*Dear Viewer*
We hope you are well, blog videos, quiz videos, sad status videos, entertainment videos, also upload your favorite videos. So please help us by watching these videos. If you like these daily new videos then like and if helpful share with your friends, stay with us by subscribing to become a member of our channel.
Thank you to all who are in the country and abroad
_______________________________________________________
*প্রিয় দর্শক*
আমরা আশা করি আপনি ভালো আছেন, ব্লগ ভিডিও, কুইজ ভিডিও, স্যাড স্ট্যাটাস ভিডিও, বিনোদন ভিডিও, এছাড়াও আপনার পছন্দের ভিডিও আপলোড করি। তাই এই ভিডিওগুলো দেখে আমাদের সাহায্য করুন।এই নিত্য নতুন ভিডিওগুলি ভালো লাগলে লাইক করুন ও এবং হেল্পফুল হলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন, আমাদের চ্যানেলের সদস্য হওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সঙ্গে থাকুন
দেশের ও বিদেশে যে যেখানে আছেন সকলকে ধন্যবাদ
________________________________________
IF Amazing
প্রকৃত শিক্ষিত কে? Comment
Join whatsapp channel whatsapp.com/channel/0029VaAvPwN7T8bdxxMLtm0Y
11 months ago (edited) | [YT] | 15
View 1 reply
IF Amazing
#Dua
whatsapp.com/channel/0029VaAvPwN7T8bdxxMLtm0Y
1 year ago | [YT] | 60
View 0 replies
IF Amazing
আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় জুমআর খুতবা দেয়া বিদআত
প্রচার:#ifamazing
আচ্ছালামু আলইকুম ,
প্রশ্ন:—- আমাদের দেশে সচরাচর আরবীতেই খুৎবা দিয়ে থাকেন , আবার ইদানীং কোথাও কোথাও শুধু বাংলাতেই খুৎবার প্রচলন দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে অনেক দেশ যেখানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ও অন্যান্য ভাষার লোকজন ও আছে সেখানে , বাংলা আরবী ইংরেজী ইত্যাদীর সংমিশ্রনে খোৎবা দিয়ে থাকেন । এমনটি জায়েয কিনা ?আর আমাদের দেশে আরবীর সংমিশ্রনে বাংলাতে খোৎবা দেয়া যাবে কি ?
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া মক্কা সৌদি আরব
উত্তর
وعليكم السلام ورحنة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জুমআর খুতবা অন্য কোন ভাষায় প্রদান করা বিদআত। আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় খুতবা প্রদান করা রাসূল সাঃ এবং পরবর্তীতে কোন সাহাবী থেকেই প্রমাণিত নয়।
নবীজী সাঃ এর মৃত্যুকালের শেষ সময়ে আরবের বাহিরের অনেক অনারবী মুসলমানই মসজিদে নববীতে এসে নামায পড়তো। কিন্তু কোনদিনও কোন জুমআর খুতবা অন্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি।
সাহাবায়ে কেরামের জমানায় এর কোন নজীর পাওয়া যায় না। হযরত উমর রাঃ এর জমানায় অনারবী মানুষে ভরে গিয়েছিল মদীনা। কিন্তু কোনদিন মসজিদে নববীতে জুমআর খুতবা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় দেয়া হয়েছে বা দোভাষী দিয়ে অন্য ভাষায় তা অনুবাদ করা হয়েছে এর কোন নজীর নেই।
সেই সাথে সাহাবায়ে কেরাম বিভিন্ন দেশে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে গেছেন। সেসব রাষ্ট্রে ইসলামের আলো ছড়িয়েছেন। কিন্তু অনারবী রাষ্ট্রে এসে আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় খুতবা দিয়েছেন বা তাদের আরবী খুতবা অন্য ভাষায় অনুবাদ করে জুমআর সময় শুনানো হয়েছে এর কোন নজীর নেই।
যে কাজ রাসূল সাঃ করেননি, বা পরবর্তী সাহাবায়ে কেরাম করেননি। সে কাজ দ্বীন হিসেবে করা সুনিশ্চিতভাবেই বিদআত। এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই জুমআর খুতবা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় প্রদান করা বিদআত। এটি পরিত্যাজ্য।
নামাযের কিরাত যেমন আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় পড়া বিদআত। ঠিক তেমনি জুমআর খুতবা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দেয়া বিদআত।
যারা এ বিদআতি কাজটি করে যাচ্ছেন, তাদের কাছে এ বিষয়ে রাসুল সাঃ থেকে এবং সাহাবায়ে কেরাম থেকে সহীহ হাদীসের দলীল চান। তাহলেই দেখবেন, দলীল নয় মনের খাহেশাতই হচ্ছে তাদের দলীল।
সুতরাং এ বিদআতি কাজ থেকে সকলেরই বিরত থাকতে হবে।
হযরত ইরবাস বিন সারিয়া রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ يَرَى بَعْدِي اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ، وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
তোমাদের মাঝে আমার পর জীবিত থাকবে, তারা অনেক মতভেদ দেখবে। তখন তোমাদের উপর আমার এবং আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত আঁকড়ে ধরবে। সেটিকে মাড়ির দাত দিয়ে কামড়ে রাখবে। আর সাবধান থাকবে নব উদ্ভাবিত ধর্মীয় বিষয় থেকে। কেননা ধর্ম বিষয়ে প্রতিটি নতুন বিষয়ই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৪৪}
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ»
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মে নেই এমন বিষয় ধর্মীয় বিষয় বলে আবিস্কার করে তা পরিত্যাজ্য। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-২৬৯৭}
একটি মনগড়া কিয়াসের জবাব
যারা রাসূল সাঃ ও সাহাবায়ে কেরামের পদ্ধতিকে বাদ দিয়ে নিজের নফসের পূজা করে আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় খুতবা দিয়ে থাকেন, তারা কুরআন ও হাদীস রেখে নিজের অজ্ঞ মস্তিস্কপ্রসূত একটি ভ্রান্ত কিয়াসের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। সেটি হল, তারা বলেন, খুতবা হল একটি বক্তৃতা। আর বক্তৃতা সেই ভাষায়ই দিতে হবে, যে ভাষায় মানুষ বুঝে থাকে।
জবাব
১
খুতবা মানে শুধু বক্তৃতা এটি অজ্ঞতাসূচক বক্তব্য। কুরআন ও হাদীসে জুমআর খুতবাকে শুধু বক্তৃতা সাব্যস্ত করা হয়নি।
কুরআনে খুতবাকে জিকির বলা হয়েছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [٦٢:٩]
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। ( সুরা জুমা আয়াত ৯ )
আই আয়াতের মধ্যকার যিকরুল্লাহ দ্বারা প্রায় সকল মুফাসসিরদের মতে খুতবা উদ্দেশ্য । (তাফসিরে রাযি ১/৪৪৬, তাফসিরে রুহুল মাআনি ২৮/১০২, তাফসিরে ইবনে আব্বাস রাঃ)
হাদিসেও খুতবাকে যিকির হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ।
فإذا خرج الإمام حضرت الملائكة يستمعون الذكر
যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন তখন ফেরেশতারা এসে যিকির শুনে অর্থাৎ খুতবা শোনে । (বোখারি ১/৩০১, মুসলিম হাদিস নং ৮০৫)
সুতরাং কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির যেমন অন্য ভাষায় দেয়া হয় না।তেমনি খুতবাও অন্য ভাষায় দেয়ার বিধান নেই।
২
হাদীসে জুমার খুতবাকে দুই রাকাত নামজের স্থলাবিসিক্ত করা হয়েছে ।
হযরত ওমর ও আয়েশা রঃ থেকে বর্ণিত
حَدِيثُ عُمَرَ وَغَيْرِهِ أَنَّهُمْ قَالُوا إنَّمَا قَصُرَتْ الصَّلَاةُ لِأَجْلِ الْخُطْبَةِ জুমার নামাজ কে খুতবার জন্য ছোট করে দেওয়া হয়েছে। (ইবনে হাজার আসকালানি তালখিসুল হাবির ২/১৭৬)
كَانَتِ الْجُمُعَةُ أَرْبَعًا فَجُعِلَتِ الْخُطْبَةُ مَكَانَ الرَّكْعَتَيْنِ জুমার নামাজ চার রাকাত ছিল অতঃপর খুতবাকে দুই রাকাতের স্থলাবিসিক্ত করা হয়েছে (বাইহাকি ৫২৫৮ নং)
শুধু নিছক বক্তৃতার নাম খুতবা নয়। এটি নামাযের মতই গুরুত্বপূর্ণ ও দুই রাকাতের স্থলাভিসিক্ত। তাই নামাযে যেমন আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় পড়া যায় না, তেমনি খুতবাও অন্য ভাষায় পড়া যাবে না।
খুতবা অন্য ভাষায় দেয়ার দাবি ইসলামকে খেলনা বস্তু বানানোর ষড়যন্ত্র
আজান, ইকামত, তাকবীর, কুরআন, তিলাওয়াত, জিকির ও খুতবা এ সবই ইসলামের প্রতীক। এর কোনটিরই অন্য ভাষায় পড়ার কোন নজীর রাসূল সাঃ থেকে নেই। নেই সাহাবায়ে কেরাম রাঃ থেকে। এমনকি তাবেয়ী বা তাবেয়ীগণ থেকেও নেই।
তাই এসবকে অনুবাদ করে বলার দাবি করা ইসলামের প্রতিককে পাল্টে ফেলার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। আল্লাহ তাআলা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় খুতবা প্রদানকারী বিদআতি ব্যক্তিদের থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাযত করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
WhatsApp channel
whatsapp.com/channel/0029VaAvPwN7T8bdxxMLtm0Y
1 year ago | [YT] | 4
View 0 replies
IF Amazing
পরকাল vs দুনিয়া
WhatsApp channel link- whatsapp.com/channel/0029VaAvPwN7T8bdxxMLtm0Y
1 year ago | [YT] | 18
View 0 replies
IF Amazing
মিলাদুন্নবী সাঃ-এর উপলক্ষে সিরাতুন্নবীর আলোচনা •••••••০৪:পর্ব••••••••••
*হযরত খাদীজা (রা-আনহা) র সহিত বিবাহ:*
হযরত খাদীজা (রাঃ-আনহা) একজন বিচক্ষনা, বুদ্ধিমতী মহিলা ছিলেন। মহানবী (সাঃ) এর ভদ্রতা এবং আশ্চর্যজনক জ্ঞান গরীমা ও চরিত-মাধূর্য দেখে তাঁর মহানবী (সাঃ) এর প্রতি সত্যিকার বিশ্বাস ও খালেছ ভালবাসা জন্ম নিয়েছিল। যার ফলে খাদীজা (রাঃ-আনহা স্বয়ং ইচ্ছা পোষণ করলেন যে, যদি মহানবী (সাঃ) সম্মতি দান করেন তাহলে তিনি তারই সাথে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হবেন। যখন মহানবী (সাঃ) এর বয়স একুশ বৎসর হল তখন হযরত খাদীজা (রাঃ-আনহা)-র সাথে তাঁর বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। হযরত খাদীজা (রাঃ-আনহা)র বয়স তখন চল্লিশ বৎসর এবং কোন কোন রেওয়ায়েতে পয়তাল্লিশ বৎসর। (মোগলতাই)
বিবাহে আবু তালেব, বনু হাশেম এবং মুযার গোত্রের সমস্ত সরদার গণ সমবেত হন। আবু তালেব বিবাহের খুৎবা পাঠ করেন। খুতবায় আবু তালেব মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে যে বাক্যগুলি পাঠ করেছিলেন, সেগুলি অবশ্যই শুনার উপযুক্ত। যার তরজমা এইরূপঃ "ইনি মুহাম্মদ (সাঃ) ইবনে আবদুল্লাহ। যিনি ধন-সম্পদের দিক দিয়া কম হলেও মর্যাদা সম্পন্ন চরিত এবং সার্বিক পরিপূর্ণতার দরুন যে লোককেই তাঁর মোকাবেলায় রাখা হবে, তিনি তাঁর তুলনায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হবেন। কেননা, ধন-সম্পদ এক পতনশলি ছায়া ও প্রত্যাবর্তনশীল বস্তু বিশেষ। আর মুহাম্মদ (সাঃ) যার আত্মীয়তার সম্পর্কের সংবাদ আপনাদের সকলেরই জানা আছে। তিনি খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন। তাঁর সম্পূর্ণ মুহর মু'আজ্জল (নগদ) হউক কিংবা মুয়াজ্জল (বাকী) হোক তা আমার সম্পদ হতে দিবেন। আল্লাহর কছম, তারপর তিনি অত্যন্ত সম্মান প্রতিপত্তির অধিকারী হবেন।"
আবু তালেবের এইবক্তব্য মহানবী (সাঃ) এর শানে তখন ছিল যখন তাঁর বয়স ছিল একুশ বৎসর এবং প্রকাশ্যভাবে তখনও তাকে নবুওয়ত প্রদান করা হয়নি। অতঃপর এতে আরও আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, আবু তালেব তার পুরাতন ধর্ম বিশ্বাসে অটল আছেন, যা বিলুপ্ত করে দেওয়ার জন্যমহানবী (সাঃ) এর সারা জীবন উৎসর্গীকৃত। কিন্তু কথা হল এই যে, সত্য কথা কখনও লুকিয়ে রাখা যায় না। *মোট কথা,* হযরত খাদজা (রাঃ-আনহা)র সাথে মহানবী (সাঃ) এর বিবাহ সুসম্পন্ন হয়ে গেল। তিনি দীর্ঘ ২৪ বৎসর নবীজির খেদমতে ছিলেন। কিছুকাল ওহী নাযেল হওয়ার পূর্বে আর কিছু কাল ওহী নায়েল হওয়ার পরে।
*হযরত খাদীজার গর্ভ থেকে মহানবীর (সাঃ) সন্তান:*
হযরত খাদীজা (রাঃ-আনহা)র গর্ভ থেকে মহানবী (সাঃ) এর দুই ছেলে এবং চার মেয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। ভাগ্যবান ছেলেদের নাম কাসেম ও তাহের। কাসেম (রাঃ) এর নামানুসারেই মহানবী (সাঃ) এর ডাক নাম আবুল কাসেম প্রসিদ্ধি লাভ করে। তাহেরের (রাঃ) সম্পর্কে এও বলা হয় যে তাঁর নাম আবদুল্লাহ ছিল। মেয়ে চার জনের নাম: হযরত ফাতেমা, হযরত যয়নাব, হযরত রুকাইয়া, হযরত উম্মে কুলসুম। হযরত যয়নাব ছিলেন তাঁর সন্তানগণের মধ্যে সবচেয়ে বড় (২)। এ সমস্ত সন্তানগণ হযরত খাদীজা (রাঃ- আনহা)-র গর্ভজাত ছিলেন। অবশ্য মহানবী (সাঃ) এর তৃতীয় ছেলে যার নাম হযরত ইব্রাহিম ছিল তিনি শুধু মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তার এই তিন ছেলে বাল্য অবস্থায়ই ইন্তিকাল করেন। অবশ্য হযরত কাসেম (রাঃ) সম্পর্কে রিভিন্ন বর্ণনায় জানা যায় যে, তিনি সওয়ারীর উপর আরোহণ করতে পারার মতো বয়সে উপনীত হয়েছিলেন।
*মহানবী (সাঃ) এর কন্যাগণ:*
হযরত ফাতেমা (রাঃ-আনহা) উম্মেতের সর্বসম্মতিক্রমে মহানবী (সাঃ) এর মেয়েগণের মধ্যে সর্বোত্তম ছিলেন। মহানবী (সাঃ) তার সম্পর্কে বলেছেন যে, ফাতেমা জান্নাতী মহিলাগণের সরদার। তার বিবাহ পনর বৎসর সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে হযরত আলী (রাঃ) এর সাথে সম্পন্ন হয়। বিবাহ চারশত আশি দেরহাম মহরানা ধার্য হয়েছিল। যাহা প্রায় একশত পঞ্চাশ ভরি রৌপ্য মুদ্রা ছিল। এই সাইয়্যিদাতুন নিছার (মহিলাদের নেত্রী) জাহিস (যা কন্যাকে পিতা বন্ধোবস্ত হিসাবে দিয়ে থাকেন) ছিল একটি চাদর, খেজুর গাছের ছালেওঁরা একটি বালিশ, একটি চামড়ার গদি, একটি দড়ির খাট, একটি মোশক (চামড়ার তৈরী পাত্র) এবং একটি আটার চাক্কী। (তবকাতে ইবনে সাদ) চাক্কী পেষণসহ ঘরের সবকাজ নিজ হাতেই করতেন। এ ছিল দু জাহানের সরদার আখেরী নবী (সাঃ) এর সব চেয়ে আদরের কণ্যার বিবাহ, জাহিম, এবং মহরানা। আর তার দারিদ্র পীড়িত জেন্দেগী নক্সাও ছিলতা। এসব দেখে ও কি ঐ সব মহিলারা লজ্জা বোধ করবেনা যারা বিবাহ শাদীর আনুষ্ঠানিকতায় নিজ দ্বীন ও দুনিয়াকে বরবাদ করে দেয়? মহানবী (সাঃ) এর পুত্র সন্তান জীবিত না থাকার মধ্যে
আল্লাহর বিরাট হেকমত নিহিত রয়েছে। শুধু কন্যাগণের মধ্যে শুধু হযরত ফাতেমা (রা-আনহার)র সন্তানগণই অবশিষ্ট ছিল। অন্যান্য কণ্যাগণের মধ্যে কারো সন্তান হয় নাই। আবার কারো সন্তান জীবিত থাকেন নাই।
হযরত যয়নাব (রাঃ-আনহার)র বিবাহ আবুল আস ইবনে রবীর সাথে হয়েছিল। তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে অল্প বয়সেই ইন্তিকাল করেন। এবং একটি কণ্যা সন্তান ছিল। যার নাম উমামা। হযরত আলী (রাঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ-আনহা)র ইন্তিকালের পর তাকে বিবাহ করেন। কিন্তু তার কোন সন্তান হয় নাই।
হযরত রুকাইয়া হযরত উসমান গনি (রাঃ) এর সহিত পরিনয় সূত্রে আবদ্ধ হন এবং হাবসায় হিযরতের সময় তারই সাথে চলে যান। হিজরী ২য় সনে বদরের যুদ্ধ থেকে ফিরার সময় নিঃসন্তান অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। তারপর হিযরী ৩য় সনে তাঁরই বোন উম্মে কুলসুমকে মহানবী (সাঃ) হযরত উসমানের সাথেই বিবাহ দেন। এ কারণেই তাঁর উপাধি যীন নুরাঈন (দুইনুরের অধীকারী)। হিযরী নবম বর্ষে হযরত উম্মে কুলসুমও ইন্তিকাল করেন। সেই সময় মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেছিলেন যে, "যদি আমার তৃতীয় আর কোন মেয়ে থাকতো তাহলে তাকেও হযরত উসমানের নিকট বিবাহ দিতাম।" (সীরাতে মোগলতাঈ, পৃষ্ঠ ১৬/১৭)
*মহিলাগণ মনে রাখবেন:*
সীরাতের নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় আছে যে, একবার হযরত রুকাইয়া উসমান (রাঃ) এর উপর নারায হয়ে মাহনবী (সাঃ) এর খেদমতে অভিযোগ করতে এলেন। রহমতে আলম (সাঃ) বলেন, "স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে এটা আমি পছন্দ করিনা। যাও, সোজা ঘরে ফিরে যাও"। এটাই ছিল কন্যার প্রতি পিতার শিক্ষা, যাতে তাদের দুনিয়া ও আখেরাত উভয় ঠিক হয়ে যায়।(আওজাযুস্ সিয়ার লি-ইবনে ফারেছ দ্রঃ)
[সূত্র: সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া]
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
WhatsApp channel link
whatsapp.com/channel/0029VaAvPwN7T8bdxxMLtm0Y
1 year ago | [YT] | 3
View 1 reply
IF Amazing
সিরাতুন্নবীর আলোচনা
•••••••০৩:পর্ব••••••••••
*আবদুল মুত্তালিবের ইন্তিকাল:*
পিতা-মাতার পর মহানবী (সাঃ) তাঁর দাদা আঃ মুত্তালিবের আশ্রয়ে ছিলেন কিন্তু আল্লাহ তাআ'লা দেখতে চেয়েছিলেন যে, এই নব জাতক শুধু রহমতের কোলেই লালিত পালিত হবে। সমস্ত কার্য কারণের কারক যিনি (আল্লাহ) তিনি স্বয়ং লালন পালনের জিম্মাদার হলেন। যখন তাঁর বয়স আট বৎসর দুই মাস দশ দিন হল, তখন আঃ মুত্তালিবও পৃথিবী থেকে চির বিদায় গ্রহণ করেন।
*মহানবী (সাঃ)-এর শামদেশ ভ্রমণ:*
তারপর মহানবী (সাঃ) এর আপন চাচা আবু তালেব তাঁর অভিভাবক হলেন। এবং তিনি তার আশ্রয়ে বসবাস করতে থাকেন। এমন কি তাঁর বয়স বার বৎসর দুইমাস দশদিন হল, তখন আবু তালেব ব্যবসার উদ্দেশ্যে শাম (সিরিয়া) দেশ ভ্রমন করার ইচ্ছা করলেন এবং মহানবী (সাঃ) কে সঙ্গে নিয়ে শাম দেশের দিকে যাত্রা করলেন। পথিমধ্যে তাইমা নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করেন।
*তাঁর সম্পর্কে এক ইহুদী পন্ডিতের ভবিষ্যৎ বানী:*
তিনি তাইমা নামক স্থানে অবস্থান করতে ছিলেন, ঘটনা ক্রমে ইহুদী এক বড় পণ্ডিত যাকে বুহায়রা রাহেব বলা হত। সে মহানবী (সাঃ) এর নিকট দিয়ে গমনকালে তাঁকে দেখে আবু তালেবকে সম্বোধন করে বলল "আপনি কি তার প্রতি দয়া পোষন করেন এবং তাঁর হেফাযত কামনা করেন?" আবু তালেব বলল নিশ্চই একথা শুনে বুহায়রা রাহেব আল্লাহর কছম করে বলল যে, "আপনি যদি তাঁকে শাম দেশে নিয়ে যান তাহলে ইহুদীরা তাঁকে হত্যা করে ফেলবে। কেননা, ইনি আল্লাহর নবী যিনি ইহুদী ধর্মকে বিলুপ্ত করে দিবেন। আমি তাঁর গুনাবলী সমূহ আসমানী কিতাবের মধ্যে দেখতে পেয়েছি।"
*ফায়দা*
বুহায়রা রাহের যেহেতু তাওরাতের বড় পণ্ডিত ছিলেন এবং মহানবী (সাঃ) কে দেখা মাত্রই চিনতে পারলেন যে, ইনিই শেষ নবী যিনি তাওরাতকে বিলুপ্ত করবেন এবং ইহুদী ধর্মীয় পণ্ডিতদের রাজত্বের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন। বুহায়রার কথায়, আবু তালেবের মনে ভীতি সৃষ্টি হল এবং তিনি মহানবী (সাঃ) কে মক্কায় ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। (মোগলতাঈ, পৃষ্টা ১০)
*ব্যবসার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয়বার শাম যাত্রা:*
মক্কা মু'য়াজ্জমায় হযরত খাদীজা সেই সময় একজন ধনী এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমতি অভিজ্ঞতা সম্পন্না মহিলা ছিলেন। যে সকল গরীবদেরকে তিনি সাবধান ও বিশ্বস্ত বরে মনে করতেন। তাঁদের কে তিনি নিজের মালামাল অর্পন করে বলতেন যে, অমুক স্থানে যেয়ে এগুলো বিক্রয় করে আস। তোমাকে এই পরিমাণ (লাভের অংশ) দেয়া হবে।
মহানবী (সাঃ) যদিও তখনও নবুওত প্রাপ্ত হননাই, কিন্তু তাঁর ধর্মপরায়নতা ও বিশ্বস্ততা সারা মক্কাবাসীর নিকট প্রসিদ্ধ ছিল এবং প্রতিটি লোকের তাঁর মনোনীত ও পবিত্র চরিতের প্রতি বিশ্বাস ছিল। তিনি আল্-আমিন (অতিবশ্বিাসী) উপাধীতে প্রসিদ্ধ ছিলেন, তাঁর এই সুখ্যাতির কথা খাদীজা (রাঃ) এর নিকট গোপন ছিল না। এজন্যই তিনি চাইয়াছিলেন যে, তাঁর ব্যবসার দায়দায়িত্ব মহানবী (সাঃ) এর উপর অর্পন করে তার বিশ্বাস্ততার দ্বারা উপকৃত হবেন।
তিনি রাসূল্লাহ (সাঃ) এর নিকট বলে পাঠালেন যে, যদি আপনি আমার ব্যবসার মালা-মাল শামে (সিরিয়ায়) নিয়ে যান, তাহলে আমি আমার একটি গোলাম আপনার খেদমতের জন্য সফর সঙ্গী করে দেব এবং অন্যান্য লোকদেরকে যে পরিমাণ লাভের অংশ দেয়া হয় তদপেক্ষা বেশী দিয়ে আপনার খেদমত করব। মহানবী (সাঃ) যেহেতু স্বভাবতঃ সাহসী ও প্রশস্ত চিন্তার অধিকারী ছিলেন, তাই সঙ্গে সঙ্গে এই দীর্ঘ সফরের জন্য তৈরী হয়ে গেলেন। খাদিজা (রাঃ আনহা) গোলাম মাইসারাকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ই জিলহজ্জ তারিখে শামের দিকে রওয়ানা হয়ে যান। সেখানে এই মালামাল অত্যন্ত বুদ্ধিমত্বার সহিত অধিক লাভে বিক্রয় করলেন এবং শাম থেকে অন্যান্য মালামাল ক্রয় করে ফিরে এলেন। মক্কা মো'য়াজ্জামায় পৌঁছে আনীত মাল হযরত খাদীজা (রাঃ) কে অর্পন করলেন। খাদিজা (রাঃ) সেগুলো এখানে বিক্রয় করলে দ্বিগুনের কাছাকাছি লাভ অর্জিত হল।
শামের (সিরিয়ার) পথে মহানবী (সাঃ) যখন এক স্থানে যাত্রা বিরতি করলেন, তখন নাসতুরা নামক এক ইহুদী পণ্ডিত তাঁকে দেখতে পেলেন এবং আখেরী যামনার নবী (সাঃ) এর সমস্ত আলামতসমুহ পূর্ব কিতাব সমূহে বর্ণিত হয়েছে তা তাঁর মধ্যে দেখে চিনে ফেললেন। রাহেব মাইসারাকে চিনতেন তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ "তোমার সাথের লোকটি কে"? মাইসারা উত্তরে বলল, তিনি মক্কার অধিবাসী কুরাইশ বংশের একজন ভদ্র যুবক"। নাস্তরা বললেন, "সময়ে এই যুবক নবী হবেন। (মোগলতাঈ পৃঃ ১২)
[সূত্র: সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া]
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
1 year ago | [YT] | 2
View 0 replies
IF Amazing
মিলাদুন্নবী সাঃ-এর উপলক্ষে সিরাতুন্নবীর আলোচনা •••••••০২:পর্ব••••••••••
*মহানবী (সাঃ) এর সম্মানিত পিতার ইন্তিকাল!*
মহানবী (সাঃ) তখনও জন্ম গ্রহণ করেননি। তাঁর সম্মানিত পিতা আব্দুল্লাহকে তাঁর পিতা আঃ মুত্তালিব মদীনা থেকে খেজুর নিয়ে আসার হুকুম দেন। আব্দুল্লাহ তাঁকে গর্ভাবস্থায় (১) রেখে মদীনায় চলে যায়। সর্বসম্মতিক্রমে সেখানেই তাঁর ইন্তিকাল হয়। পিতৃছায়া জন্ম হবার পূর্বেই মাথার উপর থেকে উঠে যায়। -(সীরাতে মোগলতাই পৃঃ ৭)
*বাল্যকাল ও দুধপান!*
সর্বপ্রথম শিশু মুহাম্মদ (সাঃ) কে তাঁর সম্মানীত মাতা এবং কিছু দিন পর আবুলাহাবের বাঁদী সুওয়াইবা দুধ পানকরান। ইহার পর হালীমা সা'দিয়া এই খোদার দেয়া দৌলতের ভাগী হন।-(মাগলতাঈ দ্রঃ)
আরবের সম্ভ্রান্ত গোত্রগুলোর মাঝে সাধারণতঃ এরূপ প্রথা ছিল যে, তাঁরা নিজ শিশুদেরকে দুধ পান করারবার জন্য আশপাশের গ্রামগুলিতে পাঠিয়ে দিত যার দ্বারা শিশুদের শারীরিক সুস্থতা লাভ হত এবং বিশুদ্ধ আরবী ভাষা শিক্ষতে পারত এই জন্য গ্রামের মহিলারা দুগ্ধ পোষ্য শিশু সংগ্রহের জন্য প্রায়ই শহরে আসত। হযরত হালীমা সা'দিয়া (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, "আমি সাদৃ সম্প্রদায়ের মহিলাদের সঙ্গে দুগ্ধ পোষ্য শিশু আনার জন্য তায়েফ থেকে মক্কায় রওয়ানা হই। সেই বৎসর দেশে দুর্ভিক্ষ ছিল। আমার কোলেও একটি বাচ্ছা ছিল। কিন্তু (অভাব ও উপবাসের দরুন) আমার স্তনে এই পরিমাণ দুধ ছিলনা যা তার জন্য যথেষ্ট হত। রাত্রিভর সে ক্ষুধায় ছটফট করত এবং আমরা তার জন্য সারারাত জেগে কাটিয়ে দিতাম। আমাদের একটি উটনী ছিল কিন্তু তারও কোন দুধ ছিলনা।
মক্কা সফরে যে লম্বাকান বিশিষ্ট উটনীর উপর সওয়ার হয়ে ছিলাম, সেটি এতই কমজোর ছিল যে, সকলের সাথে পালা যোগে চলতে পারতনা। এ কারণে সঙ্গীগণও বিরক্ত বোধ করছিল। পরিশেষে কষ্টের সাথেই এই ভ্রমণ সমাপ্ত হল।"
মক্কায় যখন পৌছল, তখন যে মহিলাগণই শিশু মুহাম্মদ (সাঃ) কে দেখত ও শুনত যে, তিনি এতিম, তখন কেও তাকে গ্রহণ করতো না। (কারণ, তাঁর পক্ষ থেকে বেশী পুরস্কার ও সম্মানী পাওয়ার আশা ছিলনা।) এদিকে হালীমার ভাগ্যতারকা চমকাচ্ছিল। তাঁর দুধের কমতি তাঁর জন্যে রহমতে পরিণত হল। কেননা, দুধের কস্তি দেখে কেহই তাকে বাচ্চা দিতে রাজি হয়নি।
হালীমা বলেন, "আমি আমার পতিকে বললাম খালিহাতে ফিরে যাওয়াতে ভাল হচ্ছেনা। খালি হাতে যাওয়ার চেয়ে এই এতীম শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া অনেক ভাল। পতি এই প্রস্তাবে সম্মত হলেন।" এবং তিনি এই এতিম রত্নটিকে সাথে নিয়ে এলেন যার ফলে শুধু হালীমা ও আমেনার গৃহই নয় বরং পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে তাঁর জ্যোতির দ্বারা উজ্জল হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। খোদার ফযলে হালীমার ভাগ্য জেগে উঠল এবং দু'জাহানের সরদার মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর কোলে এসে পড়লেন। তাঁবুতে নিয়ে এসে দুধ পান করতে বসার সাথে সাথে বরকত শুরু হয়ে গেল। স্তনে এই পরিমান দুধ নেমে এল যে, মহানবী (সাঃ) এবং তাঁর দুধ ভাই তৃপ্তি সহকারে পান করলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন।
এ দিকে উটনীর প্রতি তাকিয়ে দেখলেন তার স্তন দুধে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমার স্বামী উটনীটির দুধ দোহন কররেন এবং আমরা সকলে তৃপ্তিসহ পান করলাম ও রাতভর আরামে কাটালাম। অনেক দিন পর প্রথম রাত এটাই ছিল যে, আমরা শান্তিতে ঘুমিয়েছিলাম। এবার আমার পতিও আমাকে বলতে লাগলেন যে, 'হালীমা! তুমিতো খুবই মোবারক বাচ্চা নিয়ে এলে। আমি বললাম আমারও এই বিশ্বাস যে, এই শিশুটি অত্যন্ত মোবারক হবে। আমরা যখন সেই উটনীর উপর সওয়ার হলাম আল্লাহর কুদরতের লীলা দেখতে লাগলাম, এখন সেই দুর্বল উটনীটি এত দ্রুত চলতে লাগলো যে, কারো বাহন তাঁর নিকট পৌছতে পারছে না।
আমার সহগামী মহিলাগণ আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগলেন যে, এটা কি সেই উটনী যার উপর তুমি সওয়ার হয়ে এসেছিলে? যাইহোক রাস্তা শেষ হয়ে গেল, আমরাও বাড়ি পৌছে গেলাম। সেখানে ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ চলছিল। দুগ্ধবতী সমস্ত জন্তুরা দুগ্ধশূণ্য ছিল। আমি ঘরে প্রবেশ করলাম এবং আমার বকরী গুলির স্তন দুধে ভরে গেল। এখন থেকে আমার বকরীগুলো দুধে ভরপুর হয়ে আসতে লাগল। এবং অন্যেরা তাদের জন্তুগুলি থেকে এক ফোটা দুধও পাচ্ছিল না। আমার কওমের লোকেরা তাদের রাখালগণকে বলতে লাগল, 'তোমরা ও তোমাদের জন্তুগুলিকে ঐখানে ঘাস কাওয়াবে যেখানে হালিমা তাঁর বকরীগুলোকে ঘাস খাওয়ায়। কিন্তু এখানে তো চারণভূমি ও জঙ্গলের কোন চিহ্ন ছিল না, বরং অন্যকোন অমুল্য রত্নের খাতিরে তা মনযুর হয়েছিল। ঐ বস্তু কোথায় পাবে? সুতরাং ঐ জায়গায় চরা সত্বেও তাদের জন্তুগুলি দুধ শূণ্য এবং আমার বকরীগুলি দুধে পরিপূর্ণ হয়ে বাড়ি ফিরত। এমনি ভাবে আমরা সবসময় মহনবীর (সাঃ) এর বরকতসমূহ দেখতে ছিলাম। এমনকি দুই বৎসর পূর্ণ হয়ে গেল এবং আমি মহানবী (সাঃ) এর দুধ ছাড়িয়ে দিলাম।" -(আস্-সালিহাত)
*মহানবী (সাঃ) এর প্রথম বাক্য:*
হযরত হালীমা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, যে সময় আমি মহানবী (সাঃ) এর দুধ ছাড়ালাম, তখন তাঁর জবান মোবারকের মধ্যে এই কয়টি বাক্য উচ্চারিত হয়েছিল:
الله أكبر كبيرا والحمد الله حمدا كثيرا وسبحان الله بكرة واصيلا
এবং ইহাই ছিল তাঁর প্রথম বাক্য। (বায়হাকী ও ইবনে আব্বাস ও হতে বর্ণনা করেন।) মহানবী (সাঃ) এর শারীরিক গঠন প্রণালী অন্য সব বাচ্চাদের থেকে উন্নত ছিল। দুই বৎসর বয়সেই তাঁকে অনেক বড়সড় দেখা যাচ্ছিল। এখন আমরা নিয়মানুযায়ী তাঁকে তাঁর মায়ের নিকট নিয়ে গেলাম। কিন্তু তাঁর বরকতসমূহের কারণে তাঁকে ছেড়ে আসতে মন চায়নি। ঘটনাক্রমে সেই বৎসর মক্কায় প্লেগ বা কলেরার প্রাদুর্ভাব ছিল। আমরা মহামারীর বাহান করে তাঁকে পূনরায় সাথে নিয়ে এলাম। মহানবী (সাঃ) আমাদের কাছেই রয়ে গেলেন। তিনি ঘরের বাইরে যেতেন এবং ছোট্ট ছেলেদের কে খেলাধূলা করতে দেখতেন, কিন্তু নিজে খেলাধুলা থেকে আলাদা থাকতেন। তিনি একদিন আমাকে বললেন যে, 'আমার অন্য ভাইকে দিনভর দেখতে পাইনা, সে কোথায় থাকে? আমি বললাম, সে বকরী চড়াতে যায়। মহানবী (সাঃ) বললেন আমাকেও তার সাথে পাঠাবেন। এর পর তিনি তাঁর দুধ ভাই (আব্দুল্লাহ) এর সাথে বকরী চড়াতে যেতেন। (খাসায়েস্ ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা ৫৫)
একবার তাঁরা উভয়ে পশুদের মধ্যে ফিরে বেড়াচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় আবদুল্লাহ হাঁপাতে হাঁপাতে এসে ঘরে পৌছল এবং তাঁর পিতাকে বলল, আমার কোরাইশ ভাইকে দু'জন সাদা কাপড়ওয়ালা লোক এসে সুইয়ে তাঁর পেট চিরে ফেলেছে। আমরা স্বামী স্ত্রী উভয়ে ভয় পেয়ে চারণ ভূমির দিকে ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখতে পেলাম, মহানবী (সাঃ) বসে আছেন এবং তাঁর চেহারার রং বদলে গেছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ছেলে তোমার কি হয়েছে?
তিনি বললেন, দু'জন সাদা কাপড় পরিহিত লোক এসে আমাকে ধরে শুইয়ে দিল এবং আমর পেট চিড়ে তার মধ্যে কিছু সন্ধান করে বের করল। আমি জানিনা তাতে কি ছিল। আমরা মহানবী (সাঃ) কে ঘরে নিয়ে এলাম। এবং পরে এক গণকের কাছে নিয়েগেলাম। গণক তাকে দেখেই সত্বর নিজ জায়গা থেকে উঠে গেল এবং তাকে আপন বুকে উঠিয়ে নিল আর চিৎকার করে বলতে লাগল "হে আরব বাসীগণ শীঘ্র কর। যে বিপদ সত্বর তোমাদের উপর পৌছার কথা ছিল তা প্রতিহত কর। যার পন্থা হল এই যে, তোমরা এ ছেলেটিকে হত্যাকর এবং আমাকেও তাঁর সাথে হত্যা করে ফেল। যদি তোমরা তাঁকে হত্যা না করে ছেড়ে দাও, তাহলে মনে রেখো, সে তোমাদের ধর্মকে মিটিয়ে দিবে এবং এমন এক ধর্মের প্রতি তোমাদের দাওয়াত দিবে যার কথা তোমরা শোন নাই।"
হালীমা গণকের কথা শুনে শিউরে উঠলেন এবং তাঁকে এই হত ভাগার হাত থেকে টেনে নিয়ে বললেন যে, তুমি পাগল হয়ে গেছ। তোমার দেমাগ চিকিৎসা করা দরকার। হালীমা তাঁকে নিয়ে ঘরে ফিরে এলেন। কিন্তু এই দ্বিতীয় ঘটনাটি মহানবী (সাঃ) কে তাঁর সম্মানীতা মাতার নিকট ফিরিয়ে দিতে আসক্ত করল। কেননা তিনি তাঁর যথাযোগ্য হেফাযত করতে পারছিলেন না। -(আল্লামা জামী (রঃ) কর্তৃক লিখিত শাওয়াহেদুন্ নবুওয়ত ও খাসায়েসে কুবরা দ্রঃ)
মক্কায় পৌঁছে মহানবী (সাঃ) কে যখন তাঁর সম্মানীতা মাতার নিকট অর্পন করলেন, তখন হালীমাকে তিনি বললেন "আগ্রহ ভরে নিয়ে গিয়ে এত তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনার কারণ কি? অত্যধিক পীড়াপীড়ির পর বিবি হালীমার সমস্ত ঘটনা খুলে বলতে হল। তিনি সব কথা শুনে বললেন, "নিশ্চয়ই আমার ছেলের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।" অতপর তিনি গর্ভাবস্থা ও ভূমিষ্ট কালের আশ্চর্যজনক ঘটনাবলী শুনালেন। (ইবনে হিশ্মম দ্রঃ)
*মহানবী (সাঃ) এর সম্মানীতা মাতার ইন্তিকাল:*
যখন মহানবী (সাঃ) এর বয়স চার বা ছয় বৎসর, তখন মদীনা থেকে ফেরার পথে আব্ওয়া নামক স্থানে তাঁর সম্মানীতা মাতাও দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করলেন।(মোগলতাঈ, পৃঃ ১০)
বাল্যকাল, বয়স ছয় বৎসর। পিতার ছায়াতো পূর্বেই উঠে গিয়েছিল। মায়ের স্নেহের কোলও আজ শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এই এতীম শিশুটি যে রহমতের কোলে লালন পালন হওয়ার অপেক্ষায় ছিল তিনি তো এই সকল কারণ সমুহের (সহায়সম্বলের) মুখাপেক্ষী নন।
[সূত্র: সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া]
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
WhatsApp channel link
whatsapp.com/channel/0029VaAvPwN7T8bdxxMLtm0Y
1 year ago | [YT] | 4
View 0 replies
IF Amazing
মিলাদুন্নবী সাঃ-এর উপলক্ষে সিরাতুন্নবীর আলোচনা
•••••••০১:পর্ব••••••••••
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد الله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى
*মহানবী (সাঃ) এর বংশ পরিচয়!*
মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র বংশ সারা দুনিয়ার সব বংশাবলী থেকে অতি পবিত্র ও সম্ভ্রান্ত। (১) ইহা এমনি একটি বাস্তব সত্য কথা যে, তার চরম দুশমন ও মক্কার কাফেরকুলও তা অমান্য করতে পারেনি। রোমের বাদশাহরে সামনে হযরত আবু সুফিয়ান (রাঃ) কাফের থাকাবস্থায় তা স্বীকার করেছিলেন। অথচ তিনি তখন চেয়েছিলেন যে, যদি কোন সুযোগ-সুবিধা হয়ে যায়, তাহলে মহানবী (সাঃ) এর উপর দোষারোপ করবেন।
*সম্মানিত পিতার পক্ষ থেকে মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র বংশধারা!*
মুহাম্মদ (সাঃ) ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনেহাশিম ইবনে আবদে মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব ইবনে মুররা ইবনে কা'ব ইবনে লয়াই ইবনে গালিব ইবনে ফেহর ইবনে মালেক ইবনে নাযার ইবনে কেনাননাহ্ ইবনে খুযযাইমা ইবনে মুদরিকা ইবনে ইলিয়াছ ইবনে মুযার ইবনে নিযার ইবনে মা'আদ ইবনে আদনান।
এই পর্যন্ত বংশ ধারা উম্মতের ঐক্যমতে প্রমাণিত। এবং এখান থেকে আদম আলাইহিসসালাম পর্যন্ত বংশ তালিকায় মতানৈক্য থাকায় তার বিবরণ পরিত্যাগ করা হল।
*সম্মানিতা মাতার পক্ষ থেকে বংশ তালিকা নিম্নরূপ!*
মুহাম্মদ (সাঃ) ইবনে আমিনা বিন্তে ওয়াহাব ইবনে আবন্দেমানাফ ইবনে যুরা ইবনে কিলাব। ইহা দ্বারা বুঝা যায় যে, কিলাব ইবনে মুররা পর্যন্ত মহানবী (সাঃ)- এর পিতা ধারা একসাথে মিলিত হয়ে যায়।
*মহানবী (সাঃ) এর আগমনের পূর্বে প্রকাশিত বরকতসমুহ!*
যেভাবে সূর্যোদয়ের পূর্বে সুবেহ সাদিকের বিশ্বব্যাপি আলো ও প্রান্তের লালিমা পৃথিবীকে সূর্যোদয়ের সুসংবাদ দেয়, ঠিক্ সে ভাবে নবুওয়তের সূর্য মহানবী (সাঃ) এর উদয় হবার সময় যখন ঘনিয়ে এল, তখন পৃথিবীর চার পার্শ্বে এমন অনেক ঘটনা সমূহ প্রকাশ পেতে লাগল, যা মহানবী (সাঃ) এর আগমন বার্তা বহন করছিল।
হাদীস তত্ত্ববীদ ও ঐতিহাসিকদের পরিভাষায় এ গুলোকে ইহাসাত বা ভিত্তিসমুহ বলাহয়। (সেহেতু এধরণের আলৌকিক বিষয়গুলি নবুওয়তের পূর্বাভাস ও লক্ষণ বিশেষ, তাই এ সকল বিষয়গুলিকে ইরহাসাত বা ভিত্তি সমূহ বলা হয়)।
মহানবী (সাঃ) এর সম্মানিতা মাতা বিবি আমিনা থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সাঃ) যখন তাঁর মাতার গর্ভে স্থিতিশীল হলেন, স্বপ্নযোগে তাঁকে সুসংবাদ দেয়া হল যে, "যে সন্তানটি তোমার গর্ভে রয়েছে তিনি উম্মতের দলপতি। তিনি যখন ভূমিষ্ট হবেন তখন তুমি এই দোয়া করো: আমি তাঁকে এক আল্লাহর আশ্রয়ে অর্পন করলাম এবং তাঁর নাম রেখ মুহাম্মদ (সাঃ)"। -(সীরাতে ইবনে হিশাম দ্রঃ)
বিবি আমিনা আরও বর্ণনা করেন, আমি কোন মহিলাকে মহানবী (সাঃ) থেকে বেশী হাল্কা পাতলা ও সহজ গর্ভ ধারণ করতে দেখিনি। অর্থাৎ, গর্ভাবস্থায় সাধারণ মহিলাদের যে বমি বমি ভাব বা অলসতা ইত্যাদি হয়ে থাকে এসব কিছুই আমার হয়নি।" এছাড়া আরও বহু ঘটনা হয়েছে, এই সংক্ষিপ্ত লেখায় তা বর্ণনা করার সুযোগ নেই।
*হুযুর (সাঃ) এর মোবারক আবির্ভাব!*
অধিকাংশ আলেমগণ এই কথার উপর একমত যে, মহানবী (সাঃ) এর আবির্ভাব রবিউল আওয়াল মাসের সেই বছর হয়েছিল যে বছর 'আসহাবে ফীল' (হস্তী বাহিনী) কা'বা ঘর আক্রমণ করেছিল। আল্লাহ তা'য়ালা তাঁদেরকে আবাবীল নামক নগণ্য পক্ষিকুলের দ্বারা পরাজিত করেছিল। পবিত্র কোরআনে 'সূরা ফীলে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আসহাবে ফীলের ঘটনাটিও (১) মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র বেলাদত সম্পর্কিত বরকতসমূহের সূচনা স্বরূপ। মহানবী (সাঃ) সেই ঘরে ভূমিষ্ট হয়েছিলেন যা পরবর্তীকালে হাজ্জাজের ভাই মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফের হস্তগত হয়। কোন কোন ঐতিহাসিকের (২) মতে আসহাবে ফীলের ঘটনাটি ৫৭১ খ্রীষ্টাব্দে ২০ শে এপ্রিল সংঘটিত হয়েছিল। এতে বুঝা যায় যে, মহানবী (সাঃ) এর জন্ম হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্মের ৫৭১ বৎসর পরে হয়েছিল।
হাদীস শাস্ত্রের বিশিষ্ট ইমাম আল্লামা ইবনে আসকির (রঃ) পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে লিখেছেন: হযরত আদম (আঃ) ও নুহ্ (আঃ) এর মধ্যে ১ হাজার দুই শত বৎসরের ব্যবধান ছিল, নুহ (আঃ) থেকে ইব্রাহিম (আঃ) পর্যন্ত ১১ শত ৪২ বৎসর, ইব্রাহিম (আঃ) থেকে মুসা (আঃ) পর্যন্ত ৫৬৫, হযরত মুসা (আঃ) থেকে হযরত দাউদ (আঃ) পর্যন্ত ৫৬৯ বৎসর, হযরত দাউদ (আঃ) থেকে হযরত ঈসা (আঃ) পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫৬ বৎসর, হযরত ঈসা (আঃ) থেকে আখেরী নবী মুহাম্মদ এর মধ্যে ৬০০ বৎসরের ব্যবধান ছিল। এই হিসাবে হযরত আদম (আঃ) থেকে আমাদের মহানবী (সাঃ) পর্যন্ত ৫ হাজার ৩২ বৎসর। প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে হযরত আদম (আঃ) এর বয়স ছিল ৪০ কম ১ হাজার অর্থাৎ ৯শত ৬০ বৎসর। এজন্য আদম (আঃ) দুনিয়াতে অবতরণের অন্তত ৬ হাজার বৎসর পরে অর্থাৎ সপ্তম সহস্রাব্দে হযরত আখেরী নবী (সাঃ) শুভাগমন করেছিলেন। (তারীখে ইবনে আসাকির, মুহাম্মদ ইবনেই সহাকের উদ্ধৃতি থেকে ১/১৯,২০ পৃঃ) মোট কথা, যে বছর আসহাবে ফীল কা'বা আক্রমণ করে, সে বৎসরেরই ১২ই রবিউল আওয়াল
(১) সোমবার দিনটি দুনিয়ার জীবনে এক অসাধারণ দিবস, যে দিবসে পৃথিবী সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য, রাত্র-দিন পরিবর্তনের আসল লক্ষ্য, আদম (আঃ) ও বনি আদমের গর্ব, হযরত নুহ (আঃ) এর নৌকার হেফাজতের নিগূঢ় ভেদ, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর দোয়া এবং মূসা (আঃ) ও ঈসা (আঃ) এর ভবিষ্যৎ বাণী সমূহের সত্যতা প্রমাণকারী অর্থাৎ আমাদের মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এই ধরনীতে শুভাগমণ করেন।
একদিকে পৃথিবীর অর্চনালয়ে নবুওয়তের সূর্য প্রকাশিত হল, আর অন্য দিকে পারস্য রাজ কিস্সার রাজ প্রাসাদের (২) ১৪টি গুম্বুজ ধ্বসে পড়ে পারস্যের শ্বেত উপসাগর একেবারে শুকিয়ে যায়, পারস্যের অগ্নি মণ্ডপের হাজার বছরের প্রজ্জলিত অগ্নি স্বেচ্ছায় নিভে যায়, যা কখনও নির্বাপিত হয়নাই। (সীরাতে মোগলতাই পৃঃ ৫)
মূলতঃ এটি ছিল অগ্নি পূজা ও যাবতীয় গোমরাহীর সমাপ্তির পূর্বঘোষনা এবং পারস্য ও রোম রাজত্বের পতনের ইঙ্গিত। সহীহ্ হাদীস সমূহে বর্ণিত আছে যে, (৩) মহানবী (সাঃ) এর আবির্ভাবের সময় তাঁর সম্মানীতা মাতার পেট থেকে এমন একটি নূর প্রকাশিত হয় যার দ্বারা পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম আলোকিত হয়ে যায়। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে যে নবীজী (সাঃ) ভূমিষ্ট হয়ে উভয় হাতের উপর ভর দেয়া অবস্থায় ছিলেন অতপরঃ তিনি এক মুষ্টি মাটি তুলে আকাশের দিকে তাকালেন। (মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া দ্রঃ)
[সুত্র: সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া]
(চলবে ইনশাআল্লাহ
1 year ago | [YT] | 4
View 0 replies
IF Amazing
সহীহ বুখারী ২৮৭২
1 year ago | [YT] | 49
View 0 replies
IF Amazing
কালকে Wallpaper সাজিয়েছি PicsArt থেকে কেমন হয়েছে Gay's
1 year ago | [YT] | 3
View 0 replies
Load more