ডিভোর্সের পর আমার স্বামী, আমাকে একটি চিঠি দিয়ে বললো।মারিয়া আজ থেকে ছয় মাস পরে চিঠিটা পড়বে। আমি বললাম: লাগবে না আপনার চিঠি। যেখানে আপনি আমাকে জোর করে ডিভোর্স দিলেন সেখানে চিঠি নিয়ে আমি কি করব? স্বামী আমাকে বলল, "প্লিজ চিঠিটা নাও এটাই আমার শেষ অনুরোধ।
'ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও চিঠিটা নিয়ে ব্যাগে রাখলাম শুধুমাত্র স্বামীর মন রাখতে।
(সবাই বলতে পারেন ডিভোর্স কেন হল? আসলে এই প্রশ্নটা আমারও, কেন সে আমাকে ডিভোর্স দিল কি এমন অপরাধ করেছিলাম আমি)
তো ডিভোর্স হওয়ার পর যখন বাসায় যখন আসতে ছিলাম তখন লক্ষ্য করলাম আমার স্বামী, হাসিব" কেন জানি কান্না করতেছে! 🥲
মনে মনে ভাবলাম, কান্না করুক তাতে আমার কি? সে তো এখন আমার স্বামী না! সে আমাকে ঠকিয়েছে।
ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম এরপরে দীর্ঘ একটি বছর চলে যায় হাঁস হাসিবের সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি।
হঠাৎ একদিন মনে পড়লো তার দেওয়া চিঠিটার কথা মুহূর্তেই ব্যাগ থেকে চিঠিটা পড়তে লাগলাম!
চিঠিটার মধ্যে এমন লেখা দেখব কখনো ভাবতে পারিনি যা দেখে আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছিলাম না!
কি ভেবেছিলাম আমি হাসিবের সম্পর্কে?
চিঠিটা খুলে পড়তেই আমার হাত কাঁপতে লাগল। হাসিব লিখেছিল—
*“প্রিয় মারিয়া, যখন তুমি এই চিঠি পড়বে, হয়তো আমি এই পৃথিবীতে আর থাকব না। আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃণা করছ, কারণ আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস করো, এটা আমি চাইনি। আমি বাধ্য হয়েছি।
আমার শরীরে এমন এক রোগ ধরা পড়েছে যা আর সারানো সম্ভব নয়। ডাক্তার বলেছে আমার হাতে কয়েক মাস সময় আছে। আমি ভয় পেয়েছিলাম—যদি তুমি আমার এই অবস্থায় আমার সাথে থেকে কষ্ট পাও! আমি চাইনি তুমি আমার অসুস্থতার বোঝা বয়ে নিয়ে জীবনটা নষ্ট করো। তাই আমি কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম—ডিভোর্সের।
আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ভুলে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করবে, সুখে থাকবে। এটাই ছিল আমার শেষ ভালোবাসা তোমার জন্য। যদি কখনো আমাকে ক্ষমা করতে পারো, তাহলে আমার আত্মা শান্তি পাবে।
ভালো থেকো, সবসময়।”*
চিঠির প্রতিটি লাইন পড়ে আমার বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠল। আমি কেঁদে ফেললাম, কাঁদতে কাঁদতে ভেবেছিলাম— “কি ভেবেছিলাম আমি হাসিবকে নিয়ে? আমি ভেবেছিলাম সে আমাকে ঠকিয়েছে, আমার জীবন ভেঙে দিয়েছে। অথচ আসলে সে নিজের মৃত্যুকে গোপন করে আমাকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল…!”
এক মুহূর্তে ভেঙে পড়লাম আমি। হাসিবকে আর কখনো দেখতে পাইনি, তার মুখটা শেষবারের মতো স্পর্শ করতে পারিনি। তবে আজও যখন রাতে আকাশের দিকে তাকাই, মনে হয়—সেই নক্ষত্রের ভেতরেই হয়তো হাসিব আমাকে দেখে বলছে, “মারিয়া, আমি তোমায় ভালোবেসেছিলাম…আজও ভালোবাসি।”
Miraj Gold design
ডিভোর্সের পর আমার স্বামী,
আমাকে একটি চিঠি দিয়ে বললো।মারিয়া আজ থেকে ছয় মাস পরে চিঠিটা পড়বে।
আমি বললাম: লাগবে না আপনার চিঠি। যেখানে আপনি আমাকে জোর করে ডিভোর্স দিলেন সেখানে চিঠি নিয়ে আমি কি করব?
স্বামী আমাকে বলল, "প্লিজ চিঠিটা নাও এটাই আমার শেষ অনুরোধ।
'ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও চিঠিটা নিয়ে ব্যাগে রাখলাম শুধুমাত্র স্বামীর মন রাখতে।
(সবাই বলতে পারেন ডিভোর্স কেন হল? আসলে এই প্রশ্নটা আমারও, কেন সে আমাকে ডিভোর্স দিল কি এমন অপরাধ করেছিলাম আমি)
তো ডিভোর্স হওয়ার পর যখন বাসায় যখন আসতে ছিলাম তখন লক্ষ্য করলাম আমার স্বামী, হাসিব" কেন জানি কান্না করতেছে! 🥲
মনে মনে ভাবলাম, কান্না করুক তাতে আমার কি? সে তো এখন আমার স্বামী না! সে আমাকে ঠকিয়েছে।
ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম এরপরে দীর্ঘ একটি বছর চলে যায় হাঁস হাসিবের সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি।
হঠাৎ একদিন মনে পড়লো তার দেওয়া চিঠিটার কথা মুহূর্তেই ব্যাগ থেকে চিঠিটা পড়তে লাগলাম!
চিঠিটার মধ্যে এমন লেখা দেখব কখনো ভাবতে পারিনি যা দেখে আমি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছিলাম না!
কি ভেবেছিলাম আমি হাসিবের সম্পর্কে?
চিঠিটা খুলে পড়তেই আমার হাত কাঁপতে লাগল।
হাসিব লিখেছিল—
*“প্রিয় মারিয়া,
যখন তুমি এই চিঠি পড়বে, হয়তো আমি এই পৃথিবীতে আর থাকব না। আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃণা করছ, কারণ আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস করো, এটা আমি চাইনি। আমি বাধ্য হয়েছি।
আমার শরীরে এমন এক রোগ ধরা পড়েছে যা আর সারানো সম্ভব নয়। ডাক্তার বলেছে আমার হাতে কয়েক মাস সময় আছে। আমি ভয় পেয়েছিলাম—যদি তুমি আমার এই অবস্থায় আমার সাথে থেকে কষ্ট পাও! আমি চাইনি তুমি আমার অসুস্থতার বোঝা বয়ে নিয়ে জীবনটা নষ্ট করো। তাই আমি কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম—ডিভোর্সের।
আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ভুলে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করবে, সুখে থাকবে। এটাই ছিল আমার শেষ ভালোবাসা তোমার জন্য। যদি কখনো আমাকে ক্ষমা করতে পারো, তাহলে আমার আত্মা শান্তি পাবে।
ভালো থেকো, সবসময়।”*
চিঠির প্রতিটি লাইন পড়ে আমার বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠল।
আমি কেঁদে ফেললাম, কাঁদতে কাঁদতে ভেবেছিলাম— “কি ভেবেছিলাম আমি হাসিবকে নিয়ে? আমি ভেবেছিলাম সে আমাকে ঠকিয়েছে, আমার জীবন ভেঙে দিয়েছে। অথচ আসলে সে নিজের মৃত্যুকে গোপন করে আমাকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল…!”
এক মুহূর্তে ভেঙে পড়লাম আমি।
হাসিবকে আর কখনো দেখতে পাইনি, তার মুখটা শেষবারের মতো স্পর্শ করতে পারিনি।
তবে আজও যখন রাতে আকাশের দিকে তাকাই, মনে হয়—সেই নক্ষত্রের ভেতরেই হয়তো হাসিব আমাকে দেখে বলছে, “মারিয়া, আমি তোমায় ভালোবেসেছিলাম…আজও ভালোবাসি।”
3 months ago | [YT] | 7