Paris থেকে Dhaka যাওয়ার লম্বা ফ্লাইট। জানালার বাইরে মেঘের স্তূপ দেখে Jessica-র চোখ ভিজে গেল। সে আস্তে বলল— “এই মেঘের নিচেই তো আমার শহর, আমার বাবা-মায়ের কবর… তাদের ছাড়া আমি ফিরছি।”
চোখ বেয়ে টপটপ করে জল নামছে। তৌফিন হাত ধরে ফিসফিস করে বলল— “Jessica, please কান্না করো না… তোমার বাবা-মা আজ বেঁচে থাকলে গর্ব করত তোমাকে দেখে। তুমি weak নও, তুমি strongest।”
Jessica নরম গলায়— “তবুও তৌফিন, আমি আজ এত একা।” তৌফিন হাসতে চেষ্টা করল, “একা? তুমি কি আমাকে আর জেরিনকে কাগজের তৈরি ভাবছো নাকি? আমি তো তোদের জন্য পুরো plane block করে রাখব যদি লাগে।”
Jessica ছোট্ট হেসে ফেলল, তার কান্না মুছে গেল ধীরে ধীর..
ওদিকে Dhaka-তেই এক অন্য দৃশ্য। Dipa এবং Asif চুপচাপ বসে আছে drawing room-এ।
Asif-এর বাবা রাগে বললেন— “আমাদের ছেলের বিয়ে হবে হিন্দু মেয়ের সাথে? অসম্ভব! সমাজে আমাদের মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে?”
Asif শান্ত স্বরে বলল— “বাবা, ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু হৃদয় তো একই!”
তখন Dipa-র মা চোখ লাল করে বলে উঠলেন— “তুই কি আমাদের মান-সম্মান মাটিতে মেশাবি, দীপা? মুসলমান ছেলের সঙ্গে বিয়ে… কখনো না!”
ঘরে গুমোট নীরবতা। Dipa চোখ নামিয়ে কাঁপা গলায় বলল— “আমরা শুধু ভালোবাসি… কিন্তু ভালোবাসা কেন এত কঠিন?”
Asif অসহায়ভাবে তার হাত ধরল। কেউ কিছু বলার সাহস পেল না।
Dhaka পৌঁছে Jessica, জেরিন আর তৌফিন তাদের বাড়িতে ঢুকল। Jessica একটু nervous, কিন্তু ভদ্র হাসি দিয়ে বলল—
“আসসালামু আলাইকুম আংকেল, আন্টি। আমি জেসিকা।”
তৌফিনের মা সঙ্গে সঙ্গেই হেসে উঠলেন— “ওয়ালাইকুম আসসালাম মা! কেমন আছো?”
Fairy Of Novel
#রক্ত_আর_রোদ্দুর
#মারজিয়া_আক্তার – #পর্ব_১৯
Paris থেকে Dhaka যাওয়ার লম্বা ফ্লাইট। জানালার বাইরে মেঘের স্তূপ দেখে Jessica-র চোখ ভিজে গেল।
সে আস্তে বলল—
“এই মেঘের নিচেই তো আমার শহর, আমার বাবা-মায়ের কবর… তাদের ছাড়া আমি ফিরছি।”
চোখ বেয়ে টপটপ করে জল নামছে।
তৌফিন হাত ধরে ফিসফিস করে বলল—
“Jessica, please কান্না করো না… তোমার বাবা-মা আজ বেঁচে থাকলে গর্ব করত তোমাকে দেখে। তুমি weak নও, তুমি strongest।”
Jessica নরম গলায়—
“তবুও তৌফিন, আমি আজ এত একা।”
তৌফিন হাসতে চেষ্টা করল, “একা? তুমি কি আমাকে আর জেরিনকে কাগজের তৈরি ভাবছো নাকি? আমি তো তোদের জন্য পুরো plane block করে রাখব যদি লাগে।”
Jessica ছোট্ট হেসে ফেলল, তার কান্না মুছে গেল ধীরে ধীর..
ওদিকে Dhaka-তেই এক অন্য দৃশ্য।
Dipa এবং Asif চুপচাপ বসে আছে drawing room-এ।
Asif-এর বাবা রাগে বললেন—
“আমাদের ছেলের বিয়ে হবে হিন্দু মেয়ের সাথে? অসম্ভব! সমাজে আমাদের মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে?”
Asif শান্ত স্বরে বলল—
“বাবা, ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু হৃদয় তো একই!”
তখন Dipa-র মা চোখ লাল করে বলে উঠলেন—
“তুই কি আমাদের মান-সম্মান মাটিতে মেশাবি, দীপা? মুসলমান ছেলের সঙ্গে বিয়ে… কখনো না!”
ঘরে গুমোট নীরবতা।
Dipa চোখ নামিয়ে কাঁপা গলায় বলল—
“আমরা শুধু ভালোবাসি… কিন্তু ভালোবাসা কেন এত কঠিন?”
Asif অসহায়ভাবে তার হাত ধরল।
কেউ কিছু বলার সাহস পেল না।
Dhaka পৌঁছে Jessica, জেরিন আর তৌফিন তাদের বাড়িতে ঢুকল।
Jessica একটু nervous, কিন্তু ভদ্র হাসি দিয়ে বলল—
“আসসালামু আলাইকুম আংকেল, আন্টি। আমি জেসিকা।”
তৌফিনের মা সঙ্গে সঙ্গেই হেসে উঠলেন—
“ওয়ালাইকুম আসসালাম মা! কেমন আছো?”
Jessica হালকা মাথা নুইয়ে বলল—
“ভালো, আপনি?”
আন্টি উষ্ণ হেসে—“ভালো!”
তৌফিনের বাবা স্নিগ্ধ কণ্ঠে বললেন—
“ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমিও ভালো আছি। বসো, আরাম করে।”
Jessica আস্তে বসে পড়ল, গায়ে হালকা টপস আর জিন্স, কিন্তু আচরণে মার্জিত।
আন্টি একটু হেসে বললেন—
“কী রান্না জানো, মা?”
Jessica হেসে উত্তর দিল—
“জি আন্টি, আমি pasta, noodles, আর কিছু deshi রান্নাও শিখেছি। তৌফিনও taste করেছে।”
আন্টি হেসে বললেন—“তাহলে তো আমার ছেলের খাওয়ার চিন্তা নেই।”
Jessica blush করল।
আংকেল প্রশ্ন করলেন—
“তুমি পড়াশোনা কোথায় করেছো?”
Jessica উত্তর দিল—
“Paris-এ পড়াশোনা করেছি, তবে এখন কাজ করছি নিজের NGO-তে।”
আন্টি মুগ্ধ হয়ে তাকালেন।
“ভালো… মেয়েটা smart।”
তৌফিন পাশে দাঁড়িয়ে হেসে বলল—
“আমি তো বলেছিলাম, আমার choice খারাপ না।”
Jessica চোখ টিপে তাকাল, সবাই মৃদু হেসে ফেলল।
চলবে........
1 month ago (edited) | [YT] | 3