Chapter Chasers

আবারো ফিরে দেখা শনিবার, সত্যিই আবেগ মাখা একটা দিন।
এই শনিবারটাকে রিজার্ভে রেখে একটু ফিরে যাই সেই সেকেন্ড এপ্রিল ২০১১ দিনটাই, সেদিনও ছিল শনিবার। সেদিন তড়িঘড়ি স্কুল শেষ করে সবাই ব্যস্ত যে যার বাড়ি ফিরতে, কারণ সেদিন ছিল শ্রীলঙ্কা বধের ম্যাচ। মাহেলার দাপুটে শত রানে শ্রীলংকা পৌঁছে যায় ২৭৪ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মালিঙ্গার চোখ ধাঁধানো বলে শেহবাগ বিনা রানে ফেরে প্যাভিলিয়নে, অন্যদিকে শচীন টেন্ডুলকারও 18 রানের মাথায় মালিঙ্গার শিকার। কিন্তু সেই সন্ধ্যেতেও যখন গোটা দেশ অন্ধকারের কবলে তখনই উদয় গৌতম ও মাহির, তাদের ৯০ এর ঘরের ব্যাটিং তাণ্ডব রূপকথার জয় ছিনিয়ে ছিলো, মাহির ওভার বাউন্ডারি টা আজীবন সাজানো থাকবে ক্রিকেটের জাদুঘরে।

এবার আসি এ দিনে , টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে যখন হিটম্যান,পন্থ ও ৩৬০ ডিগ্রীর মতো ব্যাটসম্যানরা স্কোর বোর্ডের মাপকাঠি সম্মানজনক হবার আগেই প্যাভিলিয়নের উদ্দেশ্যে রওনা দেই, তখন অপর প্রান্ত থেকে একটা দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন কিং।রাজার ৭৬ রানের ইনিংস টা ভারতকে পৌঁছে দিয়েছে ১৭৬ এ, যা বেশ সম্মানের।

অতঃপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ডীকক, ও ক্লাসিনের মত ব্যাটসম্যানরা যখন একের পর এক বাউন্ডারি হাকাচ্ছিলেন ভাবলাম আমাদের হয়তো জয়ের স্বাদ টা আর পাওয়া হবে না। কিন্তু অচিরেই মোড় ঘুরলো বদলে গেল খেলার ভাষা। তখনো পাঁচ ওভারে ৩০ রান দরকার, ক্রিজে ব্যাট করছে হেনরি আর মিলার।

এরপর শুরু হল বুমরা নামের সাইক্লোন, যার এক একটা বল যেন রাইফেলের গুলির থেকেও ভয়ানক,যা সহজে ধরাশায়ী করে দিল প্রতিপক্ষকে। অন্যদিকে অলরাউন্ডার হার্দিক ও বোলার আর্শদীপ যেন জ্বলন্ত প্রদীপ,যার জ্বলন্ত আরচিতে ধুঁকছে এইডেনের দলটা। সত্যি বলতে নাটক তখনো বাকি -শেষ ওভার ছয় বলে ১৬ রান দরকার। তখনো বীর যোদ্ধার মতন দাঁড়িয়ে মিলার, ওরফে কিলার মিলার। তখনো ভারতের স্বপ্ন পূরণে স্বাদটা রাতের অন্ধকারের মতই জমকালো, আর এ সময়েই উদয় ঘটলো সূর্যের। সূর্যের লুফে নেওযয়া ক্যাচটা ছিল শিল্পীর নিখুঁত এক শিল্প,যা প্রতিটা ভারতীয়দের মনের মনিকোঠায় সাজানো থাকবে আজীবন।

অধিনায়ক রোহিতের নেতৃত্বাধীন দল টা শিখিয়েছে হারার আগে হেরে যেতে নেই। তোমাদের এই জয়টা প্রতিটা ভারতবাসী মনে রাখবে, এই রূপকথার জয়টা যেন ফিনিক্স পাখির মতো, সত্যিই সুন্দর!
🇮🇳 🇮🇳

অমিত...... 💚💚

1 year ago (edited) | [YT] | 8