যেকোন বোর্ড পরীক্ষা বা বড় পরীক্ষার আগে অ্যাপ্রোচ কেমন হওয়া উচিত: ১. অনেকেই বলবে পরীক্ষার আগের ২৪ ঘন্টা ব্রেইন নাকি নতুন ইনফো নেয়া ছেড়ে দেয় তাই নতুন কিছু পড়তে হয় না। এইটা একটা ভুয়া কথা। আমার মত মেহনতি স্টুডেন্টরা আজীবন পরীক্ষার আগের দিনের পড়া দিয়েই ভাল রেজাল্ট করে আসছে। ইম্পর্ট্যান্ট কোন টপিক পড়া বাকি থাকলে পরীক্ষার আগের দিন অবশ্যই পড়বি। সব পড়া শেষ হয়ে গেলে সেটা অন্য হিসাব ২. পরীক্ষার আগের রাতে নাকি পর্যাপ্ত ঘুমায় মেশিন ঠান্ডা করতে হয় (মেশিন=ব্রেইন)। এটাও ভুয়া কথা৷ পরীক্ষার আগে ঘুমের দরকার কারণ ঘুমের মধ্যে আমাদের ব্রেইন পড়াগুলো ইম্পর্ট্যান্সের সিরিয়ালে রিঅ্যারেঞ্জ করে তাই মনে পড়া সহজ হয়। এর জন্য ১ ঘন্টার ঘুমও এনাফ। তোর যদি মাথায় পড়াই না থাকে তাহলে রিঅ্যারেঞ্জ করবি কী? পড়া বাকি থাকলে অবশ্যই পড়বি। পরীক্ষা দিয়ে এসে মড়ার মত ঘুমাবি। রিভিশন কম্প্লিট হয়ে গেলে সেটা অন্য হিসাব, আরামসে ঘুমাবি। ৩. ঝোপঝাড় থেকে প্যারা ইনভাইট করবি না। একদল গাধার বাচ্চাকে দেখা যায় সসচ, হসচ, অ্যাডমিশন পরীক্ষার মধ্যে রিলেশন নিয়ে কাইজ্জা করতেছে, বাড়ির লোকজনের সাথে হুদাই লাগালাগি করতেছে। এসব কাজ মস্তিষ্ককে সুদে দেয়, পড়ালেখার উপর থেকে বরকত চলে যায়৷ এসব কাজ বাদ দিবি । ৪. বাড়ির লোকজন যদি অবুঝ হয়, তোর পরীক্ষার মধ্যে গেস্ট, জমিজমা কিংবা অন্য কিছু নিয়ে বাসায় গ্যাঞ্জাম করে, এদের বুঝায় বলবি, মানা করবি । ৫. সহজে খাওয়া যায় কিন্তু এনার্জি দেয় এরকম খাবার যেমন মিষ্টি, গ্লুকোজ, চকলেট এগুলা পড়তে পড়তে খাবি । পানি খাবি বেশি করে । ৬. হুদাকামে টেনশন ইনভাইট করবি না। অ্যাডমিট কার্ড, কলম, পেনসিল, ইরেজার ঠিকমত গোছায় রাখবি। পরীক্ষার হলে রোল, রেজিস্ট্রেশন পূরণ করে ভালমত রিচেক দিবি৷ এগুলা করতে মোটেই বেশি টাইম লাগে না কিন্তু না করলে অশান্তিতে থাকবি। ৭. যে পরীক্ষা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে টেনশন করে লাভ নাই। তোর কাছে তো টাইম মেশিন নাই যে ব্যাক যায়ে ভুল সংশোধন করে আসবি! এইসব টেনশন বাদ দিয়ে সামনের পরীক্ষায় ফোকাস দিবি। ৮. নামাজ পড়বি, অন্য ধর্মালম্বী হলে নিজের ধর্মের ইবাদত করবি, রেগুলার গোসল করবি। এসবে মাথা ঠান্ডা থাকে, পড়ালেখায় কনসেনট্রেশন বাড়ে। ৯. সারাদিন যা যা পড়ছিস রাতে একবার সামারাইজ করে মনে করার চেষ্টা করবি, এতে ভুলে যাওয়া জায়গাগুলা খুঁজে বের করতে পারবি এবং আরেকবার দেখে নিতে পারবি। ১০. কনফিডেন্স হারাবি না। প্রিপারেশন যাই হোক, পরীক্ষার হলে যাবি নিজেকে এই বুঝ দিয়ে যে তুই আসলেই ভালমত পরীক্ষাটা দিয়ে আসতে পারবি। আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড ক্লাশ সেভেন পর্যন্ত মিডিয়াম টাইপের স্টুডেন্ট ছিল, ক্লাশ এইটে উঠে দুম করে ফোর্থ হয়ে গেল এবং পড়ালেখায় আরও ভাল করতে লাগল৷ একবার পরীক্ষার হলে দেখলাম ও ঢোকার সময় দরজায় দাঁড়িয়ে মেঝেকে সালাম করল তারপর সেইরকম একটা কনফিডেন্ট লুক নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকলো। দৃশ্যটা দেখতে খুবই ভাল লাগল। এরকম মনোভাব নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসলে এমনিতেই পজিটিভ প্রভাব পড়ার কথা। শেষ কথা, একটা রেজাল্টের উপর লাইফ নির্ভর করে না এটাও সত্যি আবার ইফোর্ট দিয়ে কোন কিছু না পেলে মন ভেঙে যায় এটাও সত্যি। তাই খামোখা নিজের উপর অতিরিক্ত এক্সেপেক্টেশনের প্রেশার চাপিয়ে প্যারা নিবি না। ঠান্ডা মাথায় নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসবি। ইনশাআল্লাহ ভাল কিছু হবে।
Play For HSC
যেকোন বোর্ড পরীক্ষা বা বড় পরীক্ষার আগে অ্যাপ্রোচ
কেমন হওয়া উচিত:
১. অনেকেই বলবে পরীক্ষার আগের ২৪ ঘন্টা ব্রেইন নাকি
নতুন ইনফো নেয়া ছেড়ে দেয় তাই নতুন কিছু পড়তে হয়
না। এইটা একটা ভুয়া কথা। আমার মত মেহনতি স্টুডেন্টরা
আজীবন পরীক্ষার আগের দিনের পড়া দিয়েই ভাল
রেজাল্ট করে আসছে। ইম্পর্ট্যান্ট কোন টপিক পড়া বাকি
থাকলে পরীক্ষার আগের দিন অবশ্যই পড়বি। সব পড়া
শেষ হয়ে গেলে সেটা অন্য হিসাব
২. পরীক্ষার আগের রাতে নাকি পর্যাপ্ত ঘুমায় মেশিন ঠান্ডা
করতে হয় (মেশিন=ব্রেইন)। এটাও ভুয়া কথা৷ পরীক্ষার
আগে ঘুমের দরকার কারণ ঘুমের মধ্যে আমাদের ব্রেইন
পড়াগুলো ইম্পর্ট্যান্সের সিরিয়ালে রিঅ্যারেঞ্জ করে তাই
মনে পড়া সহজ হয়। এর জন্য ১ ঘন্টার ঘুমও এনাফ।
তোর যদি মাথায় পড়াই না থাকে তাহলে রিঅ্যারেঞ্জ করবি
কী? পড়া বাকি থাকলে অবশ্যই পড়বি। পরীক্ষা দিয়ে এসে
মড়ার মত ঘুমাবি। রিভিশন কম্প্লিট হয়ে গেলে সেটা অন্য
হিসাব, আরামসে ঘুমাবি।
৩. ঝোপঝাড় থেকে প্যারা ইনভাইট করবি না। একদল
গাধার বাচ্চাকে দেখা যায় সসচ, হসচ, অ্যাডমিশন
পরীক্ষার মধ্যে রিলেশন নিয়ে কাইজ্জা করতেছে, বাড়ির
লোকজনের সাথে হুদাই লাগালাগি করতেছে। এসব কাজ
মস্তিষ্ককে সুদে দেয়, পড়ালেখার উপর থেকে বরকত চলে
যায়৷ এসব কাজ বাদ দিবি ।
৪. বাড়ির লোকজন যদি অবুঝ হয়, তোর পরীক্ষার মধ্যে
গেস্ট, জমিজমা কিংবা অন্য কিছু নিয়ে বাসায় গ্যাঞ্জাম
করে, এদের বুঝায় বলবি, মানা করবি ।
৫. সহজে খাওয়া যায় কিন্তু এনার্জি দেয় এরকম খাবার
যেমন মিষ্টি, গ্লুকোজ, চকলেট এগুলা পড়তে পড়তে খাবি ।
পানি খাবি বেশি করে ।
৬. হুদাকামে টেনশন ইনভাইট করবি না। অ্যাডমিট কার্ড,
কলম, পেনসিল, ইরেজার ঠিকমত গোছায় রাখবি।
পরীক্ষার হলে রোল, রেজিস্ট্রেশন পূরণ করে ভালমত
রিচেক দিবি৷ এগুলা করতে মোটেই বেশি টাইম লাগে না
কিন্তু না করলে অশান্তিতে থাকবি।
৭. যে পরীক্ষা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে টেনশন করে লাভ
নাই। তোর কাছে তো টাইম মেশিন নাই যে ব্যাক যায়ে ভুল
সংশোধন করে আসবি! এইসব টেনশন বাদ দিয়ে সামনের
পরীক্ষায় ফোকাস দিবি।
৮. নামাজ পড়বি, অন্য ধর্মালম্বী হলে নিজের ধর্মের ইবাদত
করবি, রেগুলার গোসল করবি। এসবে মাথা ঠান্ডা থাকে,
পড়ালেখায় কনসেনট্রেশন বাড়ে।
৯. সারাদিন যা যা পড়ছিস রাতে একবার সামারাইজ করে
মনে করার চেষ্টা করবি, এতে ভুলে যাওয়া জায়গাগুলা
খুঁজে বের করতে পারবি এবং আরেকবার দেখে নিতে
পারবি।
১০. কনফিডেন্স হারাবি না। প্রিপারেশন যাই হোক,
পরীক্ষার হলে যাবি নিজেকে এই বুঝ দিয়ে যে তুই
আসলেই ভালমত পরীক্ষাটা দিয়ে আসতে পারবি।
আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড ক্লাশ সেভেন পর্যন্ত মিডিয়াম
টাইপের স্টুডেন্ট ছিল, ক্লাশ এইটে উঠে দুম করে ফোর্থ
হয়ে গেল এবং পড়ালেখায় আরও ভাল করতে লাগল৷
একবার পরীক্ষার হলে দেখলাম ও ঢোকার সময় দরজায়
দাঁড়িয়ে মেঝেকে সালাম করল তারপর সেইরকম একটা
কনফিডেন্ট লুক নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকলো। দৃশ্যটা
দেখতে খুবই ভাল লাগল। এরকম মনোভাব নিয়ে পরীক্ষা
দিতে আসলে এমনিতেই পজিটিভ প্রভাব পড়ার কথা।
শেষ কথা, একটা রেজাল্টের উপর লাইফ নির্ভর করে না
এটাও সত্যি আবার ইফোর্ট দিয়ে কোন কিছু না পেলে মন
ভেঙে যায় এটাও সত্যি।
তাই খামোখা নিজের উপর অতিরিক্ত এক্সেপেক্টেশনের
প্রেশার চাপিয়ে প্যারা নিবি না। ঠান্ডা মাথায় নিজের
সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসবি। ইনশাআল্লাহ
ভাল কিছু হবে।
From: পীর আনাস 💥💫
5 months ago | [YT] | 13
View 0 replies
Play For HSC
Guess The Location?
(a) DU (b)CU (c) JU (d) RU
11 months ago | [YT] | 3
View 1 reply