প্রিয় দ্বীনি ভাই/ সম্মানিত Viewers আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমরাও ভালো ও সুস্থ থেকে নিরলসভাবে দীনি কাজ অব্যহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমান সোসাল মিডিয়ায় সুস্থ সংস্কৃতি ও দীনি প্রচারমুখী প্রতিষ্ঠান খুবই সল্প, অনেক প্রতিকুলতা সত্বেও ‘বাস্তবতার সিড়িঁ” সহ আরো কিছু দ্বীনি প্রতিষ্ঠান আল-কুরআনের বাণী প্রচারের খেদমতে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আল-কুরআনের বাণীকে আরো সুন্দর ও সাবলিলভাবে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করতে চাই! এ ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের পোষ্টগুলো শেয়ারে মাধ্যমে সহযোগিতা করুণ এবং মতামত/পরামর্শ দিন। আর সহীহ আকিদা ও সহীহ আমল করতে channel subscribe করুন । ইনশা-আল্লাহ আপনাদের এ সহযোগিতা সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে । মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার তাওফিক দান করুণ।
--------------------------------------------------
সূরাঃ আল-ইনশিকা [84:19]
لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ
নিশ্চয় তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহণ করবে।
Ye shall surely travel from stage to stage.



BanglaIslamic

4 hours ago | [YT] | 126

BanglaIslamic

4 hours ago | [YT] | 41

BanglaIslamic

5 hours ago | [YT] | 129

BanglaIslamic

5 hours ago | [YT] | 77

BanglaIslamic

5 hours ago | [YT] | 2

BanglaIslamic

"তুমি যতই পরহেজগার হও আর যতই জ্ঞানী হও না কেন, তুমি হেদায়াতের মুখাপেক্ষী। তুমি মৃত্যু পর্যন্ত হেদায়াতের মুখাপেক্ষী থাকবে।"

-শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায (রহি.) (ফতওয়ায়ে বিন বায ৭/১৬৩)

এই বাণী স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানবজীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর পথনির্দেশনা (হেদায়েত) ছাড়া কোনো সফলতা নিরাপত্তা নেই।

একজন মানুষ ইলম (জ্ঞান) অর্জনে যত উচ্চ শিখরে পৌঁছান বা তাকওয়া (পরহেজগারিতা) অর্জনে যত কঠোর পরিশ্রমই করেন না কেন, সে যেন কখনো আত্মতৃপ্তি বা অহংকার না করে। কারণ, হেদায়েত লাভের ক্ষমতা মানুষের নিজস্ব প্রচেষ্টা নয়, বরং তা একমাত্র আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে আসা অনুগ্রহ।

আল্লাহ তা'আলা তাঁর নবী (ছা.)-কে লক্ষ্য করে বলেন,

"নিশ্চয় তুমি যাকে ভালোবাস, তাকে সৎপথে আনতে পারবে না; বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন। আর তিনিই অধিক অবগত, কারা সৎপথ গ্রহণকারী।"
(সূরা আল-কাসাস, ২৮:৫৬)

এই আয়াত প্রমাণ করে যে, এমনকি হেদায়েতের প্রচারকও হেদায়েতের জন্য আল্লাহর মুখাপেক্ষী। জ্ঞান বা আমল কাউকে আল্লাহর ইচ্ছা থেকে মুক্ত করে না।

আমরা যখন প্রতিদিন প্রতি ছালাতে সবচেয়ে বেশি বার সূরা ফাতিহা পাঠ করি, তখন আমরা আল্লাহ তা'আলার কাছে কী চাই?
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
"আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করুন"
(সূরা আল-ফাতিহা, ১:৬)

আমরা যতই হেদায়েতপ্রাপ্ত হই না কেন, আমাদের জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এই 'সিরাতুল মুস্তাকীম'-এর ওপর স্থির থাকার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রয়োজন।

আমরা সর্বদা পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে বা হেদায়েত হারানোর ভয় থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। কারণ, অন্তর পরিবর্তনশীল, এবং হেদায়েতের চাবি একমাত্র আল্লাহর হাতে।

আমাদের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ঈমানের সাথে ইন্তেকাল করা (খাতামাহ বিল খায়ের)। কিন্তু শয়তান মুমিনকে তার জীবনের শেষ মুহূর্তেও পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে। এই কারণে, একজন মুমিন মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত যেন নিজের তাকওয়া ও ইলমের ওপর ভরসা না করে, বরং সর্বদা আল্লাহর রহমত ও হেদায়েতের জন্য দোয়া করতে থাকে।

রাসূলুল্লাহ (ছা.) প্রায়শই এই দোয়া করতেন,
«يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ»
(ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি, ছাব্বিত ক্বালবী 'আলা দী-নিকা।)
(হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখুন।)
(সুনানে আত তিরমিযী হাদিস নং ২১৪০সনদ সহীহ )

এই হলো একজন মুমিনের প্রকৃত বিনয় ও আত্মসমর্পণ, যা তাকে মৃত্যু পর্যন্ত হেদায়েতের পথে অটল থাকতে সাহায্য করে।

20 hours ago | [YT] | 135

BanglaIslamic

1 day ago | [YT] | 227

BanglaIslamic

1 day ago | [YT] | 107

BanglaIslamic

1 day ago | [YT] | 450