দৃষ্টিভঙ্গি 24 | বিশ্বস্ত সংবাদ ও বিশ্লেষণ
🔸 রাজনীতি ও অর্থনীতির নিরপেক্ষ আপডেট
🔸 বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইস্যু বিশ্লেষণ
🔸 রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমের খবর
🔸 বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আপডেট
🔸 বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতির সংবাদ
🔸 নিয়মিত নিউজ ভিডিও আপলোড
🔸 সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অঙ্গীকার
✨ সাবস্ক্রাইব করুন এবং আমাদের সাথে থাকুন।
দৃষ্টিভঙ্গি 24
1 week ago | [YT] | 11
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
মানুষ মূলত শিবির ❤
2 weeks ago | [YT] | 18
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
আলু না গণভোট ?
2 weeks ago | [YT] | 10
View 2 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে এখন টানটান উত্তেজনা। তবে এরই মাঝে যেন নতুন এক চমক দেখালো ইসলামী ছাত্র শিবির। ‘রান উইথ জবি শিবির’ নামের ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনে অংশ নেয় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। এমন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং আসন্ন নির্বাচনের আগে শিবিরের অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতার এক শক্ত বার্তা দিয়েছে সবার কাছে।
দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে শিবিরকে নানা বাধা-বিপত্তি, নিষেধাজ্ঞা ও দমননীতির মুখে কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু আজকের এই বিশাল উপস্থিতি যেন প্রমাণ করল—চাপ বা ভয় দেখিয়ে কোনো আদর্শকে দমিয়ে রাখা যায় না। ‘রান উইথ জবি শিবির’ ছিল একপ্রকার আনন্দঘন ক্রীড়া অনুষ্ঠান, কিন্তু ভেতরে ভেতরে এটি ছিল রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার এক পরিপূর্ণ কৌশল। শিবির বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা মাঠে আছে, সংগঠিত আছে, আর সবচেয়ে বড় কথা—তারা শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেখানে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চায়, সেখানে এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সত্যিই এক বিরল দৃষ্টান্ত। শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে শিবিরের পতাকা নিয়ে দৌড়েছে, উল্লাস করেছে, একে অপরকে উৎসাহ দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ প্রজন্ম এখন নতুন নেতৃত্বের খোঁজে। তারা এমন নেতৃত্ব চায় যারা আদর্শিক, নীতিবান, শিক্ষাবান্ধব এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা নিতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে ইসলামী ছাত্র শিবির শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে—তেমন একটি পুনর্জাগরণ এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর শিবির আবারও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। এর পেছনে কাজ করেছে ধারাবাহিক সাংগঠনিক তৎপরতা, সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা।
‘রান উইথ জবি শিবির’-এর আয়োজন আসলে শুধু একটি দৌড় প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি ছিল শিবিরের তরুণ নেতৃত্বের সক্ষমতা ও পরিকল্পনার পরীক্ষা। তারা দেখিয়েছে—কীভাবে সৃজনশীল ও ইতিবাচক কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন জয় করা যায়। আর আজকের সেই দৃশ্যই বলছে, শিবির এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে অন্যতম আলোচিত শক্তি।
অনেকে বলছেন, জকসু নির্বাচনে এবার শিবিরের পক্ষে ভূমিধস বিজয় আসতে পারে। কারণ শিক্ষার্থীরা আজ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা জানে, কে শুধু পোস্টার ঝুলায় আর কে সত্যিকারের পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে আসে। আজকের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল সেই সচেতনতার প্রতিফলন।
সবশেষে বলা যায়, ‘রান উইথ জবি শিবির’ শুধু একটি আয়োজন নয়, এটি ছিল পরিবর্তনের ইঙ্গিত, নতুন প্রজন্মের জেগে ওঠার প্রতীক। এই প্রোগ্রাম দেখিয়ে দিয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে আবারও শিবিরের পতাকা উড়ছে, আর শিক্ষার্থীরা সেই পতাকার নিচে নতুন আশার ভবিষ্যৎ খুঁজছে। আসন্ন জকসু নির্বাচন তাই হতে যাচ্ছে শুধু নেতৃত্ব বাছাইয়ের লড়াই নয়—এটি হতে পারে আদর্শ বনাম অপসংস্কৃতির এক নির্ণায়ক সংগ্রাম, যেখানে শিক্ষার্থীদের ভোটই লিখবে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।
3 weeks ago | [YT] | 3
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
যেখানে মানুষের রক্ত ঝরে,
যেখানে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য,
যেখানে টেম্পু স্ট্যান্ড দখল হয় অস্ত্রের জোরে—
সেখানে আমি নির্ভয়ে বলি,
আমি আছি গণভোটের পক্ষে! হ্যা
আপনি কি সঙ্গে আছেন ?
1 month ago | [YT] | 16
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
অতীতে দেখা গেছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, চাঁদাবাজি, দখলদারি, আর প্রশাসনিক অরাজকতা বেড়ে যায়।
তাদের শাসনামলে বিরোধী মত দমন, দলীয় সন্ত্রাস, এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ছিল ভয়াবহভাবে দৃশ্যমান।
রাস্তা-ঘাটে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারত না, ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ত, এবং সাধারণ মানুষ ভয়ে দিন কাটাত।
বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তা ছিল চরম ঝুঁকিতে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে নারী নির্যাতনের ঘটনাও তখন ঘটেছিল একের পর এক।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই অন্ধকার সময় আবার ফিরে আসার আশঙ্কা প্রবল।
অর্থনীতির ক্ষেত্রেও দেখা যায়, বিএনপি আমলে বিনিয়োগ কমে গিয়েছিল, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল।
বহু উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দলীয় স্বার্থে।
অন্যদিকে, দলীয় নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি ও দখলদারির কারণে ব্যবসায়ী সমাজ ছিল চরম আতঙ্কে।
রাজনীতির নামে হিংসা, প্রশাসনের ওপর দলীয় প্রভাব, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর রাজনৈতিক ব্যবহার –
এসবই দেশে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।
যদি সেই একই দল আবার ক্ষমতায় আসে, জনগণকে হয়তো আবারও সেই ভয়, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটাতে হবে।
সাধারণ মানুষ চায় শান্তি, নিরাপত্তা আর স্থিতিশীলতা।
তাই জনগণকে এখনই সতর্ক হতে হবে, যেন আবার সেই ভয়ঙ্কর সময় ফিরে না আসে।
ক্ষমতার নামে হিংসা নয়, জনগণের নিরাপত্তাই হওয়া উচিত রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য।
কারণ, বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে শুধু সরকার পরিবর্তন হবে না —
পরিবর্তন হবে মানুষের ঘুম, নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, আর সমাজের শান্তির ভিত্তি।
তাই সময় এসেছে চোখ খোলা রাখার, বাস্তবতা বোঝার, আর দেশের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার।
1 month ago | [YT] | 0
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার, প্রফেসর গোলাম আজম (রাহি.)-এর ১১ম শাহাদাত বার্ষিকী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন, বাতিলের রক্তচক্ষুকে কখনো ভয় করেননি। গ্রেপ্তারের আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন- 'আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাওয়া তো জায়েজই নাই'।
ইসলামী আন্দোলনের এই মর্দে মুজাহিদকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুন। জান্নাতের আ'লা মাকাম দান করুন।
1 month ago | [YT] | 13
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে এখন এক নতুন উচ্ছ্বাসের নাম — ড. হাফিজুর রহমান।
অক্টোবরের ১০ তারিখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে যখন এই তরুণ, মেধাবী ও সংগ্রামী নেতার নাম ঘোষণা করে, তখন অনেকেই হয়তো ভাবেননি— এত অল্প সময়েই তিনি গাজীপুরের মানুষের হৃদয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নেবেন। কিন্তু মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে তিনি যা করেছেন, তা যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে।
ড. হাফিজুর রহমানের পরিচয় কেবল একজন প্রার্থী নয়— তিনি একজন শিক্ষাবিদ, একজন চিন্তাশীল মানুষ, একজন সমাজকর্মী, এবং সবচেয়ে বড় কথা একজন নিবেদিত প্রাণ তরুণ নেতা।
ছাত্রজীবনে তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংগ্রামী নেতা ছিলেন— সেই সময় থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের এক অদম্য শক্তি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে।
আজ সেই অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে তিনি গাজীপুর-৬ আসনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন — কোনো প্রচারের জন্য নয়, বরং সত্যিকার অর্থেই মানুষের সমস্যার সমাধান করতে।
প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তিনি দিন-রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন এই আসনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
যেখানেই মানুষ কষ্টে আছে, যেখানেই কেউ অন্যায়ের শিকার, কিংবা কোথাও দুর্ঘটনায় কেউ অসহায় — সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছেন ড. হাফিজুর রহমান।
তাঁর সহজ-সরল কথা, আন্তরিক হাসি আর মানবিক আচরণ মানুষকে মুগ্ধ করছে।
তরুণরা তাকে দেখছে এক আদর্শ ভাই হিসেবে, যুবকেরা দেখছে এক প্রেরণার উৎস হিসেবে।
রাজনীতিতে এমন সৎ, নিষ্ঠাবান, পড়াশোনায় পারদর্শী ও বিনয়ী মানুষ এখন খুব কমই দেখা যায় — তাই সাধারণ মানুষ তার ভেতরে এক নতুন আশার আলো দেখছে।
গাজীপুর-৬ আসনটি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা।
এখানকার মানুষ একদিকে শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক, অন্যদিকে কৃষক ও সাধারণ কর্মজীবী মানুষে ভরা।
এই মানুষগুলো চায় এমন একজন নেতা, যে শুধু নির্বাচনের সময় তাদের পাশে থাকবে না — বরং সবসময় থাকবে, তাদের সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বেদনায়।
ড. হাফিজুর রহমান সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কাজের মাধ্যমে, কথার মাধ্যমে নয়।
তিনি বলেছেন, “আমি রাজনীতি করতে আসিনি, আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি।”
এই একটি বাক্যই যেন হাজারো মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
তার প্রচারণা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি, কিন্তু মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই কথা — “এই মানুষটা আলাদা।”
তিনি কোনো বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে প্রচারণায় যান না, সাধারণ পোশাক পরে হেঁটে হেঁটে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
চা-দোকানে বসে শ্রমিকদের কথা শোনেন, কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাস্তে তুলে নেন, রিকশাচালকের পাশে বসে খোঁজ নেন তাদের জীবনের কষ্টের।
এই মানবিক আচরণই তাকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে।
গাজীপুরের সচেতন মানুষ এখন বলছে — এই আসনের জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী তিনিই।
কারণ, তিনি শুধু নেতা নন, একজন শিক্ষাবিদও বটে।
শিক্ষিত নেতৃত্ব যখন রাজনীতিতে আসে, তখন রাজনীতিতে শুদ্ধতা আসে, নীতি ফিরে আসে, দায়িত্ববোধ জাগে।
আর ড. হাফিজুর রহমান সেই দায়িত্ববোধ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন।
তার লক্ষ্য নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য গাজীপুর গড়া — এমন একটি শহর যেখানে মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে, তরুণরা কাজ পাবে, সমাজে থাকবে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা।
গাজীপুরের জনগণও তাকে ভালোবাসায় সিক্ত করছে।
অনেকে বলছে, “এই মানুষটা যেন আমাদের পরিবারের সদস্য।”
রাজনীতিতে যেখানে অভিযোগ, দুর্নীতি আর প্রতিশ্রুতিহীনতার প্রভাব বেড়েই চলেছে — সেখানে ড. হাফিজুর রহমান যেন এক নতুন বাতাসের ঝলক এনে দিয়েছে।
তার কাজ, তার চিন্তা, তার নির্লোভ জীবনযাপন— সবকিছু মিলিয়ে তিনি এখন গাজীপুরের তরুণ সমাজের আইকন হয়ে উঠেছেন।
সবশেষে বলা যায় — এই দশ দিনে যা ঘটেছে, তা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়।
এটি মানুষের অন্তরের প্রতিক্রিয়া, একটি সৎ নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।
গাজীপুর-৬ আসনের মানুষ মনে-প্রাণে এখন বিশ্বাস করে — আগামী নির্বাচনে তারা এমন একজন নেতাকে বেছে নেবে, যিনি কথা নয়, কাজ দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি জনগণের প্রতিনিধি।
তাদের সেই আশা, সেই বিশ্বাসের নাম — ড. হাফিজুর রহমান।
সাদিকুর রহমান খান
দৃষ্টিভঙ্গি 24
1 month ago | [YT] | 10
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের রাজপথ এখন যেন কাঁপছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের পদচারণায়।
প্রতিটি মিছিল, প্রতিটি স্লোগান যেন ইতিহাসের একেকটি নতুন অধ্যায় রচনা করছে।
নোয়াখালীর ভয়াবহ হামলার পর শিবিরের তরুণরা যে শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে, তা অবাক করেছে সবাইকে।
হাজার হাজার শিক্ষার্থী, কর্মী—যেভাবে একযোগে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে,
তা প্রমাণ করে সংগঠনটির শেকড় কত গভীরে গাঁথা আছে।
বিএনপি ও ছাত্রদল ভাবছিল তারা একা রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নেবে,
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল শিবিরের তেজের সামনে তারা দিশেহারা।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের মিছিলগুলো ছিল এমন প্রবল যে,
মানুষ হাস্যরসে বলছে—রিক্টার স্কেলে পরিমাপ করলে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হত!
এই ভূমিকম্প আসলে রাজনৈতিক ভূমিকম্প,
যেখানে তরুণ প্রজন্ম দেখিয়েছে সাহস, শৃঙ্খলা আর ইসলামী চেতনার এক অনন্য মিশ্রণ।
নোয়াখালীতে মসজিদে ঢুকে শিবির কর্মীদের উপর ছাত্রদলের যে তাণ্ডব,
তা শুধু রাজনৈতিক হিংসা নয়, বরং ইসলামবিরোধী মানসিকতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
এ ঘটনার পর সারাদেশে শিবিরের বিক্ষোভে যে জনস্রোত তৈরি হয়েছে,
তা বিএনপি ও ছাত্রদল উভয়ের ভেতরে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।
একদিনে লাখো তরুণ যখন রাজপথে নেমে আসে,
তখন বোঝা যায়—এই সংগঠন কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়,
বরং একটি আদর্শভিত্তিক আন্দোলন, যার পেছনে আছে শক্ত জনভিত্তি ও দৃঢ় বিশ্বাস।
এখন বিএনপি যা করছে, তাতে বোঝা যায় তারা আতঙ্কে ছটফট করছে।
একদিকে মাঠে হামলা-মামলা, অন্যদিকে অনলাইনে গুজব আর প্রোপাগান্ডা।
জুবায়ের হত্যার ঘটনায় যেমন তারা মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে শিবিরকে দোষারোপ করেছে,
পরে দেখা গেল প্রেমঘটিত ব্যক্তিগত কারণে ঘটনাটি ঘটেছিল।
অর্থাৎ বিএনপি ও ছাত্রদল আজ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে,
তারা জানে না জনগণকে কিভাবে বিশ্বাস করাতে হবে, তাই মিথ্যাকে আশ্রয় নিচ্ছে।
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো—মূলধারার গণমাধ্যমও এই মিথ্যাচারের সঙ্গী হয়েছে।
বিএনপি ৫ আগস্টের পর থেকেই কয়েকটি মিডিয়া নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে।
এখন সেই মিডিয়াগুলো প্রতিদিন জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে একতরফা খবর ছাপছে।
যেখানে সত্য তুলে ধরতে গেলে সাংবাদিকদের চাকরি চলে যাচ্ছে—
এটা শুধু অন্যায় নয়, বরং মিডিয়ার স্বাধীনতারও করুণ মৃত্যু।
এই প্রেক্ষাপটে শিবিরের রাজপথের উত্থান এক নতুন বার্তা দিয়েছে—
“আমরা আছি, আমরা জেগে আছি, আমরা ন্যায়ের পক্ষে।”
তবে এখন শুধু মিছিল করলেই হবে না,
জামায়াত ও শিবিরকে মিডিয়া ফ্রন্টে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
কারণ আধুনিক রাজনীতিতে মিডিয়া ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব।
যেভাবে বিএনপি মিডিয়া দখল করে নিজেদের পক্ষে বাতাস বইয়ে নিচ্ছে,
সেভাবে জামায়াতকেও নিজের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।
নিজস্ব টিভি, অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে—
যেখানে সত্য কথা বলা হবে, সত্য ইতিহাস লেখা হবে।
আজ সময় এসেছে বুঝে নেওয়ার—ওয়েলফেয়ার কাজ যেমন জরুরি,
তেমনি মিডিয়া যুদ্ধেও প্রস্তুত থাকা আরও জরুরি।
কারণ জনতার চোখে সত্য তুলে ধরতে না পারলে,
মিথ্যা বারবার সত্যের মুখোশ পরে ফিরে আসবে।
জামায়াত-শিবিরের শক্তি, জনসমর্থন, আর তরুণ নেতৃত্ব এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ়।
তাদের যদি সংগঠিতভাবে মিডিয়া শক্তি দিয়ে সাজানো যায়,
তবে রাজনীতির মাঠে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৮.৮ নয়,
বরং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০-এর উপরে গিয়ে ঠেকবে।
সাদিকুর রহমান খান ।
1 month ago (edited) | [YT] | 8
View 0 replies
দৃষ্টিভঙ্গি 24
যখন তোমার কেউ ছিলোনা, তখন ছিলাম আমরা।
এখন তোমার সব হয়েছে, পর হয়েছি আমরা।
1 month ago | [YT] | 1
View 1 reply
Load more