Nilima enjoy life (bengoli, বাঙালি, desi girl)
#বৃদ্ধাশ্রম।#কলমে_তনুশ্রী_পাল ।ঘুম থেকে উঠে দেখি ঠাকুমা নেই ঘরেসারা বাড়ি আমি খুঁজে বেড়াই ঘুরে ঘুরে।সকাল থেকেই বাড়ির থমথমে পরিবেশবাবাও চুপচাপ, মায়ের মুখটা গম্ভীর বেশ।চুপি চুপি বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম-ঠাকুমা কোথায় আছে?বাবা বললো-ঠাকুমার দেশের বাড়ি চলে গেছে।হঠাৎ করে ঠাকুমা কেন গেল দেশের বাড়ি!ঠাকুমা ছাড়া থাকতে পারবো না, এবার আমি কি করি?মা,বাবা অফিস যেত, আমরা থাকতাম দুজনেঠাকুমার মুখে গল্প শুনে ভাত খেতাম, ঘুমিয়ে যেতাম গান শুনে।রবিবার মা, বাবার অফিস থাকে বন্ধমায়ের সাথে ঠাকুমার লেগেই থাকত দ্বন্দ্ব।আমি দেখেছি ঠাকুমা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতজিজ্ঞাসা করলে বলতো-চোখে কুঁটি পড়েছে তো।অনেক বছর হলো ঠাকুমার নেই কোন খোঁজঠাকুমার কথা আমার মনে পরে রোজ।হঠাৎ একদিন বাবার মোবাইলে এল এ কলকে জানে কি বলল, বাবার চোখ করে ছল ছল।বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম-কে ছিল, কি বলল তোমাকে?বাবা বললো-তোর ঠাকুমা খুবই অসুস্থ , যেতে হবে আমাদেরকে।আমি বললাম-চলো দেশের বাড়ি, ঠাকুমার কাছেবাবা বলল-দেশের বাড়ি নয় ,তোর ঠাকুমা বৃদ্ধাশ্রমের আছে।রেগে গিয়ে বললাম-এতবছর আমাকে মিথ্যে বলেছিলে ?দেখবে তোমাদেরকেও ছেড়ে আমিও যাবো একদিন চলে।বৃদ্ধাশ্রমে গেলাম ঠাকুমাকে ফিরিয়ে আনবো বলেগিয়ে দেখি চিরকালের মতো ঠাকুমা আমাদের ছেড়েই গেছে চলে।একটা চিঠি ঠাকুমা রেখে গেছে আমার জন্যঠাকুমার চিঠি পেয়ে আমি হলাম ধন্য।চিঠিতে লেখা আছে, প্রতিশ্রুতি দে দাদুভাই আমাকেকোনদিন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবিনা মা-বাবাকে।তুই ওদের একমাত্র সন্তান, থাকতে পারবে না তোকে ছাড়াআমার সবকিছু থেকেও বৃদ্ধাশ্রমের ছিলাম হয়ে সর্বহারা।দে দাদুভাই, কথা দে আমাকেকোনদিন দুঃখ দিবি না ওদেরকে।কথা দিলাম ঠাকুমা, কথা দিলাম তোমাকেকোনদিন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবো না মা-বাবাকে।ছবি সংগৃহীত।
9 months ago | [YT] | 4
Nilima enjoy life (bengoli, বাঙালি, desi girl)
#বৃদ্ধাশ্রম।
#কলমে_তনুশ্রী_পাল ।
ঘুম থেকে উঠে দেখি ঠাকুমা নেই ঘরে
সারা বাড়ি আমি খুঁজে বেড়াই ঘুরে ঘুরে।
সকাল থেকেই বাড়ির থমথমে পরিবেশ
বাবাও চুপচাপ, মায়ের মুখটা গম্ভীর বেশ।
চুপি চুপি বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম-ঠাকুমা কোথায় আছে?
বাবা বললো-ঠাকুমার দেশের বাড়ি চলে গেছে।
হঠাৎ করে ঠাকুমা কেন গেল দেশের বাড়ি!
ঠাকুমা ছাড়া থাকতে পারবো না, এবার আমি কি করি?
মা,বাবা অফিস যেত, আমরা থাকতাম দুজনে
ঠাকুমার মুখে গল্প শুনে ভাত খেতাম, ঘুমিয়ে যেতাম গান শুনে।
রবিবার মা, বাবার অফিস থাকে বন্ধ
মায়ের সাথে ঠাকুমার লেগেই থাকত দ্বন্দ্ব।
আমি দেখেছি ঠাকুমা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদত
জিজ্ঞাসা করলে বলতো-চোখে কুঁটি পড়েছে তো।
অনেক বছর হলো ঠাকুমার নেই কোন খোঁজ
ঠাকুমার কথা আমার মনে পরে রোজ।
হঠাৎ একদিন বাবার মোবাইলে এল এ কল
কে জানে কি বলল, বাবার চোখ করে ছল ছল।
বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম-কে ছিল, কি বলল তোমাকে?
বাবা বললো-তোর ঠাকুমা খুবই অসুস্থ , যেতে হবে আমাদেরকে।
আমি বললাম-চলো দেশের বাড়ি, ঠাকুমার কাছে
বাবা বলল-দেশের বাড়ি নয় ,তোর ঠাকুমা বৃদ্ধাশ্রমের আছে।
রেগে গিয়ে বললাম-এতবছর আমাকে মিথ্যে বলেছিলে ?
দেখবে তোমাদেরকেও ছেড়ে আমিও যাবো একদিন চলে।
বৃদ্ধাশ্রমে গেলাম ঠাকুমাকে ফিরিয়ে আনবো বলে
গিয়ে দেখি চিরকালের মতো ঠাকুমা আমাদের ছেড়েই গেছে চলে।
একটা চিঠি ঠাকুমা রেখে গেছে আমার জন্য
ঠাকুমার চিঠি পেয়ে আমি হলাম ধন্য।
চিঠিতে লেখা আছে, প্রতিশ্রুতি দে দাদুভাই আমাকে
কোনদিন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবিনা মা-বাবাকে।
তুই ওদের একমাত্র সন্তান, থাকতে পারবে না তোকে ছাড়া
আমার সবকিছু থেকেও বৃদ্ধাশ্রমের ছিলাম হয়ে সর্বহারা।
দে দাদুভাই, কথা দে আমাকে
কোনদিন দুঃখ দিবি না ওদেরকে।
কথা দিলাম ঠাকুমা, কথা দিলাম তোমাকে
কোনদিন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবো না মা-বাবাকে।
ছবি সংগৃহীত।
9 months ago | [YT] | 4