IIEC Channel

ইহইয়া-উস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল-২০২২
--------------------------
তারিখ: ২২/০৪/২০২২
সময়: বিকাল ৩টা থেক মাগরিব পর্যন্ত
ঠিকানা: ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট এর নিজস্ব ভূমি- নিন্নিরটেক, উজামপুর রোড, উত্তরখান, ঢাকা।
যোগাযোগ: 01972463773, 01707210309, 01614004847

অংশগ্রহণের নিয়মাবলিঃ নিম্নোক্ত ফরমটি পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন করুনঃ shorturl.at/dtG19
[বি.দ্র. রেজিস্ট্রেশন ছাড়া প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করা যাবে না।]

3 years ago | [YT] | 35



@mosharafhossen7852

Jazakallah khairan. Ameenআলহামদুলিল্লাহ

3 years ago | 0  

@mamunulhaq-jo9ye

আর যখন আপনি তাদেরকে বলবেন, আল্লাহর নির্দেশের দিকে এসো-যা তিনি রসূলের প্রতি নাযিল করেছেন, তখন আপনি মুনাফেকদিগকে দেখবেন, ওরা আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরে যাচ্ছে...!!! (সূরা_আন নিসা - ৬১ )

2 years ago | 0

@mamunulhaq-jo9ye

ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য আদিষ্ট হয়েছে, যতক্ষন না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্‌র রাসূল, আর সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়। তারা যদি এ কাজগুলো করে, তবে আমার পক্ষ থেকে তাদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপত্তা লাভ করল; অবশ্য ইসলামের বিধান অনুযায়ী যদি কোন কারন থাকে, তাহলে স্বতন্ত্র কথা। আর তাদের হিসাবের ভার আল্লাহ্‌র ওপর ন্যাস্ত। (সহীহ বুখারী, হাদিস নাম্বারঃ ২৪, হাদিসের মানঃ সহিহ)   নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন— عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم بُعِثْتُ بِالسَّيْفِ حَتَّى يُعْبَدَ اللهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَجُعِلَ رِزْقِي تَحْتَ ظِلِّ رُمْحِي وَجُعِلَ الذِّلَّةُ وَالصَّغَارُ عَلَى مَنْ خَالَفَ أَمْرِي وَمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমি (কিয়ামতের পূর্বে) তরবারি-সহ প্রেরিত হয়েছি, যাতে শরীকবিহীনভাবে আল্লাহর ইবাদত হয়। আমার জীবিকা রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে। অপমান ও লাঞ্ছনা রাখা হয়েছে আমার আদেশের বিরোধীদের জন্য। আর যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদেরই দলভুক্ত।” (আহমাদ ৫১১৪-৫১১৫, ৫৬৬৭, শুআবুল মান ৯৮, সঃ জামে’ ২৮৩১ নং) শরিয়তের এসব দ্ব্যর্থহীন বর্ণনা সন্দেহাতীতভাবে মুসলমানদের ও কাফের-মুলহিদ গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান লড়াইয়ের বাস্তবতা তুলে ধরেছে। এসব বর্ণনা থেকে আমরা বুঝতে পারি, এ লড়াই হক-বাতিলের চিরন্তন সংঘাতেরই ধারাবাহিকতা। তাই বিকৃতি সাধন করে, প্রতারণা করে, মিথ্যার পসরা সাজিয়ে এ বাস্তবতা ঢেকে রাখা যাবে না। আপসকামী লোকদের পরাজিত মানসিকতা এবং আল্লাহর সুন্নাহ পরিবর্তনের অপচেষ্টায় লিপ্ত লোকেরা এ সত্য আড়াল করতে পারবে না। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা ইরশাদ করেছেন — ولا يزالون يقاتلونكم حتى يردوكم عن دينكم إن استطاعوا، “অর্থ: বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদেরকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়”। (সূরা আল বাকারা ২:২১৭) তো যুগে যুগে কাফের, মুলহিদ ও ধর্মদ্রোহী গোষ্ঠী বিভিন্ন পন্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুসলমানদের ব্যাপারে ষড়যন্ত্র করে আসছে। কলমের মাধ্যমে, অর্থ-সম্পদ দিয়ে এবং অস্ত্রশস্ত্রের দ্বারা তারা মুমিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। তারা কোন মুসলমানকেই ছাড়বে না। বিশেষত যদি মুসলমানদের জাতীয় জীবনে কারো কোনো ইতিবাচক ভূমিকা ও প্রভাব থাকে তবে অবশ্যই এমন ব্যক্তিকে নিজের ধর্ম থেকে মুরতাদ বানাতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবে। তারা তো সাইয়েদুল মুরসালিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের ইচ্ছা ছিল, যে সত্য নিয়ে তিনি আগমন করেছেন, তা থেকে নবীজিকে তারা বিচ্যুত করে ফেলবে। কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর নবীকে অটল-অবিচল রেখেছিলেন এবং তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমাদের রব্বে কারীম তাঁর কিতাবে ইরশাদ করেন— وَإِن كَادُوا۟ لَيَفْتِنُونَكَ عَنِ ٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ لِتَفْتَرِىَ عَلَيْنَا غَيْرَهُۥ وَإِذًا لَّٱتَّخَذُوكَ خَلِيلًا وَلَوْلَآ أَن ثَبَّتْنَٰكَ لَقَدْ كِدتَّ تَرْكَنُ إِلَيْهِمْ شَيْـًٔا قَلِيلًا “অর্থঃ তারা তো আপনাকে হটিয়ে দিতে চাচ্ছিল যে বিষয় আমি আপনার প্রতি ওহীর মাধ্যমে যা প্রেরণ করেছি তা থেকে। আপনার পদস্খলন ঘটানোর জন্যে তারা চূড়ান্ত চেষ্টা করেছে, যাতে আপনি আমার প্রতি কিছু মিথ্যা সম্বন্ধযুক্ত করেন। এতে সফল হলে তারা আপনাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে নিত। (73) আমি আপনাকে দৃঢ়পদ না রাখলে আপনি তাদের প্রতি কিছুটা ঝুঁকেই পড়তেন।“ (সূরা আল ইসরা ১৭:৭৩-৭৪) শাইখ সাইয়েদ কুতুব রহিমাহুল্লাহ এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে গিয়ে বলেন, “কাফের মুশরিক গোষ্ঠীর যেসব অপচেষ্টা থেকে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হেফাজত করেছিলেন, প্রতি যুগে আল্লাহর দ্বীনের দায়ীদের ব্যাপারে ক্ষমতাশীলরা সেসব অপচেষ্টাতেই লিপ্ত হয়ে থাকে। তাদের ইচ্ছা থাকে, কিছু মাত্র হলেও যেন দাওয়াতের মূল আবেদন ও অনমনীয়তা থেকে দায়ীকে বিচ্যুত করা যায়। তারা একটি আপসরফা ও সহাবস্থানের পরিবেশে সত্যের দিকে আহবানকারীদের আটকে ফেলতে চায় এবং আল্লাহর প্রতিশ্রুত অঢেল গনিমত থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করে”।

2 years ago | 0

@mamunulhaq-jo9ye

মাম সারাখসী (রহঃ) বলেন, قال السرخسي: ولا شيء على من قتل المرتدين قبل أن يدعوهم إلى الإسلام لأنهم بمنزلة كفار قد بلغتهم الدعوة] المبسوط 120/10[ অর্থ: মুরতাদদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে হত্যা করার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। কেননা, এরা ঐসকল কাফেরের পর্যায়ে, যার কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে। (খ) ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, قال الإمام النووي: وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان]روضة الطالبين 259/9[ অর্থ: যেসকল কাফেরদের সন্ধিচুক্তি, আমান বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা চুক্তি নেই, তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন জিম্মাদারী নেই। চাই সে যেকোন ধর্মেরই হৌক না কেন। (রওজাতুত তালেবীন- ৯/২৫৯) (গ) ইবনু মুফলিহ (রহঃ) বলেন: ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة أي الكافر من لا أمان له لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير المبدع263/8 কাফের এর সাথে যদি কোন ‘আমান’ না থাকে তাহলে তাঁকে হত্যা করলে কোন ধরনের দিয়ত বা কাফফারা ওয়াজিব হবে না। কেননা সাধারণভাবে তাঁর রক্ত শুকুরের রক্তের ন্যায় বৈধ। (মিবদা’-৮/২৬৩) (ঘ) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন: الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة)[الأم 264/1( বরকতময় আল্লাহ তাআলা কাফেরের রক্ত ও মাল বৈধ করে দিয়েছেন, তবে যদি সে জিযিয়া প্রদান করে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে থাকে তাহলে নয়। ( আল-উম্ম ১/২৬৪) (ঙ) ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السيف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…. السيل الجرار522/4]. “আর কাফেরদের রক্ত মৌলিকভাবেই বৈধ, যেমনটা তরবারির আয়াতে রয়েছে। অধিকিন্তু যখন তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৫২২) তিনি আরো বলেন: والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا] السيل الجرار 369/4.[ “মুশরিক চাই সে যোদ্ধা হোক বা না হোক যতক্ষণ সে মুশরিক থাকবে ততক্ষণ তাঁর রক্ত বৈধ।” (আস-সাইলুল জিরার-৪/৩৬৯) (চ) ইমাম মাওয়ারদী (রহঃ) “আহকামুস সুলতানিয়াহ” কিতাবে বলেন, “ويجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من مقاتلة المشركين ، محارباً وغير محارب” ] الأحكام السلطانية : الباب الرابع[ মুশরিকদের মধ্যে যুদ্ধের উপযোগী যে কাউকে সুযোগ পেলেই হত্যা করা বৈধ। চাই তারা যুদ্ধরত হোক বা না হোক। (আহকামুস সুলতানিয়াহ”/চতুর্থ অধ্যায়)। (ছ) বিভ্রান্তিসৃষ্টিকারীদের জবাবে প্রখ্যাত ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন ইবনে জামাআহ (রহঃ) (যিনি ইবনে কাছীর ও আল্লামা যাহাবীর শিক্ষক)এর স্পষ্ট বক্তব্য হলোঃ “يجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من الكفار المحاربين سواء كان مقاتلاً أو غير مقاتل ، وسواء كان مقبلاً أو مدبراً ، لقوله تعالى “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5) যুদ্ধরত কাফেরদের যাকেই পাবে তাকেই হত্যা করা মুসলমানদের জন্য বৈধ। চাই সরাসরি সে যোদ্ধা হোক অথবা না হোক। চাই সে যুদ্ধে গমনকারী হোক বা যুদ্ধ থেকে পিছনে থাকুক। দলিল হলো আল্লাহ তাআলার বানী: “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5) “অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো”। (সূরা তাওবাহ-৫) [تحرير الأحكام في تدبير أهل الإسلام ص 182 বাস্তবতা: বাস্তবতা হচ্ছে, আমেরিকা ও ইসরাইল আমাদের সাধারণ মুসলমানদেরকে দিন-রাতে হত্যা করে যাচ্ছে। তারা দখলদার ইসরাইলের মাধ্যামে ৫০ বছরের ও বেশী সময় ধরে ফিলিস্তিনে আমাদের সাধারণ মুসলমানদেরকে হত্যা করে যাচ্ছে। তাদের ঘর বাড়ি বোমা মেরে, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে। আর আফগানিস্তান ও ইরাকের কথা কি বলবো! সেখানে তারা হাজার হাজার নিরপরাধ সাধারণ মুসলমানদেরকে হত্যা করেছে। তারা সোমালিয়ায় ১৩ হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে ও সুদানে গনহত্যা চালিয়েছে। এককথায় সারা বিশ্বে এই আমেরিকা আমাদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। মুসলমান, মুজাহিদদেরকে হত্যা, গ্রেফতার ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেমন আমাদের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করেছে আমরাও তাদের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা বৈধ। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন: (فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ) “সুতরাং যে তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করে তাদের উপরও তোমরা সীমালঙ্ঘন করো যেমন সীমালঙ্ঘন তারা তোমাদের উপর করেছে”। (সূরা বাকারাহ-১৯৪) আমেরিকার সাধারণ জনগণ তাদের সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছে। সেই দেশে অবস্থান করে সেই দেশ ও শাসকদের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় তাদের এই অসম্মতি তাদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়, যতক্ষণ না তারা তাদের স্থান ও অবস্থান পরিত্যাগ করে। একটা বিষয় স্মর্তব্য যে, আলহামদুলিল্লাহ মুজাহিদরা যখন কোনো কাজ করেন তখন এটা শরয়ীভাবে যাচাই বাছাই করেই করে থাকেন। আর

2 years ago | 0