Welcome to Village Life TV MRS YouTube Channel প্রকৃতি প্রেমীদের স্বাগতম। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের বাস্তব জীবনের চিত্র, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও গ্রামীণ সৌন্দর্য দেখতে সকল ধরণের বাংলাদেশের ঐতিহ্য,কৃষ্টি কালচার নতুন নতুন ভিডিও দেখার জন্য আমাদের Village Life TV MRS চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ও বেল বাটনে ক্লিক করুন। লাইক, কমেন্ট শেয়ার করুন।
ADDRESS
Name:-Mostafijur Rahman (SHOVO)
Village:- Goneshpur
PostP:-Ajoil
Thana:-Khoksa
District:-Kushtia
Mobile:-01737986178
Mail:-mostafijurrahman4567@gmail.com
Village Life TV MRS
চিরায়ত বাংলার নৌকা শিল্প: কত বিচিত্র ধরনের নৌকা ছিল আমাদের!
বাংলাদেশে নৌকা একটি প্রাচীন বাহন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে নৌকা এখনও স্থানীয় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। টণ্য পরিবহনের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। গঠনশৈলী ও পরিবহনের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের নৌকার প্রচলন ছিল, কিছু কিছু এখনও রয়েছে। এগুলো নিয়ে আজকের আয়োজন-
ডিঙ্গি:
আকারে ছোট এ নৌকা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এটি নদী পারাপার বা অল্প পরিমাণ পণ্য পরিবহনে কাজে লাগে। আকারে ছোট বলে এটি চালাতে একজন মাঝিই যথেষ্ট। মাঝে মাঝে এতে পালও লাগানো হয়। নদী তীর বা হাওর-বাওরের প্রায় সকল মানুষ এই নৌকাটি ব্যবহার করেন।
কোষা:
চরাঞ্চলে বা বিলে বর্ষায় কোষা দেখা যায়। অন্যান্য নৌকার মতো এর গলুইয়ের কাঠ বড় থাকে না। অঞ্চল বিশেষে এর আকার কমবেশি হয়। কোষা পারিবারিক নৌকা হিসেবে হাটবাজারসহ স্বল্প দূরত্বে চলাচলের কাজে লাগে। একটি আদর্শ কোষা নৌকায় ৮জন যাত্রী বহন করা যায়। এতে ছই থাকে না। এটি বৈঠা দিয়ে চালানো হয়, তবে অগভীর জলে লগি ব্যবহার করে চালানো যায়। ভারি ও বেশি ওজন বহনের উপযোগী কোষাকে বলা হয় ‘ঘাসী নৌকা’।
ডোঙা:
তালগাছের কাণ্ড কুঁদে বানানো ডোঙা বেশ টেকসই। এতে খুব বেশি মানুষ বা মালামাল নেওয়া যায় না। পার্শ্বদেশ বা বিস্তার এতই কম যে, এতে পাশাপাশি দু’জন বসা কষ্টসাধ্য। একটু বেসামাল হলে,ডোঙ্গা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। ডোঙায় দাঁড়লে যাতে তলা ফেঁসে না যায়, সেজন্য এর তলদেশ বেশ মোটা রাখা হয়। তাল গাছের কাণ্ড সহজে পচে না বলে ডোঙা কয়েক বছর ব্যবহার করা যায়।
সাম্পান:
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে বেড়ায় সাম্পান। চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়া এলাকায় সাম্পান নৌকা বেশি দেখা যায়। এ নৌকাগুলির সামনের দিকটা উঁচু আর বাঁকানো, পেছনটা থাকে সোজা। প্রয়োজনে এর সঙ্গে পাল থাকে আবার কখনও থাকে না। একমাঝি চালিত এই নৌকাটি মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার হয়। এক সময় বড় আকারের সাম্পানও দেখা গেলেও এখন তা বিলুপ্ত। সাতজন মাঝি থাকতো আর থাকতো ৩কোণা আকারের ৩টি করে পাল।
বজরা:
আগের দিনে ধনী লোকেরা শখ করে নৌকা ভ্রমণে যেতেন। তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল ‘বজরা’। বজরাতে তারা এক রকম ঘরবাড়ি বানিয়ে নিতেন। ফলে এতে খাবার দাবারসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাই থাকতো। কোনটিতে আবার পালও থাকতো। এতে থাকতো চারজন করে মাঝি। বজরা মূলত সিরাজগঞ্জ ও পাবনা অঞ্চলে দেখা যেত।
গয়না:
গয়না আকৃতিতে মাঝারি। এটি কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে বেশি দেখা যেত। মূলত যাত্রী পারাপারের কাজেই এদের ব্যবহার করা হতো। একসঙ্গে প্রায় ২৫-৩০ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা ছিল এই নৌকার। রাজশাহী অঞ্চলে এর থেকেও বড় আকারের গয়না নৌকা পাওয়া যেতো। এরা আকারে যেমন বড় তেমনি এই নৌকায় বেশি সংখ্যক যাত্রীও উঠতে পারতো। বর্তমানে এই নৌকাও বিলুপ্তির পথে।
বাইচের নৌকা:
বাইচের নৌকা লম্বায় দেড়শ থেকে দুইশ ফুট পর্যন্ত হয়। প্রতিযোগিতার সময় এতে পঁচিশ থেকে একশ জন পর্যন্ত মাঝি থাকে। আগে নবাব বাদশাহরা বাইচের আয়োজন করতেন। এইসব বাইচের নৌকার আবার সুন্দর সুন্দর নাম দেওয়া হতো, যেমন- পঙ্খীরাজ, ঝড়ের পাখি, দ্বীপরাজ, সোনার তরী ইত্যাদি। কিশোরগঞ্জ, পাবনা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে এসব নৌকা ছিল।
বাচারি নৌকা:
বাচারি নামের নৌকাটিও বাণিজ্যিক নৌকা ছিল। ৪০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম বাছারি গত কয়েক দশক আগেই বিলুপ্তির পাতায় চলে গেছে।
বাতনাই:
এর অপর নাম ‘পদি’। এটি মালবাহী বজরার একটি সংস্করণ। খুলনা অঞ্চলে মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বজরাগুলো অনেক বড় হয়। বর্তমানে এই বজরা আর দেখা যায় না। যান্ত্রিক নৌকার ব্যবহারের কারণে এ নৌকার ব্যবহার অনেক কমে গেছে। এ নৌকার বড় খরচ ছিল এর লোকবল। এটা এতটাই ভারি হতো যে এটি চালাতে ১৭-১৮ জন মাঝি লাগতো।
ময়ূরপঙ্খী:
রাজা বাদশাহদের শৌখিন নৌকার নাম হলো ‘ময়ূরপঙ্খী’। এর সামনের দিকটা দেখতে ময়ূরের মতো বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ময়ূরপঙ্খী’। এই নৌকা চালাতে প্রয়োজন হয় চারজন মাঝির। নৌকায় থাকতো দুটো করে পাল।
বালার:
কুষ্টিয়া অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রাচীনকাল থেকে এখনও নৌকা ব্যবহার হয়ে আসছে। সেখানে বিখ্যাত নৌকার নাম হলো ‘বালার’। এ নৌকাগুলি আকারে অনেক বড় হয় এবং প্রায় ১২-৫৬ টন মালামাল বহন করতে পারে। আর বৈঠা বায় ১০-১২ জন মাঝি। এ ধরনের নৌকায় পাল থাকে দুটো।
পানসী:
নৌকায় চড়ে দূরে কোথাও যাওয়ার একমাত্র ও অন্যতম মাধ্যম ছিল পালতোলা পানসি। পানসীতে চড়ে মাঝি মাল্লার ভাটিয়ালি, মুর্শিদী আর মারফতি গান গেয়ে মন কেড়ে নিতো যাত্রীদের। বরিশাল অঞ্চলে এটি প্রচুর দেখা যেতো। কালের বিবর্তনে পানসি নৌকা প্রায় হারিয়ে গেছে।
পাতাম:
এক ধরনের যুগল নৌকা। দুটি নৌকাকে পাশাপাশি রেখে ‘পাতাম’ নামক লোহার কাঠাটা দিয়ে যুক্ত করে এ যুগল নৌকা তৈরি করা হয়। একে অনেক সময় জোড়া নাও বলে। এ নৌকা মূলত মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে মাঝি ছাড়া ৪জন দাঁড়টানা লোক থাকে। এতে একটি পাল খাটানোর ব্যবস্থা থাকে। এক সময় এই নৌকা সিলেট ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে দেখা যেতো। এখন বিলুপ্তপ্রায়।
ছুঁইওয়ালা বা একমালাই:
পালতোলা পানসির মতো ছুঁইওয়ালা একমালাই ছিলো দূরপাল্লার নৌকা। বরিশালের দুশুমি গ্রাম ও আশপাশের এলাকাসহ উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের সদস্যরা ছুঁইওয়ালা নৌকার মাঝি হিসেবে বাপদাদার পেশাকে এখনো আঁকড়ে ধরে রেখেছে।
মলার নৌকা:
পাবনা অঞ্চলে একসময় তৈরি হতো মলার নৌকা। এটাও মূলত মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতো। ১২ থেকে ৫৬ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ নৌকায় পাল থাকে দু’টি, দাঁড় ছয়টি। এ ধরনের নৌকাও এখন বিলুপ্তির পথে।
বালার নৌকা:
কুষ্টিয়া অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৌকা ছিল বালার। এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রাচীনকাল থেকে এ নৌকা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নৌকাগুলো আকারে বড় হয়, যা দৈর্ঘ্যে ১২-১৮ মিটার হয়ে থাকে। বৈঠা বায় ১০-১২ জন মাঝি। এ নৌকায় পাল থাকে দুটো।
ইলশা নৌকা:
ইলিশ মাছ আহরণে জেলেরা এই নৌকা ব্যবহার করে থাকে বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এসব নৌকাও পাল লাগানো থাকে।
সওদাগরী নৌকা:
ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সওদাগরগণ এই নৌকা ব্যবহার করে দেশ দেশান্তরে ঘুরে বেড়াতেন। এসব নৌকায় বহু জন বহন করার ক্ষমতা ছিল। এতেও পাল লাগানো হতো। যা এখন বিলুপ্ত।
তথ্যসূত্র:
১. বাংলাপিডিয়া
২. বাংলাদেশের নৌকা, এম এ তাহের
৩. বার্জ ফর বাংলাদেশ, ইভ মার
৪. নৌকার সাতকাহন: বাংলাদেশের নৌকার যতো মজার নাম
1 year ago | [YT] | 1
View 0 replies
Village Life TV MRS
ইলিশ শিকারের দৃশ্য।
2 years ago | [YT] | 2
View 0 replies
Village Life TV MRS
১৬/০৯/২০২৩ ইং
2 years ago | [YT] | 2
View 0 replies
Village Life TV MRS
আপনারা যারা আম, লিচু, কাঠাল, জাম মৌসুমি ফল খাবেন, খাবার পর তার বীজ/আঠি/বিচি/দানা/seeds গুলোকে ফেলে দেবেন না। সেগুলো ভালো করে পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে একটি কাগজে মুড়ে রেখে দিন। যদি কখনও কোথাও গাড়িতে করে দূরে ঘুরতে যান তবে সেই বীজগুলো অবশ্যই রাস্তার ধারের অনুর্বর ফাঁকা জমিতে একে একে ছিটিয়ে দিন।
আসছে বর্ষার মৌসুমে সেই বীজ থেকে নতুন চারাগাছ জন্ম নিবে। যদি এদের মধ্যে একটা গাছও বেচেঁ থাকে তবে সেটাই হবে এই পৃথিবীকে আপনার দেওয়া সবচেয়ে বড় উপহার। ফলের গাছ শুধু পরিবেশকে অক্সিজেন দিয়ে সতেজ রাখে না, ফল খাবার লোভে অনেক পাখি আসে গাছে গাছে।
যার ফলে পরিবেশের হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য রক্ষা হয়।।
তাছাড়া ও এই গাছ হতে যাঁরা ফল খাবে বা ব্যাবহার করবে আপনার জন্য থাকবে নেকি ও সওয়াব ইনশা আল্লাহ 🌹
2 years ago | [YT] | 1
View 0 replies
Village Life TV MRS
3 years ago | [YT] | 1
View 1 reply
Village Life TV MRS
গ্রাম বাংলার কৃষি কাজ
3 years ago | [YT] | 4
View 0 replies
Village Life TV MRS
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান।
www.youtube.com/channel/UCppM...
3 years ago | [YT] | 6
View 2 replies
Village Life TV MRS
Village Life TV MRS এর পক্ষ থেকে সবাইবকে ঈদের শুভেচ্ছা।
3 years ago | [YT] | 11
View 0 replies
Village Life TV MRS
কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত উত্তম ভাইয়ের দই তৈরি
https://youtu.be/WlPMoypDNOc
3 years ago | [YT] | 6
View 1 reply