে ,
সেজদা করো জমিনে।।
দেখ নাই যার মূরতি,
তার সনে কি হয় পীড়িতি।
এই বল্লভের পাগলা গীতি,
বুঝবে শুধু পাগল জন।
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন।।

🌿 ব্যাখ্যা (আধ্যাত্মিক ভাব)
এই গানে রাধাবল্লভ সরকারের ভাবধারার একটি গভীর দেহতত্ত্বের ইঙ্গিত আছে –
ভোগ নয়, যোগ – ভোগ দিলে ভগবান মেলে না। যদি শুধু ভোগেই ভগবান বা খোদা পাওয়া যেত, তাহলে ধনী রাজা - বাদশাহরাই ঈশ্বর কিনে নিত।
স্থান নয়, অন্তর – মক্কায় গেলে খোদা, কাশীতে গেলে শিব বা বৃন্দাবনে গেলে কৃষ্ণ পাওয়া যায় না। ঈশ্বর কোনো স্থানে বাঁধা নন, তিনি অন্তরে আছেন।
নিরাকার সাঁই – ভগবান আকারে বাঁধা নন। তিনি নিরাকার, নিরঞ্জন। তাই মূর্তি গড়ে, কিংবা শুধু সেজদা করে তাঁকে পাওয়া যায় না, যদি অন্তরের ভক্তি না থাকে।
অন্তরের সাধনা – আসল সাধনা হলো অন্তরের মধ্যে তাঁকে খুঁজে পাওয়া। বাহ্যিক রূপ, দান, ভোগ, আয়োজন নয়— সত্যিকারের প্রেম ও ভক্তিই পথ।
রাধাবল্লভ এর এই পাগলা গীতি – শেষ স্তবকে কবি/গায়ক নিজেকে প্রকাশ করেছেন যে, এই গান শুধু "পাগল জন" অর্থাৎ গভীর প্রেমিকরা বুঝতে পারবে। সাধারণ মানুষ হয়তো ধরতে পারবে না।
জয় গুরু 🙏🌺

যদি ভোগ দিলে ভগবান মিলতো খোদা মিলত সিন্নিতে — এই আধ্যাত্মিক ভক্তিগীতি ভোগ, পূজা বা বাহ্যিক রীতিনীতি নয়; বরং সত্যিকার ভক্তি ও অন্তরের প্রেম দিয়েই পরম সত্যকে পাওয়া যায়— সেই শিক্ষাই দেয়।
এই গানটি রাধাবল্লভ সরকারের ভক্তিমূলক ভাবনা থেকে নেওয়া, যেখানে ভক্তির মহত্ত্ব, আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান এবং মানুষের অন্তর্গত সাধনার গুরুত্ব ফুটে উঠেছে।

যদি ভোগ দিলে ভগবান মিলতো | রাধাবল্লভ সরকার | Bhakti Song | Ranjit Roy Babu
https://youtu.be/8WfhHBvhku4

3 months ago (edited) | [YT] | 9

ranjit roy babu

নিগূঢ় প্রেম কথাটি তাই আজ আমি
শুধাই কার কাছে লিরিক্স

নিগূঢ় প্রেম কথাটি তাই আজ আমি
শুধাই কার কাছে।
যে প্রেমেতে আল্লাহ নবি মেরাজ করেছে।।

মেরাজ সে ভাবেরই ভুবন
গুপ্ত ব্যক্ত আলাপ হয়রে দুইজন।
কে পুরুষ আকার কে প্রকৃতি তার
শাস্ত্রে প্রমাণ কি রেখেছে।।

কোন প্রেমের প্রেমিক ফাতেমা
করেন সাঁই কে পতি ভজনা।
কোন প্রেমের দায় ফাতেমাকে সাঁই
মা বোল বলেছে।।

কোন প্রেমে গুরু হয় ভবতরী
কোন প্রেমে শিষ্য হয় কাণ্ডারি।
না জেনে লালন প্রেমের উদ্দীপন
পিরিত করে মিছে।।


✨ দেহতত্ত্বের আলোকে ব্যাখ্যা
লালন সাঁই দেহতত্ত্বের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন—
মানবদেহই প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার আসল ক্ষেত্র।
এখানে নিগূঢ় প্রেম মানে হলো, আত্মা (প্রকৃতি) ও পরমাত্মা (পুরুষ)–এর মিলন।
“যে প্রেমেতে আল্লাহ নবি মেরাজ করেছে”
👉 দেহতত্ত্বে মেরাজ মানে হলো দেহের ভেতরকার আত্মার যাত্রা, যেখানে আত্মা স্রষ্টার সঙ্গে মিলনের অভিজ্ঞতা লাভ করে।
“কে পুরুষ আকার কে প্রকৃতি তার, শাস্ত্রে প্রমাণ কি রেখেছে”
👉 এখানে দেহকে পুরুষ-প্রকৃতির মিলনের প্রতীক বলা হয়েছে। দেহতত্ত্ব অনুসারে, মানুষ নিজের ভেতরের পুরুষ (চৈতন্য) ও প্রকৃতি (শক্তি) মিলনকে বোঝে না, তাই বিভ্রান্ত থাকে।
ফাতেমার দিকটি
👉 ফাতেমা নবীর কন্যা হলেও, এখানে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
ফাতেমার ভক্তি-প্রেম দেহতত্ত্বে আত্মার নিষ্কলুষ ভক্তির প্রতীক।

গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক
👉 “কোন প্রেমে গুরু হয় ভবতরী, কোন প্রেমে শিষ্য হয় কাণ্ডারি”
গুরু = ভবতরী (নৌকার মাঝি, যিনি সংসার সাগর পার করান)
শিষ্য = কাণ্ডারি (যিনি নিজের দেহ-নৌকাকে চালায় গুরুর নির্দেশে)
অর্থাৎ দেহতত্ত্বে গুরু পথ দেখান, আর শিষ্য সেই পথে দেহ-মনকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তির দিকে অগ্রসর হয়।

মূল কথা, শিষ্য গুরুতে আত্মসমর্পণ করেন ।
তার সবকিছুই গুরু ময় ।

শেষে লালনের উপদেশ
👉 “না জেনে লালন প্রেমের উদ্দীপন, পিরিত করে মিছে”
মানে, আসল দেহতত্ত্ব না বুঝে যদি মানুষ কেবল বাহ্যিক প্রেমে ডুবে থাকে, তবে সেই প্রেম মিথ্যে, আর মুক্তি মেলে না।
🔑 সারাংশ
এই গানটি আসলে বোঝাচ্ছে—
দেহের ভেতরে লুকানো প্রেমই সত্যিকারের “নিগূঢ় প্রেম”।
গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক ছাড়া এই প্রেমের জ্ঞান সম্ভব নয়।
যিনি এই প্রেম বুঝতে পারেন, তিনি সংসার থেকে মুক্তি পান।

জয় লালন সাঁই । সকলকে প্রণাম 🙏🌺

ranjit roy babu

3 months ago | [YT] | 11

ranjit roy babu

🌸 লিরিক্স ও ব্যাখ্যা 🙏🌺 সব সৃষ্টি করলো যেজন | লালন গীতি

🌺🌸 সম্পূর্ণ লিরিক্স🙏🌺

সব সৃষ্টি করলো যে জন
তারে সৃষ্টি কে করেছে?
সৃষ্টিছাড়া কিরূপে তে
সৃষ্টিকর্তা নাম ধরেছে।।

সৃষ্টিকর্তা বলছো যারে
লা শরিক হয় কেমন করে
ভেবে দেখো পূর্বা পরে
সৃষ্টি করলে শরীর আছে।।

চন্দ্র সূর্য যে ঘটেছে
তার খবর কে করেছে
নীড়ে তে নিরঞ্জন আছে
নীড়ের জন্ম কে দিয়েছে।।

স্বরূপ শক্তি হয় যে জনা
কে জানে তার ঠিক ঠিকানা
জাহের বাতেন যে জানেনা
তার মনে তে প্যাঁচ পড়েছে।।

আপনার শক্তির জোরে
নিজ শক্তি রূপ প্রকাশ করে
দরবেশ সিরাজ সাঁই কয় লালন তোরে
নিতান্তই ভূতে পেয়েছে।।

🌸 গানের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

১ম স্তবক:
সব সৃষ্টি করলো যে জন
তারে সৃষ্টি কে করেছে?
সৃষ্টিছাড়া কিরূপে তে
সৃষ্টিকর্তা নাম ধরেছে।।
🔎 ব্যাখ্যা: লালন প্রশ্ন তুলছেন—যিনি সব সৃষ্টি করেছেন, তাকেই বা কে সৃষ্টি করেছে?
মানুষ তাঁকে “সৃষ্টিকর্তা” বলে ডাকছে, কিন্তু তিনি কিভাবে সৃষ্টি হলেন, কেউ তা জানে না।

২য় স্তবক:
সৃষ্টিকর্তা বলছো যারে
লা শরিক হয় কেমন করে
ভেবে দেখো পূর্বা পরে
সৃষ্টি করলে শরীর আছে।।
🔎 ব্যাখ্যা: মানুষ বলে, স্রষ্টা এক ও অদ্বিতীয় (লা শরিক)।
কিন্তু লালন ভাবতে বলছেন—যদি তিনি সৃষ্টি করেন, তবে কি তাঁরও শরীর নেই?
এই প্রশ্ন স্রষ্টার প্রকৃত স্বরূপ নিয়ে।

৩য় স্তবক:
চন্দ্র সূর্য যে ঘটেছে
তার খবর কে করেছে
নীড়ে তে নিরঞ্জন আছে
নীড়ের জন্ম কে দিয়েছে।।
🔎 ব্যাখ্যা: সূর্য, চন্দ্র, প্রকৃতির সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে—কিন্তু এগুলোর আসল শুরু কে করলো?
নীড়ের ভেতরে নিরঞ্জন (অদৃশ্য সত্তা) আছে, কিন্তু সেই নিরঞ্জনেরও উৎস কোথায়?

৪র্থ স্তবক:
স্বরূপ শক্তি হয় যে জনা
কে জানে তার ঠিক ঠিকানা
জাহের বাতেন যে জানেনা
তার মনে তে প্যাঁচ পড়েছে।।
🔎 ব্যাখ্যা: স্রষ্টার প্রকৃত শক্তি, রূপ বা ঠিকানা আসলে কেউ জানে না।
যারা বাহ্যিক (জাহের) ও আভ্যন্তরীণ (বাতেন) সত্য বোঝে না, তারা বিভ্রান্ত হয়, তাদের মনে জটিলতা থেকে যায়।

৫ম স্তবক (শেষ):
আপনার শক্তির জোরে
নিজ শক্তি রূপ প্রকাশ করে
দরবেশ সিরাজ সাঁই কয় লালন তোরে
নিতান্তই ভূতে পেয়েছে।।
🔎 ব্যাখ্যা: স্রষ্টা নিজের শক্তির জোরেই নিজের রূপ প্রকাশ করেন।
কিন্তু মানুষ এই রহস্য না বুঝে বিভ্রান্ত হয়—মনে হয় যেন ভূতে ধরেছে।

🌼 সারসংক্ষেপ
এই গানটি মূলত সৃষ্টির রহস্য নিয়ে গভীর আধ্যাত্মিক প্রশ্ন।
👉 লালন দেখাতে চাইছেন—মানুষ যা বোঝে তার সীমাবদ্ধতা আছে,
👉 স্রষ্টার উৎস, রূপ ও শক্তি মানুষের জ্ঞানের বাইরে।

3 months ago (edited) | [YT] | 12