আজ ৯ জুলাই অনু এবং নাহিয়ান এর গায়ে হলুদ।অনুর বোন এবং কাজিনরা সাজছে অপরদিকে অনুর মা এবং তার চাচিরা হলুদের ডালা রেডি করছে। সালমা আক্তার পূর্ণতার রুমে গিয়ে দেখল পূর্ণতার এখনো সাজা শেষ হয়নি তিনি বলে উঠলেন।
সালমা:-এখনো তোর সাজা শেষ হলো না!?এদিক দিয়ে হলুদের ডালা রেডি করা হয়ে গেল আর তোদের সাজা এখন পর্যন্ত শেষ হলো না এত কি সাজছিস তোর বিয়ে নাকি!?
পূর্ণতা:-মা, আমার বোনের বিয়ে আমি সাজবো না এটা কোন কথা? আর বেশিক্ষণ লাগবে না এইতো আই লাইনার দেওয়া শেষ হলেই হয়ে যাবে।
সালমা:-তা যেনো হয়, বেশিক্ষণ দেরি হলে কিন্তু খবর আছে তোর!?
এই কথা বলে সালমা আক্তার রুম থেকে চলে গেলেন।পূর্ণতা সাজা শেষ করে নিচে আসলো দেখলো হলুদের অনুষ্ঠান এখনই শুরু হবে।সে তাড়াতাড়ি সেখানে চলে গেল আকাশ ও নিচে নেমে এসে সেখানে চলে গেল।কিছুক্ষণ পর হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো।
১০ জুলাই।অনু এবং নাহিয়ান এর প্রেমের পূর্ণতার দিন। সবাই খুশি ছিল।বাড়ি বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা একটু তো কাজ বেশি থাকে তাই পূর্ণতাও আজকে তার মা এবং চাচীদের কাজে সাহায্য করছে।পূর্ণতা কাজ শেষে তার রুমে চলে গেল রুমে গিয়ে একটি লাল টুকটুকে শাড়ি পরল।যেটাতে তাকে অপরূপ সুন্দর লাগছিল।বর্ণনা দিয়ে যদি বলি,পূর্ণতার ওই টানা টানা কাজল দুটো চোখ মায়াবী লাগছিল। কপালের লাল টিপ যেনো তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছিল।(আর বলতে পারবো না,নাহয় পরে আমি নিজেই তার প্রেমে পরে যাবো😩💝)
~~~বিয়ের সময়~~~
"মা বলো কবুল"
অনু:-ক....কবুল
"আলহামদুলিল্লাহ, বাবা বলো কবুল"
নাহিয়ান:-কবুল
"আলহামদুলিল্লাহ, দোয়া করি তোমাদের দামপত্তি জীবন সুখি হক"
অনু নাহিয়ানের দিকে তাকালো ছল ছল চোখ নিয়ে হাসলো।অবশ্য অনুর কাদারই কথা কারণ এই সময়টাতে মেয়েরা বুঝতে পারে সে যে আর তার পরিবারের সাথে প্রতিদিন সকালে উঠে দেখা করতে পারবে না...!!।অনুকে নিয়ে যাওয়ার সময় অনুর মা বাবা কাজ ছিল।তারা তাকে বলল,,,,"একদম চিন্তা করিস না,তুই সুখে থাকবি তোর ভালোর জন্যই তো আমরা এসব করেছি"।অনু তার বাবা মার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তার মনের কাছে গেল।
অনু:-ভালো থাকিস, এখন আর তোর সাথে তো কেউ আর ঝগড়া করবে না।কেউ রাগারাগি করবে না, কেউ তোকে বিরক্ত করবে না।দোয়া করি তুইও যাতে সুখে থাকিস, আর কাউকে বিয়ে করার আগে ১০০বার ভাববি। সে যদি ভালো হয় তাহলে তোর জন্যই ভালো। তোর খুশিতে আমি খুশি। 😅💔
পূর্ণতা:-ঠিক আছে, আর একটা কথা শোন যদি কেউ তোকে খারাপ কিছু বলে তুই ডাইরেক আমাকে বলবি ঠিক আছে?
অনু:-হুম।
তারপর অনু চলে গেল। রাত বাজে ১০:৩০টা অনুর কাজিনরা যায়নি তারা সবাই মিলে একসাথে রুমের মধ্যে গল্প করছিল এবং গানও শুনছিল।
পূর্ণতা:-তো মিস্টার আকাশ আমি কেমন দেখতে তা নিজে বর্ণনা করে শুনান দেখি।
আকাশ এ কথা শুনে ঠিক আছে বলে গাইতে শুরু করলো:-
~❝একটা ছিলো সোনার কন্যা❞~ ~❝মেঘ বরণ কেশ❞~ ~❝ভাটি অঞ্চলে ছিলো❞~ ~❝সেই কন্যার দেশ❞~ ~❝দুই চোখে তাহার এ কি মায়া❞~ ~❝নদীর জলে পড়লো কন্যার ছায়া❞~ ~❝আমি তাহার কথা বলি❞~ ~❝তাহার কথা বলতে বলতে❞~ ~❝নাও দৌড়াইয়া চলি❞~
তার এই গান শুনে পূর্ণতা মুচকি হেসে বললো,,
পূর্ণতা:-আমি কি এতোটাই সুন্দর?
আকাশ :-হুম ঠিক পরীর মতো।👀💖
তাদের কথোপকথন সবাই হা করে শুনছিলো।তখনি পূর্ণতার এক কাজিন বললো,,❝হয়েছে দুলাভাই এবার থামেন আর কতো প্রেম পিরীতি করবেন?একটু তো আমাদের মতো সিংগেলদের সামনে দয়া করে প্রেম করিয়েন না❞।এ কথা শুনে আকাশ একটু হেসে দিয়ে বললো,,,,
আকাশ:- ঠিক আছে শালীকারা এবার যান ঘুমান।
সবাই হ্যা বলে চলে গেলো।এখন আকাশ এবং পূর্ণতা একা বসে রয়েছে।আকাশ পূর্ণতাকে উদ্দেশ্য করে বললো,,,
আকাশ:-ম্যাডাম আপনাকে কি ঘুমানোর জন্য নিমন্ত্রণ দিতে হবে?
পূর্ণতা:-যাচ্ছি।
~~~পরের দিন সকালবেলা~~~
হাসান চৌধুরী(আকাশের বাবা):-ভাই, ভাবছিলাম পূর্ণতা এবং আকাশের বিয়ের তারিখটা এখন ঠিক করলে ভালো হতো না?
আবির চৌধুরী(পূর্ণতার বাবা):-হুম ঠিক বলেছিস,তো কত তারিখে তাদের বিয়েটা দিবো তুই বল।
হাসান চৌধুরী:-২২ জুলাইয়ে দিলে কেমন হয়?
আবির চৌধুরী:-ভালো,ঠিক আছে তাদের বিয়ের ফাইনাল তারিখ হলো ২২জুলাই।
•𝕱𝖆𝖓𝖌𝖎𝖗𝖑_𝖕𝖗𝖊𝖞𝖔𝖘𝖍𝖎•
🥀~মায়াবতী~🥀
writer - 𝖕𝖗𝖊𝖞𝖔𝖘𝖍𝖎✍
আজ ৯ জুলাই অনু এবং নাহিয়ান এর গায়ে হলুদ।অনুর বোন এবং কাজিনরা সাজছে অপরদিকে অনুর মা এবং তার চাচিরা হলুদের ডালা রেডি করছে। সালমা আক্তার পূর্ণতার রুমে গিয়ে দেখল পূর্ণতার এখনো সাজা শেষ হয়নি তিনি বলে উঠলেন।
সালমা:-এখনো তোর সাজা শেষ হলো না!?এদিক দিয়ে হলুদের ডালা রেডি করা হয়ে গেল আর তোদের সাজা এখন পর্যন্ত শেষ হলো না এত কি সাজছিস তোর বিয়ে নাকি!?
পূর্ণতা:-মা, আমার বোনের বিয়ে আমি সাজবো না এটা কোন কথা? আর বেশিক্ষণ লাগবে না এইতো আই লাইনার দেওয়া শেষ হলেই হয়ে যাবে।
সালমা:-তা যেনো হয়, বেশিক্ষণ দেরি হলে কিন্তু খবর আছে তোর!?
এই কথা বলে সালমা আক্তার রুম থেকে চলে গেলেন।পূর্ণতা সাজা শেষ করে নিচে আসলো দেখলো হলুদের অনুষ্ঠান এখনই শুরু হবে।সে তাড়াতাড়ি সেখানে চলে গেল আকাশ ও নিচে নেমে এসে সেখানে চলে গেল।কিছুক্ষণ পর হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো।
১০ জুলাই।অনু এবং নাহিয়ান এর প্রেমের পূর্ণতার দিন। সবাই খুশি ছিল।বাড়ি বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা একটু তো কাজ বেশি থাকে তাই পূর্ণতাও আজকে তার মা এবং চাচীদের কাজে সাহায্য করছে।পূর্ণতা কাজ শেষে তার রুমে চলে গেল রুমে গিয়ে একটি লাল টুকটুকে শাড়ি পরল।যেটাতে তাকে অপরূপ সুন্দর লাগছিল।বর্ণনা দিয়ে যদি বলি,পূর্ণতার ওই টানা টানা কাজল দুটো চোখ মায়াবী লাগছিল। কপালের লাল টিপ যেনো তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছিল।(আর বলতে পারবো না,নাহয় পরে আমি নিজেই তার প্রেমে পরে যাবো😩💝)
~~~বিয়ের সময়~~~
"মা বলো কবুল"
অনু:-ক....কবুল
"আলহামদুলিল্লাহ, বাবা বলো কবুল"
নাহিয়ান:-কবুল
"আলহামদুলিল্লাহ, দোয়া করি তোমাদের দামপত্তি জীবন সুখি হক"
অনু নাহিয়ানের দিকে তাকালো ছল ছল চোখ নিয়ে হাসলো।অবশ্য অনুর কাদারই কথা কারণ এই সময়টাতে মেয়েরা বুঝতে পারে সে যে আর তার পরিবারের সাথে প্রতিদিন সকালে উঠে দেখা করতে পারবে না...!!।অনুকে নিয়ে যাওয়ার সময় অনুর মা বাবা কাজ ছিল।তারা তাকে বলল,,,,"একদম চিন্তা করিস না,তুই সুখে থাকবি তোর ভালোর জন্যই তো আমরা এসব করেছি"।অনু তার বাবা মার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তার মনের কাছে গেল।
অনু:-ভালো থাকিস, এখন আর তোর সাথে তো কেউ আর ঝগড়া করবে না।কেউ রাগারাগি করবে না, কেউ তোকে বিরক্ত করবে না।দোয়া করি তুইও যাতে সুখে থাকিস, আর কাউকে বিয়ে করার আগে ১০০বার ভাববি। সে যদি ভালো হয় তাহলে তোর জন্যই ভালো। তোর খুশিতে আমি খুশি। 😅💔
পূর্ণতা:-ঠিক আছে, আর একটা কথা শোন যদি কেউ তোকে খারাপ কিছু বলে তুই ডাইরেক আমাকে বলবি ঠিক আছে?
অনু:-হুম।
তারপর অনু চলে গেল। রাত বাজে ১০:৩০টা অনুর কাজিনরা যায়নি তারা সবাই মিলে একসাথে রুমের মধ্যে গল্প করছিল এবং গানও শুনছিল।
পূর্ণতা:-তো মিস্টার আকাশ আমি কেমন দেখতে তা নিজে বর্ণনা করে শুনান দেখি।
আকাশ এ কথা শুনে ঠিক আছে বলে গাইতে শুরু করলো:-
~❝একটা ছিলো সোনার কন্যা❞~
~❝মেঘ বরণ কেশ❞~
~❝ভাটি অঞ্চলে ছিলো❞~
~❝সেই কন্যার দেশ❞~
~❝দুই চোখে তাহার এ কি মায়া❞~
~❝নদীর জলে পড়লো কন্যার ছায়া❞~
~❝আমি তাহার কথা বলি❞~
~❝তাহার কথা বলতে বলতে❞~
~❝নাও দৌড়াইয়া চলি❞~
তার এই গান শুনে পূর্ণতা মুচকি হেসে বললো,,
পূর্ণতা:-আমি কি এতোটাই সুন্দর?
আকাশ :-হুম ঠিক পরীর মতো।👀💖
তাদের কথোপকথন সবাই হা করে শুনছিলো।তখনি পূর্ণতার এক কাজিন বললো,,❝হয়েছে দুলাভাই এবার থামেন আর কতো প্রেম পিরীতি করবেন?একটু তো আমাদের মতো সিংগেলদের সামনে দয়া করে প্রেম করিয়েন না❞।এ কথা শুনে আকাশ একটু হেসে দিয়ে বললো,,,,
আকাশ:- ঠিক আছে শালীকারা এবার যান ঘুমান।
সবাই হ্যা বলে চলে গেলো।এখন আকাশ এবং পূর্ণতা একা বসে রয়েছে।আকাশ পূর্ণতাকে উদ্দেশ্য করে বললো,,,
আকাশ:-ম্যাডাম আপনাকে কি ঘুমানোর জন্য নিমন্ত্রণ দিতে হবে?
পূর্ণতা:-যাচ্ছি।
~~~পরের দিন সকালবেলা~~~
হাসান চৌধুরী(আকাশের বাবা):-ভাই,
ভাবছিলাম পূর্ণতা এবং আকাশের বিয়ের তারিখটা এখন ঠিক করলে ভালো হতো না?
আবির চৌধুরী(পূর্ণতার বাবা):-হুম ঠিক বলেছিস,তো কত তারিখে তাদের বিয়েটা দিবো তুই বল।
হাসান চৌধুরী:-২২ জুলাইয়ে দিলে কেমন হয়?
আবির চৌধুরী:-ভালো,ঠিক আছে তাদের বিয়ের ফাইনাল তারিখ হলো ২২জুলাই।
part-8
(আজ এই পর্যন্তই রাখলাম এবং গল্পটি কেমন হয়েছে জানাবেন)
@PuNux._.7 @jeon_Habiba01 @⟭⟬𝐁𝐀𝐍𝐠𝐏𝐈𝐍𝐤 𝐓𝐨𝐌𝐀♡⟭⟬ @Anayas_bestie.143 @FANBØY_ARFÂN🐾 @Fanboy...Araf26 #all#mayaboti
5 months ago | [YT] | 9