দ্বিতীয়বার মা হওয়ার গল্প শেয়ার করছি আপনাদের মাঝে আমার বিয়ের হয়েছিল ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পরপরেরি আমার কোলজুড়ে আসে আমার ছেলে। তখন সবাই খুব খুশি। দিন বাড়তে থাকে ছেলেও বড় হতে থাকে এভাবে ১২ বছর কেটে যায় আমার আর কোন সন্তান হচ্ছিল না। খুলনার ভিতরে যত গাইণী ডাক্তার আছে সবাই কে দেখিয়ে ছিলাম সবার একটায় কথা আর বাচ্চা হবেনা বহুত ঔষধ খেয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি। এদিক স্বামী মন খুব খারাপ কারণ তার মেয়ে খুব পচ্ছন্দ আমার বান্ধবীদের মেয়ে দেখলে সে কিছু না কিছু কিনে দিত আর বলতো এই সুখ আল্লাহ আমার কপালে রাখিনি তার এই আবেগ আমাকে খুব কষ্ট দিতো। বেশ কিছু দিন ধরে বুকে ব্যাথ্যা করতো ডান আর পেটে ব্যাথ্যা করতো তখন ডাক্তার আল্ট্রাসোনা দিছিলো। আলট্রাসোনাপ করার পরে রিপোর্ট আসলো গলব্লাডারে পাথর হয়েছে। ২০ সালের শুরুতে ২-৩ মাস অবজারভেশনে থাকলাম ওষুধ পানি খেলাম কিন্তু ব্যথা কমে না তারপরে ফেব্রুয়ারি মাসে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেয় একমাস পর অপারেশন করবে সেই সময় আমার পিরিয়ড বন্ধ জন্য ঔষধ দিয়েছিলো কারণ আমার গায়ে রক্ত কম ছিল তাই যেহেতু অপারেশন অনেক রক্ত যাবে সে জন্য ৮ মার্চ আমার আপরেশন হলো ১০ মার্চ বাংলাদেশ করোনা ধরা পড়লো আমাকে পাচ দিন পর ক্লিনিক থেকে নিয়ে আসার পর মোটামুটি একটু সুস্থ তখন ব্যাথ্যা টা কমে গেছে কিন্তু কোন কিছুতে বমি কমতো না ডাক্তার বললো তিন মাস পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এর ভিতরে আমার স্বামী ৮ মাসের জন্য অন্য জায়গায় পোস্টিং করে দেয়। সে আর বাসায় আসতে পারেনা অপারেশনের ১৬ দিনের থেকে আমি নিজেই বাজারঘাট করা শুরু করি। তারপর এভাবে কেটে যায় তিন মাস তবুও সুস্থ হতে পারিনা দিন যত যায় তা তো অসুস্থ হতে থাকে আমার কেন জানি মনে হয় অপারেশন করে লাভ কি হলো আমি তো আগের থেকে বেশি অসুস্থ হচ্ছি। কিন্তু হাজবেন্ড তো বাসায় নেই,বাসায় আমি আর ছেলে থাকি তাই বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারছিলাম না। সেই সময় আমার বান্ধবী আমাকে দেখা শুনা করত ওকে আমি মাঝে মাঝে বলতাম দেখো আমার এমন হচ্ছে শরীর টা খুব খারাপ লাগছে। একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আমাকে যখন ওটিতে নিচ্ছিল অপারেশনের জন্য তার আগে সব চেকআপ আর একবার করিয়ে নিয়েছিল তখন একজন নার্স আমাকে এসে বলল আপু আপনি কি পেগনেন্ট আমি বলল না কিন্তু নার্স টা মুসকি হাসলো। যখন তিন মাস পিরিয়ড বন্ধ করার যে ওষুধটি আমি খাচ্ছিলাম অফ করে দিলাম ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। কিন্তু তখন আমার আর পিরিয়ড হচ্ছিল না আমি খুব চিন্তায় ছিলাম আমার সমস্যা কথা হাজবেন্ডকে জানালাম সে বলল কিভাবে তোমার পিরিয়ড হবে তোমার গায়ে তো রক্ত থাকে না কিন্তু আমার মন মানছিল না যেহেতু একবার আমি মা হয়েছি তাই মা হওয়ার অনুভূতিটা আমি বুঝি আমি সব সময় ঝাল পছন্দ করি ওই সময়টা আমার প্রচন্ড পরিমাণে মিষ্টি আর অনুভূতি যেহেতু নিজে বাজার করতাম মিষ্টির দোকানের সামনে গেলে আমার রসমালাই রসগোল্লা এগুলো খেতে ইচ্ছে করত আমি ভাবতাম কি ব্যাপার আমি তো মিষ্টি পছন্দ করি না আরো অনেক সিমটম ছিল যেগুলো দেখে আমার মনে হতো আমি মা হতে যাচ্ছি কিন্তু বান্ধবীকে বলতাম চলনা একটু ডাক্তারের কাছে চেক করে দেখব। পরে আমি যখন চেকআপ করি রিপোর্ট পজেটিভ আছে তখন বাচ্চার বয়স ৬ মাসের কাছাকাছি তখন ডাক্তার আল্ট্রাসোনা করে বললো আপনার মেয়ে হবে সেদিন এত খুশি হয়েছি যে বলার বাহিরে কিন্তু ডাক্তার বলে আমি তো এই রিক্স নিতে পারবো না আপনার মাত্র চার মাস আগে অপারেশন হয়েছে এত বড় একটা আবার সিজার করতে হলে আপনি নাও বাঁচতে পারেন। আমি ডাক্তারকে বলি যে কোন মূল্যে আমি এই বাচ্চা জন্ম দিতে রাজি আছি তাতে আমি মরে গেলেও আমার কোন আপসোস নাই। একটা কথা মনে রাখবেন যারা মা হতে পারিনি তারা আল্লাহ কাছে চান দেখবেন আল্লাহ চাইলে আমার মত আপনার কোলকে ভরে দিতেপারে। সেদিন পর আমার স্বামী অনেক পরিবর্তন হয়ে ছিল যেটা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি ভাবছেন এত কথা কেন শেয়ার করছি সেই কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহ যাকে আমার কোল আলোকিত করে পাঠিয়েছে সেই মেয়ের আজ জন্মদিন বলুনতো ভোলা যায়। এই দিন সে আমার কোল জুড়ে এসেছিল আর সেই সাথে আমার পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। আজ আমার মেয়ে আরোহি জান্নাত সাহারা শুভ জন্ম দিন তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা। জন্মদিন সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারে এবং মানুষের মত মানুষ হতে পারে। আল্লাহ হাফিজ আপুরা টেক্সটে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন।
Shahara Shathy Cooking Vlog
দ্বিতীয়বার মা হওয়ার গল্প শেয়ার করছি আপনাদের মাঝে
আমার বিয়ের হয়েছিল ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পরপরেরি আমার কোলজুড়ে আসে আমার ছেলে। তখন সবাই খুব খুশি। দিন বাড়তে থাকে ছেলেও বড় হতে থাকে এভাবে ১২ বছর কেটে যায় আমার আর কোন সন্তান হচ্ছিল না। খুলনার ভিতরে যত গাইণী ডাক্তার আছে সবাই কে দেখিয়ে ছিলাম সবার একটায় কথা আর বাচ্চা হবেনা বহুত ঔষধ খেয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি। এদিক স্বামী মন খুব খারাপ কারণ তার মেয়ে খুব পচ্ছন্দ আমার বান্ধবীদের মেয়ে দেখলে সে কিছু না কিছু কিনে দিত আর বলতো এই সুখ
আল্লাহ আমার কপালে রাখিনি তার এই আবেগ আমাকে
খুব কষ্ট দিতো। বেশ কিছু দিন ধরে বুকে ব্যাথ্যা করতো ডান
আর পেটে ব্যাথ্যা করতো তখন ডাক্তার আল্ট্রাসোনা দিছিলো। আলট্রাসোনাপ করার পরে রিপোর্ট আসলো গলব্লাডারে পাথর হয়েছে। ২০ সালের শুরুতে ২-৩ মাস অবজারভেশনে থাকলাম ওষুধ পানি খেলাম কিন্তু ব্যথা কমে না তারপরে ফেব্রুয়ারি মাসে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেয় একমাস পর অপারেশন করবে সেই সময় আমার পিরিয়ড বন্ধ জন্য ঔষধ দিয়েছিলো কারণ আমার গায়ে রক্ত কম
ছিল তাই যেহেতু অপারেশন অনেক রক্ত যাবে সে জন্য
৮ মার্চ আমার আপরেশন হলো ১০ মার্চ বাংলাদেশ করোনা
ধরা পড়লো আমাকে পাচ দিন পর ক্লিনিক থেকে নিয়ে আসার পর মোটামুটি একটু সুস্থ তখন ব্যাথ্যা টা কমে গেছে
কিন্তু কোন কিছুতে বমি কমতো না ডাক্তার বললো তিন
মাস পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এর ভিতরে আমার স্বামী ৮ মাসের জন্য অন্য জায়গায় পোস্টিং করে দেয়। সে আর
বাসায় আসতে পারেনা অপারেশনের ১৬ দিনের থেকে আমি নিজেই বাজারঘাট করা শুরু করি। তারপর এভাবে
কেটে যায় তিন মাস তবুও সুস্থ হতে পারিনা দিন যত যায় তা তো অসুস্থ হতে থাকে আমার কেন জানি মনে হয় অপারেশন করে লাভ কি হলো আমি তো আগের থেকে বেশি অসুস্থ হচ্ছি। কিন্তু হাজবেন্ড তো বাসায় নেই,বাসায় আমি আর ছেলে থাকি তাই বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারছিলাম না। সেই সময় আমার বান্ধবী আমাকে দেখা শুনা করত ওকে আমি মাঝে মাঝে বলতাম দেখো আমার
এমন হচ্ছে শরীর টা খুব খারাপ লাগছে। একটা কথা বলতে
ভুলে গেছি আমাকে যখন ওটিতে নিচ্ছিল অপারেশনের জন্য তার আগে সব চেকআপ আর একবার করিয়ে নিয়েছিল তখন একজন নার্স আমাকে এসে বলল আপু আপনি কি পেগনেন্ট আমি বলল না কিন্তু নার্স টা মুসকি
হাসলো। যখন তিন মাস পিরিয়ড বন্ধ করার যে ওষুধটি আমি খাচ্ছিলাম অফ করে দিলাম ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। কিন্তু তখন আমার আর পিরিয়ড হচ্ছিল না
আমি খুব চিন্তায় ছিলাম আমার সমস্যা কথা হাজবেন্ডকে জানালাম সে বলল কিভাবে তোমার পিরিয়ড হবে তোমার গায়ে তো রক্ত থাকে না কিন্তু আমার মন মানছিল না যেহেতু একবার আমি মা হয়েছি তাই মা হওয়ার অনুভূতিটা আমি বুঝি আমি সব সময় ঝাল পছন্দ করি ওই সময়টা আমার প্রচন্ড পরিমাণে মিষ্টি আর অনুভূতি যেহেতু নিজে বাজার করতাম মিষ্টির দোকানের সামনে গেলে আমার রসমালাই রসগোল্লা এগুলো খেতে ইচ্ছে করত আমি ভাবতাম কি ব্যাপার আমি তো মিষ্টি পছন্দ করি না আরো অনেক সিমটম ছিল যেগুলো দেখে আমার মনে হতো আমি মা হতে যাচ্ছি কিন্তু বান্ধবীকে বলতাম চলনা একটু ডাক্তারের কাছে চেক করে দেখব। পরে আমি যখন চেকআপ করি রিপোর্ট পজেটিভ আছে তখন বাচ্চার বয়স ৬ মাসের কাছাকাছি
তখন ডাক্তার আল্ট্রাসোনা করে বললো আপনার মেয়ে হবে সেদিন এত খুশি হয়েছি যে বলার বাহিরে কিন্তু ডাক্তার
বলে আমি তো এই রিক্স নিতে পারবো না আপনার মাত্র চার মাস আগে অপারেশন হয়েছে এত বড় একটা আবার
সিজার করতে হলে আপনি নাও বাঁচতে পারেন। আমি ডাক্তারকে বলি যে কোন মূল্যে আমি এই বাচ্চা জন্ম দিতে রাজি আছি তাতে আমি মরে গেলেও আমার কোন আপসোস নাই। একটা কথা মনে রাখবেন যারা মা হতে পারিনি তারা আল্লাহ কাছে চান দেখবেন আল্লাহ চাইলে আমার মত আপনার কোলকে ভরে দিতেপারে। সেদিন পর
আমার স্বামী অনেক পরিবর্তন হয়ে ছিল যেটা আমি কখনো
কল্পনা করতে পারিনি ভাবছেন এত কথা কেন শেয়ার করছি সেই কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহ যাকে আমার কোল
আলোকিত করে পাঠিয়েছে সেই মেয়ের আজ জন্মদিন বলুনতো ভোলা যায়। এই দিন সে আমার কোল জুড়ে
এসেছিল আর সেই সাথে আমার পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। আজ আমার মেয়ে আরোহি জান্নাত সাহারা শুভ জন্ম দিন তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা।
জন্মদিন সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারে এবং মানুষের মত মানুষ হতে পারে। আল্লাহ হাফিজ আপুরা টেক্সটে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন।
10 months ago (edited) | [YT] | 21