Ishwarer kotha o gaan

শ্রী শ্রী ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব, শ্রী শ্রী মা সারদা দেবী ও স্বামীজী মহারাজের জীবনী ও বিভিন্ন বাণীর কথা এবং ঠাকুর ও মায়ের গান।


Ishwarer kotha o gaan

শ্রীমাকে নিয়ে মায়ের সন্ন্যাসী সন্তানদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার কথা। সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন। https://youtu.be/RgZZEsr1xF0?si=AhPo0...

8 hours ago (edited) | [YT] | 347

Ishwarer kotha o gaan

শ্রীরামকৃষ্ণ যখন মানবশরীরে ছিলেন তখন থেকেই তাঁর প্রতিকৃতিতে পূজা আরম্ভ করেছিলেন শ্রীমা।
সাধারণভাবে শ্রীমা'ই ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ-পূজার প্রবর্তিকা ৷ তাঁর পূজার বৈশিষ্ট্য ছিল আলোকচিত্রে শ্রীরামকৃষ্ণের আরাধনা৷ এই প্রসঙ্গে স্বামী অরূপানন্দের সঙ্গে শ্রীশ্রীমার কথোপকথন।

শ্রীমা : পুরীতে প্রথম দিন গিয়েই সকালবেলা একটা ঘিয়ের টিনে ঠেসান দিয়ে ঠাকুরের ছবি রেখে পূজা করে তাড়াতাড়ি জগন্নাথ দেখতে গিয়েছিলাম ৷ ঘর দোর সব বন্ধ ৷ এসে দেখি ঠাকুরের ছবি টিনের নিচে ৷ সব্বাই এসে দেখলে ৷ সকলে মনে করলে চোর ঢুকেছে ৷ কিন্তু ঘরের কোথাও জিনিসপত্রের একটুও নড়চড় হয়নি ৷ শেষে দেখি বড় লাল পিঁপড়ে ধরেছে টিনে — ঘিয়ের টিন কি না — সেই পিঁপড়ে ঠাকুরের ছবিতে ধরেছিল, তাই ঠাকুর নেমে বসেছেন ৷
স্বামীজী : ছবিতে কি ঠাকুর আছেন ?
মা : আছেন না ? ছায়া কায়া সমান ৷ ছবি তো তাঁর ছায়া।
স্বামীজী : সব ছবিতেই তিনি আছেন?
মা : হ্যাঁ , ডাকতে ডাকতে ছবিতে তাঁর আবির্ভাব হয় ৷ স্থানটি একটি পীঠ হয় ৷ যেমন এই জায়গায় (উদ্বোধনের উত্তরদিকে মাঠ দেখাইয়া ) কেউ তাঁর পূজা দিলে ৷ঐটি তাঁর একটি স্থান হল ৷

পূজনীয় দেবতার পূজার সময় তাঁর বিভিন্ন ধরনের বিগ্রহ বা পটের সামনে বসে পূজা করাই প্রচলিত প্রথা ৷ তাছাড়া ঘট প্রতিষ্ঠা করে, শালগ্রাম, বাণেশ্বর ইত্যাদি বিভিন্ন পূজাধারের উপর দেবার পূজা নিবেদন করাও শাস্ত্রীয় বিধি ৷ শ্রীমাও শ্রীরামকৃষ্ণের উদ্দেশে পটেই পূজা পূজোপকরণ নিবেদন করতেন ৷ পট যে দেবতারই সাক্ষাৎ প্রতিরূপ , সে বিষয়ে শ্রীশ্রীমা ছিলেন নিঃসন্দিদ্ধ ৷ আবার এই মন্তব্যের দ্বারা তিনি হয়তো এই বিষয়ে বিশ্বাস দৃঢ়াঙ্কিত করতে চেয়েছেন ৷ ছায়া হল প্রতিচ্ছায়া বা মূল বিম্বের প্রতিবিম্ব ৷ শ্রীরামকৃষ্ণই হলেন অবতারপুরুষদের মধ্যে প্রথম যাঁর আলোকচিত্র বা প্রতিকৃতি পাওয়া যায় , যা কল্পিত নয় ৷

প্রতিকৃতিতে দেবতার অধিষ্ঠানের আরও দুটি প্রমাণ আমরা শ্রীমতী সরযূবালা এবং স্বামী অরূপানন্দের শ্রীমায়ের সঙ্গে কথোপকথন থেকে জানতে পারি ৷

সরযূবালার স্মৃতিকথায় আছে : তেলমালিশ করতে করতে বললুম, মা, বাড়িতে একদিন ঠাকুরপুজো করে সংসারের কাজ করতে গেছি, কিছু পরে ঠাকুরঘরে এসে দেখি — ঠাকুরের ছবি বিন্দু বিন্দু ঘেমেছে ৷ জানালা খোলা ছিল, ছবিতে রোদ লাগছিল ৷ কিন্তু আমি ভাবলুম পূজা করবার সময় হয় তো জল লেগেছিল ৷ বেশ করে মুছে রেখে গেলুম ৷ রোদে ঘেমেছে কি-না বুঝবার জন্য কিছু পরে আবার এলুম ৷ এবারও এসে দেখি ঠাকুর ঘেমে রয়েছেন ৷ তখন জানালা বন্ধ করে দিলুম ৷
মা — হ্যাঁ, মা, অমন দেখা যায় ৷ ঠাকুর বলতেন, "ছায়া, কায়া, ঘট, পট সমান" ৷

স্বামী অরূপানন্দের সঙ্গে কথোপকথনটি এরূপ —

আমি (স্বামী অরূপানন্দ) — আচ্ছা, ঠাকুরকে যে-সব ভোগ দাও তা কি ঠাকুর খান ?
মা — হ্যাঁ, খান ৷
আমি — কই, কোন চিহ্ন দেখি না কেন ?
মা — তাঁর চোখ থেকে একটি জ্যোতিঃ বার হয়ে সব জিনিস চুষে দেখে ৷ তাঁর অমৃতস্পর্শে সেটি আবার পরিপূর্ণ হয় ৷ তাই কমে না ৷.....তাঁর খাবার কি দরকার ? তিনি ভক্তের সন্তোষের জন্য আসেন , খান ৷ প্রসাদ খেলে চিত্তশুদ্ধি হয় ৷ এমনি অন্ন খেলে চিত্ত মলিন হয় ৷
আমি — সত্যই কি ঠাকুর খান ?
মা — হাঁ, আমি কি দেখি না যে ঠাকুর খেলেন কি না ? ঠাকুর খেতে বসেন, খান ৷
আমি — তুমি দেখ ?
মা — হাঁ, কারুরটা দেখি তিনি খেলেন, কারুরটা হয়তো দৃষ্টিমাত্র করলেন ৷ তা তোমারও কি সব জিনিস সব সময় খেতে ভাল লাগে, না সকলের জিনিস খেতে পার ? অমনি ৷ যার যেমন ভাব ভক্তি ৷ ভক্তিটিই প্রধান ৷

-- স্বামী প্রমেয়ানন্দ।

জয় ঠাকুর জয় জয় মা ♥️♥️♥️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

9 hours ago | [YT] | 313

Ishwarer kotha o gaan

আমার ধর্ম ঠিক, আর অপরের ধর্ম ভুল – এ মত ভাল না। ঈশ্বর এক বই দুই নাই। তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকে ডাকে। কেউ বলে গড, কেউ বলে আল্লাহ, কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে শিব, কেউ বলে ব্রহ্ম। যেমন পুকুরে জল আছে – একঘাটের লোক বলছে জল, আর-একঘাটের লোক বলছে ওয়াটার, আর-একঘাটের লোক বলছে পানি – হিন্দু বলছে জল, খ্রীষ্টান বলছে ওয়াটার, মুসলমান বলছে পানি, - কিন্তু বস্তু এক। মত-পথ। এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ, - ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী নানাদিক থেকে এসে সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়।

জয় ঠাকুর জয় জয় মা ♥️♥️♥️🙏🙏🙏🌹🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

9 hours ago | [YT] | 107

Ishwarer kotha o gaan

অনেকে প্রশ্ন করেন, "এই দীক্ষা জিনিসটি কি?" শ্রীশ্রীমা তাতে বলতেন, "শিষ্যের জন্য আমার যা কিছু করণীয় আমি তা দীক্ষার সময় করে থাকি।"

যাঁরা আমাদের মঠের প্রবীণ সাধুদের কাছে দীক্ষিত হয়েছেন, তাঁদের সব সময় মনে রাখা উচিত যে, মন্ত্রের মধ্যে গুরুশক্তি নিহিত থাকে। পুনঃ পুনঃ মন্ত্র জপের দ্বারা গুরুর সেই আধ্যাত্মিক রূপের প্রকাশ হয়। এটা আমাদের বিশ্বাস যে, সদ্গুরু আমাদের যে মন্ত্র দেন-তার শক্তি অমোঘ। জগজ্জননী স্বয়ং যখন মর্তভূমিতে আবির্ভূতা হয়ে মুমুক্ষু ভগবদ্‌জিজ্ঞাসুকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রদান করেন, তখন তার শক্তি কি আপনারা ভাবতে পারেন?

স্বামী অশেষানন্দ 🙏🙏

জয় ঠাকুর জয় জয় ঠাকুর ♥️♥️♥️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

9 hours ago | [YT] | 521

Ishwarer kotha o gaan

ধূপ দীপ দেবার পর নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়।মিষ্টি সহ ফল মূল নানা দ্রব্য দিয়ে এই নৈবেদ্য তৈরী হয়। কোথাও কোথাও বলা হয়, হে দেব, তোমার জন্য গ্রাম অরণ্যে যে গাছ আছে সেখান থেকে বেছে বেছে ফল সংগ্রহ করে এনেছি। গ্রাম ও অরণ্য নিয়ে প্রবীণদের বলতে শুনেছি গ্রাম অর্থাৎ লোকালয় যা পাওয়া যায় common fruit আর অরণ্য হল দূর থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসা, something special, সবই তোমার জন্য তোমার ভালো লাগবে বলে।

আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই খাবারের সঙ্গে মিশে থাকবে আমার আপনার ভালবাসা। শ্রীরামকৃষ্ণের গুরু জটাধারীর কাছে একটি বালক রামের বিগ্রহ ছিল। তাঁর নিত্য সেবা করার জন্য জটাধারী ভিক্ষা করতেন। চাল ডাল আলু সবজি সব যা পেতেন আগুন জ্বেলে মাটির মালসায় সেটি রান্না করে পাতায় বেড়ে দিতেন। সঙ্গে শুধু লবণ। খাবারে মিশিয়ে দিতেন বাৎসল্য রস যা মা কৌশল্যা রামচন্দ্রজীর খাবারে মিশিয়ে রামলালাকে খাওয়াতেন। জটাধারী অনুভব করতেন রামলালা বিগ্রহ জীবন্ত হয়ে সেই খাবার আনন্দের সঙ্গে খাচ্ছেন আর কখনও তাঁর কাঁধে উঠে বলছেন, আজ খেলুম বটে, কাল এমনটি চলবে না, কাল ক্ষীর ননী এসব দিতে হবে। জটাধারী এগুলি দেখতেন আর আনন্দে বিভোর হয়ে থাকতেন।

পূজনীয় হিরন্ময়ানন্দজী বলতেন, ভাববে ঠাকুর একটি ছোট ছেলে। তুমি তাঁকে ঘুম থেকে না তুললে তাঁর ওঠা হয় না, মুখ ধুয়ে কাপড় না পরিয়ে দিলে তিনি সভ্য ভদ্র হতে পারেন না। তাই খাওয়ানোর সময়ও সতর্ক থাকবে। কোথাও কোথাও দেখেছি ফল ভোগ নিবেদন করে পূজারী জপ করার বদলে একটা ছোট হাত পাখা দিয়ে খাবারের ওপর হওয়া করেন যাতে খাবারে মাছি না বসে।

আমাদের শিবদাস মহারাজ অন্নভোগ নিবেদনের সময় বলে দিতেন পূজারীকে কি কি পদ রান্না হয়েছে। ভাতের কোন অংশে গলানো ঘী দেওয়া আছে। মিষ্টি কত রকমের দেওয়া হয়েছে। যাতে ঠাকুরকে খেতে দেবার সময় ঠাকুর কিছু জিজ্ঞাসা করলে পূজারী যেন তাঁকে বলতে পারেন।

খাবারের সঙ্গে দেওয়া হয় খাবার জল, ডাব। ছেলেবেলায় দেখতাম জলে কেওড়া মিশিয়ে দেওয়া হত আর ডাবে একটু চিনি এতে জলের স্বাদ বৃদ্ধি পায় তাই খেতে ভালো লাগত।

ভেবে দেখলাম, কাগজের ওপর ছাপা, কাঠ কাঁচে বাঁধাই করা একটা ছবি বা পাথরের মূর্তি। এনার সামনে বসে থালায় দিয়েছি ফল মিষ্টি আর জল। কি special আছে তাতে? Special হল আমার আপনার ভালবাসা, ঐকান্তিকতা যা মা কৌশল্যা থেকে আমাদের থেকে পরবর্তী সাধকদের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে নিত্যদিনের আমার পূজাকে উপাসনায় পরিবর্তন করতে পারে যার ফল পাবে সবাই।

✍️স্তবপ্রিয়ানন্দজী মহারাজ 🙏

সংগৃহীত 🙏🙏🙏

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

9 hours ago | [YT] | 202

Ishwarer kotha o gaan

স্বামী বীরেশ্বরানন্দজী মহারাজের উক্তি।।

১. আধ্যাত্মিক সাধনা এক সংগ্রাম ব্যতীত অন্য কিছু নয় যা আমাদের সকল দুখকে অতিক্রম করার অবস্থায় উপনিত করে।

২. সকল সমস্যার কারণ হলো বহির্জগতের সঙ্গে আমাদের নিজেদের একাত্ম বোধ।

৩. মন্ত্র কি? মন্ত্র হলো তাই যা আমাদের মনকে জগত থেকে টেনে এনে ভগবানের চরণে নিয়ে আসে।

৪. শ্রীকৃষ্ণ আমাদের আশ্বাস দিচ্ছেন যে, নিরবচ্ছিন্ন
অভ্যাস ও বৈরাগ্যের দ্বারা মনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৫. আত্মসমর্পণ করা খুব সহজ নয়। প্রকৃত আত্মসমর্পণের উপযোগী হতে দীর্ঘদিনের অভ্যাসের প্রয়োজন।

৬. প্রচেষ্টা ছাড়া, সংগ্রাম ছাড়া, কোন কৃপা আসে না -- এটা নিশ্চিত।

৭. আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে খুব সচেতন, কিন্তু কর্তব্য নিয়ে নয়।

৮. জপ করার কোন সীমা নেই। যত বেশি জপ করবে, তোমার আধ্যাত্মিক উন্নতি তত দ্রুত হবে।

৯. বাসনাই মনকে অস্থির করে তোলে। বিচার করে এই সব বাসনা ত্যাগ কর এবং মনকে পবিত্র কর।

১০. জপ যত বেশি করবে তত ভাল। কিন্তু যন্ত্রের মতো অধিক সংখ্যায় মন্ত্রজপার কোন মূল্য নেই। বরং ভক্তি ভরে অল্প সংখ্যক জপ করা যায় তাও ভাল। ভক্তি ও মনযোগই আ সল কথা, সংখ্যা নয়।

স্বামী বীরেশ্বরানন্দ
(এক দিব্য জীবন)

জয় ঠাকুর জয় জয় ঠাকুর 🙏🙏♥️♥️🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

10 hours ago | [YT] | 62

Ishwarer kotha o gaan

প্রেম ও ভক্তি দিয়ে জীবনের সব কাজ পূর্ণ করা যায়। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের বাণী নিয়ে লেখা।।

প্রেম ও ভক্তি: জীবনের পূর্ণতার চাবিকাঠি – ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অমৃতবাণী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সর্বদা বলতেন, কলিযুগে ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর এবং জীবনে শান্তি পাওয়ার সহজতম পথ হলো ভক্তিযোগ। তাঁর মতে, কেবল শুষ্ক কর্ম বা পাণ্ডিত্য দিয়ে জীবনকে পূর্ণ করা যায় না; কিন্তু যদি প্রতিটি কাজের মূলে প্রেম ও ভক্তি থাকে, তবে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায় এবং জীবন আনন্দে ভরে ওঠে।

ঠাকুরের বাণী ও দর্শন অনুযায়ী প্রেম ও ভক্তি কীভাবে আমাদের জীবনের সব কাজ পূর্ণ করতে পারে, তার একটি আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:

১. সংসারের পাঁক ও ভক্তির তেল

ঠাকুর খুব সুন্দর উপমা দিয়ে বলতেন, "হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙলে যেমন আঠা লাগে না, তেমনি ভক্তি-তেল মেখে সংসারে থাকলে সংসারের আসক্তি বা দুঃখের আঠা লাগে না।"

আমরা যখন কোনো কাজ করি, তখন কাজের ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা আমাদের গ্রাস করে। কিন্তু যদি সেই কাজ আমরা ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা থেকে করি, যদি ভাবি "এটা আমার কাজ নয়, এ কাজ ঈশ্বরের সেবা," তবে সেই কাজের চাপ আর থাকে না। প্রেম ও ভক্তি আমাদের মনকে এমন একটি সুরক্ষা বলয় দেয়, যেখানে ব্যর্থতার ভয় বা সাফল্যের অহংকার আমাদের স্পর্শ করতে পারে না।

২. দাসীর উপমা: অনাসক্ত কর্ম

শ্রীরামকৃষ্ণ একটি চমৎকার উদাহরণ দিতেন—বড়মানুষের বাড়ির দাসী।

"দাসী মনিবের বাড়ির সব কাজ করে, কিন্তু মনে জানে এ বাড়ি আমার নয়। সে মনিবের ছেলেদের 'আমার রাম', 'আমার হরি' বলে আদর করে, কিন্তু মনে মনে জানে এরা আমার কেউ নয়। তার আসল মন পড়ে থাকে দেশের বাড়িতে, নিজের সন্তানদের কাছে।"

জীবনের সব কাজ পূর্ণ করার গোপন সূত্র এটিই। হাতে কাজ থাকবে, কিন্তু মনে থাকবে ঈশ্বর। একেই ঠাকুর বলতেন 'হাতে কাজ, মনে ভগবান'। যখন আমরা এই মনোভাব নিয়ে কাজ করি, তখন আমাদের কাজে ফাঁকি থাকে না (কারণ আমরা জানি আমরা প্রভুর কাজ করছি), আবার কাজের শেষে কোনো দুঃখও থাকে না।

৩. "নাহং নাহং, তুঁহু তুঁহু"

ঠাকুর বলতেন, "আমি কর্তা"—এই বোধই সব অশান্তির মূল। ভক্তি আমাদের শেখায় "নাহং নাহং, তুঁহু তুঁহু" (আমি নই, আমি নই, তুমি তুমি)। যখন মানুষ প্রেমে পূর্ণ হয়ে নিজেকে ঈশ্বরের চরণে সমর্পণ করে, তখন সে বোঝে যে সে কেবল একটি যন্ত্র মাত্র (যন্ত্রী বা চালক হলেন ঈশ্বর)। এই সমর্পণ ভাব থাকলে মানুষ তার প্রতিটি কাজ—তা সে ছোট হোক বা বড়—পূর্ণ মনোযোগ ও নিষ্ঠার সাথে করতে পারে। কারণ সে জানে, এই কাজের মাধ্যমেই সে তার প্রিয়তম ঈশ্বরের পূজা করছে।

৪. ব্যাকুলতাই আসল

ঠাকুর বারবার বলতেন, "আন্তরিক হলে তিনি শুনবেনই।" অনেক আড়ম্বর বা বড় বড় আয়োজনের প্রয়োজন নেই। কাজের মাঝে যদি ব্যাকুলতা ও খাঁটি প্রেম থাকে, তবে সেই কাজ সার্থক হতে বাধ্য। ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে করা সামান্য কাজও ঈশ্বরের কাছে বিশাল যজ্ঞের সমান। প্রেম থাকলে কাজের ক্লান্তি আসে না, বরং নতুন উৎসাহ পাওয়া যায়।

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মতে, জীবন থেকে কাজ বা কর্মকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়, আর তা উচিতও নয়। কিন্তু সেই কর্মকে যদি 'প্রেম' ও 'ভক্তি'র রঙে রাঙিয়ে দেওয়া যায়, তবে তা আর বোঝা মনে হয় না। তখন জীবনটা একটা উৎসব হয়ে ওঠে। যে কাজই আমরা করি না কেন—চাকরি, ব্যবসা, পড়াশোনা বা গৃহস্থালি—তার মূলে যদি ভালোবাসা থাকে এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকে, তবে সেই কাজ পূর্ণতা পাবেই।

"ঈশ্বরে ভক্তি লাভ হলে সব কর্ম আপনা-আপনি খসে পড়ে। তখন যেটুকু কর্ম থাকে, তাতে কেবল লোকশিক্ষা হয়।" — শ্রীরামকৃষ্ণ

জয় ঠাকুর মা স্বামীজীর জয় ♥️♥️♥️♥️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

10 hours ago | [YT] | 104

Ishwarer kotha o gaan

সমস্যা সমাধানে মা
যেসব সাধু অন্য কোনো আশ্রমে খাপ খাইয়ে চলতে পারতেন না, তাঁরা উদ্বোধনে মা ও শরৎ মহারাজের কাছে এসে থাকতেন। মা তাঁর স্নেহ, ভালোবাসা ও উপদেশ দিয়ে বলতেন, "কাজ করে খাও, বাবা।"

স্বামী পরমেশ্বরানন্দ-মা, ঠাকুরের নাম নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে, সব ত্যাগ করে তাঁর কাজ করতে এসে এই রকম পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ হয় কেন?...

মা-দেখ, পরস্পর দোষ দেখাই হচ্ছে যত অনর্থের মূল, অপরের দোষ দেখার জন্যই এই রকম হয়। ... যদি শাস্তি চাও, অপরের দোষ দেখো না।

উদ্বোধনে খাওয়ার ঘণ্টা পড়লে সব সাধু হাজির হতেন; নতুবা পরিবেশনের অসুবিধা হতো। এর জন্য গোলাপ-মা চেঁচামেচি করতেন।

স্বামী সারদেশানন্দ লিখেছেন:

উদ্বোধনের ডাক্তার মহারাজ পূর্ণানন্দজী রাত্রে কোন কোন দিন খাবার পঙ্গতে ঠিক সময় আসিতে পারেন না, সেজন্য গঞ্জনাও ভোগ করেন।

একদিন খুব বেশী দেরী হওয়াতে গঞ্জনা খুব বেশী হইল দেখিয়া মা তাঁহাকে নিভৃতে ডাকিয়া সস্নেহে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি মায়ের করুণাতে বিগলিত হইয়া কাঁদিয়া ফেলিলেন এবং অশ্রুমোচন করিতে করিতে বলিলেন, "রাজা মহারাজের (স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর) আদেশ, 'নিত্য দশ হাজার জপ করবে, সংখ্যা ঠিক রেখে, এবং ভুল হলে প্রথম থেকে পুনরায় জপ করবে। সংখ্যা ভুল হলে জপের ফল রাক্ষসে খেয়ে ফেলে।" মা রাক্ষসে খাওয়ার কথা শুনিয়া হাসিয়া উঠিলেন এবং বলিলেন, "বাবা! তোমরা ছেলেমানুষ, চঞ্চল মন, একাগ্রচিত্ত হয়ে জপ করার জন্যই রাখাল এরূপ বলেছে।

তা বাবা! আমি বলছি, খাবার ঘণ্টা বাজলেই তুমি ঠিক সময়ে চলে এসে খাবে, জপের সংখ্যা পূর্ণ না হলেও দোষ হবে না। পরে আবার সুবিধামত জপ করো।" মায়ের ভরসা পাইয়া সন্তান নির্ভয় হইলেন, যথাসময়ে খাইতে আসিতেন।

জয় মা জয় জয় মা ♥️♥️♥️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

15 hours ago | [YT] | 1,008

Ishwarer kotha o gaan

ভক্তবাড়িতে শ্রীশ্রীমা
শ্রীরামকৃষ্ণ কলকাতায় এবং অন্যত্র ভক্তদের বাড়িতে যেতেন তাদের আধ্যাত্মিক আনন্দ দেওয়ার জন্য। রাম দত্ত, অধর সেন, গিরিশ ঘোষ, বলরাম বসু প্রমুখ ভক্তদের আমন্ত্রণে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বর থেকে ঘোড়ার গাড়িতে যেতেন। গাড়িভাড়া তিন টাকা চার আনা। তারপর ভাগবত পাঠ হতো, কীর্তনীয়ার গান থাকত। মধ্যে মধ্যে ঠাকুর ভাবে গাইতেন, নাচতেন ও সমাধিস্থ হতেন। পরিশেষে ওই ভক্ত ঠাকুর ও সকল ভক্তকে খাওয়াতেন। যে ভক্তের বাড়িতে যেতেন, তিনিই এইসবের ব্যয়ভার বহন করতেন ও গাড়িভাড়া দিতেন।

শ্রীশ্রীমা বলরাম ও শ্রীম-র বাড়িতে থেকেছেন ঠাকুরের দেহত্যাগের পর। তিনি এন্টালি অর্চনালয়ে ও কাঁকুড়গাছি যোগোদ্যানে, বাগবাজারে কিরণ দত্তের বাড়িতে, গিরিশের বাড়িতেও গিয়েছেন। ঠাকুরের ভক্ত চুনিলাল বসুর জ্যেষ্ঠা কন্যা সরযূবালাকে মা খুব স্নেহ করতেন এবং দীক্ষাও দিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী সুরেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন স্বামী ব্রহ্মানন্দের কৃপাধন্য। সরযুবালার দীর্ঘ স্মৃতিকথা আমরা শ্রীশ্রীমায়ের কথাতে পাই। এই স্মৃতিচিত্রে আমরা দেখি মা কীভাবে ভক্তগৃহে গিয়ে তাদের আনন্দ দিতেন।

আজ মা বালিগঞ্জের বাসায় আসবেন। পূর্বদিন হতে সব বন্দোবস্ত হচ্ছে। মার জন্য পৃথক আসন, নূতন শ্বেতপাথরের বাসন ইত্যাদি কেনা হয়েছে। মা আসবেন। আনন্দে সারারাত ঘুমই হলো না। কথা ছিল, মা অপরাহ্ণে আসবেন। পাছে কোন কারণে তাঁর অন্য মত হয়, সেজন্য প্রাতেই শ্রীমান শোকহরণ সরযূর বোন সুমতির স্বামী। বাগবাজারে মার বাড়িতে গাড়ি নিয়ে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। আর আমরা সংসারের কাজ সব সকাল সকাল ঢুকিয়ে প্রস্তুত হয়ে রইলুম। মায়ের আসন পেতে চারিদিকে ফুল সাজিয়ে রাখলুম, সমস্ত ঘরদোরে গঙ্গাজল ছড়িয়ে দিলুম, ফুলের মালা গেঁথে রাখলুম এবং বড় দুটি ফুলের তোড়া করে মায়ের আসনের দুপাশে দিলুম। বেলা পড়তেই পথ চেয়ে আছি-কখন মা আসবেন। এইবার এতক্ষণে সেই শুভ মুহূর্ত। গাড়ির শব্দ হতেই সকলে নিচে নেমে এলুম। গাড়ি থামতেই দেখলুম, মা হাসিমুখে স্নেহপূর্ণ দৃষ্টিতে আমাদের পানে চেয়ে আছেন। গাড়ি হতে নামতেই সকলে তাঁর পদধূলি নেবার জন্য ব্যস্ত হলুম।

মায়ের সঙ্গে গোলাপ-মা, ছোটমামী, নলিনীদিদি, রাধু এবং চার-পাঁচজন সাধু-ব্রহ্মচারী এসেছেন। শ্রীশ্রীমাকে উপরে নিয়ে আসনে বসিয়ে প্রণাম করলুম। মা বললেন, "খেয়েছ তো? আমি কত তাড়াতাড়ি করেছি, কিন্তু কিছুতেই আর এর চেয়ে সকালে হয়ে উঠল না। এতক্ষণে তবে আসা হলো।” এই বলে চিবুকে হাত দিয়ে চুমো খেলেন। আমি আর বসতে পারলুম না, খাবারের আয়োজন করতে ও নিমকি ভাজতে হবে। আর সব খাবার ইতঃপূর্বে ঠিক করা ছিল।

উপরে গ্রামোফোনে গান হচ্ছে। কাজ করতে করতে একটু ফাঁক পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি-মা কলের গান শুনে ভারি খুশি, আর "কী আশ্চর্য কল করেছে!"- বলে বালিকার মতো আনন্দ করছেন। খুব গ্রীষ্ম-মা বারাণ্ডায় শীতলপাটিতে শুয়ে আছেন এবং তাঁর আশেপাশে সবাই বসে আছেন। একটি পাথরের বাটিতে বরফ-জল দেওয়া হয়েছে, মা মাঝে মাঝে খাচ্ছেন। আমাকে দেখতে পেয়ে মা বললেন,

ওগো, একটু বরফ-জল খেয়ে যাও।" মায়ের প্রসাদী জলটুকু খেয়ে ঠান্ডা হয়ে নিচে রান্নাঘরে আবার ছুটে এলুম। আজ এত তাড়াতাড়ি করেও যেন কাজ আর সেরে উঠতে পাচ্ছি নে।

সন্ধ্যার পরে পাশের ঘরে ভোগ সাজান হলো। মা এসে গোলাপ-মাকে ঠাকুরের ভোগ নিবেদন করে দিতে বলতে তিনি বললেন, "তুমিই দাও, তুমি উপস্থিত থাকতে আমি কেন?" তখন শ্রীশ্রীমা নিজেই ভোগ নিবেদন করতে বসলেন এবং "আহা, কি সুন্দর সাজিয়েছে।" বলে তারিফ করতে লাগলেন। এইরূপ সবেতেই বালিকার মতো আনন্দ প্রকাশ করে আমাদের অপরিসীম আনন্দ দিতে লাগলেন। ভোগ দেওয়া হলে মা ও অন্য সকলে প্রসাদ গ্রহণ করতে বসলেন। সকলের আগে মায়ের খাওয়া হয়ে গেল। বারাণ্ডায় একখানি বেতের ইজিচেয়ারে বসে আমায় ডেকে বলছেন, "ওগো, আমায় পান দিয়ে যাও।" আমি তখনও গোলাপ-মায়েদের পরিবেশন করছিলুম। তাড়াতাড়ি গিয়ে পান দিয়ে এলুম। মাকে পান চেয়ে খেতে হলো বলে একটু লজ্জিতা হলুম। সুমতিকে বললুম, "পান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারিস নি, দেখছিস আমি এদিকে রয়েছি?" একটু পরে মা একবার কলতলায় গেলেন! আমি আলো নিয়ে সঙ্গে গেলুম। বাগানের এই দিকটি বেশ নির্জন, পথে দুপাশে ক্রোটন-গাছের সার। মা সস্নেহে বললেন, "আহা, একটুও বসতে পেলে না কাজের জন্যে। যেয়ো ওখানে, তোমার মাকে নিয়ে যেয়ো।" আমার মা বেড়াতে এসেছিলেন। ভাগ্যক্রমে ঘরে বসেই শ্রীশ্রীমায়ের দর্শন পেয়ে গেলেন।

তারপর বিদায়ের ক্ষণ এল। মোটরগাড়িতে যেতে মায়ের মত নাই। কারণ একবার মাহেশের রথ দেখতে যেতে তাঁর মোটরের তলায় নাকি একটা কুকুর চাপা পড়ে, কিন্তু অত দূরে বাগবাজারে মোটরে না গেলে রাত হবে, কষ্টও হবে বলায় ভক্তদের মতেই শেষে রাজি হলেন। বারবার ঠাকুরকে প্রণাম করে প্রস্তুত হলেন এবং আমাদের আশীর্বাদ করে গাড়িতে উঠলেন। ১৭২৫

এই চিত্রটি আমাদের মার্থা ও মেরি নামে দুই বোনের কাহিনি মনে করিয়ে দেয়, যাঁরা প্রভু যিশুর ভক্ত ছিলেন। মার্থা ছোটাছুটি করে যিশুর খাওয়া ও সেবায় ব্যস্ত, আর মেরি যিশুর কাছে বসে ও কথা শুনে আনন্দে মশগুল। "সেবা বন্দি আউর অধীনতা সহজ মিলি রঘুরাঈ।"

জয় মা জয় জয় মা ♥️♥️♥️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

15 hours ago | [YT] | 125

Ishwarer kotha o gaan

একটি অমোঘ আশীর্বাদ
মানুষের চেষ্টা যখন শেষ হয় বা কূল পায় না, তখন সে দৈবের সাহায্য চায়। এক বিদেশিনী নারী তার মেয়ের কঠিন ব্যাধি নিরাময়ের জন্য মায়ের করুণা ভিক্ষা করতে উদ্বোধনে হাজির। মেমটি বাংলা জানায় মায়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পেরে সে খুশি। সরযুবালা সেন কথোপকথনটি লিপিবদ্ধ করেছেন:

চারটে বেজেছে। মা উঠলেন। ঠাকুরের বৈকালী ভোগ হয়ে গেল। রাসবিহারী মহারাজ এসে বললেন, "একটি মেম তোমাকে দর্শন করতে এসেছেন। নিচে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছেন।" মা আসতে বললেন। মেমটি এসে মাকে প্রণাম করতেই, মা এস বলে তার হাত ধরলেন (হ্যান্ড-শেক করবার মতো)। মা যে বলেন, 'যেখানে যেমন সেখানে তেমন, যখন যেমন তখন তেমন' সেটি প্রত্যক্ষ করা গেল। তারপর মেয়েটির মুখে হাত দিয়ে চুমো খেলেন। মেমটি বাংলা জানেন, বললেন, "আমি তো আসিয়া আপনার কোন অসুবিধা করি নাই? আমি অনেকক্ষণ হইল আসিয়াছি। আমি বড় কাতর আছি। আমার একটি মেয়ে, বড় ভাল মেয়ে, তার কঠিন পীড়া হইয়াছে। তাই, মা, আপনার করুণা ভিক্ষা করিতে আসিয়াছি। আপনি দয়া করিবেন, মেয়েটি যেন ভাল হয়। সে এত ভাল মেয়ে, মা। ভাল বলিতেছি কেন-আমাদের মধ্যে স্ত্রীলোক ভাল বড় একটা নাই। অনেকেই বড় বদমাশ, দুষ্ট-এ আমি সত্য বলিতেছি। এ মেয়েটি সেরূপ নহে-আপনি কৃপা করিবেন।"

হবে।" মা বললেন, "আমি প্রার্থনা করব তোমার মেয়ের জন্যে-ভাল

মেমটি এ কথায় খুব আশ্বস্ত হলেন; বললেন, "তবে আর ভাবনা নাই। আপনি যখন বলিতেছেন, 'ভাল হইবে' তখন ভাল হইবেই-নিশ্চয়, নিশ্চয়, নিশ্চয়।" কথায় খুব জোর ও বিশ্বাস প্রকাশ পেল। মা সদয় হয়ে গোলাপ-মাকে বললেন, "ঠাকুরের ফুল একটি একে দাও, একটি পদ্ম আন।" বিশ্বপত্রের সঙ্গে একটি পদ্ম এনে গোলাপ-মা মায়ের হাতে দিলে, মা ফুলটি হাতে করে চোখ বুজে একটু রইলেন; পরে ঠাকুরের পানে একদৃষ্টে চেয়ে ফুলটি মেমটির হাতে দিয়ে বললেন, "তোমার মেয়ের মাথায় বুলিয়ে দেবে।"
সমাধানে মা।

মেম হাতজোড় করে ফুল নিয়ে প্রণাম করে বললেন, "তারপর কি করিব?"

গোলাপ-মা বললেন, "কি আর করবে? শুকিয়ে গেলে গঙ্গায় ফেলে দেবে।"

মেমটি বললেন, "না, না, এ ভগবানের জিনিস ফেলিয়া দিব! একটি নূতন কাপড়ের থলে করিয়া রাখিয়া দিব, সেই থলেটি মেয়ের মাথায় গায়ে রোজ বুলাইয়া দিব!"

মা বললেন, "হ্যাঁ, তাই করো।"

মেম-ঈশ্বর সত্য বস্তু, তিনি আছেন। আপনাকে একটি কথা বলিতে চাই। কিছুদিন পূর্বে আমার একটি শিশুর খুব জ্বর হয়, আমি খুব ব্যাকুল হইয়া একদিন বসিয়া বলি, 'হে ঈশ্বর, তুমি যে আছ ইহা তো আমি অনুভব করি; কিন্তু আমাকে প্রত্যক্ষ কিছু দাও।' এই বলিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে একটি রুমাল পাতিয়া রাখি। অনেকক্ষণ পরে দেখি সেই রুমালের ভাঁজের মধ্যে তিনটি কাঠি। আমি অবাক হইয়া সেই কাঠি তিনটি লইয়া উঠিয়া আসিয়া শিশুটির গায়ে ক্রমান্বয়ে তিনবার বুলাইয়া দিলাম, সেইক্ষণে তাহার জ্বর ছাড়িয়া গেল।

ইহা বলতেই টস্ টস্ করে মেমটির চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল; তারপর বললেন, "আপনার অনেক সময় নষ্ট করিলাম, আমায় মাফ করিবেন।"

মা বললেন, "না, না, তোমার সঙ্গে কথা কয়ে আমি ভারি খুশি, তুমি একদিন মঙ্গলবারে এস।” মেমটি প্রণাম করে বিদায় নিলেন।

জয় মা জয় জয় মা ♥️♥️♥️🙏🙏🌹🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ #spirituality #motivation #viralpost #followers #ramakrishna #thakur #sarada #saradadevi #foryoupageシforyou #followerseveryone #SharePost #viral #story #love #trending #divotional #trends #bestpic #ishwarerkothaogaan

15 hours ago | [YT] | 230