TarkataZ

কুম্ভমেলা ২০২৫ 🔱 : যাওয়ার আগে যা জানা জরুরি

কুম্ভমেলা প্রায় শেষ লগ্নে, অনেকেই ঘুরে এসেছেন, কেউ এখনও যাচ্ছেন, আর বাকিরাও যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে কুম্ভে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা থাকলে আপনার ভ্রমণ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

কুম্ভমেলার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো:

১. সেক্টর নির্বাচন ও থাকার ব্যবস্থা

পুরো কুম্ভ এলাকা ২৫টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আপনি কোন সেক্টরে থাকবেন, তার ওপর নির্ভর করবে কুম্ভের অভিজ্ঞতা কেমন হবে।

কুম্ভমেলায় প্রচুর টেন্ট থাকলেও সব জায়গায় থাকা সম্ভব নয়।
প্রাইভেট টেন্টগুলোর খরচ বেশি, তবে খাবার ও শীতের সময় একটু আরামের ব্যবস্থা পাবেন।

সরকারি (UP Tourism) টেন্টগুলোও বেশ ব্যয়বহুল।
সস্তার টেন্ট থাকলেও সেখানে পরিষেবার মান ততটা ভালো নয়। অর্থ বাঁচাতে চাইলে কষ্টের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন।

প্রতিটি সেক্টরে তীর্থযাত্রীদের থাকার শিবির রয়েছে যেখানে মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে একটি খাটিয়া পাওয়া যায়। প্রয়াগরাজ সঙ্গম বা দ্বারাগঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় ২০০০-৩০০০ এ ঘর পেতে পারেন। এছাড়াও নাগবাসুকি মন্দিরের কাছে ৩০০-৫০০ টাকায় ডর্মিটরি বেড পেতে পারেন।

২. স্নানের জায়গা ও যাতায়াত ব্যবস্থা

কুম্ভমেলায় গঙ্গা ও যমুনা নদীর ওপর অনেকগুলো পিপার ব্রিজ তৈরি হয়।

শাহী স্নানের স্থান এ বছর ১, ২ ও ৩ নম্বর ব্রিজের কাছে পড়েছে।

কিছু ব্রিজ শুধু যাতায়াতের জন্য, কিছু সরকারী আধিকারিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।

সেক্টর নম্বর এবং ব্রিজ নম্বর আলাদা, তাই পরিকল্পনা করে চলুন।

সেক্টর ৩ এর ত্রিবেনী মার্গ সঙ্গম যাওয়ার মূল রাস্তা ।

৩. শাহী স্নানের প্রস্তুতি

শাহী স্নানের অন্তত ২ দিন আগে সেখানে পৌঁছানো ভালো।

শাহী স্নানের আগের ২ দিন মূল রাস্তায় No Entry থাকবে এবং যানবাহন চলবে না।

গাড়ি থেকে নামিয়ে ৭-১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাঁটতে হতে পারে।

তাই প্ল্যান করুন এবং অন্তত দুই দিন আগেই পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।

৪. পুলিশের নিরাপত্তা ও পথচলা

কুম্ভে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন রাস্তা No Entry হয়ে যায়।

অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকুন।

পরিবার ও লাগেজ নিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হতে পারে।

মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আকষ্মিক করে সমস্যায় পড়লে বিচলিত হবেন না।

৫. সহজ যাতায়াত পথ

Prayagraj Chheoki স্টেশন থেকে যাওয়া সুবিধাজনক।
স্টেশন থেকে শেয়ার অটো পৌঁছে দেবে আরেল ঘাট। এখান থেকে গঙ্গা ও যমুনা নদীর ওপর অনেকগুলো পিপার ব্রিজ পার করে গন্তব্যে পৌঁছনো সহজ।
রামবাগ স্টেশনেও নামা যায়, এখান থেকে টোটো বা অটো সহজেই পাওয়া যাবে। ঝুসি স্টেশনও মেলা ক্ষেত্রের অদূরে অবস্থিত। এখান থেকে সহজেই বারানসীর বাস পাওয়া যায়।

কী কী সাথে নেবেন?

১. শীতের পোশাক (রাতে ঠান্ডা বেশি থাকে)।
2. Power Bank (চার্জিং পয়েন্ট সবসময় নাও পেতে পারেন)।
3. আধার কার্ড (পরিচয়ের জন্য প্রয়োজন হতে পারে)।
4. তালা-চাবি (নিজের জিনিসপত্র নিরাপদ রাখতে)।
5. ভালো জুতো (অনেক হাঁটতে হবে)।
6. মাস্ক (যাদের ধুলোতে সমস্যা হয়)।
7. গ্রুপের সবার জন্য একই রঙের টুপি বা ব্যাজ (ভিড়ে হারিয়ে গেলে চিনতে সুবিধা হবে)।
8. প্রয়োজনীয় ওষুধ (শরীরের অবস্থা অনুযায়ী)।
9. হালকা কিন্তু উষ্ণ বিছানা বা বেডিং (আরামদায়ক ঘুমের জন্য)।

---

কুম্ভ ভ্রমণের কিছু টিপস:

✅ কুম্ভ মানেই হাঁটা, তাই প্রস্তুত থাকুন।
✅ খাবারের চিন্তা নেই, প্রচুর সংস্থা বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ করে।
✅ শাহী স্নানের দিনে ছোটো বাচ্চা না নেওয়াই ভালো।
✅ অযোধ্যা ঘুরে আসতে পারেন, একদিনেই ঘোরা সম্ভব।
✅ কম লাগেজ নিন, স্নান ৪-৭ টার আগে বা পরে করুন, কারণ নাগা সাধুরা তখন স্নান করেন।
©® TarkataZ
শেষ কথা:

এটা কোনো আরামদায়ক ভ্রমণের জায়গা নয়। মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে গেলে কুম্ভের আধ্যাত্মিক পরিবেশ সত্যিই অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেবে। ১৪৪ বছর পর মহাপূর্ণ কুম্ভ আসে, তাই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না!

🔱 হর হর গঙ্গে! হর হর মহাদেব! 🔱

#mahakumbh2025 #mahakumbh2025
#mahakumbh2025prayagraj #mahakumbhmela

2 months ago | [YT] | 9