Khub shundor hoise next part er Jonno opekkhay thakbo ❤❤
1 month ago
| 2
Finally rit ar somoi hoise onk onk onk tnx part dawar jonno😊😊😊
1 month ago (edited)
| 3
প্রথমদিকে এডওয়ার্ড আর ক্লাইব এর কথা শুনে প্রচুর হাসছি 😂😂 অনেক দিন পর পড়লাম গল্পটা আহা 😌😌 অনেক সুন্দর হয়েছে রিত পাখি আজকের পর্ব টাও
1 month ago
| 3
Sundor hoiche onk rit pakhi,,,😊😊😊 Onk onk valobasa tomar jonno❤❤ Jate aro taratari porer part dite par
1 month ago
| 2
Tnx tnx tnx boin part ta dewar jonno koto je opekkha korsi ah porer part tao taratari dibi na dile khobor ase 🔪
2 months ago
| 4
Alto late kore golpo kno dao, w8 korta valo lage na, taratare golpo dao
1 month ago
| 2
Alhamdurillah uthal patal mone ektu shantir dheu oshombhob shundor jokoni mone hoy part last er dike totoi kosto protidin 10-15ber chanel check kori uponnash er nuton porber ashay finally thak are beshi koitam no,, 🤧
1 month ago
| 2
Appu itaka niche voice diye ek ti video banao na please 🥰
1 month ago
| 1
Sundor hoice 😊but Tumi last e imotional black mail korla
1 month ago
| 2
Golpo ta toh onk sundor lagcelo,, post kora bondho korla kno,, next part ki r diba na..??
1 month ago
| 1
Benjamin RIT
প্রেম ও প্রাসাদ
লিখিকা :জান্নাতুল মাওয়া
১০ম পর্ব
এডওয়ার্ডের কথা শুনে ক্লাইব থমকে বসে রইল কিছুক্ষণ। ক্লাইবের মনে হচ্ছে, একটু আগে তার মাথায় যেন এক আকাশ ভেঙে পড়েছে। এডওয়ার্ড ক্লাইবকে এভাবে থমকে বসে থাকতে দেখে ঠোঁট কামড়ে হেসে উঠল, ক্লাইবের মুখের সামনে হাত নিয়ে তুড়ি বাজাল। এডওয়ার্ডের তুড়িতে ক্লাইবের হুঁশ ফিরল। হুঁশ ফিরতেই ক্লাইব কিছুটা নড়ে চড়ে বসে বলে উঠল—
—"সুলতান? এটা মজা করার সময় নয়। আমরা এখন একটা অঞ্চল দখল করতে এসেছি, আর আপনি কিনা এই সময়ও মজায় মগ্ন?"
"দেখুন—" ক্লাইবের কথা থেমে গেল এক মুহূর্তের জন্য। এতক্ষণ সে পুরো কথাগুলো অন্যদিকে তাকিয়ে বলছিল, কিন্তু শেষের কথাটা এডওয়ার্ডের মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে যাচ্ছিল সে। কিন্তু এডওয়ার্ডের দিকে তাকাতেই সবসময়কার মতো আবারও কথা গুলিয়ে ফেলল সে। “দেখুন…” —এর পরে কী বলবে, সেটা ভুলে গেল শুধু এডওয়ার্ডের মুখের দিকে তাকিয়েই।
এতক্ষণ ধরে এডওয়ার্ড ক্লাইবের দিকে তাকিয়ে ক্লাইবের সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিল, মাথা নেড়ে বুঝাচ্ছিল যে সে সহমত। এতক্ষণ ক্লাইব সেটা খেয়াল করেনি, কিন্তু এবার খেয়াল করতেই নিজেকে হারিয়ে ফেলল সে। তার ওপর ক্লাইব যখন এডওয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে ছিল, তখন এডওয়ার্ড ক্লাইবের দিকে তাকিয়ে বাঁদিকে ঠোঁট বেঁকিয়ে হেসেছিল, যার ফলে তার বাঁ দিকে থাকা গেঁজ দাঁতটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ক্লাইবের কাছে।
ক্লাইবের কাছে এডওয়ার্ডের হাসিটা খুব ভয়ংকর মনে হল, তাই সে তাড়াতাড়ি দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল। তার পক্ষে এডওয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে থাকা আর সম্ভব হচ্ছে না। ক্লাইবের এমন অবস্থা দেখে এডওয়ার্ড সশব্দে হেসে উঠল এবার, কিছুক্ষণ কপালে হাত দিয়ে হাসল, তারপর ক্লাইবের উদ্দেশে বলে উঠল—
—"ক্লাইব, একটা কথার উত্তর দাও আমায়?"
ক্লাইব এতক্ষণ ধরে থমকে ছিল। মূলত এডওয়ার্ডের সশব্দ হাসি শুনে সে আবার ভড়কেছিল। কিন্তু এবার এডওয়ার্ডের কথা শুনে, এডওয়ার্ডের দিকে না তাকিয়েই বলে উঠল—
—"জি বলুন, সুলতান।"
এডওয়ার্ড গলা খানিক নিচু করে বলে উঠল—
—"তুমি কি পুরুষ?"
এডওয়ার্ডের এমন কথায় ক্লাইব বিশালভাবে চমকে উঠল। সে তড়িঘড়ি করে বসা থেকে উঠে বলে উঠল—
—"কি বলছেন এসব সুলতান! আমি পুরুষ নই তো কী? আর আপনি আমার পুরুষত্বের ওপর আঙুল তুলতে পারলেন এইভাবে? 🥺 আমি কিন্তু একজন পুরুষ! আর আপনার সন্দেহ হলে আপনি দেখতে পারেন, আমার কোনও অসুবিধা নেই।"
ক্লাইবের কথায় এডওয়ার্ড আবারও উচ্চস্বরে হেসে উঠল। হেসে হেসেই বলে উঠল—
—"দেখব বলছ? তাহলে একটু দেখি?"
এটা বলে এডওয়ার্ড ক্লাইবের দিকে ধীরে ধীরে এগোতে লাগল। ক্লাইব এটা দেখে ডোগ গিলে পিছিয়ে যেতে লাগল। একপর্যায়ে পিছোতে পিছোতে একটা গাছের সঙ্গে পিঠ ঠেকল ক্লাইবের। এডওয়ার্ড নিজের বাঁ হাতটা গাছটার উপর রাখতেই ক্লাইব কান্না কান্না গলায় বলে উঠল—
—"এডওয়ার্ড, আপনার সন্তানের মায়ের দোহাই লাগে, এমনটা করবেন না। এই সম্পদটা একান্ত আমার অর্ধাঙ্গিনীর। আমি তার অধিকার হরণ হতে দিতে পারি না।
হুরের কসম
শুনে এডওয়ার্ড সরে এল। মূলত সে এমন কোনো কাজ করত না, সে শুধু ক্লাইবকে ভয় দেখানোর জন্যই এমন করেছিল। এডওয়ার্ড সরে আসতেই ক্লাইবও এডওয়ার্ডের থেকে দূরে সরে এল। এডওয়ার্ড ক্লাইবকে দূরে সরে যেতে দেখে বলে উঠল—
—"থামো থামো, আমি এমন কিছুই করব না। তোমার ম্যাডামের অধিকার, তোমার ম্যাডামেরই থাকবে। এখন আমার কথা শুনো।"
এই বলে এডওয়ার্ড আবার বটগাছের সামনে গিয়ে আগের মতো বসে পড়ল। ক্লাইব এবার একটু গুরুত্ব দিয়ে এডওয়ার্ডের কথা শুনল। সে খুব গম্ভীর মুখে এডওয়ার্ডের পাশে এসে বসে পড়ল। তারপর জিজ্ঞেস করল—
—"আমায় সব খুলে বলুন, সুলতান।"
এডওয়ার্ড ধীরে ধীরে ক্লাইবকে সব বলল—তার সাথে এই একদিনে কী কী ঘটেছে, হুরের কথাও বলল। এডওয়ার্ডের সব কথা ক্লাইব মানতে পারলেও, হুরের বিষয়টা নিয়ে সে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়লো। তার একটাই কথা—এডওয়ার্ড একজন ইংরেজ আর হুর একজন বাঙালি। তার ওপর হুর মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মেয়ে, আর এদিকে এডওয়ার্ড একজন খ্রিস্টান।
আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো—এলেনর গ্রিচ আর ইসাবেলা রোজ। এলেনরকে সুলতান এডওয়ার্ড কোনোভাবে বুঝাতে পারবে সেটা ক্লাইব জানে, কিন্তু ইসাবেলা -- সে কোনোদিনও মানবে না। ওই মেয়ে যে পাগলের মতো ভালোবাসে এডওয়ার্ডকে, সেটা কি এডওয়ার্ড বুঝে না?
এসব ভাবতে ভাবতে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ফেলল ক্লাইব। ক্লাইবের কাছে এডওয়ার্ডের কথাগুলো খুবই বোকা বোকা মনে হল। কিন্তু পরে মনে পড়ল—এডওয়ার্ড বোকা নয়, সে ঠান্ডা মাথার কূটনৈতিক বুদ্ধি নিয়ে চলে। ক্লাইব বিশ্বাস করে—এডওয়ার্ডের বুদ্ধির কাছে রবার্ট ক্লাইবও হার মানবে। এডওয়ার্ড নিজের কূটনৈতিক বুদ্ধির মাধ্যমে আজ পর্যন্ত অনেক অঞ্চল দখল করেছে।
কিন্তু এবার কাহিনি অন্যদিকে যাচ্ছে।
এবার এডওয়ার্ড ইলতিয়াজ সুলতান এক কিশোরী কন্যার কাছে বন্দি হয়ে গেছে।
হঠাৎ ক্লাইব খুব ভয় পেল—এই কিশোরী কন্যা কি এডওয়ার্ডের পতনের মূল? নাকি সে একটু বেশি ভাবছে?
নারী জাতি খুবই ভয়ংকর। নারী চাইলে সব পারে। নারীজগৎ রহস্যে ঘেরা। তাদের হৃদয় যেমন কোমল, ঠিক তেমনই কঠিন। একজন নারী তার সামান্য কোমলতায় গড়ে দিতে পারে একটি গোটা পৃথিবী, আবার সেই নারী সামান্য রাগেই ধ্বংসের স্তূপে পরিণত করতে পারে পৃথিবীকে।
হাজার হাজার পুরুষের পতনের পেছনে থাকে এক কোমলমতি নারী। আবার হাজার হাজার পুরুষের সুখের পেছনেও থাকে একজন নারী।
কেউ অপূর্ণতার শোকে মাঝসমুদ্রে সাঁতার কাটে, আবার কেউ পূর্ণতা পেয়ে নিজের স্বপ্নের নারীর সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দেয়।
ক্লাইবের চিন্তা ভাবনার মধ্যে এডওয়ার্ড বলে উঠল—
—"ওকে ছাড়া আর এক মুহূর্তও থাকা যাচ্ছে না ক্লাইব। ওই কিশোরী মেয়ে আমায় পাগল করে দিয়েছে। সারা দেহে শুধু তার বসবাস। কিছুতেই ভুলে যাওয়া যাচ্ছে না তাকে। চোখ বন্ধ করলেই তার মায়াবী মুখটা ভেসে ওঠে। এই একদিনেই আমি তার কাছে কুপোকাত হয়ে গেছি। তাকে যে কোনো মূল্যে চাই, আর সেটা আজ-কালকের মধ্যেই।"
এডওয়ার্ডের কথা শুনে ক্লাইব বলে উঠল—
—"একটু ধৈর্য ধরুন সুলতান। আপনি তো এতটা অধৈর্য ছিলেন না। তাহলে আজ এমন কেন করছেন?"
ক্লাইবের কথা শুনে এডওয়ার্ড তাচ্ছিল্যভরে হেসে বলে উঠল—
—"ধৈর্য! হুঁ! এই একদিনে আমার কতকেজি ধৈর্য বেড়েছে সেটা তুমি জানো ক্লাইব? এই একদিন—আমি আর হুর এক কুটিরে ছিলাম। হুর আমার আশেপাশে আছে এটা জানার পরও নিজেকে সামলে রেখেছি আমি। এটা কি কম ধৈর্যের বিষয়? বরং আমার তো মনে হচ্ছে এই একদিনে আমার ধৈর্যের পাল্লা দ্বিগুণ বেড়েছে!"
এটা বলে কিছুক্ষণ নীরব হয়ে রইল এডওয়ার্ড। ক্লাইব এডওয়ার্ডের নীরবতা দেখে সেও চুপ করে বসে রইল। কিছুক্ষণ নীরব থেকে এডওয়ার্ড আবার বলে উঠল—
—"যেভাবেই হোক, হুরকে আমার চাইই চাই।"
এডওয়ার্ডের কথা শুনে ক্লাইব বলে উঠল—
—"কিন্তু যদি মোল্লা সাহেব হুরকে দিতে অনিহা করেন, তাহলে?"
ক্লাইবের কথায় এডওয়ার্ড সামান্য বাঁকা হেসে বলে উঠল—
—"না দিলে—যেটা করার, সেটাই করব!"
___________
চারদিকে আসরের আযানের ধ্বনি ভেসে উঠেছে। আস্তে আস্তে ঘুমন্ত নোরো-নারী জেগে উঠছে। চারপাশে আবার সেই ব্যস্ত রূপ দেখা যাচ্ছে।
আয়েশা খাতুন আযানের ধ্বনি শুনে উঠে পড়লেন। পাশে থাকা হুরকেও তুলে দিলেন। হুর উঠে গিয়ে গোসলঘরের দিকে পা বাড়াল। বসার ঘরে পা রাখতে দেখে—দরজাটা সামান্য ফাঁক রাখা, সে অবাক হল না, কারণ এটা তারই আব্বাজান করে যান।
গোসলঘর থেকে ওজু করে এসে তার আম্মার পাশে এসে নামাজ আদায় করে নিল হুর। হঠাৎ হুরের নামাজের মধ্যেয় মনে পড়ল—এডওয়ার্ড কি নামাজ পড়বে না? না কি এখনো সেই গাধার মতো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে? হুর ভাবল নামাজ শেষে সে গিয়ে ডেকে দেবে। কিন্তু পরক্ষণেই সকালের কথাগুলো মনে পড়ল তার... এসব ভাবতে ভাবতেই তার মনে পড়লো সে তো নামাজে আছে,,,,,
নামাজ শেষে হুর তসবি জপল কিছুক্ষণ। তারপর প্রতিদিনের মতো ২০ মিনিট মুনাজাতে সময় কাটাল। আল্লাহ ভালো জানেন—এই মেয়ে তার কাছে কী চায়।
আয়েশা খাতুন জায়নামাজে বসে বসে মেয়েকে দেখছেন। তিনি মনে মনে হেসে উঠলেন—"নামাজ পড়ে ৮-১০ মিনিটের, আর মুনাজাত দেয় ২০ মিনিটের…"
এসব ভেবে তিনি মেয়েকে আরও একটু ভালো করে দেখলেন। মেয়ে তাঁর—মাত্র ১৫ বছরের কিশোরী। যেখানে এই বয়সে একেকটা মেয়ে সংসারে ব্যস্ত, সেখানে তিনি আর তাঁর স্বামী এই মেয়েকে এখনো ঘরে রেখেছেন। এটা নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে অনেকের কাছ থেকে। কিন্তু তাঁরা কেউই এসব আমলে নেননি। মেয়েকে ঘরে বসিয়েই পড়াশোনা করাচ্ছেন।
এই সবকিছুর পেছনে হামিদ মোল্লার হাত। তিনিই মেয়েকে আলাদা করে সময় দিয়ে পড়াচ্ছেন। হামিদ মোল্লা একজন শিক্ষিত মানুষ, তাই তাঁর কাছে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বড়।
মুসলিম পাড়ায় তেমন কোনো পাঠশালা না থাকায় তিনি মেয়েকে পাঠশালায় দেননি। জিয়াগঞ্জে মাত্র একটাই পাঠশালা আছে আর সেখানে শুধু উচ্চবিত্তদের ছেলেরা পড়ার সুযোগ পায়। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ ছিল। তাই তিনি মেয়েকে হাতে-কলমে শিক্ষা দিচ্ছেন।
আয়েশা খাতুন কতক্ষণ মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তাঁর মনে হল—হুর যত বড় হচ্ছে, ততই তার সৌন্দর্য বাড়ছে। ছোটবেলায় হুর তেমন সুন্দর ছিল না, কিন্তু দিন যেতে যেতে, বয়স বাড়তে বাড়তে যেন তার সৌন্দর্যও বেড়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ কিছু একটা শব্দ পেয়ে ধ্যানভঙ্গ হল আয়েশা খাতুনের। হুরেরও মুনাজাত শেষ হল তখনই। হুরকে উঠতে দেখে আয়েশা খাতুন বলে উঠলেন—
—"হুর, তোর আব্বা আসছেন মনে হয়। দেখে আয় একটু মা, আর পারলে ভেষজ জল টা একটু পুটিয়ে নিস,আমি আসছি,,,
হুর তার আম্মার কথায় মাথা নেড়ে বসার ঘরে চলে গেল। বসার ঘরে এসে দেখতে পেল—তার আব্বা কুরআন পড়ছেন। এটা দেখে সে সামান্য হাসল। তার আব্বাজানের নিয়মিত কাজ এটি। খাবার বাদ দিতে পারেন, তবে নামাজ আর কুরআন পার্ট —কখনো বাদ দেন না তিনি।
হুর রান্নাঘরে গেল। আপাতত এখন তাকে ভেষজ জল ফুটাতে হবে…
চলবে,,,,,,,,,
নে নে বইন নে এ কয়দিন পাগল বানায়া দিলি আমায় 🌚🌚 বেশি বেশি response না পািলে পরের পার্ট পাবি নাহ আর 🔪🌚..
2 months ago (edited) | [YT] | 36