Ranjit Roy Babu

নিগূঢ় প্রেম কথাটি তাই আজ আমি
শুধাই কার কাছে লিরিক্স

নিগূঢ় প্রেম কথাটি তাই আজ আমি
শুধাই কার কাছে।
যে প্রেমেতে আল্লাহ নবি মেরাজ করেছে।।

মেরাজ সে ভাবেরই ভুবন
গুপ্ত ব্যক্ত আলাপ হয়রে দুইজন।
কে পুরুষ আকার কে প্রকৃতি তার
শাস্ত্রে প্রমাণ কি রেখেছে।।

কোন প্রেমের প্রেমিক ফাতেমা
করেন সাঁই কে পতি ভজনা।
কোন প্রেমের দায় ফাতেমাকে সাঁই
মা বোল বলেছে।।

কোন প্রেমে গুরু হয় ভবতরী
কোন প্রেমে শিষ্য হয় কাণ্ডারি।
না জেনে লালন প্রেমের উদ্দীপন
পিরিত করে মিছে।।


✨ দেহতত্ত্বের আলোকে ব্যাখ্যা
লালন সাঁই দেহতত্ত্বের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন—
মানবদেহই প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার আসল ক্ষেত্র।
এখানে নিগূঢ় প্রেম মানে হলো, আত্মা (প্রকৃতি) ও পরমাত্মা (পুরুষ)–এর মিলন।
“যে প্রেমেতে আল্লাহ নবি মেরাজ করেছে”
👉 দেহতত্ত্বে মেরাজ মানে হলো দেহের ভেতরকার আত্মার যাত্রা, যেখানে আত্মা স্রষ্টার সঙ্গে মিলনের অভিজ্ঞতা লাভ করে।
“কে পুরুষ আকার কে প্রকৃতি তার, শাস্ত্রে প্রমাণ কি রেখেছে”
👉 এখানে দেহকে পুরুষ-প্রকৃতির মিলনের প্রতীক বলা হয়েছে। দেহতত্ত্ব অনুসারে, মানুষ নিজের ভেতরের পুরুষ (চৈতন্য) ও প্রকৃতি (শক্তি) মিলনকে বোঝে না, তাই বিভ্রান্ত থাকে।
ফাতেমার দিকটি
👉 ফাতেমা নবীর কন্যা হলেও, এখানে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
ফাতেমার ভক্তি-প্রেম দেহতত্ত্বে আত্মার নিষ্কলুষ ভক্তির প্রতীক।

গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক
👉 “কোন প্রেমে গুরু হয় ভবতরী, কোন প্রেমে শিষ্য হয় কাণ্ডারি”
গুরু = ভবতরী (নৌকার মাঝি, যিনি সংসার সাগর পার করান)
শিষ্য = কাণ্ডারি (যিনি নিজের দেহ-নৌকাকে চালায় গুরুর নির্দেশে)
অর্থাৎ দেহতত্ত্বে গুরু পথ দেখান, আর শিষ্য সেই পথে দেহ-মনকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তির দিকে অগ্রসর হয়।

মূল কথা, শিষ্য গুরুতে আত্মসমর্পণ করেন ।
তার সবকিছুই গুরু ময় ।

শেষে লালনের উপদেশ
👉 “না জেনে লালন প্রেমের উদ্দীপন, পিরিত করে মিছে”
মানে, আসল দেহতত্ত্ব না বুঝে যদি মানুষ কেবল বাহ্যিক প্রেমে ডুবে থাকে, তবে সেই প্রেম মিথ্যে, আর মুক্তি মেলে না।
🔑 সারাংশ
এই গানটি আসলে বোঝাচ্ছে—
দেহের ভেতরে লুকানো প্রেমই সত্যিকারের “নিগূঢ় প্রেম”।
গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক ছাড়া এই প্রেমের জ্ঞান সম্ভব নয়।
যিনি এই প্রেম বুঝতে পারেন, তিনি সংসার থেকে মুক্তি পান।

জয় লালন সাঁই । সকলকে প্রণাম 🙏🌺

ranjit roy babu

1 week ago | [YT] | 10