বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ঝমঝমিয়ে কখনো বা ধীরে ধীরে। জানালার ধারে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে কার না ভালো লাগে। মাঝে মাঝে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পানি ছোঁয়া সে তো অন্যরকম অনুভূতি। বেলকনিতে ফুলের গাছগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। ধুয়ে ছাপ হয়ে যাচ্ছে তাদের পাতায় লেগে থাকা ধূলিকণা, মনে হচ্ছে নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে ওরা। বৃষ্টির দিনে ঘুমটা বেশ ভালই হয়। আর সেই সাথে পরিবারের সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া। মায়ের হাতের তৈরি আলুর চিপস ,চাল ভাজা, পিঠাপুলি আরো কত কি। আহ্ হারিয়ে গেছে সেই আনন্দের দিনগুলি। ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে মায়ের বকুনি। মায়ের কাছে গল্প শোনা। মা সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকলে বাবা সময় দিতেন আমাদের। আজও মনে পড়ে সেই স্মৃতিগুলো। বৃষ্টি এলে তো কারেন্টের বারোটা বাজতো। হারিকেন জালিয়ে পড়তাম ভাই বোন সবাই একসাথে। যদিও পড়ার চাপটা কম নিতাম বৃষ্টির দিনে। কত যে গল্প বাবা মার মুখে শুনেছি, আল্লাহর নেয়ামতের কথা, নবী রাসূলগণের জীবন কাহিনী। আর মাসনুন দোয়া গুলো বাবা আমাদের সেই ছোট্টবেলাতেই মুখে মুখে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। মাও আমার কম ছিলেন না। সমস্ত নৈতিক শিক্ষাগুলো মায়ের কাছেই শিখেছি। কত সুন্দর ছিল আগের দিনগুলো। যত বড় হচ্ছি দিনে দিনে একের পর একটা দায়িত্ব এসে পড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে আনন্দের অনুভূতিগুলো। কষ্টের সাথেই বেশি পরিচিত হচ্ছে। বৃষ্টি এলে এখন ভীষণ কান্না পায়। কারো এমনটা হয় কিনা জানিনা। তবে আমার প্রচন্ড মন খারাপ হয়। বৃষ্টি এলে রাস্তাঘাট ভিজে একাকার অবস্থা। তেমনি আমার হৃদয়ের ক্ষতগুলো যেন জেগে ওঠে। অতীত জীবনে সুখ-দুঃখ আনন্দ হতাশা সব এসে আমায় তাড়া করে। বৃষ্টির সাথে সাথে আমারও ঝরে পড়ে দু নয়নের অশ্রু ধারা। মাসুমা মোস্তফা ।
নাম: মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ﷺ উপাধি: আল-আমিন (বিশ্বস্ত)। জন্ম: ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে; মক্কায়। বংশ: কুরাইশ গোত্র, হাশিমী বংশ। পিতা: আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব। মাতা: আমিনা বিনতে ওয়াহ্ব। লালন-পালন: পিতা মারা যান জন্মের আগেই, মাতা মারা যান ছয় বছর বয়সে। পরে দাদা আবদুল মুত্তালিব, তারপর চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বড় হন।
জীবনের প্রধান ঘটনাবলী
যৌবনকাল: সততা ও বিশ্বস্ততার কারণে মক্কার মানুষ তাঁকে "আল-আমিন" উপাধি দেয়।
বিবাহ: ২৫ বছর বয়সে ধনী ব্যবসায়ী মহিলা খাদিজা (রা.)-এর সাথে বিবাহ।
নবুওত প্রাপ্তি: ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় প্রথম ওহি নাজিল হয়।
দাওয়াত: প্রথমে গোপনে, পরে প্রকাশ্যে মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান করেন।
হিজরত: মক্কায় নির্যাতনের কারণে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন।
মদিনা জীবন: ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করেন। যুদ্ধ, চুক্তি, শিক্ষা, ন্যায়বিচার সবকিছু পরিচালনা করেন।
বিদায় হজ্জ: ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে বিদায়ী হজ্জ পালন করেন এবং ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করেন।
ইন্তেকাল: হিজরতের ১১তম বছর, ৬৩ বছর বয়সে, ১২ রবিউল আউয়াল মদিনায় ইন্তেকাল করেন।
সারসংক্ষেপ
রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন মানবতার জন্য আল্লাহর শেষ রাসূল। তাঁর জীবন ছিল সততা, ন্যায়, দয়া, ক্ষমাশীলতা ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
একদিন হযরত মূসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য যাচ্ছিলেন । পথের মাঝে একটি হরিণ এসে বলল, অনেকদিন যাবত আমাদের বনের এরিয়াতে বৃষ্টি নেই এই সংবাদটা আল্লাহর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ যেন দয়া করে বৃষ্টি দান করে। মুসা নবী আল্লাহকে গিয়ে বললেন, আল্লাহ যা উত্তর দিলেন এইটা হরিণকে বলতে মুসা নবী সংকোচ হল তাই অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন যেন হরিণের সাথে দেখা না হয়। কি ভেবে যেন হরিণটা যেই পথে বসে থাকার কথা ছিল সে খানে না থেকে অন্য রাস্তায় গিয়ে বসেছিল নবীর অপেক্ষায়। মূসা আলাইহিস সালাম হরিণকে দেখে অবাক হলেন ভাবছিলেন এই পথে আসছেন হয়তোবা হরিণের সাথে দেখা হবে না। হরিণ জিজ্ঞেস করল আল্লাহ কি বলেছেন? মুসা নবী মনে কষ্ট নিয়ে বললেন আল্লাহ বলেছে 100 বছরের ভিতরে বনে কোন বৃষ্টি হবে না. এ কথা শুনে হরিণ বলল আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। নবী, আরে তুমি আলহামদুলিল্লাহ বলছো কেন? হরিণ উত্তর দিল ১০০ বছরের ভিতরে আল্লাহ বলেছেন হবে না। তিনি তো বলেন নাই কখনোই বৃষ্টি দিবেন না তাহলে আমি ১০০ বছর পরেও আল্লাহর রহমতের আশা করতে পারি। এ কথা শোনা মাত্রই আল্লাহ পাক বললেন ফেরেশতাকে এই মুহূর্তে বৃষ্টি দাও ওই বনে। যেখানে পশু পাখি আমার রহমতের আশা করে। মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ফিরতে পারেন নাই এর মাঝেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। তখন আল্লাহকে বললেন আল্লাহ তুমি এটা কি করলে আমাকে লজ্জিত করলে কেন? আল্লাহ বললেন যে খালিশ দিলে আমার রহমতের আশা করে তাকে আমি কখনো নিরাশ করি না ।
GEN"Z edits
4 days ago | [YT] | 1
View 0 replies
GEN"Z edits
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ঝমঝমিয়ে কখনো বা ধীরে ধীরে। জানালার ধারে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে কার না ভালো লাগে। মাঝে মাঝে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পানি ছোঁয়া সে তো অন্যরকম অনুভূতি। বেলকনিতে ফুলের গাছগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। ধুয়ে ছাপ হয়ে যাচ্ছে তাদের পাতায় লেগে থাকা ধূলিকণা, মনে হচ্ছে নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে ওরা। বৃষ্টির দিনে ঘুমটা বেশ ভালই হয়। আর সেই সাথে পরিবারের সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া। মায়ের হাতের তৈরি আলুর চিপস ,চাল ভাজা, পিঠাপুলি আরো কত কি। আহ্ হারিয়ে গেছে সেই আনন্দের দিনগুলি। ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে মায়ের বকুনি। মায়ের কাছে গল্প শোনা। মা সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকলে বাবা সময় দিতেন আমাদের। আজও মনে পড়ে সেই স্মৃতিগুলো। বৃষ্টি এলে তো কারেন্টের বারোটা বাজতো। হারিকেন জালিয়ে পড়তাম ভাই বোন সবাই একসাথে। যদিও পড়ার চাপটা কম নিতাম বৃষ্টির দিনে। কত যে গল্প বাবা মার মুখে শুনেছি, আল্লাহর নেয়ামতের কথা, নবী রাসূলগণের জীবন কাহিনী। আর মাসনুন দোয়া গুলো বাবা আমাদের সেই ছোট্টবেলাতেই মুখে মুখে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। মাও আমার কম ছিলেন না। সমস্ত নৈতিক শিক্ষাগুলো মায়ের কাছেই শিখেছি। কত সুন্দর ছিল আগের দিনগুলো। যত বড় হচ্ছি দিনে দিনে একের পর একটা দায়িত্ব এসে পড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে আনন্দের অনুভূতিগুলো। কষ্টের সাথেই বেশি পরিচিত হচ্ছে। বৃষ্টি এলে এখন ভীষণ কান্না পায়। কারো এমনটা হয় কিনা জানিনা। তবে আমার প্রচন্ড মন খারাপ হয়। বৃষ্টি এলে রাস্তাঘাট ভিজে একাকার অবস্থা। তেমনি আমার হৃদয়ের ক্ষতগুলো যেন জেগে ওঠে। অতীত জীবনে সুখ-দুঃখ আনন্দ হতাশা সব এসে আমায় তাড়া করে। বৃষ্টির সাথে সাথে আমারও ঝরে পড়ে দু নয়নের অশ্রু ধারা।
মাসুমা মোস্তফা ।
2 weeks ago | [YT] | 1
View 0 replies
GEN"Z edits
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
নাম: মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ﷺ
উপাধি: আল-আমিন (বিশ্বস্ত)।
জন্ম: ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে; মক্কায়।
বংশ: কুরাইশ গোত্র, হাশিমী বংশ।
পিতা: আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব।
মাতা: আমিনা বিনতে ওয়াহ্ব।
লালন-পালন: পিতা মারা যান জন্মের আগেই, মাতা মারা যান ছয় বছর বয়সে। পরে দাদা আবদুল মুত্তালিব, তারপর চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে বড় হন।
জীবনের প্রধান ঘটনাবলী
যৌবনকাল: সততা ও বিশ্বস্ততার কারণে মক্কার মানুষ তাঁকে "আল-আমিন" উপাধি দেয়।
বিবাহ: ২৫ বছর বয়সে ধনী ব্যবসায়ী মহিলা খাদিজা (রা.)-এর সাথে বিবাহ।
নবুওত প্রাপ্তি: ৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় প্রথম ওহি নাজিল হয়।
দাওয়াত: প্রথমে গোপনে, পরে প্রকাশ্যে মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান করেন।
হিজরত: মক্কায় নির্যাতনের কারণে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন।
মদিনা জীবন: ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করেন। যুদ্ধ, চুক্তি, শিক্ষা, ন্যায়বিচার সবকিছু পরিচালনা করেন।
বিদায় হজ্জ: ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে বিদায়ী হজ্জ পালন করেন এবং ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করেন।
ইন্তেকাল: হিজরতের ১১তম বছর, ৬৩ বছর বয়সে, ১২ রবিউল আউয়াল মদিনায় ইন্তেকাল করেন।
সারসংক্ষেপ
রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন মানবতার জন্য আল্লাহর শেষ রাসূল। তাঁর জীবন ছিল সততা, ন্যায়, দয়া, ক্ষমাশীলতা ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
3 weeks ago | [YT] | 2
View 1 reply
GEN"Z edits
একদিন হযরত মূসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য যাচ্ছিলেন । পথের মাঝে একটি হরিণ এসে বলল, অনেকদিন যাবত আমাদের বনের এরিয়াতে বৃষ্টি নেই এই সংবাদটা আল্লাহর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ যেন দয়া করে বৃষ্টি দান করে। মুসা নবী আল্লাহকে গিয়ে বললেন, আল্লাহ যা উত্তর দিলেন এইটা হরিণকে বলতে মুসা নবী সংকোচ হল তাই অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন যেন হরিণের সাথে দেখা না হয়। কি ভেবে যেন হরিণটা যেই পথে বসে থাকার কথা ছিল সে খানে না থেকে অন্য রাস্তায় গিয়ে বসেছিল নবীর অপেক্ষায়। মূসা আলাইহিস সালাম হরিণকে দেখে অবাক হলেন ভাবছিলেন এই পথে আসছেন হয়তোবা হরিণের সাথে দেখা হবে না। হরিণ জিজ্ঞেস করল আল্লাহ কি বলেছেন? মুসা নবী মনে কষ্ট নিয়ে বললেন আল্লাহ বলেছে 100 বছরের ভিতরে বনে কোন বৃষ্টি হবে না. এ কথা শুনে হরিণ বলল আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। নবী, আরে তুমি আলহামদুলিল্লাহ বলছো কেন? হরিণ উত্তর দিল ১০০ বছরের ভিতরে আল্লাহ বলেছেন হবে না। তিনি তো বলেন নাই কখনোই বৃষ্টি দিবেন না তাহলে আমি ১০০ বছর পরেও আল্লাহর রহমতের আশা করতে পারি। এ কথা শোনা মাত্রই আল্লাহ পাক বললেন ফেরেশতাকে এই মুহূর্তে বৃষ্টি দাও ওই বনে। যেখানে পশু পাখি আমার রহমতের আশা করে। মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ফিরতে পারেন নাই এর মাঝেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। তখন আল্লাহকে বললেন আল্লাহ তুমি এটা কি করলে আমাকে লজ্জিত করলে কেন? আল্লাহ বললেন যে খালিশ দিলে আমার রহমতের আশা করে তাকে আমি কখনো নিরাশ করি না ।
1 month ago | [YT] | 1
View 0 replies
GEN"Z edits
1 month ago | [YT] | 2
View 0 replies
GEN"Z edits
2 months ago | [YT] | 3
View 0 replies
GEN"Z edits
2 months ago | [YT] | 3
View 0 replies
GEN"Z edits
2 months ago | [YT] | 2
View 0 replies