Fairy Of Novel

#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার#পর্ব_শেষ

বাংলাদেশের ছোট্ট শহরের শান্ত পরিবেশ। চারপাশে আলোর ঝলক, হাসাহাসি আর আতিথেয়তা।
ঘরোয়া আয়োজনে আজ Jessica-র বিয়ে। প্রথমবার সে লাল শাড়ি পরে বের হলো সবার সামনে। কপালে লাল টিপ, গলায় সোনালি হার, খোপায় ফুল।

তোফিন যখন তাকাল, বুকের ভেতর কেমন যেন অজানা শিহরণ বয়ে গেল।
সে ফিসফিস করে বলল—
“Jessica… তুমি শুধু সুন্দর নও, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম, ক্রাশ খেয়েছিলাম, আজ আবার সেই একই অনুভূতি।”

Jessica লাজুক হেসে উত্তর দিলো—
“তোফিন, তুমি না থাকলে আমি অনেক আগেই হারিয়ে যেতাম। তুমি আছো বলেই আমি আজ এই জায়গায়।”

তোফিন ঝুঁকে তার কানে বলল—
“তুমি শুধু আমার বউ নও, তুমি আমার স্বপ্ন… আমার রক্ত, আমার রোদ্দুর।”

চারপাশ হাততালিতে মুখর হয়ে উঠল।

---

রাত গভীর হলো। চারদিকে নিস্তব্ধতা। ঘরে মোমবাতির নরম আলো, জানালা দিয়ে ঢুকছে পূর্ণিমার আলো।

Jessica লাল শাড়িতে বসে আছে, মুখে লাজুক লাল আভা।
তোফিন ধীরে ধীরে এগিয়ে তার হাত ধরল।
“আজ থেকে তুমি আমার। আমি আর কখনো তোমাকে ছাড়ব না।”

Jessica ফিসফিস করে বলল—
“তুমি কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছো?”
তোফিন দুষ্টু হাসি দিলো—
“না, তোমাকে আমার করে নিচ্ছি।”

সে হঠাৎ Jessica-কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে গভীর চুম্বনে ডুবিয়ে দিলো।
Jessica চোখ বন্ধ করে বুকের সাথে মিশে গেল।

তোফিন তাকে কোলে তুলে নিলো।
Jessica হেসে বলল—
“তুমি কি সত্যি সিরিয়াস?”
তোফিন—“আমি সিরিয়াসলি পাগল তোমার জন্য।”

সে তাকে কোলে নিয়ে ছাদ থেকে ঘরে এসে বিছানায় নামিয়ে রাখল।
এই রাত শুধু তাদের দুজনের…
গোপন, মধুর, চিরস্মরণীয়।


চুম্বনের মাঝে Jessica হঠাৎ কেঁদে ফেলল।
“তোফিন… যদি বাবা-মা বেঁচে থাকত, আজ তারা কতটা খুশি হতো।”

তোফিন তার চোখ মুছে দিলো—
“Jessica, তারা স্বর্গ থেকে দেখছে। তারা গর্ব করছে তুমি এত কিছু জিতেছো। তুমি আজ আমার জীবনসঙ্গী।”

Jessica ফিসফিস করে বলল—
“তুমি যদি না থাকতে, আমি আজ কিচ্ছু হতাম না।”

তোফিন তার ঠোঁটে আবার চুমু দিলো।
“না, তুমি সবসময় extraordinary ছিলে। আমি শুধু তোমাকে আঁকড়ে ধরেছি।”

Jessica হাসতে হাসতে বলল—
“তাহলে আমাকে সারাজীবন আঁকড়ে রেখো।”
তোফিন হেসে বলল—
“Challenge accepted, Mrs. Jessica Toufin।”

Jessica লজ্জায় বালিশে মুখ লুকিয়ে ফেলল, তোফিন তার হাত শক্ত করে ধরল।


🌸জেরিন–তুহিন ক্রাশ ফ্লেভার**
ওদিকে বসার ঘরে হাসাহাসি।
তোফিনের ছোট ভাই তুহিন (১৮ বছরের) জেরিনকে দেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
সে আস্তে বলল—
“আপু… কেমন আছো?”

জেরিন হেসে বলল—
“ভালো আছি, তুমিই বা কেমন?”

তুহিন কোনো কথা না বলে শুধু মৃদু হাসল।
বন্ধুরা খেপাতে লাগল—
“এই তুহিন, crush মারছিস নাকি?”
তুহিন লজ্জায় পালিয়ে গেল, সবাই হেসে উঠল।

---

সাফিয়ান হেসে বললো–
“তোফিন ভাই, honeymoon কোথায় যাবেন? আমরা tagging হবো নাকি?”

তোফিন হেসে বলল—
“তোমরা tagging হলে romantic mood উধাও হয়ে যাবে।”


সবাই মজা করল, গল্প হলো, খাওয়াদাওয়া হলো।
পুরো ঘর জুড়ে হাসি আর উষ্ণতা।

রাত শেষে Jessica আর তোফিন ছাদে দাঁড়িয়ে।
আকাশে পূর্ণিমার আলো, চারপাশে নীরবতা।

Jessica হাত বাড়িয়ে বলল—
“তোফিন, মনে হচ্ছে অবশেষে আমি safe… আর কোনো ভয় নেই।”

তোফিন তাকে কাছে টেনে নিলো।
“কারণ আমি আছি। যতদিন বেঁচে থাকব, তোমার কষ্ট আমার কষ্ট হবে না।”

Jessica চোখ ভিজে গেলো।
সে তোফিনের বুকে মুখ লুকিয়ে ফিসফিস করে বলল—
“তুমি ছাড়া আমার পৃথিবী নেই।”

তোফিন কপালে চুমু দিয়ে বলল—
“আজ থেকে, সারাজীবন… তুমি শুধু আমার, আর আমি শুধু তোমার।”

দুজন একে অপরের চোখে তাকিয়ে রইল।
পৃথিবীর সব যুদ্ধ, সব অন্ধকার পেরিয়ে অবশেষে তারা পেল শান্তির নতুন ভোর।

সমাপ্তি........

1 month ago | [YT] | 6