নতুন ভার্সিটির প্রথম মাস শেষ হতে চলল । চেনা মানুষদের ভিড়েও দিনগুলো অচেনা ঠেকে মাঝে মাঝে। ক্লাস, ডিপার্টমেন্ট, নতুন বন্ধু, পুরোনো টান—সব মিলিয়ে আয়াত যেন হালকা একটা অস্থিরতার মধ্যেই আছে। ছায়ার মতো কেউ পাশে থাকলেও, আলো হয়ে কেউ তার মন ছুঁতে পারছে না—যেন সব কিছুতে কোথাও একটা অপূর্ণতা রয়ে যাচ্ছে।
রায়হান—তার মুখে হাসি, বন্ধুরা তাকে ঘিরে রাখে সবসময়, কিন্তু সে? ভিতরে ভিতরে একটা অদ্ভুত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে। আয়াতকে না বলা ভালোবাসার কথা, এক অজানা ভয়, আর নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব—সব মিলিয়ে সে যেন নিজের মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে।
এক সন্ধ্যায়, ভার্সিটির বাইরের চায়ের দোকানে সবাই একসাথে বসেছে। হালকা গল্প, হাসি, নতুন পরিচয়ের টুকরো স্মৃতি... আয়াত স্নেহার কাঁধে মাথা রেখে হেসে হেসে কথা বলছিল, আর দূরে বসে থাকা রায়হানের চোখ সেই হাসির দিকে স্থির হয়ে ছিল।
— "তুই ওকে এখনো বলিস নি?" আচমকা জুবায়ের এসে পাশে বসে ফিসফিস করে বলে।
রায়হান ধীরে মাথা নাড়ে, চোখে স্থিরতা।
— "আয়াত deserves better timing. আমি চাই না ও আমার কোনো অসম্পূর্ণ প্রস্তুতির অংশ হোক। আমি চাই ওকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসতে..."
ওদিকে সামিয়া আয়াতের পাশে এসে বলে, — “আয়াত, তোদের কেমিস্ট্রি দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয়, তুই আর ভাইয়া না জানি কত বছর ধরে একসাথে আছিস!”
আয়াত হেসে বলে, “আমরা তো ক্লাস সিক্স থেকেই চিনি একে অপরকে।”
এই সময় হুট করে হাজির হয় শুভ। তার চোখে একটু ঘোলা রাগ, ঠোঁটে চাপা অভিমান। সবার সামনে না এসে আয়াতকে এক পাশে নিয়ে বলে—
— “তুই জানিস আমি তোকে পছন্দ করি। সবাই জানে। কিন্তু তুই কেমন করে এতটা উদাস হয়ে থাকিস? জানিস... তুই কি আমার অনুভবগুলাকে খাটো করিস?”
আয়াত থমকে যায়। চোখ নামিয়ে বলে, — “শুভ, ভালোবাসা কখনো দাবি করে আসে না। এটা অনুভব, ভালো থাকা। তুই deserve করিস এমন কাউকে, যে তোকে চোখে চোখে ভালোবাসবে... আমি তোর সেই মানুষ না।”
শুভ স্থির হয়ে যায়। তার চোখ জ্বলে উঠে এক মুহূর্তে। হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করার সাহস তার হচ্ছিল—কিন্তু আয়াতের সেই শান্ত, স্নিগ্ধ চোখ তার সমস্ত দম্ভ ভেঙে দেয়।
রায়হান দূর থেকে সব কিছু দেখছিল। সে জানে, এবার সময় এসেছে।
এই অধ্যায়ের শেষে, কেউ একজন একা হেঁটে যায়।
আর কেউ একজন… নিজের অন্তরকে প্রস্তুত করে, এক অনুচ্চারিত আবেগকে উচ্চারণ দেওয়ার জন্য।
Fairy Of Novel
প্রণয়ের কথা– পর্ব ২৮!
লেখিকা: মারজিয়া আক্তার
নতুন ভার্সিটির প্রথম মাস শেষ হতে চলল । চেনা মানুষদের ভিড়েও দিনগুলো অচেনা ঠেকে মাঝে মাঝে। ক্লাস, ডিপার্টমেন্ট, নতুন বন্ধু, পুরোনো টান—সব মিলিয়ে আয়াত যেন হালকা একটা অস্থিরতার মধ্যেই আছে। ছায়ার মতো কেউ পাশে থাকলেও, আলো হয়ে কেউ তার মন ছুঁতে পারছে না—যেন সব কিছুতে কোথাও একটা অপূর্ণতা রয়ে যাচ্ছে।
রায়হান—তার মুখে হাসি, বন্ধুরা তাকে ঘিরে রাখে সবসময়, কিন্তু সে? ভিতরে ভিতরে একটা অদ্ভুত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে। আয়াতকে না বলা ভালোবাসার কথা, এক অজানা ভয়, আর নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব—সব মিলিয়ে সে যেন নিজের মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে।
এক সন্ধ্যায়, ভার্সিটির বাইরের চায়ের দোকানে সবাই একসাথে বসেছে। হালকা গল্প, হাসি, নতুন পরিচয়ের টুকরো স্মৃতি... আয়াত স্নেহার কাঁধে মাথা রেখে হেসে হেসে কথা বলছিল, আর দূরে বসে থাকা রায়হানের চোখ সেই হাসির দিকে স্থির হয়ে ছিল।
— "তুই ওকে এখনো বলিস নি?"
আচমকা জুবায়ের এসে পাশে বসে ফিসফিস করে বলে।
রায়হান ধীরে মাথা নাড়ে, চোখে স্থিরতা।
— "আয়াত deserves better timing. আমি চাই না ও আমার কোনো অসম্পূর্ণ প্রস্তুতির অংশ হোক। আমি চাই ওকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসতে..."
ওদিকে সামিয়া আয়াতের পাশে এসে বলে,
— “আয়াত, তোদের কেমিস্ট্রি দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয়, তুই আর ভাইয়া না জানি কত বছর ধরে একসাথে আছিস!”
আয়াত হেসে বলে, “আমরা তো ক্লাস সিক্স থেকেই চিনি একে অপরকে।”
সামিয়া এক চিমটি কেটে বলে,
— “তবু এখনো ভাইয়া তোকে... বললো না!”
আয়াত চমকে ওঠে। সামিয়া কি কিছু টের পেয়েছে?
একটা নিঃশব্দ পলক পড়ে।
এই সময় হুট করে হাজির হয় শুভ। তার চোখে একটু ঘোলা রাগ, ঠোঁটে চাপা অভিমান। সবার সামনে না এসে আয়াতকে এক পাশে নিয়ে বলে—
— “তুই জানিস আমি তোকে পছন্দ করি। সবাই জানে। কিন্তু তুই কেমন করে এতটা উদাস হয়ে থাকিস? জানিস... তুই কি আমার অনুভবগুলাকে খাটো করিস?”
আয়াত থমকে যায়। চোখ নামিয়ে বলে,
— “শুভ, ভালোবাসা কখনো দাবি করে আসে না। এটা অনুভব, ভালো থাকা। তুই deserve করিস এমন কাউকে, যে তোকে চোখে চোখে ভালোবাসবে... আমি তোর সেই মানুষ না।”
শুভ স্থির হয়ে যায়। তার চোখ জ্বলে উঠে এক মুহূর্তে। হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করার সাহস তার হচ্ছিল—কিন্তু আয়াতের সেই শান্ত, স্নিগ্ধ চোখ তার সমস্ত দম্ভ ভেঙে দেয়।
রায়হান দূর থেকে সব কিছু দেখছিল। সে জানে, এবার সময় এসেছে।
এই অধ্যায়ের শেষে, কেউ একজন একা হেঁটে যায়।
আর কেউ একজন… নিজের অন্তরকে প্রস্তুত করে,
এক অনুচ্চারিত আবেগকে উচ্চারণ দেওয়ার জন্য।
চলবে.......
1 month ago | [YT] | 2