*এক বুড়ো মালির কথা* *______🌺👣🌺______* 🌸১৯০৩ সাল থেকে স্বামী বিশুদ্ধানন্দ দক্ষিণেশ্বরে যাতায়াত শুরু করেন ৷ ঠাকুরের সময়কার অনেক কর্মী তখনও কালীবাড়িতে কাজ করত ৷ তিনি দেখতেন ছিয়াত্তর-সাতাত্তর বছরের এক বুড়ো মালি খুরপি দিয়ে ঠাকুরের ঘর থেকে পঞ্চবটী-ঝাউতলা-বেলতলা পর্যন্ত পথটির আগাছা পরিষ্কার করত ৷
🌸 একদিন কৌতূহলবশত বিশুদ্ধানন্দ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, "তুমি ঠাকুরকে দেখেছ ?" সে উত্তর দিল — "তাঁরই তো আদেশ পালন করছি ৷ তিনি বলেছেন — কত ভক্ত আসবে ৷ তাই তাঁদের জন্য পথ পরিস্কার করছি ৷" 🌺 এর বেশি আর কিছু সে বলতে রাজি হলো না ৷ অনেক পীড়াপীড়ি করাতে পরে সে বলতে শুরু করলে এক অপূর্ব ঘটনা ৷
🌺 বললে, "গ্রীষ্মকালে একদিন রাত্রে ঘুম হচ্ছে না ৷ বাগানে বেড়াচ্ছি ৷ দেখি বেলতলার দিক থেকে একটা আলো আসছে ৷ খুব কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখলুম, তিনি ( ঠাকুর ) বেলতলায় সমাধিস্থ, আর তাঁর সারা শরীর থেকে একটা জ্যোতি বেরোচ্ছে ৷ সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে না পেরে ভয়ে পালিয়ে এলুম ৷ পরদিন সকালে তাঁর কাছে গিয়ে কেঁদে তাঁর পা জড়িয়ে ধরলুম ৷ তিনি বললেন, 'কিরে ! ব্যাপার কি ? হঠাৎ তোর এত ভক্তি কেন ?' 🌸কিছু ভেবে না পেয়ে বললুম, 'আমায় কৃপা করুন ৷'তিনি আমার মনের কথা সব বুঝে আমাকে ধরে তুললেন ৷ তারপর বললেন, 'কাল যে-মূর্তি দেখেছিস তা-ই ধ্যান করবি ৷ আর এই রাস্তাটি পরিস্কার করবি, কত ভক্ত আসবে ৷' তাই আমি তাঁর সেই মূর্তি ধ্যান করি, আর রাস্তাটি প্রত্যহ সাফ করি ৷"
🌸ধন্য গরীব বৃদ্ধ মালি ! ঠাকুর তাঁকে কি অপূর্ব জ্যোতির্ময় রূপ দেখালেন এবং ধ্যানযোগ ও কর্মযোগের উপদেশ দিলেন ৷ মালি ঠাকুরের দর্শন ও কৃপা পেয়েছিল কেঁদে পা জড়িয়ে ধরে — ইহাই শরণাগতি, পূর্ণ নির্ভরতা ।🌺🌸
Munayan Tube
*এক বুড়ো মালির কথা*
*______🌺👣🌺______*
🌸১৯০৩ সাল থেকে স্বামী বিশুদ্ধানন্দ দক্ষিণেশ্বরে যাতায়াত শুরু করেন ৷ ঠাকুরের সময়কার অনেক কর্মী তখনও কালীবাড়িতে কাজ করত ৷ তিনি দেখতেন ছিয়াত্তর-সাতাত্তর বছরের এক বুড়ো মালি খুরপি দিয়ে ঠাকুরের ঘর থেকে পঞ্চবটী-ঝাউতলা-বেলতলা পর্যন্ত পথটির আগাছা পরিষ্কার করত ৷
🌸 একদিন কৌতূহলবশত বিশুদ্ধানন্দ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, "তুমি ঠাকুরকে দেখেছ ?"
সে উত্তর দিল — "তাঁরই তো আদেশ পালন করছি ৷ তিনি বলেছেন — কত ভক্ত আসবে ৷ তাই তাঁদের জন্য পথ পরিস্কার করছি ৷"
🌺 এর বেশি আর কিছু সে বলতে রাজি হলো না ৷ অনেক পীড়াপীড়ি করাতে পরে সে বলতে শুরু করলে এক অপূর্ব ঘটনা ৷
🌺 বললে, "গ্রীষ্মকালে একদিন রাত্রে ঘুম হচ্ছে না ৷ বাগানে বেড়াচ্ছি ৷ দেখি বেলতলার দিক থেকে একটা আলো আসছে ৷ খুব কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখলুম, তিনি ( ঠাকুর ) বেলতলায় সমাধিস্থ, আর তাঁর সারা শরীর থেকে একটা জ্যোতি বেরোচ্ছে ৷ সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে না পেরে ভয়ে পালিয়ে এলুম ৷ পরদিন সকালে তাঁর কাছে গিয়ে কেঁদে তাঁর পা জড়িয়ে ধরলুম ৷ তিনি বললেন, 'কিরে ! ব্যাপার কি ? হঠাৎ তোর এত ভক্তি কেন ?'
🌸কিছু ভেবে না পেয়ে বললুম, 'আমায় কৃপা করুন ৷'তিনি আমার মনের কথা সব বুঝে আমাকে ধরে তুললেন ৷ তারপর বললেন, 'কাল যে-মূর্তি দেখেছিস তা-ই ধ্যান করবি ৷ আর এই রাস্তাটি পরিস্কার করবি, কত ভক্ত আসবে ৷' তাই আমি তাঁর সেই মূর্তি ধ্যান করি, আর রাস্তাটি প্রত্যহ সাফ করি ৷"
🌸ধন্য গরীব বৃদ্ধ মালি ! ঠাকুর তাঁকে কি অপূর্ব জ্যোতির্ময় রূপ দেখালেন এবং ধ্যানযোগ ও কর্মযোগের উপদেশ দিলেন ৷ মালি ঠাকুরের দর্শন ও কৃপা পেয়েছিল কেঁদে পা জড়িয়ে ধরে — ইহাই শরণাগতি, পূর্ণ নির্ভরতা ।🌺🌸
3 weeks ago | [YT] | 132