ইসলামিক মাসআলা

১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস ডে কিভাবে আসলো?
বিয়ে বহির্ভুত অগণিত মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় সেন্ট ভ্যালেনটাইন নামক এক ধর্মযাজককে। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। এর মানে হলো "ভ্যালেনটাইন ডে" হচ্ছে এক কুখ্যাত জেনাকারীর মৃত্যু দিবস। যে দিনটিকে বাংলাদেশের মানুষ ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করে, তারা কি জানে না দিবসটি পালন করা মানে, জেনাকারীকে সমর্থন করা। জেনাকরিকে সমর্থন করা মানে পরোক্ষ ভাবে আপনিও জেনাকারী। আমরাকি হিন্দুদের সরস্বতী পূজা পালন করি ? তাহলে কেন খ্ৰীষ্টানদের দিবস পালন করবো ?
"তোমরা কাফিরদের (অর্থাৎ যারা ইসলামকে অস্বীকার করে) সাথে মিলিত হয়ে এমনভাবে রোজা রাখবে না, যে ভাবে তারা রোজা রাখে।"
তাহলে এমন কোনো দিবস বা উৎসব পালন করবো না যা কাফিরদের (অর্থাৎ যারা ইসলামকে অস্বীকার করে) সাথে মিলে যায়।

পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খ্রিস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদ্যাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সেদেশের আদালত।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমীন।

8 months ago | [YT] | 1