প্রিয় বন্ধুরা, আমি আমার মত করে কিছু নতুন,পুরানো ও পৌরাণিক গল্প, ঠাকুর, মা, ও বিখ্যাত মনিষীদের বাণি ও গল্পকথা ছোটছোট আঙ্গিকে তুলে ধরতে চাইছি।আশাকরি আমার প্রচেষ্টা আপনারা গ্রহণ করবেন। এই চ্যানেল আমার ছেলে খেলার ছলে খুললেও পড়াশোনার খাতিরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি।তাই অবসর সময়ে আমি আবার নতুন করে শুরু করলাম। অনুগ্রহ করে পাশে থাকবেন। 🙏🙏🙏🙏🙏
যে গল্প শোনাতে চাই।💚
🙏🙏🙏
4 months ago | [YT] | 3
View 5 replies
যে গল্প শোনাতে চাই।💚
*পোস্টটি একবার পড়ার অনুরোধ রইল সকলের কাছে -------*
COLLECTED 🙏❤️
সকলেই জানেন ১৪৪ বছর পর প্রয়াগে ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলছে মহাকুম্ভ মেলা। আমাদের বিশ্বাস কুম্ভ স্নানে পুণ্য লাভ এবং মোক্ষ লাভ হয়। তাই অনেকেই প্রয়াগে এই মেলায় গিয়েছেন। অনেকে আগামীতে যাবেন। আবার অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে যেতে পারছেন না।
যারা যেতে পারছেন না তাদের জন্য শ্রীমৎ স্বামী ভূতেশানন্দজি মহারাজের কিছু কথা তুলে ধরছি।
একবার হরিদ্বারে পূর্ণ্য কুম্ভ চলাকালীন মহারাজ কে একজন বৃদ্ধ ভক্ত বললেন তিনি কুম্ভস্নানে যেতে চান। উত্তরে মহারাজ বললেন "এতো ভিড়ে কেন যাবে। ঐ পুণ্যস্নানের দিন বাড়িতে এক ঘড়া জল মাথায় ঢেলে স্নান কোরো তাতেই হবে। মনেতেই মাহাত্ম। মনেতেই শুদ্ধ।
এই মনেতেই মাহাত্ম্য বিষয়ে মহারাজ একটি কাহিনী বললেন।
একবার হরিদ্বারে কুম্ভ স্নান চলাকালীন মাতা পার্বতী মহাদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন কুম্ভে যারা স্নান করছে তারা সবাই পুণ্য লাভ ও মোক্ষ লাভ করবে? মহাদেব এর কোন উত্তর না দিয়ে মাতা পার্বতীকে নিয়ে হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাটে গেলেন। দুজনেই ছদ্মবেশ ধারণ করলেন এবং মাতা পার্বতীকে কিছু কথা বলে মহাদেব নিজে শবদেহ হয়ে শুয়ে পড়লেন।
সামনেই গঙ্গার ঘাট থেকে পূর্ণার্থীরা স্নান সেরে উঠে এসে দেখলেন একজন যুবতী রমণী শবদেহের পাশে বসে কাঁদছেন। জিজ্ঞাসা করায় রমনী বললেন, তার স্বামী সদ্য মারা গেছেন। কুম্ভ স্নান করে আসা কোন পূর্ণ্যার্থী যদি তার স্বামীকে স্পর্শ করেন তাহলে তিনি জীবিত হয়ে যাবেন। তবে যদি তিনি সত্যি পূণ্য অর্জন না করে থাকেন তাহলে স্পর্শ করা মাত্র তারই মৃত্যু হবে। এ কথা শুনে কোন পুন্যার্থীই শবদেহ স্পর্শ করতে চাইলেন না। এমন সময় এক মাতাল এসে ছদ্মবেশী মাতা পার্বতী কে বললো, "মা আমি এখনই স্নান করে এসে তোমার স্বামীকে ছুঁয়ে দিচ্ছি এবং করলোও তাই। সবাই আশ্চর্য হয়ে দেখলো শবদেহে সত্যিই প্রান ফিরে এলো।
এরপর মহাদেব মাতা পার্বতী কে বললেন এই ব্যক্তিটিরই মোক্ষলাভ হবে। কারণ, তার মনে পরিপূর্ণ বিশ্বাস আছে।
অর্থাৎ আমরা যদি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা সহকারে ঐ বিশেষ দিনগুলোতে বাড়িতে বসেই স্নানের জলে গঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান বা সম্ভব হলে গঙ্গা স্নান করলেও পূণ্য লাভ করা যায়।
*প্রণাম মহারাজ।*
10 months ago | [YT] | 8
View 13 replies
যে গল্প শোনাতে চাই।💚
তীর্থক্ষেত্র কার্গিল 🪷🌹🪷
কার্গিল মাস জুলাই🙏🙏
এই সেই জুলাই। এই মাসের প্রত্যেকটা দিনই শহীদ দিবস। পুরো মাস জুড়ে কোনো- না কোনো দিন, কোনো মা-বাবার সন্তান, কোন স্ত্রীর স্বামী, কোনো শিশু-কিশোরের পিতা বিয়োগের দিন। দীর্ঘ এতগুলো বছর পরেও এই অভিশপ্ত মাসটার কষ্ট তাদের মনকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। তাদের না পাওয়া গুলোকে মনে করিয়ে দেয়। কাছের মানুষটার হঠাৎ করে জীবনের থেমে যাওয়ার আফসোস তাদের ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়।
1999 এর সেই শহীদ দেবদূতদের কথা জুলাই এলেই মনে পড়ে যায়। মনটা খারাপ হয়ে যায়। 15 ই আগস্ট এর মত জুলাই এর প্রত্যেকটা দিনই আমার কাছে আত্মচেতনা দিন, স্বার্থশূন্য মানুষদের নিয়ে ভাবার দিন, মন খারাপের দিন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। তাই এক বাঙালি দেবদূতকে দিয়েই আজ শুরু করলাম------
1998 সালের 6 জানুয়ারি ইন্টারভিউয়ের চিঠি আসার পর বাড়িতে জানাজানি হল।
"কেন যাচ্ছিস স্পেশাল টাস্কফোর্সে???"
" থ্রিল চাই,অ্যাডভেঞ্চার চাই জীবনে"। বলেছিলেন সব সময় হাসা, বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি করা তরুন।
অবাক লাগছে!!!ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষকের পেশা ছেড়ে গড়পড়তা মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারেও এমন চরিত্র?!
সেনাবাহিনীতে যেতে চান শুনে শেক্সপিয়র সরণি কস্টিং ইনস্টিটিউশনের এক অধ্যাপক বললেন "বাঙালির ছেলে, ওরা বড্ড খাটায়। পারবে করতে?" চ্যালেঞ্জ ছিল শিক্ষকের সঙ্গে। "পেরেছি স্যার" কমান্ডো ট্রেনিং সেরে ফেরার পর দিনেই অধ্যাপকের কাছে গিয়ে জানিয়ে এসেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পেশাল টাস্কফোর্সের 24 বছরের ছিপছিপে তরুণ অফিসার কণাদ ভট্টাচার্য।
পরিবারে ফৌজি হওয়ার কোন পটভূমি নেই । বাবা আয়কর দপ্তরের অফিসার। মধ্যবিত্ত পরিবারের দুই দিদি এবং তাদের ছোট ,একমাত্র ছেলে সেন্ট জেমস স্কুলের ছাত্র । জয়পুরিয়া কলেজের
বি.কম । ময়দানে প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট খেলতেন । তবলা শিখতেন শওকত খানের কাছে।
'পরম বীর চক্র' সিরিয়াল দেখতে দেখতে ফৌজে যাওয়ার আগে কণাদ মাকে ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিলেন "একদিন আমি ওরকম মেডেল পাব, দেখো তুমি।"
'কমিশনড' হয়ে ছাব্বিশে মার্চ পাঠানকোট যাওয়ার আগে বন্ধুদের নিয়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির এক নামী রেস্তোরাঁয় ট্রিট দিয়েছিলেন তিনি। যাদের মধ্যে একজনকে ফ্রন্ট থেকে লেখা শেষ চিঠিতে বলেছিলেন , "এই চিঠি লেখার সময়ও শেলিং হচ্ছে। প্রচুর ছবি তুলেছি। ফিরে গিয়ে দেখাবো।" প্রশিক্ষণ সেরে এসে যাদের বলেছিলেন, "24 ঘন্টার মধ্যে মাত্র 2 ঘন্টা ঘুমাতে পারি জানিস! তবে ভালই। সহ্যশক্তি বাড়বে।
"রবিবারের মেঘলা দিনে সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ, 15 নম্বর রাজপুতানা রেজিমেন্টের ব্যান্ডে 'লর্ড লেবার্ডস লেমন -- ট্রিবিউট টু মার্টার' শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু ক্যাপ্টেন কণাদ ভট্টাচার্যের পরিবারের লোকজন নন, ওই সময় 'স্যালুটের' ভঙ্গিমার কপালের ডান দিকে রাখা হাতটাকে চোখের কোণে নিয়ে আসতে দেখা গেল হাজার হাজার মানুষকে। কোন নির্দেশ ছাড়াই সবাই একসঙ্গে উঠে দাঁড়াচ্ছেন, মাথা নিচু করছেন, রুমালে চোখ ঢাকছেন নিঃশব্দে। এই সুশৃঙ্খল সম্মান, এই নিয়ন্ত্রিত আবেগ ছাড়া এক ফৌজি অফিসারকে আর কী ভাবেই বা শ্রদ্ধা জানানো যেত।
চেন্নাই অফিসার্স ট্রেনিংয়ে কণাদের ব্যাচমেট লেফটেন্যান্ট পুনিত জৈন, তাঁর সম্বন্ধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বলতে থাকেন- ক্যাম্পাস ছেড়ে দুজনেই যান 8 শিখ রেজিমেন্টে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে টাইগার হিলের পশ্চিমে 'পরীও কি ঝিল'- এ দু'জনে লড়তেও যান পাশাপাশি। পুনিত বলেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে আমরাই প্রথম শত্রুর মুখোমুখি হই। 14 মে লড়তে যাবার সময়ও ওদের ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা ছিল না। তখন যুদ্ধ হচ্ছিল শিবলিঙ্গ অঞ্চলে। সেখানেই একদিন সকাল থেকে সারাদিন লড়েছিল ভট্টা (এই নামেই কণাদকে ডাকতেন তাঁর ব্যাচমেটরা) তিনি মারেন পাকিস্তানের দু'জন ক্যাপ্টেনকে। আচমকাই একটা শেল লাগে ভট্টার গায়ে। সেখানেই মারা যায় ও"।
ব্যাপারটাকে কিছুতেই মানতে পারছেন না পুনিত। বুঝতে পারছেন না কেন ভট্টা 'ক্যাজুয়ালটি'র তালিকায় চলে গেলেন। যদি গেলেন তাকে কেন নিয়ে গেলেন না। "সত্যি বলতে কী, আমার একটু হিংসাই হচ্ছে। সব বিষয়ে ওর সঙ্গে একটা প্রতিযোগিতা ছিল। ঘোড়ায় চড়াই হোক বা দৌড়।দু'জনে দু'জনকে হারাতে চাইতাম সবকিছুতে। কিন্তু এই লড়াইটায় আমাকে হারিয়ে ও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল"।গলা ধরে এল কণাদের 'বাডি'র। তাকে সরিয়ে নিলেন শিখ রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কর্নেল বিনোদ। দু'মিনিট নীরবতার পরে 'টু ভলি গান ফায়ার' এর মধ্যে শবাধারবাহী ট্রাক এগোল নিমতলা দিকে।
দু'ধারে সার দিয়ে মানুষ। ফুল হাতে, গলায় শ্লোগান 'কণাদ ভট্টাচার্য্য অমর রহে'।
শ্মশানে শবাধার নামানো মাত্র গোর্খা রাইফেলসের ব্যান্ডে বেজে উঠলো 'ফার্স্ট অব দ্য ফিউনারেল'। গোর্খা রেজিমেন্টের সেনানীদের কাঁধে, কাঁধে কনাদ এলো। বার করা হয়নি কনাদের দেহ । কালো কাঠের উপরেই হাত রেখে শেষকৃত্য সারলেন কণাদের বাবা কমলাকান্ত ভট্টাচার্য। কিছুক্ষণ নীরবতার পরে শবাধার চলে গেল বৈদ্যুতিক চুল্লির ভিতরে।
মন্ত্রোচ্চারণ 'দিব্যাং, লোকাং, স্বর্গচ্ছতু' চাপা পড়ে যাচ্ছিল 'থ্রি ভলি গান স্যালুট' আর গোর্খা ব্যান্ডের বিউগলের 'রোজ রিভ্যালি'।
বাইরে তখন স্বতঃস্ফূর্ত জয়ধ্বনি 'কণাদ ভট্টাচার্য্য অমর রহে'। স্বতঃস্ফূর্ত সেই ধ্বনি বলছিল, ব্রিটিশ ফৌজের যুদ্ধ সঙ্গীত 'ওল্ড সোলজার্স নেভার ডাই, দে ওনলি ফেড অ্যাওয়ে' - সামান্য ভুল। ফৌজের মৃত্যু তো হয়ই না, তাঁর স্মৃতিতেও ধুলো পড়ে না। পড়া অসম্ভব।
পুরাতন খবরের কাগজ থেকে তথ্য সংগৃহীত।
1 year ago | [YT] | 9
View 17 replies