ইবনুল জাওযি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “ যখন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ঘোড়া বুঝতে পারে তার শেষ সীমান অতি নিকটবর্তী, তখন সে নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় জেতার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। তুমি একটা চতুষ্পদ জন্তু থেকে বোকা হোয়ো না। নিশ্চিত ভাবেই প্রতিটি কাজের মূল্যায়ন তার সমাপ্তির উপর নির্ভরশীল। তাই তুমি যদি রমাদানের সূচনায় ভালো করতে না পারো তাহলে এর বিদায়ের সময় গুলো থেকে সর্বোচ্চ উপকৃত হতে চেষ্টা কোরো। ”
১. রমাদানের এই দশ রাত সারা বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাত আর এর মধ্যে একটি রাত হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। এই সময়ে করা প্রতি কাজের বিনিময় অন্য সময়ের তুলনায় গুনে গুনে বহুগুনে বেশি পাবেন। আমরা যেন এই সময় গুলো থেকে সর্বোচ্চ এডভ্যান্টেজ নিতে চেষ্টা করি। যদি আপনি রমাদানের প্রথম বিশ দিন সেইভাবে প্ল্যানিং অনুয়ায়ী কাটাতে পারেন নি তাহলে আপনার জন্য এই দশ দিন সেটা রিকভার করার জন্য রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ। আল্লাহর রাসূল এই সময়ে নিজের পাজামার ফিতা শক্ত করে বেঁধে নিতেন আর সারারাত জেগে ইবাদত করতেন। আমরা ও যেন তাই চেষ্টা করি।
যাদের মুখস্থ নেই মুখস্থ করে নিবেন। ছোট এবং সহজ দুয়া।
২. যেহেতু লাইলাতুল কদরের ডেইট ফিক্সড করে দেওয়া হয়নি।সেক্ষেত্রে লাইলাতুল কদর পেতে হলে শেষ দশকের প্রতিটি রাত জেগে ইবাদত করুন। রাতের ঘুম টোটালি পরিহার করুন। দিনে ঘুমিয়ে পুষিয়ে নিবেন ইনশাআল্লাহ্।
ডিপলি চিন্তা করুন আপনাকে এক রাতে ইবাদাত করার বিনিময়ে হাজার মাসের সওয়াব দেওয়া হবে যা বছরের হিসেবে ৮৪বছর কয়েক মাস। সুবহানআল্লাহ্! আপনি সে ব্যাপারে তেমন সিরিয়াস না! চিন্তা করুন এর বিনিময়ে আপনাকে যদি কেউ এই অফার দিত এক রাতে ইবাদত করার বিনিময়ে কোটি টাকা প্রদান করা হবে সেক্ষেত্রে কি আপনি এমন অলস, নির্বিকার থাকতেন?
প্রকৃতপক্ষে এখনো আমরা আল্লাহর সাথে ব্যবসা বুঝে উঠতে পারে নি।
৩. এই রাতকে ভাগ্যরজনী বলা হয়। আলিমদের মতে এই রাতে বান্দার আগামী এক বছরের তাকদীর লিপিবদ্ধ করা হয়। তাই দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে নিজের উত্তম রিযিক,নিজের ব্যাপারে উত্তম ফায়সালা আর নিজের যা কিছু দরকার তা চেয়ে নিতে আমরা যেন ভুল না করি।
৪. যেসমস্ত বিষয় গুলো দুয়া করব সেইটা আগে থেকেই যেন আমরা নোট করে নেই। অনেক সময় আল্লাহর কাছ হাত তুললে দুই তিন মিনিট বলার পর আমাদের দুয়ার আর অবজেক্ট থাকে না। নোট করে নিলে এইটা দুয়া করার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ্।
৫. এই কয়েকটা দিন অন্তত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক,হোয়াটস এপ,ইমো সহ যাবতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ডিস্টেইন্স মেইন্টেন করে চলার চেষ্টা করি। বিনা প্রয়োজনে ইউটিউব ঘাটাঘাটির বদ অভ্যাস যাদের আছে তারা সেটা ত্যাগ করব ইনশাআল্লাহ্।
৬. মনে রাখবেন এই রাত এত মহিমান্বিত হওয়ার মূল কারণ এই রাতে কুর'আন নাযিল হয়েছে। তাই এই সময়ে বেশি পরিমাণ কুর'আন তিলাওয়াত করবেন। সাথে কুর'আনের তাদ্দাবুর,তর্জমা পড়তে চেষ্টা করবেন। সাথে তাওবাহ, ইস্তিগফার,যিকির তো থাকবেই বিইযনিল্লাহ্।
৭. দুনিয়াবি দৈনন্দিন কাজকর্ম গুলো করার ক্ষেত্রে সবর করুন আর মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করুন। নিয়্যাত ঠিক রেখে দুনিয়াবি প্রয়োজনীয় কাজ কর্মে লিপ্ত হলে সেখান থেকে ও মিলবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। যথাসম্ভব কাজ গুলোকে সংক্ষিপ্ত করে নিবেন। ভাই বোনেরা, ভুলেও এই সময় মার্কেটে কিংবা শপিং মল অন্য কোথায় ও বের হবেন না।
৮. সংখ্যায় যাই হোক এই দশদিনের সময়ে নিজের দান সদকার হাত প্রসারিত করুন। আপনি তাহলে নিশ্চিত হয়ে যাবেন আপনার দান লাইলাতুল কদরের মধ্যেই হয়েছে বিইযনিল্লাহ্।
৯. যাদের সম্ভব হয় ইতিকাফ করতে পারেন। অনেক ভাই বোন ইতিকাফ করার ইচ্ছা থাকলে ও পড়াশোনা জব বা বিভিন্ন ব্যস্ততায় সম্ভব হয়ে উঠেনি। এইবার সেই প্রেক্ষাপটে অনেকের অফিস, স্কুল, কলেজ,ভার্সিটি বন্ধ সেই ক্ষেত্রে ইতিকাফেরে সিদ্ধান্ত আল্লাহর উপর তাওয়াককুল করে নিয়ে ফেলুন। জীবনে একবার লাইলাতুল কদর নসীব হলে আর কি লাগে বলুন?
১০. নিজে আমল করার পাশাপাশি নিজের ভাই বন্ধু পরিবার সহ সবাইকে উৎসাহিত করুন।এই দশটি দিনকে সিরিয়াসলি নেওয়ার জন্য। আমরা জানিনা আগামী রমাদান আমরা আদৌ পাবো কিনা। চিন্তা করুন কত মানুষ পরিকল্পনা করে রেখেছিল এই রমাদানে গতবারের তুলনায় বেশি ইবাদত করার জন্য অথচ আজ তারা মাটির নিচে। তাদের সেই সুগোটি আর নেই। আমাদের যাদের এখনো সুযোগ আছে আমরা যেন সময় থাকতে তা কাজে লাগাই বিইজনিল্লাহ্।
Doli's Dairy
রমাদানের শেষ দশকের জন্য দশটি টিপসঃ
ইবনুল জাওযি রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“ যখন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ঘোড়া বুঝতে পারে তার শেষ সীমান অতি নিকটবর্তী, তখন সে নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় জেতার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। তুমি একটা চতুষ্পদ জন্তু থেকে বোকা হোয়ো না। নিশ্চিত ভাবেই প্রতিটি কাজের মূল্যায়ন তার সমাপ্তির উপর নির্ভরশীল। তাই তুমি যদি রমাদানের সূচনায় ভালো করতে না পারো তাহলে এর বিদায়ের সময় গুলো থেকে সর্বোচ্চ উপকৃত হতে চেষ্টা কোরো। ”
১. রমাদানের এই দশ রাত সারা বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাত আর এর মধ্যে একটি রাত হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। এই সময়ে করা প্রতি কাজের বিনিময় অন্য সময়ের তুলনায় গুনে গুনে বহুগুনে বেশি পাবেন। আমরা যেন এই সময় গুলো থেকে সর্বোচ্চ এডভ্যান্টেজ নিতে চেষ্টা করি। যদি আপনি রমাদানের প্রথম বিশ দিন সেইভাবে প্ল্যানিং অনুয়ায়ী কাটাতে পারেন নি তাহলে আপনার জন্য এই দশ দিন সেটা রিকভার করার জন্য রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ। আল্লাহর রাসূল এই সময়ে নিজের পাজামার ফিতা শক্ত করে বেঁধে নিতেন আর সারারাত জেগে ইবাদত করতেন। আমরা ও যেন তাই চেষ্টা করি।
এই সময় ব্যাপী এই দু'আ সবচাইতে বেশি পাঠ করবেন।
اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفواعني
(আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন,তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি)
যাদের মুখস্থ নেই মুখস্থ করে নিবেন। ছোট এবং সহজ দুয়া।
২. যেহেতু লাইলাতুল কদরের ডেইট ফিক্সড করে দেওয়া হয়নি।সেক্ষেত্রে লাইলাতুল কদর পেতে হলে শেষ দশকের প্রতিটি রাত জেগে ইবাদত করুন। রাতের ঘুম টোটালি পরিহার করুন। দিনে ঘুমিয়ে পুষিয়ে নিবেন ইনশাআল্লাহ্।
ডিপলি চিন্তা করুন আপনাকে এক রাতে ইবাদাত করার বিনিময়ে হাজার মাসের সওয়াব দেওয়া হবে যা বছরের হিসেবে ৮৪বছর কয়েক মাস। সুবহানআল্লাহ্! আপনি সে ব্যাপারে তেমন সিরিয়াস না! চিন্তা করুন এর বিনিময়ে আপনাকে যদি কেউ এই অফার দিত এক রাতে ইবাদত করার বিনিময়ে কোটি টাকা প্রদান করা হবে সেক্ষেত্রে কি আপনি এমন অলস, নির্বিকার থাকতেন?
প্রকৃতপক্ষে এখনো আমরা আল্লাহর সাথে ব্যবসা বুঝে উঠতে পারে নি।
৩. এই রাতকে ভাগ্যরজনী বলা হয়। আলিমদের মতে এই রাতে বান্দার আগামী এক বছরের তাকদীর লিপিবদ্ধ করা হয়।
তাই দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে নিজের উত্তম রিযিক,নিজের ব্যাপারে উত্তম ফায়সালা আর নিজের যা কিছু দরকার তা চেয়ে নিতে আমরা যেন ভুল না করি।
৪. যেসমস্ত বিষয় গুলো দুয়া করব সেইটা আগে থেকেই যেন আমরা নোট করে নেই। অনেক সময় আল্লাহর কাছ হাত তুললে দুই তিন মিনিট বলার পর আমাদের দুয়ার আর অবজেক্ট থাকে না। নোট করে নিলে এইটা দুয়া করার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ্।
৫. এই কয়েকটা দিন অন্তত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক,হোয়াটস এপ,ইমো সহ যাবতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ডিস্টেইন্স মেইন্টেন করে চলার চেষ্টা করি। বিনা প্রয়োজনে ইউটিউব ঘাটাঘাটির বদ অভ্যাস যাদের আছে তারা সেটা ত্যাগ করব ইনশাআল্লাহ্।
৬. মনে রাখবেন এই রাত এত মহিমান্বিত হওয়ার মূল কারণ এই রাতে কুর'আন নাযিল হয়েছে। তাই এই সময়ে বেশি পরিমাণ কুর'আন তিলাওয়াত করবেন। সাথে কুর'আনের তাদ্দাবুর,তর্জমা পড়তে চেষ্টা করবেন।
সাথে তাওবাহ, ইস্তিগফার,যিকির তো থাকবেই বিইযনিল্লাহ্।
৭. দুনিয়াবি দৈনন্দিন কাজকর্ম গুলো করার ক্ষেত্রে সবর করুন আর মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করুন। নিয়্যাত ঠিক রেখে দুনিয়াবি প্রয়োজনীয় কাজ কর্মে লিপ্ত হলে সেখান থেকে ও মিলবে আল্লাহর সন্তুষ্টি।
যথাসম্ভব কাজ গুলোকে সংক্ষিপ্ত করে নিবেন। ভাই বোনেরা, ভুলেও এই সময় মার্কেটে কিংবা শপিং মল অন্য কোথায় ও বের হবেন না।
৮. সংখ্যায় যাই হোক এই দশদিনের সময়ে নিজের দান সদকার হাত প্রসারিত করুন। আপনি তাহলে নিশ্চিত হয়ে যাবেন আপনার দান লাইলাতুল কদরের মধ্যেই হয়েছে বিইযনিল্লাহ্।
৯. যাদের সম্ভব হয় ইতিকাফ করতে পারেন। অনেক ভাই বোন ইতিকাফ করার ইচ্ছা থাকলে ও পড়াশোনা জব বা বিভিন্ন ব্যস্ততায় সম্ভব হয়ে উঠেনি। এইবার সেই প্রেক্ষাপটে অনেকের অফিস, স্কুল, কলেজ,ভার্সিটি বন্ধ সেই ক্ষেত্রে ইতিকাফেরে সিদ্ধান্ত আল্লাহর উপর তাওয়াককুল করে নিয়ে ফেলুন। জীবনে একবার লাইলাতুল কদর নসীব হলে আর কি লাগে বলুন?
১০. নিজে আমল করার পাশাপাশি নিজের ভাই বন্ধু পরিবার সহ সবাইকে উৎসাহিত করুন।এই দশটি দিনকে সিরিয়াসলি নেওয়ার জন্য। আমরা জানিনা আগামী রমাদান আমরা আদৌ পাবো কিনা। চিন্তা করুন কত মানুষ পরিকল্পনা করে রেখেছিল এই রমাদানে গতবারের তুলনায় বেশি ইবাদত করার জন্য অথচ আজ তারা মাটির নিচে। তাদের সেই সুগোটি আর নেই। আমাদের যাদের এখনো সুযোগ আছে আমরা যেন সময় থাকতে তা কাজে লাগাই বিইজনিল্লাহ্।
- দাওয়াহ
#Ramadan
#শেষ১০দিন
#Last10Days
t.me/RamadanReminder
1 year ago | [YT] | 11