Hello Everyone!
Assalamu Alaikum.
This is Bangladeshi blogger sumaya vlogs channel.
I am Sumaya akter,a Bangladeshi living in Gopalganj, Bangladesh.
I am glad to share my daily life, parenting, cooking, cleaning, traveling, shopping, recipe, lifestyle, gardening,DIY projects videos and much more on this channel.
Please subscribe and pray for me.
#bangla vlog #daily vlog
#sumaya vlogs#sumaya #vlogs #viral vlog #vlogger #new vlog #trending #bangladesh #cooking #video #recipe #lifestyle
Sumaya Vlogs
মানুষ"
__হয়েও আজ মানুষকে__
"বেশি ভয় পাই"
"কারণ মানুষ হলো"
"বহুমুখী"
"নিজের স্বার্থের জন্য"
"প্রতি মূহুর্তে নিজেকে"
"রং বদলায়" 🥹
4 days ago | [YT] | 9
View 1 reply
Sumaya Vlogs
প্রেমিকারা কাবিন পায় না.. আর অর্ধাঙ্গিনীরা গোলাপ পায়না.. তাই নারী যতই ভালোবাসুক না কেনো, ফেরত সব সময় অর্ধেকই পায়"
3 weeks ago | [YT] | 6
View 0 replies
Sumaya Vlogs
আলহামদুলিল্লাহ আমার শখের রান্নাঘর || Alhamdulillah, my hobby is cooking.
1 month ago | [YT] | 2
View 0 replies
Sumaya Vlogs
হারাতে দিলেই মানুষ হারিয়ে যায় রাখতে জানলে
জীবনের শেষ অধ্যায় পর্যন্ত একসাথে থাকা যায়
আলহামদুলিল্লাহ শখের রান্না ঘরকে মনের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছি
1 month ago | [YT] | 4
View 0 replies
Sumaya Vlogs
সংসার তো অনেকেই করতে পারে তবে গুছিয়ে সংসার কয়জন করতে পারে ( আমার অনেক শখের রান্নাঘর)
Many people can make a living, but how many can make a living in an organized way? (My favorite hobby is cooking.)
1 month ago | [YT] | 3
View 0 replies
Sumaya Vlogs
🌸 আজ মহাসপ্তমী, প্রিয় পলাশ🌸
আমাদের বিয়ের পর এবছর তৃতীয় দুর্গা-উৎসব! ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ তুমি নেই!
বিগত দুই বছর তুমি দুর্গা পূজা উপলক্ষে অফিস থেকে "দশদিন" করে ছুটি নেওয়ার পরেও, একবারও তোমার সাথে মহাসপ্তমী কাটানো হলো না — ঠিক বুঝতে পারি না সেটা তোমার ইচ্ছায় নাকি ভাগ্যের নিয়মেই!
২০২৩ সালে আমাদের বিয়ের প্রথম দুর্গা-উৎসব ছিল। তুমি তোমার মায়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ঠিক করলে, আমি যেন ১৩.১০.২০২৩ তারিখে বাবার বাড়িতে যাই (যদিও তখন আমি জানতাম না যে, তুমি তোমার মায়ের সঙ্গে আগেই সব পরিকল্পনা করে ফেলেছ!)। তুমি আমাকে এই খবর জানালে ১০.১০.২০২৩ তারিখে।
বিয়ের পর বহুবার অনুরোধ করেও আমাকে আমার বাবার বাড়ি যেতে দাওনি। তাই, দীর্ঘ ১১ মাস পরে এই খবরটা যেন স্বপ্নের মতো মনে হতে লাগলো। আবার মনে পড়ল—এবার তোহ তোমার সাথেও আমার প্রথম পুজো কাটবে! খুশিতে মনটা ভরে উঠেছিল।
আমি বলেছিলাম, মা (শাশুড়ি মা) আর আমি তাহলে ১৩.১০.২০২৩ তারিখে আমার বাবার বাড়িতে যাব, তুমি বরং সপ্তমীর দিন (২১.১০.২০২৩) অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে এসো। সবাই মিলে একসাথে পুজো কাটিয়ে বার-দশরার (দশমীর পরের দিন) পরের দিন ফিরে আসবো বাসায় (২৬.১০.২০২৩)।
তুমি আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললে—
> “মা যাবেন না। আমি অষ্টমীর দিন যেয়ে তোমাকে নবমীর দিন নিয়ে আসব।”
আমি বললাম, “মা কেন যাবেন না? আমার মা-বাবা তো পুজোর ২২ দিন আগেই মাকে, তোমাকে, বড়-ভাসুরকে, মেজ-ভাসুরকে, ননদকেও সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন!”
বিশেষ দ্রষ্টব্য : যদিও কপাল করে, এই আড়াই বছরে তোমার বাড়ি থেকে তোমার পরিবারের একটা মানুষের থেকেও আমার বাবা-মা বা আমার পরিবারের কেউ আজ অবধি কোন নেমন্তন্নই পাননি।
তুমি বললে, “আমি মাকে বুঝিয়ে বলেছি, কিন্তু মা বলেছেন, তিনি যাবেন না।”
আমি কারণ জিজ্ঞাসা করতেই তুমি চুপ করে রইলে। কিছুই বললে না।
আমি নিজে গিয়ে মাকে বোঝালাম, কিন্তু উনি রাজি হলেন না। অনেক বুঝিয়েও লাভ হলো না। তোমাদের ব্যবহারে বুঝে গেলাম—সব কিছু আগেই পরিকল্পনা করা আছে তোমাদের, আর সব হবে তোমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী।
তবু আমি চুপ করলাম। ভাবলাম, হয়তো তোমার অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
তোমাকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমাদের পরিকল্পনা কী। তুমি বললে, তুমি অফিস থেকে ১৫.১০.২০২৩ থেকে ২৫.১০.২০২৩ পর্যন্ত ছুটি নিয়েছ।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “তাহলে আমার বাবার বাড়িতে কেন যাবে না?”
তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বললে, “তুমি তোমার বাবার বাড়িতে যে কয়দিন থাকবে, ওই কয়দিন তো মা একা থাকবেন। তাই, আমি ছুটি নিয়েছি মাকে নিয়ে থাকবো বাসায়।”
আমি আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, “তুমি যেহেতু অফিস থেকে ছুটি নিয়েছ, তাহলে মাকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে কেন যাবে না?”
তুমি না শোনার ভান করে ঘর থেকে চলে গেলে।
আমি অবাক হয়ে গেলাম। যে, তোমরা পরিকল্পনা করে ছুটিও নিয়ে ফেলেছ, অথচ আমি কিছুই জানি না! তর্ক করলে ঝামেলা হবে ভেবে চুপ রইলাম। বুঝে গেলাম, আসলে তোমার নিজেরই ইচ্ছা নেই। খুব কষ্ট পেলেও কিছু বলিনি, কারণ যেখানে তোমার ইচ্ছেটাই নেই, সেখানে জোর করে কী লাভ!
১১.১০.২০২৩ তারিখে দুপুরে, প্রতিদিনের মতো একসাথে খাওয়ার সময় আমার শাশুড়ি মা বললেন—
> “১৩ তারিখ সকালে তোমার ভাই এসে তোমাকে নিয়ে যেতে পারবে না দুপুরে?“
আমি বললাম, “পারবে।” যদিও ভাবছিলাম, হঠাৎ উনি এই প্রশ্নটা কেন করলেন! কিছুটা নিজের মতো করে ভাবার ট্রাই করলাম।
উনি আর কিছু বললেন না।
সেদিন রাতে, প্রতিদিনের মতো তোমার মা তোমাকে আমাদের ঘরে শুইয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পর আমি দরজা ভাজিয়ে দিয়ে এলাম। তুমি আমাকে বললে—
> “সৌরভ কে যদি তোমাকে ১৩ তারিখ সকালে এসে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিয়ে যেতে বলি, ও কি আসবে?”
আমি বুঝে গেলাম, তোমার মায়ের দুপুরে প্রশ্ন করার কারণটা কী ছিল। আমি বললাম, “আমার দাদা নিশ্চয়ই আসবে। কিন্তু বিয়ের পর প্রথমবার আমি বাবার বাড়ি যাচ্ছি, তুমি কি আমাকে নিজে নিয়ে যেতে পারবে না? পূজোতে যেহেতু থাকবে না, তাই অন্তত ওইদিন সাথে চলো।”
তুমি বললে, “মা বাড়িতে একা থাকতে পারবেন না।”
আমি বললাম, “ঠিক আছে, তোমাকে আটকাব না। তুমি আমাকে সকালে দিয়ে, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে চলে এসো।”
তুমি বললে, “ঠিক আছে, কাল মায়ের সঙ্গে কথা বলে রাজি করানোর চেষ্টা করব।”
পরের দিন, তুমি সত্যিই তোমার মাকে অনেক কষ্ট করে, তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি করালে। তোমার চেষ্টা দেখে আমার মনে কষ্ট হচ্ছিল, তবু চুপ ছিলাম।
১৩.১০.২০২৩ তারিখে, তোমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তুমি আমাকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে দুপুর ১:৪০ মিনিটে পৌঁছালে।
সঙ্গে সঙ্গেই তুমি তোমার মাকে ফোনে জানালে, আমরা পৌঁছেছি।
তোমার মা বললেন, “তাড়াতাড়ি খেয়ে রওনা দিও, সন্ধ্যার আগে যেন ঘরে ঢুকতে পারো।”
উনি রীতিমতো তোমাকে শাসালেন! ঐদিন তোমার মা কে প্রণাম করে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তোমার মা আমাকে বলেছিলেন, আমার ছেলেকে রাত আটটার পরে ফোন দিও না।
আমার আত্মীয়-স্বজন যারা তোমাকে তখন ওই মুহূর্তে দেখতে এসেছিল তাদের সাথে একটু কথা বলেই, তুমিও খাওয়া শেষ করেই দুপুর ২:৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে।
আমার দুই দাদা আর আমি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত তোমার সাথে গিয়েছিলাম, তোমার বাস ছাড়ার মুহূর্ত পর্যন্ত ছিলাম আমরা তোমার সাথে।
তুমি সন্ধ্যা ৬:১০ মিনিটে বাসায় পৌঁছালে। পরে আমাকে জানালে, তোমার মা রেগে আছেন—কারণ তুমি সন্ধ্যার আগে ঘরে পৌঁছাওনি!
অথচ, আমাদের বাড়িতে তুমি ছিলে মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট!
আমার মা-বাবাও খুব কষ্ট পেয়েছিলেন, যদিও আমি সেটা তোমাকে বলিনি। কারণ বললেও তাতে কোনো লাভ হতো না।
রাতে খাওয়া শেষে, তোমার মা তোমাকে শুইয়ে দিয়ে যাওয়ার পর তুমি লুকিয়ে আমাকে ফোন করলে।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “খেয়েছ?”
তুমি বললে, “হ্যাঁ।”
তারপর কিছু কথা হলো, তারপর ফোন রেখে দিলে।
অবশ্য, তোমার মায়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমি ঐদিন সকালে তিন দিনের রান্না করে রেখে এসেছিলাম।
পরের দিন, ১৪.১০.২০২৩ সকালে তুমি ঢাকায় স্পেশাল ডিউটিতে বেরিয়ে গেলে।
দুপুরে আমি তোমার মাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম, উনি খেয়েছেন কিনা।
উনি বললেন, “না, একটু পরে খাব।”
আমি বললাম, “খাবারগুলো গরম করেছেন?”
উনি বললেন, “হ্যাঁ, আর উনিও কিছু তরকারি রান্না করেছেন।”
আমি ভাবছিলাম, উনি একা আছেন—তাই একটু কথা বললে হয়তো ভালো লাগবে। কিন্তু উনি বললেন, “খাওয়ার সময় হয়েছে, পরে কথা হবে।”
আমি বললাম, “ঠিক আছে, খেয়ে রেস্ট নিন আর ওষুধটা মনে করে খাবেন।”
উনি বললেন, “আচ্ছা।”
এই সময় আমি ফোনের অপর পাশ থেকে মেজো-জা এর (পাপিয়া সেন সাহা) গলা শুনলাম।
আমি জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিলাম, “মিষ্টি দিদি এসেছেন?”
(আমি আমার মেজ-জাকে ‘মিষ্টি দিদি’ আর মেজ-ভাসুরকে ‘মিষ্টি দাদা’ বলি।)
এর মধ্যেই আমার শাশুড়ি মা কিছুটা তাড়াহুড়ো করে ফোনটা কেটে দিলেন।
আমি তখনই বুঝে গেলাম, তাড়াহুড়ো করে ফোন কেটে দেওয়ার কারণ কি!
তুমি যেহেতু ডিউটিতে ছিলে, তাই তোমাকে ফোন করিনি। কিন্তু দুপুর থেকে মনটা অস্থির হচ্ছিল—কেন তুমি আমাকে কিছু জানাওনি? যে কেন আমার থেকে লোকালে এ বিষয়টা, ভাবছিলাম তুমি কি ভুলেই গেছো নাকি আমাকে বলতে?
আমি নিজেকে শান্ত করলাম, ভাবলাম দেখি তুমি নিজে থেকে কখন বলো।
সেদিন রাত অব্দি আমাদের অনেকবার মেসেজে কথা হলো, তবুও তুমি আমাকে একবারও জানাওনি যে তোমার মেজ-দাদা আর মেজ-বৌদি বাড়িতে এসেছেন!
আমি অবাক হলেও ফোন করিনি, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিলাম। কারণ তুমি আগে থেকেই বলেছিলে—মায়ের সামনে যেন ফোন না দিই, সুযোগ হলে তুমি নিজে কল করবে।
রাতে তুমি কল করলে। অনেক কথা হলো, সারাদিনের গল্পও বললে।
তবু আমি অপেক্ষা করছিলাম—তুমি কখন বিষয়টা বলবে!
কিন্তু তুমি কিছুই বললে না।
শেষে আমি আর থাকতে পারলাম না। তুমি আমাদের কথা শেষে ফোন রাখার পরে আমি আবার তোমাকে কল দিলাম।
তুমি ধরতেই আমি বললাম, “তুমি কি কিছু বলতে ভুলে গেছ?”
তুমি অবাক হয়ে বললে, “না তো, কী হয়েছে?”
আমি বললাম, “সত্যিই? কিছুই বলার নেই?”
তুমি বললে, “সবই তো বলেছি, আর কী বলব!”
তখন আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। আমি বললাম, “তোমার মেজ-বৌদি আর মেজ-দাদা বাড়িতে এসেছেন — এটা তুমি আমাকে বললে না যে?”
তুমি হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললে, “তুমি জানলে কীভাবে!?”
আমি বললাম, “সিরিয়াসলি?”
আমি বুঝে গেলাম—সবই আগে থেকে পরিকল্পিত ছিল।
আমি কালক্ষেপণ না করে জিজ্ঞাসা করলাম, “উনারা কবে এসেছেন?”
তুমি বুঝলে, আমি সব জেনে গেছি। তাই মিথ্যে না বলে বললে—
> “গতকাল, তোমাকে নিয়ে আমি ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পরেই ওরা এসেছে।”
আমার মাথায় যেন বজ্রপাত হলো। আমি বললাম,
“তাহলে তুমি যেভাবে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলে, বললে মা একা আছেন, সন্ধ্যার আগে পৌঁছাতে হবে—এসবের মানে কী ছিল?”
তুমি বললে, “মা বলেছেন তাই।”
আমি বললাম, “আমাকে না জানানোর কারণ কী?”
তুমি বললে, “মা নিষেধ করেছেন।”
আমি বললাম, “মা বলেছেন বলে তুমি আমাকে জানাবে না?”
আমি বললাম তো, ওনারা যখন এসেছেন তাহলে তুমি আমাদের বাড়িতে এসে দুই-তিন দিন পুজোর মধ্যে কেন থাকবে না? তুমি বললে মা- নিষেধ করেছেন তাই!
সেদিন আমি যেন এক নতুন পলাশকে চিনলাম...
এর পরের কাহিনি আর লেখার ধৈর্য পাচ্ছি না।
---
শেষে, সে বছর সুযোগ থাকতেও তুমি আমার সাথে মহাসপ্তমী কাটালে না!
তুমি চাইলেই পারতে, বিয়ের প্রথম বছরটা আমার সঙ্গে পূজো কাটাতে।
তোমার মাকে দেখার জন্য তো তোমার মেজ-দাদা আর মেজ-বৌদি এসেছিলেন! সে বছর আমার মেজো-ভাসুর আর আমার মেজো-জা এরও বিয়ের প্রথম বছরেরই পূজো ছিল কই তারা তো ঠিকই একসাথেই গিয়েছিল আমাদের বাসায় বেড়াতে। একসাথে কাটিয়েছিল প্রথম বছর পুজোটা!
অবশ্য তুমি তো জানতেই, এই পরিকল্পনা তো তোমাকে নিয়েই করেছিলেন তোমার মা! তোমার ইচ্ছেতেই তো কাটানো হয়নি প্রথম বছরের পুজোটা একসাথে এত সুযোগ থাকার পরেও পলাশ।
আমি তোমাকে বলেছিলাম অনেক আগেই যে—
> “বিয়ের প্রথম বছর আমি তোমার সাথেই মা দুর্গাকে দর্শন করব প্রথমবার।”
আর এত মিথ্যা, এত অশান্তির মাঝেও আমি আমার কথা রেখেছিলাম!
সে বছর আমি তোমার সাথেই প্রথম মা দুর্গাকে দর্শন করেছিলাম — যদিও জানতাম, তুমি আমাকে ছাড়াই ষষ্ঠী-সপ্তমীতে ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছো, মা দুর্গার দর্শন করে নিয়েছো।
আমিও চাইলেই পারতাম আমার পরিবারের সঙ্গে ষষ্ঠী-সপ্তমীতে আনন্দ করতে, কিন্তু করিনি। কারণ আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম!
যাক, সে কথা আর নাই বলি।
সবই তো তোমার পরিকল্পনা ছিল!
পরের বছর, ২০২৪ সালেও তোমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী—এক বছর পরে আমাকে বাবার বাড়িতে যেতে দিলে, কিন্তু সেই বছরও সপ্তমী কাটানো হলো না, আর সেটাও তোমাদের পরিকল্পনাতেই!
তবু ভাবলাম, “আসছে বছর আবার হবে!”
আহ... এবছর, ২০২৫।
তৃতীয় বছর।
তুমি নেই।
জানি না, থাকলে এবার কী পরিকল্পনা করতে পলাশ...
দেখো, আমার যে আর অনন্তকাল অবধি তোমার সঙ্গে মহাসপ্তমী কাটানো হবে না, পলাশ...
✍️ সুস্মিতা সাহা
📅 তারিখ: ২৯/০৯/২০২৫
2 months ago | [YT] | 9
View 0 replies
Sumaya Vlogs
সুস্মিতা এখন পলাশ সাহাকে ছাড়া একা একা পথ চলতে শিখে গিয়েছে😭 সময় মানুষকে অনেক পরিবর্তন করে ফেলে
2 months ago | [YT] | 14
View 0 replies
Sumaya Vlogs
সুস্মিতা পলাশের নাম নিজের হৃদয়ে লিখেছিল মনের কালি দিয়ে। কিন্তু এক অশান্তির ঢেউ এসে সেই কালি মুছে দিয়ে গেল। কিন্তু সেই কলমের আঁচড়ের দাগ মুছতে কি পারবে সারা জীবন ধরে?
2 months ago | [YT] | 33
View 2 replies
Sumaya Vlogs
অপারেশন থিয়েটারের দরজা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল।
বাইরে অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে স্বামী আর পরিবারের সবাই।
ভেতরে একজন নারী—যে আজ নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ লড়তে যাচ্ছে।
অজ্ঞান করার ওষুধ শরীরে ঢুকতেই চোখ ভারী হয়ে এলো তার।
হঠাৎ করেই কানে ভেসে এলো ডাক্তারদের শব্দ—
“বেবি আউট!”
শিশুর প্রথম কান্না মুহূর্তেই ঢেকে দিল সব যন্ত্রণা।
কিন্তু সেই কান্নার পেছনে কতটা ত্যাগ আছে, তা হয়তো কেউ বোঝেই না।
অপারেশনের পরে পেট কেটে সেলাই দেওয়া হলো।
কিন্তু মাত্র ছয় ঘণ্টা পরেই নার্স এসে বললো—
“আপনাকে উঠতে হবে।”
তীব্র ব্যথায় শরীর কাঁপছে, মনে হচ্ছে সেলাইয়ের জায়গাটা ছিঁড়ে যাচ্ছে।
তবুও দাঁড়াতে হলো, কারণ নতুন অতিথিকে তো বুকে নিতে হবে, দুধ খাওয়াতে হবে।
মায়ের চোখে তখন একদিকে অশ্রু, অন্যদিকে ভালোবাসার আলো।
শরীর ভীষণ দুর্বল, প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হচ্ছে বুক ফেটে যাবে যন্ত্রণায়।
তবুও শিশুর ছোট্ট কান্না শুনলেই সব ভুলে গিয়ে তাকে আঁকড়ে ধরেন বুকের মাঝে।
অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক, সেলাইয়ের টান, অসহ্য যন্ত্রণার মাঝেও
রাত জেগে কাঁদতে থাকা শিশুকে কোলে দোলাতে থাকেন তিনি,
নিজের ক্ষত উপেক্ষা করে বুকের দুধ খাওয়ান।
তার হাসি তখন শুধুই সন্তানের জন্য।
✨ এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ত্যাগ।
✨ এটাই সিজারিয়ান মায়ের মহত্ত্ব।
যদি তুমি একজন সিজারিয়ান মা হও—
জেনে রেখো, তুমি অদ্ভুত শক্তিশালী।
তুমি কষ্টের পাহাড় বুকে নিয়ে, হাসি দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করো।
তুমি সত্যিই অসাধারণ। ❤️
2 months ago | [YT] | 2
View 0 replies
Sumaya Vlogs
প্রিয় মানুষকে হারানোর যন্ত্রণা খুবই কষ্টের
আর কখনো নানু বলে কাউকে ডাকতে পারবো না 😭 যার নানু নেই সেই জানে হারানোর কষ্ট 😭 আমার নানু আমাকে অনেক ভালোবাসতো এখন সবকিছু শুধুই স্মৃতি 😭
সে গতকাল মহান আল্লাহ তায়ালার ডাকে সারা দিয়ে চিরকালের মতো চলে গিয়েছে 😭 মহান আল্লাহ তায়ালা আমার নানুকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতবাসী করুন ( আমীন)
2 months ago | [YT] | 4
View 3 replies
Load more