ক্যাম্পাসের প্রথম দিনের সেই মুহূর্তের পর থেকে তৈফিনের জীবন যেন একটু অন্যরকম হয়ে গেল। অচেনা ভিড়ের ভেতর হঠাৎ পাওয়া এক পরিচিত সুর—জেসিকার উপস্থিতি তাকে এক অদ্ভুত স্বস্তি দিল।
পরদিন সকালে ক্লাসে ঢুকতেই সে দেখতে পেল, জেসিকা আগেই এসে বসে আছে। ছোট চুল এলোমেলো, হুডি পরে, টেবিলের ওপর কফির কাপ রাখা। চোখে হালকা দুষ্টুমি, কিন্তু ভেতরে একরকম দৃঢ়তা।
“Hey, Mr. Newbie!” — জেসিকা হাত নেড়ে ডাকল। তৈফিন একটু অপ্রস্তুত হলেও এগিয়ে গেল। “তুমি এখানে? এই ক্লাসেও?”
জেসিকা হেসে মাথা ঝাঁকালো। “Of course. আমি এই কোর্সের পুরোনো স্টুডেন্ট। তোমার জন্য কাজটা সহজ হলো—একজন local guide তো পেয়ে গেছো।”
ক্লাস চলল। অধ্যাপক ইংরেজি-ফরাসি মিশিয়ে পড়াচ্ছিলেন। তৈফিনের কানে সব ঢুকছিল না, অনেক কিছুই নতুন। কিন্তু পাশে বসা জেসিকা ফিসফিস করে বলছিল, “Don’t worry, পরে explain করে দেব।”
তৈফিন মুগ্ধ হয়ে তাকাল। *এমন একজন মানুষ পাশে থাকলে সত্যিই কি এই নতুন জীবনটা সহজ হয়ে যাবে?*
---
ক্লাস শেষে জেসিকা বলল, “চলো, তোমাকে আমি ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখাই।”
তারা হাঁটতে হাঁটতে ক্যাফেটেরিয়ার দিকে গেল। কফির অর্ডার দিল—জেসিকা ব্ল্যাক কফি, তৈফিন লাটে। বসে গল্প শুরু হলো।
“তুমি বাংলাদেশ থেকে এসেছো, right?” “হ্যাঁ।” “Family ওখানেই?” “হুম… মা-বাবা, ছোট বোন। আমি scholarship পেয়ে এখানে এলাম।”
জেসিকার চোখে এক ঝিলিক দেখা গেল। “Nice. আমি এখানে born, কিন্তু roots Bangladesh. Sometimes মনে হয় আমি দুই জগতে আটকে আছি। One side freedom, অন্যদিকে traditions।”
তৈফিন চুপ করে শুনছিল। এই মেয়েটার ভেতরে একটা অদ্ভুত টান—বাইরে টমবয়, ভিতরে হয়তো অনেক গভীরতা।
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_২
ক্যাম্পাসের প্রথম দিনের সেই মুহূর্তের পর থেকে তৈফিনের জীবন যেন একটু অন্যরকম হয়ে গেল।
অচেনা ভিড়ের ভেতর হঠাৎ পাওয়া এক পরিচিত সুর—জেসিকার উপস্থিতি তাকে এক অদ্ভুত স্বস্তি দিল।
পরদিন সকালে ক্লাসে ঢুকতেই সে দেখতে পেল, জেসিকা আগেই এসে বসে আছে। ছোট চুল এলোমেলো, হুডি পরে, টেবিলের ওপর কফির কাপ রাখা। চোখে হালকা দুষ্টুমি, কিন্তু ভেতরে একরকম দৃঢ়তা।
“Hey, Mr. Newbie!” — জেসিকা হাত নেড়ে ডাকল।
তৈফিন একটু অপ্রস্তুত হলেও এগিয়ে গেল।
“তুমি এখানে? এই ক্লাসেও?”
জেসিকা হেসে মাথা ঝাঁকালো।
“Of course. আমি এই কোর্সের পুরোনো স্টুডেন্ট। তোমার জন্য কাজটা সহজ হলো—একজন local guide তো পেয়ে গেছো।”
ক্লাস চলল। অধ্যাপক ইংরেজি-ফরাসি মিশিয়ে পড়াচ্ছিলেন। তৈফিনের কানে সব ঢুকছিল না, অনেক কিছুই নতুন। কিন্তু পাশে বসা জেসিকা ফিসফিস করে বলছিল, “Don’t worry, পরে explain করে দেব।”
তৈফিন মুগ্ধ হয়ে তাকাল। *এমন একজন মানুষ পাশে থাকলে সত্যিই কি এই নতুন জীবনটা সহজ হয়ে যাবে?*
---
ক্লাস শেষে জেসিকা বলল,
“চলো, তোমাকে আমি ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখাই।”
তারা হাঁটতে হাঁটতে ক্যাফেটেরিয়ার দিকে গেল। কফির অর্ডার দিল—জেসিকা ব্ল্যাক কফি, তৈফিন লাটে। বসে গল্প শুরু হলো।
“তুমি বাংলাদেশ থেকে এসেছো, right?”
“হ্যাঁ।”
“Family ওখানেই?”
“হুম… মা-বাবা, ছোট বোন। আমি scholarship পেয়ে এখানে এলাম।”
জেসিকার চোখে এক ঝিলিক দেখা গেল।
“Nice. আমি এখানে born, কিন্তু roots Bangladesh. Sometimes মনে হয় আমি দুই জগতে আটকে আছি। One side freedom, অন্যদিকে traditions।”
তৈফিন চুপ করে শুনছিল। এই মেয়েটার ভেতরে একটা অদ্ভুত টান—বাইরে টমবয়, ভিতরে হয়তো অনেক গভীরতা।
---
তারা ক্যাম্পাসের পেছনের ছোট্ট বাগানে গিয়ে দাঁড়াল। চারপাশে সোনালি আলো, পাতার মর্মর শব্দ। জেসিকা বাইক হেলমেটটা ঘাসে ফেলে বসে পড়ল।
“Tell me, তৈফিন,” সে বলল, “তুমি কী খুঁজতে এসেছো এখানে? শুধু পড়াশোনা, নাকি আরও কিছু?”
তৈফিন হেসে দিল।
“আসলে জানি না। নতুন জীবন, নতুন সুযোগ। But… একটা ভয় আছে।”
“ভয়?”
“হ্যাঁ। যদি এখানে আমি একেবারে একা হয়ে যাই?”
জেসিকা একটু থেমে তার দিকে তাকাল। তারপর ধীরে ধীরে বলল—
“You’re not alone anymore. মনে রেখো, from now on… you have me.”
তৈফিনের বুকের ভেতর হালকা কাঁপন ধরল।
অচেনা শহরের অচেনা ভিড়ে, এই কথাগুলো যেন তাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়ে দিল।
সে জানত না, এই বন্ধুত্বই একদিন হবে তার সবচেয়ে বড় আশ্রয়, আবার একইসাথে অন্ধকারের পথে নিয়ে যাওয়া শুরু।
চলবে......
1 month ago | [YT] | 7