আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। প্রিয় মুসলমান দ্বীনি ভাই ও বোনেরা Islamer Katha Media ইউটিউব চ্যানেল থেকে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।
▶প্রিয় মুসলমান দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আমার এই চ্যানেলে প্রতিনিয়ত কোরআন হাদিসের আলোকে হাদিস, ইসলামিক ভিডিও রাসুল (সাঃ) সাহাবায়ে কেরাম মহিলা সাহাবায়ে কেরাম দের জীবনী এ ধরনের ইসলামীক ভিডিও পেয়ে থাকবেন। আশা করি সকলেই সার্পোট করবেন ইনশাআল্লাহ।
▶শুধুমাত্র ইসলাম প্রচারের স্বার্থে ভিডিওগুলো তৈরি করি শিখতে পারি আপনাদের কাছে শেয়ার করি। ইসলাম প্রচারের স্বার্থে অবশ্যই আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ।
------------------🔰🔰📖🔰🔰----------------
✔সহীহুল বুখারী শরীফ সম্পন্ন খন্ড
✔মুসলীম শরীফ,তিরমীজি শরীফ
✔ইসলামীক প্রশ্ন এবং উওর
✔আর রাহীকুল মাখতুম রাসূল (সাঃ) এর জীবনী
✔সাহাবায়ে কেরাম জীবনী
✔মহিলা সাহাবায়ে কেরাম জীবনী
✔ইসলামী সাহিত্য বই
-----------------🔰🔰📖🔰🔰---------------
======👇👇=======
🤲ভিডিওগুলি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট শেয়ার সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।🤲
Like:Comment:Shere:Subscribe
বিশেষ ভাবে অনুরোধ ভুল হলে বলবেন দয়াকরে।
Islamer Katha Media
প্রতিটি ধর্মে কিছু পবিত্র বিষয় ও স্থান আছে, যেগুলোকে তার অনুসারীরা সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখে। আর তা রক্ষা করাকে নিজের দায়িত্ব মনে করে। ইসলাম ধর্মেও এমন কিছু পবিত্র স্থান রয়েছে, যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং সম্মান রক্ষাকে মুসলমানরা তাদের ঈমানি দায়িত্ব মনে করে। মসজিদুল আকসা সেগুলোর একটি।
পবিত্র মক্কা ও মদিনার পর মসজিদুল আকসা মুসলমানদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান।
কোরআনে আল-আকসার বৈশিষ্ট্য
পবিত্র কোরআনে আল-আকসা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে:-
১. পবিত্র ভূমি : আল্লাহ মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশের অঞ্চলকে পবিত্র ভূমি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি নির্দিষ্ট করেছেন তাতে তোমরা প্রবেশ করো এবং পশ্চাদপসরণ কোরো না, করলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
(সুরা : মায়িদা, আয়াত : ২১)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আয়াতে পবিত্র ভূমি দ্বারা বায়তুল মুকাদ্দাস উদ্দেশ্য। সেখানে বনি ইসরাইলকে প্রবেশ করতে বলা হয়েছিল। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
২. বরকতময় ভূমি : মহান আল্লাহ মসজিদুল আকসাসহ সমগ্র ফিলিস্তিন ভূমিকে বরকতময় করেছেন। তিনি বলেন, যে সম্প্রদায়কে দুর্বল গণ্য করা হতো তাদেরকে আমি আমার কল্যাণপ্রাপ্ত রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী করি।
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৩৭)
৩. মহানবী (সাঃ) এর স্মৃতিধন্য ভূমি : ইসরা ও মিরাজের রাতে আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে মসজিদুল আকসা পরিভ্রমণ করান।
ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য, তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
(সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ১)
৪. মুক্তিকামীদের ভূমি : আল্লাহ যুগে যুগে মুক্তিকামী মানুষকে ফিলিস্তিন ভূমিতে আশ্রয় দিয়েছেন। যেমন লুত (আঃ) সম্পর্কে বলা হয়েছে, এবং আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই দেশে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য।
(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৭১)
৫. কল্যাণময় রাজ্য ও রাজত্বের ভূমি : আল্লাহ ফিলিস্তিন ভূমিকে কল্যাণময় করেছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, এবং সুলাইমানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম উদ্দাম বায়ুকে, তা তার আদেশক্রমে প্রবাহিত হতো সেই দেশের দিকে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি, প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমিই সম্যক অবগত।
(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৮১)
৬. মধ্যবর্তী ভূমি : প্রাচীন শামের সঙ্গে আরবরা যে পথগুলো ব্যবহার করত তার মধ্যভাগে ছিল ফিলিস্তিন ভূমি, যাকে আল্লাহ ভ্রমণকারীদের জন্য নিরাপদ করেছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, তাদের ও যেসব জনপদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলাম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে দৃশ্যমান বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং সেসব জনপদে ভ্রমণের যথাযথ ব্যবস্থা করেছিলাম এবং তাদেরকে বলেছিলাম, তোমরা এসব জনপদে নিরাপদে ভ্রমণ কোরো দিনে ও রাতে।
(সুরা : সাবা, আয়াত : ১৮)
৭. জলপাই ও ডুমুরের ভূমি : আল্লাহ সুরা ত্বিনে জলপাই, ডুমুর ও সিনাই উপত্যকার শপথ করেছেন, যা স্পষ্টতই ফিলিস্তিন ভূমিকে বোঝায়। ইরশাদ হয়েছে, শপথ ত্বিন (জলপাই) ও জাইতুনের (ডুমুরের), শপথ সিনাই পর্বতের।
(সুরা : ত্বিন, আয়াত : ১-২)
হাদিসে আল-আকসার বৈশিষ্ট্য
পবিত্র কোরআনের মতো হাদিসেও আল-আকসার মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর কয়েকটি হলো:-
১. যে মসজিদ ভ্রমণে সওয়াব মেলে : হাদিসে সওয়াবের নিয়তে তিনটি মসজিদ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, মসজিদুল হারাম, মসজিদুর রাসুল (মসজিদে নববী) এবং মসজিদুল আকসা এই তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদের উদ্দেশে সফর করা যাবে না।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৮৯)
২. দাজ্জাল থেকে নিরাপদ : আল্লাহ তাআলা মসজিদুল আকসাকে দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা করবেন। হাদিসে এসেছে, দাজ্জাল পৃথিবীতে ৪০ দিন অবস্থান করবে। তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে। তা হলো কাবা, মসজিদে রাসুল, মসজিদুল আকসা ও মসজিদে তুর।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩১৩৯)
৩. এক আমলে হাজার আমলের সওয়াব : মাইমুনা বিনতে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে আমাকে ফতোয়া দিন। তিনি বলেন, এটা হাশরের মাঠ এবং সকলের একত্র হওয়ার ময়দান। তোমরা তাতে নামাজ আদায় করবে। কেননা সেখানে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্যান্য স্থানের তুলনায় এক হাজার গুণ উত্তম। আমি বললাম, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি সেখানে যেতে সমর্থ না হই? তিনি বলেন, তুমি তাতে বাতি জ্বালানোর জন্য জলপাইয়ের তেল হাদিয়া পাঠাও। যে ব্যক্তি তা করল, সে যেন সেখানে উপস্থিত হলো।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪০৭)
৪. সত্যের পথে সংগ্রামের ভূমি : আল্লাহ ফিলিস্তিন ভূমিকে সত্যের পথে সংগ্রামের দৃষ্টান্ত বানিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের একটি দল দামেস্কের প্রবেশপথ গুলোতে এবং তার আশপাশে সংগ্রাম করতে এবং বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বদা (সত্যের পক্ষে) সংগ্রামরত থাকবে। কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের শত্রুরা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
(মুসান্নাফে আবি ইয়ালা, হাদিস : ৬৪১৭)
৫. কিয়ামতের আলামত : আল্লাহ বায়তুল মুকাদ্দাসকে কিয়ামতের আলামত বানিয়েছেন। আউফ বিন মালিক (রাঃ) বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি তখন একটি চামড়ার তৈরি তাঁবুতে ছিলেন। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন, কিয়ামতের আগের ছয়টি নিদর্শন
গণনা করে রাখো:-
১. আমার মৃত্যু, ২. বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়, ৩. তোমাদের মধ্যে ঘটবে মহামারি, বকরির পালের মতো মহামারি, ৪. সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে ১০০ দিনার দেওয়ার পরও সে অসন্তুষ্ট থাকবে, ৫. এমন এক ফিতনা আসবে, যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে, ৬. যুদ্ধবিরতির চুক্তি, যা তোমাদের ও বনি আসফার বা রোমকদের মধ্যে সম্পাদিত হবে। অতঃপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং ৮০টি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে, প্রত্যেক পতাকার নিচে থাকবে ১২ হাজার সৈন্য।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১৭৬)
আল্লাহ মুসলিম জাতিকে মসজিদুল আকসার সম্মান রক্ষা করার তাওফিক দিন। আমিন।
4 weeks ago | [YT] | 9
View 5 replies
Islamer Katha Media
আসসালামুয়ালাইকুম আমার প্রাণপ্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনারা আমাকে এভাবে সাপোর্ট করেছেন আমার কলিজার ভাই বোনেরা আমরা 1000 পরিবারে যুক্ত হয়ে গিয়েছি খুবই অসাধারণ লাগছে আরো বেশি বেশি সাপোর্ট করবেন ইনশাআল্লাহ।
ইসলামের কথা মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেল আপনাদের অনেক দূরে এগিয়ে নেয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
সবকিছুর মিলিয়ে আল্লাহতালা ভরসা আল্লাহ যেন সকলকে কবুল করেন ইসলামের পথে।
আমার এই ইউটিউব চ্যানেলের সাথে থাকার তৌফিক দান করেন সকলের প্রতি অনেক ভালোবাসা এবং অনেক দোয়া।
1 month ago | [YT] | 10
View 10 replies
Islamer Katha Media
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সকল প্রবাসী ভাই বোন এবং আমার প্রাণপ্রিয় দেশের ভাই-বোনেরা সকলকে জানাই ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
1 month ago | [YT] | 11
View 6 replies
Islamer Katha Media
প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ লাইলাতুল কদর
লাইলাতুল কদর
লাইলাতুল কদরের মর্যাদা, বৈশিষ্ট্য ও ফযীলাত জানতে চাই।
(১) এ রাতে আল্লাহ তাআলা পুরা কুরআন কারীমকে লাউহে মাহফুয থেকে প্রথম আসমানে নাযিল করেন। তাছাড়া অন্য আরেকটি মত আছে যে, এ রাতেই কুরআন নাযিল শুরু হয়। পরবর্তী ২৩ বছরে বিভিন্ন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা ও অবস্থার প্রেক্ষিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর উপর অবতীর্ণ হয়।
(২) এ এক রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম।
(৩) এ রাতে পৃথিবীতে অসংখ্য ফেরেশতা নেমে আসে এবং তারা তখন দুনিয়ার কল্যাণ, বরকত ও রহমাত বর্ষণ করতে থাকে।
(৪) এটা শান্তি বর্ষণের রাত। এ রাতে ইবাদত গুজার বান্দাদেরকে ফেরেশতারা জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তির বাণী শুনায়।
(৫) এ রাতের ফাযীলত বর্ণনা করে এ রাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল হয়। যার নাম সূরা কদর।
(৬) এ রাতে নফল সালাত আদায় করলে মুমিনদের অতীতের সগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দেয়া হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ قَامَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ إِيْمَانًا وَّاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
অর্থ : যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব লাভের আশায় কদরের রাতে নফল সালাত আদায় ও রাত জেগে ইবাদত করবে আল্লাহ তার ইতোপূর্বের সকল সগীরা (ছোট) গুনাহ ক্ষমা করে দেন। (বুখারী : ১৯০১; মুসলিম : ৭৬০)
কোন রাতটি লাইলাতুল কদর?
এ প্রশ্নের উত্তর স্বরূপ হাদীসে নিম্নবর্ণিত বাণী রয়েছে :
[১] এ রাতটি রমযান মাসে। আর এ রাতের ফযীলত কিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে।
[২] এ রাতটি রমাযানের শেষ দশকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
تَحَرُّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
রমাযানের শেষ দশ দিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)
[৩] আর এটি রমযানের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
تَحَرُّوْا لَيْلَةُ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
তোমরা রমাযানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ কর। (বুখারী : ২০১৭)
[৪] এ রাত রমযানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرِّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ
যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমাযানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে। (বুখারী : ২০১৫; মুসলিম : ১১৬৫)
[৫] রমাযানের ২৭ শে রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
ক. উবাই ইবনে কাব হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন যে,
وَاللهِ إِنِّيْ لأَعْلَمُ أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِيْ أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- بِقِيَامِهَا هِىَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِيْنَ
আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হল রমাযানের ২৭ তম রাত। (মুসলিম : ৭৬২)
(খ) আব্দুল্লাহ বিন উমার থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
مَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرِّهَا لَيْلَةَ السَّبْعِ وَالْعِشْرِيْنَ
যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমাযানের ২৭শে রজনীতে অনুসন্ধান করে। (আহমাদ : ২/১৫৭)
[৬] কদরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা হল ২৫ তারিখ, তৃতীয় হল ২৯ তারিখে। চতুর্থ হল ২১ তারিখ। পঞ্চম হল ২৩ তারিখের রজনী।
[৭] সর্বশেষ আরেকটি মত হল- মহিমান্বিত এ রজনীটি স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধুমাত্র ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তাঁর ইচ্ছায় কোন বছর তা ২৫ তারিখে, কোন বছর ২৩ তারিখে, কোন বছর ২১ তারিখে, আবার কোন বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।
কেন এ রাতকে অস্পষ্ট করে গোপন রাখা হয়েছে। এটা স্পষ্ট করে নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি কেন?
এ রাতের পুরস্কার লাভের আশায় কে কত বেশি সক্রিয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এবং কত বেশি সচেষ্ট হয়, আর কে নাফরমান ও আলসে ঘুমিয়ে রাত কাটায় সম্ভবতঃ এটা পরখ করার জন্যই আল্লাহ তাআলা এ রাতকে গোপন ও অস্পষ্ট করে রেখেছেন।
যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে সেটি বুঝার কি কোন আলামত আছে?
হাঁ, সে রাতের কিছু আলামত হাদীসে বর্ণিত আছে। সেগুলো হল :
(১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।
(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
(৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।
(৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।
(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত। (সহীহ ইবনু খুযাইমাহ: ২১৯০; বুখারী: ২০২১; মুসলিম: ৭৬২)
রমাযানের শেষ দশ রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী ধরণের ইবাদত করতেন?
তাঁর ইবাদতের অবস্থা ছিল নিম্নরূপ :
১. প্রথম ২০ রাত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ণ রাত জাগরণ করতেন না। কিছু সময় ইবাদত করতেন, আর কিছু অংশ ঘুমিয়ে কাটাতেন। কিন্তু রমাযানের শেষ দশ রাতে তিনি বিছানায় একেবারেই যেতেন না। রাতের পুরো অংশটাই ইবাদত করে কাটাতেন।
সে সময় তিনি কুরআন তিলাওয়াত, সালাত আদায় সদাকা প্রদান, যিকর, দুআ, আত্মসমালোচনা ও তাওবাহ করে কাটাতেন। আল্লাহর রহমাতের আশা ও তার গজবের ভয়ভীতি নিয়ে সম্পূর্ণ খুশুখুজু ও বিনম্রচিত্তে ইবাদতে মশগুল থাকতেন।
২. হাদীসে এসেছে সে সময় তিনি শক্ত করে তার লুঙ্গি দ্বারা কোমর বেধে নিতেন। এর অর্থ হল, রাতগুলোতে। তাঁর সমস্ত শ্রম শুধু ইবাদতের মধ্যেই নিমগ্ন ছিল। নিজে যেমন অনিদ্রায় কাটাতেন তাঁর স্ত্রীদেরকেও তখন জাগিয়ে দিতেন ইবাদত করার জন্য।
৩. কদরের রাতের ইবাদতের সুযোগ যাতে হাতছাড়া হয়ে না যায় সেজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশদিনের পুরো সময়টাতে ইতেকাফরত থাকতেন। (মুসলিম: ১১৬৭)
মহিমান্বিত লাইলাতুল কদরে আমরা কী কী ইবাদত করতে পারি?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে এ রাত কাটাতেন এর পূর্ণ অনুসরণ করাই হবে আমাদের প্রধান টার্গেট। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নবর্ণিত কাজগুলো করা আবশ্যক :
(ক) নিজে রাত জেগে ইবাদত করা এবং নিজের অধীনস্ত ও অন্যদেরকেও জাগিয়ে ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করা।
(খ) লম্বা সময় নিয়ে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পড়া। এসব সালাতে কিরাআত ও রুকু-সিজদা লম্বা করা। রুকু থেকে উঠে এবং দুই সিজদায় মধ্যে আরো একটু বেশি সময় অতিবাহিত করা, এসময় কিছু দুআ আছে সেগুলে পড়া।
(গ) সিজদার মধ্যে তাসবীহ পাঠ শেষে দুআ করা। কেননা সিজদাবনত অবস্থায় মানুষ তার রবের সবচেয়ে নিকটে চলে যায়। ফলে তখন দুআ কবুল হয়।
(ঘ) বেশি বেশি তাওবা করবে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বে। ছগীরা কবীরা গোনাহ থেকে মাফ চাইবে। বেশি করে শির্কী গোনাহ থেকে খালেছ ভাবে তাওবা করবে। কারণ ইতিপূর্বে কোন শির্ক করে থাকলে নেক আমল তো কবুল হবেই না, বরং অর্জিত অন্য ভাল আমলও বরবাদ হয়ে যাবে। ফলে হয়ে যাবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
(ঙ) কুরআন তিলাওয়াত করবে। অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ কুরআন অধ্যয়নও করতে পারেন। তাসবীহ তাহলীল ও যিকর-আযকার করবেন। তবে যিকর করবেন চুপিসারে, নিরবে ও একাকী এবং কোন প্রকার জোরে আওয়ায করা ছাড়া। এভাবে যিকর করার জন্যই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন :
﴿ وَٱذۡكُر رَّبَّكَ فِي نَفۡسِكَ تَضَرُّعٗا وَخِيفَةٗ وَدُونَ ٱلۡجَهۡرِ مِنَ ٱلۡقَوۡلِ بِٱلۡغُدُوِّ وَٱلۡأٓصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ ٱلۡغَٰفِلِينَ ٢٠٥ ﴾ [الاعراف: ٢٠٥]
সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার রবের যিকর কর মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়ভীতি সহকারে এবং জোরে আওয়াজ না করে। এবং কখনো তোমরা আল্লাহর যিকর ও স্মরণ থেকে উদাসীন হয়োনা। (আরাফ : ২০৫)
অতএব, দলবেধে সমস্বরে জোরে জোরে উচ্চ স্বরে যিকর করা বৈধ নয়। এভাবে সম্মিলিত কোন যিকর করা কুরআনেও নিষেধ আছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তা করেননি। যিকরের শব্দগুলো হল: সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি।
(চ) একাগ্রচিত্তে দুআ করা। বেশি বেশি ও বারবার দুআ করা। আর এসব দু‘আ হবে একাকী ও বিনম্র চিত্তে কবুল হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে। দুআ করবেন নিজের ও আপনজনদের জন্য জীবিত ও মৃতদের জন্য, পাপমোচন ও রহমত লাভের জন্য, দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির জন্য। তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে নিম্নের এ দুআটি বেশি বেশি করার জন্য উৎসাহিত করেছেন :
اَللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমার আধার, আর ক্ষমা করাকে তুমি ভালবাস। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (তিরমিযী : ৩৫১৩)
1 month ago | [YT] | 6
View 3 replies
Islamer Katha Media
আসছে ঠিক ৮:৩০ মি:
2 months ago | [YT] | 22
View 38 replies
Islamer Katha Media
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় ভাই-বোনেরা আজকের হাদিসটি শোনার এবং দেখার সকলকে অনুরোধ রইল ৭:৪৫ এ আপলোড হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
4 months ago | [YT] | 22
View 34 replies
Islamer Katha Media
ইনশাআল্লাহ
4 months ago | [YT] | 21
View 37 replies
Islamer Katha Media
প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা নিশ্চয়ই আপনাদের স্মরণে রয়েছে। ইসলামিক প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে ভিডিও আসছে ঠিক রাত১০ টা ৫৯ মিনিট। Islamer Katha Media ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
5 months ago | [YT] | 16
View 14 replies
Islamer Katha Media
ইনশাআল্লাহ শিখে নিবো। #islamerkathamedia
5 months ago | [YT] | 11
View 29 replies
Islamer Katha Media
আসসালামুয়ালাইকুম। সম্মানিত আমার ছোট্ট পরিবারের সকল ভাই-বোনদের আশা করি সকলের স্মরণে রয়েছে আজকে বৃহস্পতিবার। আসছে ঈমান ও আক্বিদা প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পর্ব ২ ভিডিও ঠিক রাত ১০ টা ৫৯ মিনিট ইনশাআল্লাহ সকলেই পাসে থাকবেন।
5 months ago | [YT] | 5
View 8 replies
Load more